টিউনের শিরোনাম দেখে কেউ ভেবে বসবেন না যে আমি লিনাক্স নিয়ে বলতে এসেছি। আজকাল ফ্রিতে পাওয়া লিনাক্স নিয়ে অনেক হৈচৈ হচ্ছে। উইন্ডোজ ব্যবহার করি বলতে লজ্জা লাগে তাদের সামনে। কিন্তু আমরা অনেকেই উইন্ডোজ ব্যবহার করে যাচ্ছি নিরবে নিভৃতে। অনেকে জানেনই না যে উইন্ডোজ ছাড়া অন্য কোনো অপারেটিং সিস্টেম আছে। কেউ কেউ লিনাক্স এর নাম শুনে ডিভিডি কিনে এনে বাসায় পিসি তে ইন্সটল করেন। কিন্তু তার পরপরই বিশাল সফটওয়্যার ভান্ডারের কোনো ফাইল ওপেন না হওয়ায় পরেরবার পিসি স্টার্ট হওয়ার আগেই লিনাক্স এর পার্টিশন মুছে ফেলেন। আশাকরি তাদের আর্থিক মুল্যমান কত হতে পারে।
প্রথমেই আমরা উইন্ডোজ ইন্সটল করে যা করি তা হল সকল সফটওয়্যার পালাক্রমে ইন্সটল করা। উইন্ডোজের কপিটাও অবশ্য পাইরেটেড, নিজ দাবিতে Ultimate ভার্সন কিনবো, HomePremium বা Pro এডিশানের ভ্যালু নাই, সেটা নাইবা বললাম। বিসমিল্লাহে ২৯৯ ডলার ফ্রী। মাদারবোর্ড এর ড্রাইভার অবশ্য ফ্রিতেই ডিস্কএ পাওয়া যায়। তাই ওটা নিয়ে মাথা ঘামালাম না। প্রথমে শুরু করি মিডিয়া প্লেয়ার দিয়ে।
ধ্যাৎ! ফাইল এ ডাবল ক্লিক করলে উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার দিয়ে ওপেন হচ্ছে! এত বড় স্ক্রীন জুড়ে একটা প্লেয়ার, সেটাতে উইনঅ্যাম্প এর মত এটা ওটা করা যায়না? এই ছাইপাশ আর ব্যবহার করবেননা। ইন্সটল করে নেন উইনঅ্যাম্প। এখানে কী সুন্দর স্কিন আছে! চাইলেই সব খুলে খুলে আটকানো যায়। এই দ্রব্যের দাম মাত্র ২০ ডলার।
হায় হায়। ভিডিও ফাইলটাও ওপেন হচ্ছে সেই ফালতু উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার দিয়ে। ডিভিডি ঢোকালে সেটা কিচ্ছুক্ষণের জন্যে থেমে যায়। বিশ্রী জিনিস। অমুকের পিসিতে ডিভিডি ঢোকালে কী সুন্দর অটো পাওয়ার ডিভিডি চালু হয়ে যায়। যেই ভাবা, সেই কাজ। ইন্সটল করে ফেলেন শক্তিশালী ডিভিডি। বাচল ১৫ ডলার।
মিডিয়া ফাইল চালানোর ঝামেলা মিটল। অবশ্য কেউ কেউ Open with এ একাধিক অ্যাপ্লিকেশান না পেলে মন খারাপ করেন। তারা হয়ত আরো কিছু "বিনামুল্যে" ইন্সটল করে ফেলবেন।
অফিসের কোনো কাজ করবেন? বস বলে দিয়েছে যে স্যালারি শিটটা যেন পরের দিন অবশ্যই জমে দেওয়া হয়, নাতো পাশের টেবিলের রহিমা আপার সামনেই ঝাড়ি খেতে হবে (লজ্জার ব্যাপার)। কাজ করতে যেয়ে দেখেন যে DOC ফাইলটায় ডাবল ক্লিক করলে মান্ধাতার আমলের Wordpad দিয়ে খুলছে। কী সমস্যা? পুরনো ডিভিডি ঘেটে কয়েক মিনিট খরচ করে ইন্সটল করে নিলেন মাইক্রোসফট অফিস ২০১০। সাথে আপনার সোনামণির জন্যে মাইক্রোসফট এনকার্টা প্রিমিয়াম ইন্সটল করে নিবেন। তাহলে বেচে গেল আরো ২৪৫ ডলার।
উফফ! কী মুশকিল! এই বিদঘুটে জিনিস দিয়ে কেউ ইন্টারনেটে ঢোকে? ফায়ারফক্স, ক্রোম ইত্যাদি ফ্রী বলে সত্যিই আপনার কিছু সময় (সিরিয়াল নাম্বার খুঁজতে যা ব্যয় হত) বেচে গেল। সহজেই ফায়ারফক্স ইন্সটল করে নিলেন আর অগুণতি ট্যাব খুলে জিপির আলো ঘরে আনতে শুরু করে দিলেন। চাইলে বাঘের হুংকারও আনতে পারেন। থাক সেসব। কিন্তু ফাইল ডাউনলোড করার সময় ফায়ারফক্সের পিচ্চি উইন্ডোতে Downloading. দেখতে ভালো লাগছেনা। তাছাড়া ইউটিউবের ভিডিওগুলাও ডাউনলোড হচ্ছেনা। কোত্থেকে যেন আইডিএম এর সাইলেন্ট ইন্সটলার নামিয়ে রেখেছিলেন। আজ ওটা কাজে লেগে গেল। ইন্টারনেট ব্রাউজিংএ এখন ২৫ ডলার ছাড়!
অমুক ড্রাইভটা ভর্তি হয়ে গেছে তাইনা? কিংবা ডাউনলোড করে মুভিগুলা আপনার হার্ডডিস্কে "ডাটাসংখা বিস্ফোরণ" ঘটাচ্ছে। চিন্তা নেই। ১০৳ দিয়ে ডিভিডি কিনলেই ৪.৩জিবি ডাটা রাইট করা সম্ভব। কিন্তু উইন্ডোজের Send to DVD-R/RW দিয়ে তো চলবেনা। ইন্সটল করে নিবেন নিরো স্যুট (ভাবই আলাদা)। যদি পিসি কেনার সময় ডিভিডি রমের সাথে পাওয়া নিরোর ডিস্ক টা থাকে তাহলে বাচলেন। নাতো খরচ হত ১০০ ডলার।
যারা গ্রাফিক্সের কাজ করেন তাদের তো লাগবে অ্যাডোব ফটোশপ, ফ্ল্যাশ, প্রিমিয়ার। থাক, কষ্ট করে ৫০টাকা দিয়ে অ্যাডোব সিএস ৫.৫ কিনে নেন। খামোখা ডলার দিয়ে কিনে কী লাভ? আর যারা ডিজাইন করবেন, তারাও কষ্ট করে দোকানে যেয়ে অটোক্যাড বা মায়া যেটাই হোক কিনে নিবেন। বাচল আরো ২৫৯৯ ডলার।
আর ছবি দেখবেন কী দিয়ে? কেউ কেউ ACDSee বা অন্য কোনো সফটওয়্যার ছাড়া ছবি দেখতে অস্বস্তিবোধ করেন। তাদের জন্য ৭০ ডলার মাফ।
পছন্দের ভিডিও মোবাইলে নিবেন? ডিভিডি রিপ করে পিসি তে রাখবেন? কি যেন নাম একটা, XiliSoft বা iSkysoft এর জট্টিল দেখতে ভিডিও কনভার্টারটা আপনার চাই। ডি, ই বা এফ ড্রাইভ খুজলেই পেয়ে যাবেন। কথা না বাড়িয়ে ঝটপট ইন্সটল করে নিন। এখন মোবাইলে "শিলা কী জাওয়ানি"র ভিডিও দেখতে বেশ ভালোই লাগছে। ভাগ্যিস ৬০ ডলার দিয়ে না কিনে নিউমার্কেট থেকে সফটওয়্যার ডিভিডিটা কিনে রেখেছিলেন।
রুমমেটের সাথে ল্যান কানেকশান করেছেন? পাশের রুমেই কারা যেন ল্যানে দিব্যি চ্যাট করছে, ভিডিও শেয়ার করছে, রিমোট ডিসপ্লে ব্যবহার করছে। বন্ধুর কাছ থেকে পেনড্রাইভ টা চেয়ে নিলেন। তারপর তাদের কাছে থেকে কয়েক সেকেন্ডেই কপি করে নিলেন সেই সফটওয়্যার। তারপর নিজের রুমে এসে ইন্সটল করে নিলেন সফটওয়্যারটা। নাম হয়ত TeamViewer. ভালোই করেছেন। ১৫০০ ডলার দিয়ে এই জিনিস কেনার মানে হয়না।
সেমিস্টার শেষের দিকে। অথচ প্রোগ্রামিং কমপ্লিট হয়নি। হন্যে হয়ে ছুটলেন এর ওর কাছে। নিয়ে এলেন Microsoft Visual C+. স্যারেরা বলে দিয়েছে যে এটাই ব্যবহার করতে হবে। তাই কী আর করা। ফ্রিতেই তো পাচ্ছেন। কোড লিখুন আর Compile > Build > Run. আবারো ৮০০ ডলার ছাড়!
অ্যান্টিভাইরাসে কথা বলিনি তাইনা? তাহলে তো বিশাল ভুল করে ফেলেছি। আপনার প্রিয় বন্ধুর পিসিতে কী সুন্দর ক্যাস্পারস্কাই এর 'কে' টা ঝলমল করে। কিংবা নরটন কী সুন্দর রাডারের মত স্ক্যান করে। শুধু তাই নয়, ইউএসবি তে কিছু লাগালে অটো স্ক্যান করে ফেলে। ভাইরাস ঢুকবে তা তো দুরের কথা, উঁকি মেরেও দেখতে পাবেনা। সাইজ তো খুব বেশিনা। ওটাও কপি পেস্ট ইন্সটল। ওহ! শান্তি! ভাইরাস নিয়ে ভাবনা, আর না আর না। ভাবনা তাদের যাদের ৭০ ডলারের প্রোডাক্ট আপনি চুরি করে নিলেন।
সিস্টেম ক্লিন রাখা নিয়ে কিছু বলার দরকার নাই হয়ত। আমার চেয়ে আপনারাই বেশি জানেন কী দিয়ে কী হয়। Registry Mechanic তো ইন্সটল করা আছে তাইনা? তাইতো বলি খালি রেজিস্ট্রি ডিফ্র্যাগ মারেন কী দিয়ে? আরো কি যেন আছে, Advanced System Care (আপনার কোর আই প্রসেসর না থাকলেও টার্বো বুস্ট দিবেই দিবে ;)), Windows 7 Tweaker, PC Tools Registry Cleaner - বাকিগুলা বলে ফেলুন। তাহলে খুব খুশি তো? সিস্টেম ক্লিনের সাথে সাথে মাথাটাও ক্লিন থাকছে। হুদাই ওই সফটওয়্যার কোম্পানিকে ৪৩ ডলার না দিয়েই মজা লুটে নিচ্ছেন।
বিদেশ থেকে ছোট খালা অনেকগুলা ছবি পাঠিয়েছে। কিন্তু RAR TAR 7z কী কী সব ফরম্যাটের ফাইল। ধূর! ৫০টাকা দিয়ে উইন্ডোজ এর ডিভিডি কিনলাম, আর তাতে RAR ফাইল খোলা যায়না? রাগে গজ গজ করতে খুঁজে নিবেন WinRAR. যে ফোল্ডারে সফটওয়্যার ছিল তাতে serial.txt নামে আরেকটা ফাইল আছে, ওটায় কি সুন্দর করে সিরিয়াল নাম্বার লিখা আছে। ভাগ্যিস Ctrl+C তে কপি আর Ctrl+V তে পেস্ট করার ব্যাবস্থা আছে। নাতো আপনাকে কষ্ট করে সিরিয়াল টা দেখে দেখে ইনপুট করতে হত। কমান্ডের কল্যাণে আপনাকে ২৯ ডলার তো খরচ করতে হলই না, বরং ভালয় ভালয় ইন্সটল করে ফেললেন এই চিজ। বোনাস হিসেবে না হয় কনটেক্সট মেনুতে "Add to." "Extract to." লিখা একগাদা আইটেম পেয়ে গেলেন।
জি ড্রাইভটা খুব ঝামেলা করছে? আজকাল দোকানওয়ালারা খুব দুষ্টু হয়েছে। ১ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক কিনেছেন, কিন্তু বেয়াদপটা সি ড্রাইভে ৩০ গিগা দিয়ে বাকি জায়গা দিয়ে ২২৫ গিগার ৪টা ড্রাইভ বানিয়ে দিয়েছে। সহ্য হয়? টাকা দিয়ে জিনিস কিনলেন, আর এরকম ব্যবহার? যাই হোক, ওকে বলে লাভ নেই। নিজেই কাজে নেমে পড়েন। Partition Manager আছেনা? হ্যা, ইন্সটল দিন তো! কয়েক ঘন্টার মাঝেই কাজ কমপ্লিট। এখন কী সুন্দর ১০০গিগার ৯টা ড্রাইভ শোভা পাচ্ছে। একটার নাম Softwares, আরেকটা Games, Music, Natokz. ভাগ্যস দোকানদার কে ঠিক করতে দেন নি। নাতো দুই একশ টাকা চাইত। আর সফটওয়্যারটা তো ফ্রিতেই পেয়ে গেলেন। আরো ৪০ ডলার বাচানোর খুশিতে একটা পার্টি দিতে পারেন।
কবেকার সেই পুরানো একটা গেম ইন্সটল দিলেন। কিন্তু ফেলে দেওয়ার সময় বাধল বিপত্তি। আনইন্সটল করতে গেলেই বলে যে Installation log not found. মহা ঝামেলা! এবার তো এক্সপি সেটআপ দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আপনার বন্ধুটি আপনাকে বাচাল। খোঁজ পেলেন Revo Uninstaller এর। বাহ! ক্লিক করতেই রেজিস্ট্রি থেকে গেমের সব ডাটা মুছে আপনাকে খুশি করে দিল। আনন্দে আপনি বন্ধুটিকে দুইটা সিঙ্গাড়া খাওয়ালেন। কিন্তু যারা কষ্ট করে সফটওয়্যারটি বানিয়েছে তারা তাদের প্রাপ্য ৪০ ডলার তো দুরের কথা, এক গ্লাস পানিও পেলনা।
কে যেন আপনাকে বলল যে উইন্ডোজ এর মাঝেই বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম চালানো যায়। আরে বাহ! এরকম উপায় আছে তাহলে! কষ্ট করে পাইরেট বে তে পেয়ে গেলেন VMWare. ইন্সটল করে মুখ থেকে বের হয়ে এল "ওয়াও!" ৩/৪ ঘন্টা ধরে ডাউনলোড করাটা তাহলে কাজে লাগলো। ইন্টারনেট এর বিলটাই তো দিতে হল, ওই সফটওয়্যার এর কোম্পানি তো আপনাকে ধরে তাদের প্রাপ্য ১৮৯ ডলার চাচ্ছেনা!
অনেক তো বকবক করলাম। ভিজুয়াল স্টাইল নিয়ে কিছু না বললে এই টিউন সবাই ডিসলাইক দিবে (যদিও এখন সেই সুযোগ নেই, তবে লাইক কম পড়লে খারাপ লাগে)। Windows Blinds এর নাম শোনেননি এমন মানুষ কম আছেন। টাস্কবার, আইকন, ফোল্ডার ব্যাকগ্রাউন্ড কী সুন্দর করে চেঞ্জ করে দেয়! আর ওইযে ObjectDock আছে। মাউস দিয়ে গুতা দিলেই আইকনগুলা রেগে যেন ফুলে যায়। এই দুইখান জিনিসের দাম ৪০ ডলার। ভয় লাগছেনা তাইনা? হ্যা, কারণ একটু খুঁজলেই ক্র্যাক সহ পেয়ে যাবেন। পারলে WinStep Extreme ও খুঁজতে পারেন। আর মনোমুগ্ধকর কার্সর যেটার নিচে তারা, আগুন ইত্যাদি জ্বলে সেটা CursorFX, এসব মোট ৪৯ ডলারের বদলে একেবারেই ফ্রিতে মিডিয়াআগুনে খুঁজলেই পাবেন।
তাহলে উক্ত সবগুলার মুল্য যোগ করলে হয় ৬৩১১ ডলার। ডলারপ্রতি ৭৫টাকা ধরলে ৪, ৭৩, ৩২৫ টাকা! আর স্ক্রীনশট নিতে SnagIt যার দাম ৫০ ডলার সেটার কথা নাইবা বললাম। HDTune ৩৩ ডলার, Tuneup Utilities ৩৫ ডলার ইত্যাদি তো আছেই।
লিনাক্স ব্যবহার করার উপদেশ দিতে এই টিউন লিখিনি। আমাদের অনেকের পক্ষে লিনাক্স চালানো সম্ভব না। চাইলেই উইন্ডোজের সফটওয়্যার পাওয়া যায়, কিন্তু লিনাক্স এর রিপো কয়জনের আছে? আর সবাই তো শুধু লিখালেখি আর গান শুনেই ক্ষান্ত থাকেনা। ইন্টারনেট ব্যবহার করাটা বড় সমস্যা। যদিও কায়দা করে লিনাক্স এ মডেম চালানো যায়, তবে আমাদের বাংলার সিংহ ব্যবহারকারীরা বিপদে পড়েছেন ইউএসবি মডেম নিয়ে। তাই যেটা বলতে চাই তা হল চলুন সবাই অন্তত ফ্রিওয়্যার ব্যবহারে অভ্যস্ত হই। প্রায় সবকিছুরই বিকল্প আছে। একজন প্রোগ্রামারের মেধার মুল্যায়ণ করতে না পারলে আমরা কীভাবে সকল পেশার মানুষ তথা জাতিকে সম্মান করতে পারব? আমাদের মাঝে যে প্রতিভা আছে, বদলে দেওয়া এবং বদলে যাওয়ার যে শক্তি আছে তা কাজে লাগানো দরকার। আপনার পাশের মানুষটিকে সতর্ক করে দিন, আরো প্রযুক্তি সচেতন করে তুলুন। সবাই একদিন না একদিন জেগে উঠবে, সেইদিন কেউ আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবেনা। সেই সুদিনের প্রত্যাশা করি।
আপনাদের জন্য একেবারেই ফ্রী কিছু সফটওয়্যার এর লিঙ্ক দিলাম। দেখুন কাজে আসে কিনা।
Picasa - ছবি দেখা ও এডিট করার সফটওয়্যার
Photoscape - ছবি এডিট ও এনিমেশান বানানোর সফটওয়্যার
Pidgin - চ্যাট ক্লায়েন্ট
Orbit Downloader - ডাউনলোড ম্যানেজার
Quality Capture - ওয়েবক্যাম দিয়ে ছবি তোলার ছোট্ট সফটওয়্যার
foobar2000 - গান শোনা ও লাইব্রেরি ইনট্রিগ্রেটেড সফটওয়্যার
FormatFactory - ইমেজ ভিডিও অডিও কনভার্টার, রিপার
VLC Player - সবধরণের ভিডিও ও অডিও প্লেয়ার
LAN Shark - ল্যানে ফাইল শেয়ার করার সফটওয়্যার
OpenOffice.org - ওয়ার্ড প্রসেসর, ডাটা ম্যানেজমেন্ট, ম্যাথ ক্যালকুলেশান ইত্যাদি
Code::blocks - কম্পাইলার ও ডেভেলপমেন্ট কিট
DevC+ - খুব সাধারণ ও সহজ সি কম্পাইলার
KeePass - পাসওয়ার্ড সেভিং সফটওয়্যার
TrueCrypt - ড্রাইভ ও ফাইল এনক্রিপ্ট সফটওয়্যার
PrimoPDF - পিডিএফ প্রিন্টার
EasyBCD - বুটলোডার এডিটর
CCleaner - সিস্টেম ক্লিন রাখার সফটওয়্যার
Recuva - ছোট্ট কিন্তু অনেক কাজের ফাইল রিকোভারি সফটওয়্যার
PowerPack - টুইকিং সফটওয়্যার
VirtualBox - ভার্চুয়ালি অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম চালানোর সফটওয়্যার
Cursors-4u - ফ্রী কার্সর
Icon Archive - হাজার হাজার ফ্রী ও মনোমুগ্ধকর আইকন
Custopacktools - খুব লাইটওয়েট সফটওয়্যার, আইকন টাস্কবার লগিন স্ক্রিন চেঞ্জ করে
RocketDock - অ্যাপ পিন করা রাখার সফটওয়্যার
BurnAware - সিডি ডিভিডি বার্নিং সফটওয়্যার
AVG Free - বেসিক অ্যান্টিভাইরাস প্রটেকশান
Gimp - অসাধারণ ফটো এডিট করার সফটওয়্যার
Comodo IS - ইন্টারনেট সিকিউরিটি ও ফায়ারওয়াল
Easeus Partition Manager - হার্ডডিস্ক পার্টিশনিং টুল
WhatInStartUp - মাত্র ৫০ কেবির সফটওয়্যার যা দিয়ে পিসি স্টার্ট হওয়ার সময় চালু হওয়া সফটওয়্যার এনাবল বা ডিজাবল করা যায়
7z - সাধারণ আর্কাইভ ম্যানেজার
IObit Toolbox - অনেক কাজের টুলের সমাহার
Sumatra PDF - খুব ছোট্ট পিডিএফ রিডার
InkSpace - অসাধারণ একটি ভেক্টর ইমেজ ক্রিয়েটর
WordWeb - চমৎকার একটি ডিকশনারী
CPU-Z - প্রসেসর, র্যাম, মাদারবোর্ড ইত্যাদি এর বিভিন্ন তথ্য জানার ছোট্ট সফটওয়্যার
GPU-Z - গ্রাফিক্স কার্ড এর সমস্ত তথ্য জানার ছোট্ট সফটওয়্যার
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আমি কাউকে ছোট করে বা কোন অপারেটিং সিস্টেম কে কিংবা কোনো সফটওয়্যার নির্মাতাকে উদ্দেশ্য করে এটা লিখিনি। আমাদের প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই যে বিভিন্ন ফ্রিওয়্যার দিয়ে করা সম্ভব সেটাই বোঝাতে চেয়েছি। ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমার পূর্ববর্তী টিউন: এবার উইন্ডোজ, লিনাক্স বা ম্যাক কম্পিউটারের মাঝেই ইচ্ছামত ব্যবহার করুন অন্য যেকোন ভার্সনের উইন্ডোজ, লিনাক্স, অ্যান্ড্রয়েড, ম্যাক বা আইবিএম অপারেটিং সিস্টেম
আমার পরবর্তী টিউন: যেকোনো সিডি/ডিভিডি/আইএসও থেকে সেটআপ ইউএসবি তে বুটেবল বানানোর সহজ পদ্ধতি
-
ছবি - Shutter Stock by AlexLMX
আমি মো মিনহাজুল হক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 2958 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ভাল কথা……………আপনার ভাবনাকে সাধুবাদ জানাই………….
একদিন অবশ্যই আসবে সেদিন সবই হবে ফ্রীওয়্যারের মাধ্যমে………….
আমরা ধীরে ধীরে সেই দিকে এগিয়ে যাচ্ছি…………… তবে পুরোপুরি কবে হবে বলতে পারবো না……..অনেক সময় লাগবে
শুভেচ্ছা বিনিময়ে
—– কলকাতা