প্রযুক্তির লেহা পরতে পরতে অস্থির হইয়া গেছেন। নেন, এইবার পান্তা ভাতে কিছু ঘি মিশান। দেখেন খাওয়ার মজা কতখানি। এডমিন ভাইকে বলি, পিলিজ এইটা মুইছেন না। আপ্নে নিজেও একটু পইরা দেহেন। বাংলাদেশ বনাম ভারত। খেলা চলছে মিরপুরে। ক্রিকেট খেলায় তো ভারত আমাদের চির শত্রু টাইপের। জাই হোক, খেলা শুরু হতে জাচ্ছে, ধোনি আর মুশফিক গেছে টস করতে। অইখানেই লাগলো গণ্ডগোল। মুশফিক টসে জিতছে। কিন্তু ধোনি মানবে না। ধোনি বলতেছে, "তুমরা পুলাপাইন, আগে বোলিং কর। জানা কতা হারবা।" মুশফিক তো চেইতা ফায়ার। পারলে অইহানেই ধোনিরে থাবড়ায়। "হালার পু, তুই খালি লম্বায় আমার চাইতে বেশি দেইহা, নাইলে অহনী তোরে পুইতা হালাইতাম" ধোনি শুধু বলল, "মাডে দেহামুনে" অকে। কোন সমস্যা নেই। খেলা শুরু। তামিম বনাম জহির। জানেনতো, তাদের দুইজনের সম্পর্কটা। ধোনি বলে দিয়েছে, "জহির, হালার পাজর বরাবর বল করবি" অকে। তামিম উইকেটে দারালো এসে। ব্যাট হাতে নিয়ে শেষ মুহূর্তের কারিকুরি করছে। এই সময়ে ধোনি পিছন থেকে বলে উঠলো, "ইশকুল বয়, পিচ্চি পুলা" ""তর দুলাভাই হালা" তামিম শুধু এই একটি কথাই বলল। ধোনি গর গর করতে লাগলো। জহির আসছে বল করতে। তুমুল গতি পায়ে। পুরা বাংলা সাকিব খানের মতো দৌড়। এসেই একটা ইয়োরকার মেরে দিলো। তামিম সাবধানে ঠেকালো। এদিকে আম্পায়ার হাত তুলে ফেলছে। নো বল। প্রথম বলেই নো!! ইমরুল কায়েস ব্যাট হাতে তেড়ে এলো জহিরের দিকে। "অই ব্যাটা, প্রথম বলে নো মাইরা তো দিলি কুফাটা লাগাইয়া। ঠাং ভাইঙ্গা দিমু কইলাম" জহিরো কম জায় না। " অই ব্যাটা, কুফা তোর লাগছে না আমার লাগছে। চিল্লাস ক্যান? এক্কেরে গেটির উপরে দিমু কইলাম"। "অকে, দেইহা নিমু তোরে" ইমরুল ঝারি মারলো। আবার বল করতে আসছে জহির। বল করলো এবং, , , , , , তামিম বোল্ড!!! ব্যাস, আর দেখে কে জহির আর ধোনির আনন্দ। জহির তো ইমরুলকে পারলে তখনই ব্যাট দিয়া বাড়ি শুরু করে। আর অইদিকে ধোনি তিনটা স্ট্যাম্প তুলেই দৌড়। "জিত্তা গেছি, জিত্তা গেছি" অন্ধের মতো দৌড়াইতে ছিল। এদিকে আশরাফুল যে মাঠের মাঝখানে এসে পড়েছে তা খেয়াল করেনি। হঠাত করে এসে তার সামনে দাঁড়িয়ে গেলো। মনে হয় কিছুটা চমকেও গেলো। "কিরে ব্যাডা তুই" ধোনি বলল। এবার আশরাফুল ঝাড়ি মারলো, "লাফাস কেরে হালা। জেন্তে আইসত হেনে যা" "অকে আয়, তোরে তো এইবার ইলিশ ভাজা করুম" ধোনি পালটা ঝাড়ি দিলো। এরপর কতখন যা হল তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আশরাফুল তো সমানে চার ছয় মারছে। অইদিকে ইমরুল সমানে লাফায়, "হালাগো আইজ দেইহা লমু। চল্লিশ রানে আশরাফুল শেষ। "খারা, বহুত তো কেরামতি দেহাইলি। ১৫ বলে ৪০ করছত। এত্ত পাওয়ার আইলো কই" আশরাফুল সহসাই চমকে গেলো। সেবাগ তার সামনে দাঁড়িয়ে। দুইজন একসাথে দারালে অনেকটাই বাবা ছেলের মতো মনে হয়। আশরাফ তো প্রায় চমকে গেলো। কোন উত্তর না দিয়ে চলে গেল গ্যালারিতে। তারপর??? তারপর, , , , , , , , অনেক ধ্বংসযজ্ঞ চলল। মাত্র ১০ অভারেই বাঙ্গালী ১৫০ করে ফেলেছে। কিন্তু পুরা কঙ্কাল দশা। ৮ উইকেট শেষ। ৩য় উইকেটের পরেই টপাটপ আউট হতে লাগলো। জহির এক অভারেই ৪ টা। তার এই তামাশা দেখে তো শচীন বাবু লোভ সামলাতে পারলো না। বলে " দেউ মিয়া, আমিও এক অভার চালাই। দেহি কিছু করবার পারি কিনা" ধোনি অনেকটা ফাজলামি করেই তার হাতে বল তুলে দিল। ব্যাস, যা হবার তাই হল, সাকিবের রান ছিল মাত্র ৩০ বলে ৫৫. শচীন আসার পরে আরো ৩ বল টিকে ছিলো। তার পরের বলেই মহাজাগতিক শট! বল উঠছে তো উঠছেই। একদম খারা উপরের দিকে। থামাথামি নাই। ক্যাচ ধরার জন্য ধোনি দৌরে গেলো। কিন্তু প্রবলেম হল, আকাশের দিকে তাকাতেই পারছে না। প্রচন্ড রোদ। কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে আর পারলো না। চোখ ডলতে লাগলো। অই দিকে দূর থেকে হরভজন চিৎকার করে উঠলো, "বস, মাতায় পরলো" "উরে ভগবান, , , , " বলেই কেবল দৌড় দিয়েছে ধোনি, আর তখনই তার মাথায় বজ্রপাত ঘটলো। বল পড়েছে হেলমেটের উপর। " থর থর করে কাপছে ধোনি। "আর জীবনেও হেলমেট খুইলা খেলুম না। ভাগ্যিস আইজ ভুল কইরা পইরা রাখছিলাম" "দেখছো মিয়া? স্পিন বলতো কি অইছে, আইজ যদি খুইলা রাখতা তাইলে তো অইছিল।" ঘর ঘর করে বলল হরভজন। এর পর সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ২২০ করতে পারলো। মুশফিকের কল্যাণে। তারপরেই শুরু হল বাংলাদেশের বিস্ময়কর ফিল্ডিং ইনিংস। পরের পরবে নিয়ে আসছি। ভাল থাকবেন। রোস
আমি হাসিররাজা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 60 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি তো আমার মতই আছি। জীবনে কোন পরিবর্তন নেই। কোন দিন আসবে বলে আশা করি না। মানুষকে ভালবাসি, মানুষের হাসিমুখ ভালবাসি, মানুষকে হাসাতে ভালবাসি।
ভাই এইটা কপি করে রাখলাম্, আমার ফেসবুক পেজে দেবো।আপনিও ঘুরে আসতে পারেন ;
http://www.facebook.com/we.are.not.single