আমার ব্যক্তিগত মতে আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি তারা সবচেয়ে বেশী অবহেলা করি নিজেদের শরীর নিয়ে কম্পিউটারের খুবই যত্ন আত্তি করি ভাইরাসে অ্যাটাক করলে ভাইরাস দূর করার আপ্রাণ চেষ্টা করি কিন্তু খুবই কম ব্যবহারকারিই নিজেদের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখি আর এর ফলে বড় সংখ্যক কম্পিউটার ব্যবহারকারীর চোখে চশমা লাগাতে হয় ।খেয়াল করে দেখবেন অধিকাংশ কম্পিউটার ইন্জিনিয়ারের চোখে চশমা আছে। মূলত কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের যেসব সমস্যা সবচেয়ে বেশী হয় তা হলো:
চোখে সমস্যা,মাথা ও পিঠে হাতের আঙ্গুলে ব্যাথা করা ওজন বেড়ে যাওয়া বা মেদএছাড়াও হাতপা ব্যাথা করা বা জমে যাওয়া মাথা ঘুরানো ইত্যাদি ইত্যাদি।
প্রথমেই একটা কথা বলে নেই অনেকে হয়ত এই টিউনের কথা গুলো অবহেলা করে বলবেন গত .....বছর ধরে কম্পিউটার ব্যবহার করছি কই কিছুই তো হলনা।মনে রাখবেন সমস্যা একদিনে সৃষ্টি হয়না ।অনবরত প্রতিদিন কম্পিউটার চালানোর ফলে আপনার সমস্যা সৃষ্টি হবে এবং সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার পর বুঝা যাবে কয় ধানে কয় চাল।
চোখে সমস্যা:কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে বেশী যে সমস্যায় পড়ে তা হল চোখে সমস্যা ।অনবরত ঘন্টার পর ঘন্টা কম্পিউটার ব্যবহার করার ফলে এই সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং চোখে চশমা লাগাতে হয়।এই সমস্যা হতে মুক্তি পেতে কম্পিউটারে anti-glare glasses ব্যবহার করতে পারেন।এছাড়া চোখের বিভিন্ন ব্যায়াম এবং বেশি করে পানি পান করতে হবে এবং মনিটরের ব্রাইটনেস যথাসম্ভব কমিয়ে ব্যবহার করতে হবে এবং অন্ধকারে কম্পিউটার ব্যবহার করা বন্ধ রাখতে হবে।এছাড়া একদম চোখের সোজাসুজি করে মনিটর সেটিংস করতে হবে যাতে মনিটর দেখতে চোখের কোন কষ্ট না হয়।
মাথা এবং পিঠে ব্যাথা:অনেকের আবার কম্পিউটার ব্যবহার করার ফলে মাথা ব্যাথা আর পিঠের ব্যাথা শুরু হয় ।মূলত চোখের সমস্যা থেকে মাথা ব্যাথা শুরু হয়।আর পিঠে ব্যাথা শুরু হয় কম্পিউটারের সঠিক ভাবে না বসলে।অনেকে বাকা হয়ে বসে বা সামনের দিকে ঝুকে থাকে মূলত এইভাবে বসার ফলে পিঠের ব্যাথা শুরু হয়।সবসময় সোজা হয়ে বসবেন এবং পিঠের দিকে যেন সোজা থাকে এদিকে খেয়াল রাখবেন ভালো মানের চেয়ার ব্যবহার করবেন।কম্পিউটার ব্যবহার করা শেষে সামান্য সময়ের জন্য হাটাহাটি করুন।
ওজন বেড়ে যাওয়া:দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার ব্যবহার করার ফলে অনেকের ওজন বেড়ে যায় ।বিভিন্ন সমস্যা হয়।এজন্য অন্তত ১ ঘন্টা পর পর অন্তত পাচ মিনিটের জন্যও হলেও হাটাহাটি করুন।এতে আপনার শরীর বিশ্রাম পাবে।Junk Food থেকে দূরে থাকুন।
এছাড়া কিবোর্ড এবং মাউস এমনভাবে সেটিংস করবেন যেন আপনি কনফোর্টেবল ভাবে অপারেট করতে পারবেন ।টাইপ করার সময় কিছুক্ষন পর পর আপনার আঙ্ঘুলগুলোকে বিশ্রাম দিন।একনাগাড়ে কম্পিউটার ব্যবহার না করে বরঙ কিছুক্ষন পর পর সামান্য সময়ের জন্য হলেও বিশ্রাম নিন। কম্পিউটার ব্যবহার করার পর সামান্য সময়ের জন্য ব্যায়াম করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
মুলত এই টিপসগুলোর সাথে সাথে নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন এ্যালকোহল,সিগারেট এইসব হতে দূরে থাকুন বেশী করে পানি পান করুন এগুলোই মোটামুটি পরামর্শ।
এই টিউনটি মূলত অনেক বড় করে লিখেছিলাম পরে ভাবলাম রচনা পড়ার মত লোক খুবই কম তাই মুল বিষয়গুলোই শুধু তুলে ধরলাম আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।ভালো থাকবেন আর নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন ।
আমি বিল্লাহ মামুন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 142 টি টিউন ও 1447 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
করি মায়ের ভাষায় চিৎকার........ http://bloggermamun.com
মামুন ভাই এই পরামর্শগুলো সত্যি খুবই কাজের কিন্তু আমি যে কোন কিছুই নিয়ম মাফিক করতে পারি না। এইটার একটা বুদ্ধি দেন….