কম্পিউটার সম্পর্কিত কিছু প্র্যাক্টিকাল জোক

সবাইকে অভিন্দন। এটা আমার প্রথম টিউন। তাই ভাবলাম ছোটখাটো হালকা কিছু জোক দিয়ে শুরু করি -

১৯৯৪ এর কথা - আমার মেঝ চাচার কাছে ছোটচাচার কম্পিউটার বিষয়ক প্রথম প্রশ্ন: "দাদা, কম্পিউটার চালাতে (অন করতে) হয় কিভাবে?" প্রশ্নটা প্রথমবার মেঝচাচার কাছে বোধগম্য হয়নি, তাই তার উত্তর ছিল: "কম্পিউটার চালানো তো বেশ জটিল, শিখতে বেশ সময় লাগে..."!!

১৯৯৯ সাল; তখন আমরা কলেজে পড়ি। প্রথম কম্পিউটার আনা হল। একজন অঙ্কের শিক্ষক নিয়োগ হলেন কম্পিউটার ক্লাস করানোর জন্য। তিনি নাকি স্পেশালী কোর্স করে এসেছেন কম্পিউটারের উপরে। যাই হোক, আমাদের তো খুব আগ্রহ। আমাদের কিছু সহপাঠী ছিল যাদের কম্পিউটার হাতানোর সৌভাগ্য ঐবার-ই প্রথম।
আমাদের কম্পিউটারের স্পেশাল ক্লাস। যথারীতি ক্লাসে গেলাম। ৫ টা কম্পিউটার, তার মধ্যে আমাদের সেকশনের পঁচিশটা ছেলে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে 'কম্পিউটার কি জিনিস' সেটা দেখার জন্য। আমাদের মধ্যে কয়েকজন অবশ্য আলাদা কারণ আমাদের আগে থেকেই বাসায় কম্পিউটার ছিল।
আচ্ছা আমি মূল ঘটনায় আসি। আমাদের মধ্যে কার যেন সেদিন একটু ঠান্ডা লাগা ভাব ছিল। সে ক্লাসের মধ্যে হঠাৎ একটা হাঁচি দিল। তখন সেই অংকের স্যার বলে উঠলেন: "এই তোমরা ল্যাবে হাঁচি-কাশি দিতেছাউ ক্যা? হাঁচি-কাশি দিইয়ে না; কম্পিউটারে ভাইরাস ধইরে যাবে"!!!

২০০০ খৃষ্টাব্দ(!) সবেমাত্র 'গিগা' টার্ম টা মুখে মুখে চালু। সাধারণ হার্ডডিস্কের সাইজ বেড়ে গিগা'র মুখ দেখল। আমার এক বন্ধু কলেজে এসে ক্লাসে খুব প্রাইড নিচ্ছে: "জানিস, আমার হার্ডডিস্ক কত? ৮ গি-গা-বা-ই-ট!!" ভাল, আমরা তো বেশ চোখ ছানার বড়া বানালাম। পরে আবার কম্পিউটার ক্লাস, এবার টিচার বদল -- আরেকজন টিচার (ইংলিশ) এ্যাসাইন্ড হয়েছেন। তিনি যখন জানতে পারলেন আমার বন্ধুর নতুন কনফিগ, বললেন: "এই কম্পিউটার দিয়ে তুমি কি করবা? পুরা দুনিয়া ঢুকায় রাখবা??" !
এখনকার প্রেক্ষাপট চিন্তা করলে বিষয়টা হাস্যকর-ই বটে.....

Level 0

আমি আদনান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 51 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

সঙ্গীত-বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাই কি বুঝাতে চাইলেন কিছুই বুঝলাম না।

    ওনার জীবনের কিছু বাস্তব অবিজ্ঞতা। যা এখন হাস্যকর শোনায়।

ফালতু কতাবার্তা লিকে আমাদের সময় নষ্ট করা টিক হয়নি /আপনার সময়ের মুল্য না থাকলেও আমরা সময়কে অনেক মুল্য দেই/

    সময়ের এত মূল্য থাকলে টেকহিউমার বিভাগের টিউন দেখেন কেন?

    সবাই সিরিয়াস।খুব বেশি। তবুও, আদনান মনে খারাপ করবেন না। সবার শুরুটা ভাল হয়না

    Level 0

    Faysal bai Thak naa Nutun///// Tay Lekacha

হুম। টিউন যখন করলেন আরেকটু লিখতেন, আরও একটু মানসম্মত করতেন। ভাল রিসোর্স না থাকলে লিখতে বসা ঠিক না। যেকোন বিষয়ে পাঠককে সন্তুষ্টত করতে হবে। ঘটনাগুলো খারাপ না। দুই নাম্বার ঘটনাটা আমার কাছে মজা লেগেছে। এরকম একটা ঘটনা আমার সাথেও ঘটেছিল। বাকি দুইটা ঘটনা তেমন একটা মজা লাগেনি। তিন নাম্বারটা একদম না। কারন সময়ের সাথে সবকিছু পাল্টাবে এটাই স্বাভাবিক। সেই প্রেক্ষাপটে শিক্ষক মহোদয় কিছুই ভুল বলেন নি। স্বয়ং বিল গেটস বলেছিলেন ১২৮ KB এর বেশি হার্ডডিস্ক কখনও তৈরী করার প্রয়োজন পড়বে না। আরও কিছু ঘটনা যোগ করতে পারতেন। তাহলে একটু একটু মজা মিলে অনেক মজার টিউন হয়ে যেত। কিন্তু এই টিউনে অনেক মজার টিউন হওয়ার মত যথেষ্ট ঘটনা নেই। একটু বেশি সর্টকাট হয়ে গেল। এই কমেন্ট নেগেটিভলি নিবেন না। পরবর্তিতে আপনার কাছ থেকে আরও মানসম্মত টিউন পাওয়ার আশা রাখি। সবশেষে এই আদনান(আমি) আদনানকে(আপনাকে) টিউনার প্যানেলে স্বাগত যানাই।

    আরে আদনান ভাই এই বিষয়টা আপনি এত ভয় দেখিয়ে এখনি না বলতেন?

আপনি টিচার দের কে ছুট করে যে কথা গুলু বলেছেন সে গুলু আপার কাছে হাসির হতে পারে , আপনি হয়ত যানেন না ছুটবেলার টিচাররা , আজ আদের সকলের কাছে স্মানের পাএ। এ দরনের কথা বাত্রা এখানে বলে না , আপনার লজ্যা থাকা উচিত ছিল ,

    কথাগুলো এভাবে নিচ্ছেন কেন? উনি টিচারদেরকে ছোট করলেন কোথায়? উনি শুধুমাত্র টিচারদেরনিয়ে কিছু মজার অভিজ্ঞতা মাত্র শেয়ার করেছেন।

দুনিয়াই এই ভাবে সামনের দিকে অগ্রসর হইতেছে।

    ব্যাতিক্রমঃ বাংলাদেশের ইন্টার্নেট স্পিড এবং লোড শেডিং।

    ব্যাতিক্রমঃ বাংলাদেশের ইন্টারর্নেট স্পিড এবং লোড শেডিং।

    শত ভাগ এক মত।

মজা একটু কম পাইছি আর কি । জোকস বললে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হতে হবে না ।

উনি শুধুমাত্র টিচারদেরনিয়ে কিছু মজার অভিজ্ঞতা
pagal

Level 0

আদনান১৮৫২ ভাই, ভাল লাগল বেশি হইলে ভাল হত,

একজন আমাকে জিগাস করল যে 98 টে দাম বেশি না XP দাম বেশি
আরেক জন বললেন যে সফট্যাওয়্যার বানাতে কি কোন সফট্যাওয়্যার লাগে কি না ,,, ধন্যবাদ,,,,,,,,,,,,,।

    এই বিষয়টা নিয়ে আমিও মাঝে মাঝে ভাবি যে, প্রথম সফটওয়্যার টা কিভাবে বানানো হয়েছিল… সবকিছুই যদি ০ আর ১ অর্থাৎ ভোল্টেজের তারতম্য দিয়ে হয় তাহলে প্রথম সফটওয়্যার যেটা ছিল সেটা বানাতে তো জান বের হয়ে যাবার কথা!

পুরা দুনিয়া? হায় রে! অনেক মজা পাইলাম ভাই। আমার ৩২০ গিগা তেই জিনিসপত্রে পুরা ভরে যায়, খালি ডিলিট করা লাগে। ভাবতেসিলাম ভাল সাইজের আরেকটা হার্ড ডিস্ক কিনব। এমন সময়ে আপনার এই পোস্ট পড়ে তাই খুবি মজা পাইলাম।

    এখন তো টেরা’র যুগ। গিগা থেকে আসেন উপরে উঠি। 😛

    আর কত উপরে উঠব?

নতুন কেউ টেক-টিউনসে আসলে তার টিউনে মন্তব্যটা মনে হয় একটু সহনীয়ভাবে করাই ভাল।
অন্যথায় টিউনার নিরুৎসাহিত হয়ে হয়তো চলেই যাবেন।

মন্তব্যগুলো পড়লাম। আদনান ভাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই গুরুত্বপূর্ণ Tips দেবার জন্য।

@মিঃ সোহাগ: আমি টিচারদেরকে ছোট করেছি – এমনটি যদি আপনার মনে হয়ে থাকে আমার লেখার মধ্যে তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত; তবে on the right of self-defense আমি অবশ্যই বলব: আমি তাদেরকে ছোট করিনি; অন্ততঃ আমার সেই ঊদ্দেশ্য কখনোই ছিল না। এমনটি কখনোই নয় যে তাদের অবদান সম্পর্কে আমি অনবহিত। স্কুল-কলেজ লাইফে টিচারদের সাথে prank এর ঘটনা স্বাভাবিক একটা ব্যাপার; একজন টিনেজারের ঐ সব high-profile মূল্যবোধ যে খুব একটা প্রভাবক হয়না এটা হয়ত আপনিও জানেন! ঐ বয়সের একটা ছেলে যখন দুষ্টুমি করার জন্য স্যারের কাছে মার খাবে, তার তখন কখনোই মনে হবে না যে, “he is blessing me”… এই realization টা বয়সের সাথে সাথে আসে, নিশ্চয়ই বুঝেন? স্মৃতির আনাচে-কানাচে আরেকটু ঘুরে দেখেন; বিষয়টা পরিষ্কারতর হবে বলে আশা রাখি।
@মিঃ ফয়সাল: আমার ধারণামতে, ব্লগিং-এর ব্যাপারটাই হল ফ্রি সময়ের কাজ। দৈনন্দিন কাজের চাপ মাথায় নিয়ে কেউ-ই ব্লগিং করেনা/পড়েনা; এগুলো নিয়ে সবাই অবসর সময়টাতেই বসে। সুতরাং “মূল্যবান সময় নষ্ট” বিষয়ক লজিকটা ঠিক খাটছেনা বোধহয়।

আমি কোনো নিয়মিত ব্লগার নই। আমার এক পরিচিতজনের সাজেশনে এখানে আসা। ভাল লেগেছে সাইটটি। হয়তো এখানকার পরিবেশের সাথে মানানসই হতে (প্রপার ‘টিউনিং’ হতে) একটু সময় লাগতে পারে। আপনাদের সহযোগীতামূলক মনোভাব পেলে ভাল লাগত। Anyway… ধন্যবাদ সকলকে 🙂

    @ অদৃশ্য ভাই….একদম খাটি কথা বস, আমি নিজে তার বাস্তব উদাহরণ…যদিও আমার কাছে করার মত প্রায় ৩০-৩৫ টা মানসম্মত টিউন আছে তাও আমি টিউন করছি না….
    কারণ আমি দেশের বাইরে থাকি….গত মা দিবস ছিল মাকে ছেড়ে প্রথমবারের মত দুরে থাকা…..আর তাই আমি আমার প্রথম টিউন করেছিলাম মাকে নিয়ে আমার কিছু আবেগ শেয়ার করার মাধ্যমে….কিন্তু ১জন পাঠক আর একজন টিউনার এমনভাবে সারা দিয়েছে যা নতুন টিউনার হিসেবে আশা করিনি….এবং টেকটিউন কর্তৃপক্ষও ওই দুজনের কমেন্ট পরে আমার টিউনটি স্থগিত করে দিয়েছে…যা কিনা আমাকে প্রচন্ডভাবে নিরুৎসাহিতও করেছে…..এরপর প্রায় অনেকদিন যাবত আমি টেকটিউনের ধারেপাশেও আসিনি…কিন্তু পবর্তীতে মান-অভিমান ঝেড়ে ফেলে আসলেও আগের মত ভালবাসা টেকটিউনের প্রতি দেখাতে পারছি না….কেন বাসতে পারছি না ভালো তা আমি নিজেও জানি না…..

    তো যাইহোক সব কথার শেষ কথা হলো কখনোই নতুন কোনো টিউনারকে এমন কিছু বলা উচিত না যাতে সে নিরুৎসাহিতও হয়ে টিউন করা থেকে বিরত থাকে….কারণ পরবর্তিতে সেইসব টিউনার’রাই অনেক মানসম্মত এবং উপকারী টিউন উপহার দেয়….

    @ আদনান১৮৫২ ভাই…..টেকহিউমারের বিষয় হিসেবে ভালো হইনি….তবে খারাপ কোনোদিক দিয়েই হইনি… চালিয়ে যান বস……আপনি নিজের মত করে টিউন করে যান কিন্তু মানের ব্যপারটা শুধু খেয়াল রাখবেন….তাহলেই ভালো সারা পাবেন…..

    ও হ্যা ধন্যবাদটা দিতে ভুলে গিয়েছিলাম, নিজ থেকেই সংগ্রহ করে নেবার অনুরোধ রইলো 🙂

    Screwed রাশরুখ ভাই, একটা অফটপিক প্রশ্ন: গুগল ফোনেটিকে দাড়ি দেবার সিস্টেম খুঁজে পাননি, ঠিক? আমিও পাইনি, তাই ওটা ব্যবহার করিনা। আপাততঃ মিন্ট-এর সাথে দেওয়া প্রভাত ব্যবহার করছি। অভ্র থেকে একটু জটিল, তবে খারাপ না; অন্ততঃ বিজয়ের মত ভয়াবহ না!

    না ভাই আমি অনেক আগেই পেয়েছি….কিন্তু আমার দাড়ি ব্যবহার করার অভ্যাস নেই…..আমি সব জায়গায় “…..” ব্যবহার করি….আপনি চাইলে ওহমস (Insert unicode character/Ω চিহ্নে) এ ক্লিক করে “।” ব্যবহার করতে পারেন……কিন্তু আমি “য ফলা” খুঁজে পাইনি…আপনি খুঁজে পেলে আমাকে একটু জানাবেন…

    @screwed রাশরুখ:
    আমার তো ঠিক ঐ জায়গাতেই প্রবলেম ব্রাদার। আমি ক্লিক করে করে দাঁড়ি বসানোর একেবারেই পক্ষপাতি নই। সেই দিক দিয়ে বিচার করলে আপনি এখনো ‘প্রপার’ দাঁড়িখানা খুঁজে পাননি।
    আমার মতে ওদের ফোনেটিক অনেক ঊন্নতমানের হলেও অসম্পূর্ণ।

    য-ফলা কিন্তু খুব সোজা: যদি “বিদ্যা” লিখতে চান, লিখুন bidya … আশা করা যায় ধরতে পেরেছেন। ব্যাকস্পেস দিলেই অারো অপশন পাবেন।

আমার ১ম হার্ডডিস্ক টা ছিল ১৫জিবি

ডেসপারেট ইভিনিং আমার ১ম হার্ডডিস্ক টা ছিল ১৫জিবি। তাহলে আপুনি তো আমার মত অনেকের বস।

    আমার প্রথম হার্ড ডিস্ক ছিল ৩ জিবির কাছাকাছি!এখনও কোন একটা বাক্সে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে!

    আমাদের প্রথম হার্ডডিস্ক ছিল ৮৫০ মেগাবাইট। আর কেউ আছে আমাকে টেক্কা দিতে পারবে (নীচের দিকে)??? 😀 😀 😀

    আমি পারবো, কারণ আপনারা যখন কম্পিউটার কিনছেন তখন আমি দেখিই নাই। জোকস বিষয়বস্তু মজার কিন্তু ২য় টা ছাড়া উপস্থাপন হাসির হয়নি।ধন্যবাদ

    আমার হার্ডডিস্ক যে কত(!), কিভাবে জানা যাবে সেটাই চিন্তা করে পাচ্ছি না…..!!!!!

    আমার প্রথম হার্ডডিস্ক ছিল ৮ মেগাবাইট – আর কেউ আছেন????

@অদৃশ্য: মনে হয় আপনিই জয়ী! আগেই কনগ্র্যাটস জানিয়ে রাখলাম। আপনার পর আরো কেউ যদি আসে তাকে পাস করে দিয়েন। 😀

Level 0

amar ak friend na key 98 thakay facebook use korce…… takey key bolbo , koy joner samne bolbo cinta korci….

1 gb er ekta antique hard disk ase…………