সম্পূর্ন নতুন পদ্ধতিতে ডিএনএ সিকোয়েন্সের কাজ হাতে নিয়েছে আইবিএম। সিলিকনের অত্যন্ত ক্ষুদ্র ছিদ্রে ডিএনএ অনু রেখে তার জিনেটিক রহস্য উদ্ধার করা সম্ভব বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। আর ব্যাপারটি সফল হলে ডিএনএ সিকোয়েন্সিং ব্যক্তিপর্যায়েও নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
মানুষ ও অন্যান্য প্রানীর জিনোম সিকোয়েন্স বিভিন্ন গবেষণাগারে প্রায় নিয়মিতই করা হয়। তবে তা কখনোই খুব দ্রুত বা কম খরচে সম্ভব হয়না। জিনোম আবিষ্কারের পর পরই দ্রুত উপায়ে তা সিকোয়েন্সের চেষ্টা সব সময়ই ছিল, জানালেন আইবিএম এর কম্পিউটেশনাল বায়োলজিস্ট গুস্তাভো স্তোলোভিতস্কি। তবে ঘুরে ফিরে সকলেই জটিল প্রক্রিয়ায় ডিএনএ সিকোয়েন্স করতে বসেন- ডিএনএ খন্ডকরা, অ্যামপ্লিফাইং বা প্রশস্ত করা, প্রতিলিপি করা ইত্যাদি।
এক্ষেত্রে আইবিএম ব্যবহার করছে সিলিকন চিপ। যাতে রয়েছে অসংখ্য ক্ষুদ্র ছিদ্র। প্রতিটি ছিদ্র মানুষের চুলের চাইতে ২০ হাজার ভাগ ছোট। যাকে বলা হচ্ছে ন্যানোপোর, শুধুমাত্র একটি ডিএনএ অনু এর ভেতর দিয়ে যেতে পারে। এভাবে আগের চেয়ে অনেক দ্রুত ও সহজ উপায়ে ডিএনএ সিকোয়েন্স সহজ হবে।
তবে এধরনের পরিকল্পনা বাস্তবে সম্ভব করা বেশ কঠিন। কেননা ডিএনএ প্রাকৃতিকভাবেই নিট চার্জ বহন করে। সাধারণভাবে চিপের দু’পাশে ভোল্টেজ প্রয়োগ করলেই ডিএনএর একটি স্রোত বয়ে যাবে ছিদ্র দিয়ে। আর সমস্যা বাঁধছে এখানেই। এত দ্রুত চলে যেতে থাকলে ডিএনএ ডিকোড করার কোন সুযোগই থাকছে না। অর্থাৎ, এই পরিবেশের উপর নিয়ন্ত্রন আনতে না পরালে প্রতিটি নিউক্লিওটাইডের জিনেটিক কোড নির্নয় করা সহজ হবে না। তবে এ সমস্যা উতরে যাওয়ার কৌশলও ভেবে রেখেছে আইবিএম। সিলিকনের চিপগুলোতে স্তরের সংখ্যা আরো বাড়িয়ে দেয়া হবে।
ভোল্টেজ এ নিয়ন্ত্রনে এনেই ভেতরের পরিবেশকে নিয়ন্ত্রনে আনা যাবে। আর এ জন্য প্রয়োজন অত্যন্ত কম মাত্রার ভোল্টেজ, যা নিয়ন্ত্রন করা হবে আইবিএম এর ‘ব্লু-জিন’ সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল ইনোভেশন সামিট এ আইবিএম তাদের এই নতুন পদ্ধতির কথা জানায়।
সংগ্রহ - আমাদের সময়
আমি মঈনুল হক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 159 টি টিউন ও 299 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
সব সময় নতুন কিছু শিখতে চেষ্টা করি ..........
ক্লাস টিউন হয়েছে মঈন …………. গুড জব