এর আগে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে অনেক টিউন করেছি। যার বেশিরভাগই ছিল সিরিয়াস টাইপের টিউন। কারো কোন না কোন কাজে লেগেছে। প্রোগ্রামিং স্কিল বাড়াতেই অনেক টিউন করে ফেলেছি। তবে আজ প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে এমন একটা টিউন করব যা শুধু নিছক আনন্দের জন্যেই। একটু টেক হিউমার আর কি!
এই টিউনে ল্যাঙ্গুয়েজগুলো এমনভাবে ইপস্থাপন করা হবে যেন এক এক জন এক একটি ব্যক্তি বিশেষ –
ল্যাঙ্গয়েজ ফ্যামিলির সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য হচ্ছে সি। ৭০ বছর বয়সী সি পরিবারের প্রধান কর্তা এবং অন্যান্ন ল্যাঙ্গুয়েজের জনক। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া সি এখনও স্ব গৌরবে উজ্জল এবং কিছুটি ক্রিপ্টিক এবং দাম্ভিক ও বটে। খুবই শক্ত মনের মানুষ এবং কিছুই তার চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন আনতে পারবে না। অতীতে সে “ডেভেল সিটি ইউনিভার্সিটি” র সবচাইতে কড়া এবং বদরাগী শিক্ষক হিসিবে পরিচিত ছিলেন।
ক্যারিয়ারে অনেক বড় বড় প্রজেক্টের অংশ হয়ছিলেন তিনি। লিনাক্স স্টেডিয়াম সহ আরো বড় বড় প্রজেক্টের বড় কর্তাই ছিলেন তিনি এবং এখনও অনেক বড় বড় কাজে ফ্রি ল্যান্সার হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ৭০ বছর বয়স্ক সি এর তিন মেয়ে এবং এক ছেলে। তিন মেয়ের নাম –
. পার্ল
. জাভা
. সি # এবং একমাত্র ছেলে সি ++
৪৫ বছর বয়সী ভিন সি ++ বাবার মতই স্ব গৌরবে উজ্জল এবং নিয়োজিত আছেন ডেভেল সিটি ইউনিভার্সিটি তে। বাবার অতি আদরের এই ছেলে বাবার পথেই হেঁটিছেন তবে বাবার তূলনায় সে অনেকটা ঠান্ডা মেজাজের এবং বন্ধুভাবাপন্ন।
ডেভেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছেও তিনি তুমুর জনপ্রিয়। শিক্ষার্থীরা তাকে পাগলের মত ভালোবাসে আর এর কারণ একটাই তিনি তার বাবার চাইতে অনেকটা ভিন্ন পদ্ধতিতে নিজেকে শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। আবার অনেক দুষ্ট লোকেরা পিঠ পিছে তার বদনাম করতে ভূলে না। অনেক টেকিরা তাকে এতটা ওপেন হওয়ার জন্যেও দোষারোপ করে থাকে। আবার অনেকে বলে সে বাবার ভূলগুলোকেই ঠিক ঠাক করে একটু উন্নত আসনে অধিষ্ঠীত হতে চেয়েছে। তার আসলে স্বকীয়তা বলতে কিছু নেই।
৩৭ বছর বয়সী পার্ল সি++ এর বড় মেয়ে। নিয়োজিত আছে ডেভেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিংগুইস্টিক বিভাগের ডেটা এনালিষ্ট হিসেবে। তার গ্ল্যামার এবং অ্যাপিল তাকে কলিগদের মধ্যমনি করে তুলেছে অল্প দিনেই।
সে খুবই বুদ্ধিমতি একজন মেয়ে তবে মাঝে বদ দের জন্যে খুবই রেস্ট্রিকটেড হয়ে পরে। নিজের মত করে কোন জিনিস এক্সপ্রেস করা এবং হেইস্টেকস এ অপ্রয়োজনীয় কোড বের করতে তার ইউনিকনেস তাকে আরো ইম্পরট্যান্ট করে তুলেছে। অনেক শুভাকাঙ্খী এবং কলিগরা অনেক সমস্যা ফিক্স করায় তাকে প্রধান হাতিয়ার হিসিবে ব্যবহার করে থাকে। তারা আদর করে তার নাম দিয়েছে “SWISS KNIFE”।
ল্যাঙ্গুয়েজ ফ্যামিলির সবচাইতে গ্ল্যামারাস এবং সেক্সি সদস্য জাভার বয়স ৩৭ বছর এবং সে নিজেও একজন মা। তার গ্ল্যামার এবং অ্যাডাপ্টিবিলিটি তাকে ডেভেল সিটির সবচাইতে জনপ্রিয় মহিলা করে তুলেছে। সে খুবই ফ্রেন্ডলি এবং সে কোন প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে পারে। আর তার এই বৈশিষ্ট্যই তাকে ইতোমধ্যে অনেক বড় বড় প্রজেক্টের অংশ বানিয়েছে এবং ভবিষ্যতের অনেক বড় বড় প্রজেক্টেও সে সাইন করে ফেলেছে অলরেডি।
সি++ এর আদরের বোন হওয়া সত্বেও সেই তার ভাইয়ের সবচাইতে বড় প্রতিদ্বন্দী হয়ে উঠেছে। মহিলা হিসেবে সে খুবই ক্লিন এবং ভেজাল মূক্ত এবং আজাইরা সমস্ত ঝামেলা থেকে নিজের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতেই পছন্দ করে। কর্মরত আছেন পোর্টস ক্রিয়েশানের জন্যে বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান JVM এ। সে ভালোবাসে সান কে। তাদের ভালোবাসা অনেকদিনের এবং তার প্রিয় সময় হচ্ছে সামার এবং সে দুই মেয়ের মা -
. গ্রুভি
. স্ক্যালা
গ্রুভির বয়স মাত্র একুশ বছর এবং খুবই ট্যালেন্টেড মেয়ে। ডেভেলসিটিতে তার চাহিদাও অনেক। তার বেষ্ট ফ্রেন্ড হচ্ছে রুবি এবং সে তার খালামনি “পার্ল” এর অনেক আদরের ভাগনি। তার অনেক কাজেই পার্লের প্রভাব লক্ষ করার মতই। মায়ের মতই শার্প এবং খালামনির মতই সে খুবই সহজ এবং এক্সপ্রেসিভ, মায়ের সাথেই কাজ করছে JVM এ। সে তার কলিগদের একটু স্পেশাল ওয়ে তে ট্রিট করে থাকে। সে জায়গায় জায়তায় (?) প্রশ্নবোধক চিহ্ন দিয়ে কলিগদের বলে দেয় এখানে আবারো চেক করো।
স্ক্যালা খুবই কিউট এবং সুইট একটা মেয়ে। তারও বন্ধুবান্ধব অনেক। তবে ডেভেল সিটি তে জব মার্কেটের ক্ষেত্রে সে নিজেই তার অনেক কলিগ এবং বন্ধুদের জন্যে প্রিয় পাত্রী। তবে রুবীর সাথে তার সম্পর্কটা ইদানিং ভালো যাচ্ছেনা। টুইটরিক্স প্রজেক্টের জন্যে তাকে ঠিক করায় অনেকটা মন কষাকষি হয়েছে তার রুবীর সাথে। ছোট বোন গ্রিভির মতই সে তার মায়ের প্রতিভা পেয়েছে তবে সে সেকানেই থেমে থাকেনি তার মায়ের জ্ঞ্যানকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে সে। সে স্পেসিপিক প্রজেক্টের না না কাজে নিয়োজিত আছে।
২৯ বছর বয়সী পিএইচপি, জাভার সবচাইতে তিক্ত বান্ধবী। ডেভেলসিটি তে সে তার নিজের কোম্পানী জেন্ডেক্সের কারণে পৃথিবী ব্যাপী বিক্ষ্যাত। জাভার সাথে সম্পর্ক নিয়ে তার মোটেও মাথা ব্যাথা নেই। সে তার আপন মনের রানী এবং নিজের কাজেই বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। নতুনকে বরন করা, নিজস্ব কাজের স্টাইল এবং বিশাল ফ্যান ক্লাব তাকে প্রায় অপ্রতিদ্বন্দীর আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।
জাভার বাবা সি ছিল তার শিক্ষক এবং ছাত্রী হিসেবে সি এর কাছে খুবই আদরের ছিল সে। সে তার কর্ম জীবনের প্রথম দিকে কাজ করতে পার্লের সাথে, তার এক্সপ্রেসিভ ক্যারেক্টার এবং পাওয়ার, পার্লের কাছ তেকেই শিখেছে সে। আবার মাঝে মাঝে জাভা এবং রুবীকেও সে তার মেকআপ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। সুন্দরী এই মেয়ে ডেভেলসিটিতে ৩য় জনপ্রিয় (অবজেক্ট অ্যাওয়ার্ড)।
সুন্দরী এই মহিলাকে অনেকেই জাভার সৎ বোন হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। যা রটে, তার কিছুটা হলেও বটে। তবে জাভা এবং জাভাস্ক্রিপ্ট কেউই একে অপরকে বোন বলে পরিচয় দেয়নি। বন্ধুমহলে খুবই প্রিয় পাত্রী এবং আদর করে সবাই ডাকে “JS”। ডেভেল সিটির মেয়ে হলেও শাড়ি তার অনেক প্রিয় পোষাক। ডেভেল সিটির অনেক দরকার তাকে। প্রত্যেকেই কোন না কোন কাজে তাকে একবার হলেও টোকা মেরে দেখেছেন।
মহিলা কিসেবে ডেভেলসিটি তে সবচাইতে জনপ্রিয় তিনি। ২০টির চাইতেও বেশি কোম্পানীর নোটওয়ার্ক রান করতে সে কাজ করে যাচ্ছে। জেকোয়েরি, মটোটুল এবং ডোজেডিক এর মত বড় বড় কাজেও সে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে। সে শো অফ করা মোটেই পছন্দ করে না। আর তার মতে সফলতা পেতে হলে বন্ধুদের সবসময় কাছে কাছে রাখতে হয় এবং শত্রুদের আরো কাছে। অনেক সময় কোন কাজকে গুলিয়ে ফেল্লেও কেউ তাকে অপছন্দ করে না।
২০ বছর বয়সী আবেদনময়ী রুবী, গ্রুভির সবচেয়ে ভালো বান্ধবী। অল্প সময়েই সে ভবিষ্যতের অনেক বড় বড় প্রজেক্টের সাথে সাইন করে নিয়েছে। তার প্রপেশনাল ম্যাচিউরিটি এবং সহজ ও নিখুতভাবে কাজ করার দক্ষতা তাকে ডেভেলসিটি তে দিন দিন আরো জনপ্রিয় করে তুলছে। ইদানিং কালে গ্রুভির বড় বোন স্ক্যালা তার কাছ থেকে একটি বড় প্রজেক্ট (ট্রইটারিক্স) নিয়ে নিলেও সে ছেড়ে দেয়ার পাত্রী নয়। ডেভেলসিটির সাকসেসফুল মহিলাদের তালিকাদের নামের লিষ্টে তার নামও রয়েছে। পিএইচপি এর মত তারও একটি আলাদা কোম্পানী রয়েছে। তার কোম্পানীর নাম রেইল!
৫৪ বছর বয়সী পাইথন ডেভেলসিটির অনেক সম্মানী একজন ব্যক্তি। সে একজন কন্স্ট্রাকশান বিল্ডার। কাজ করার এক আলাদা রকম রাস্তা করে নিয়েছে পাইথন। অনেকে ফ্যানের কাছে সে যাদুকরও বটে। এবং ডেভেলসিটির জনগনের কাছে খুবই আশ্চর্যজনক একজন মানুষ।
সে সবসময় কাজ করার কোন না কোন নতুন রাস্তা খুজে বের করে থাকে। তার প্রিয় জিনিস হচ্ছে “স্প্যাম” এবং “এগ”। তার কাজ করার ভিন্নতার জন্যে তার প্রজেক্টের নামের আগে তার নাম সম্মান সূচক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেমন - PyGameing station, PyS6000। তার ফেবারেট পেট হচ্ছে “এ্যনাকন্ডা”!!
আমি দুঃসাহসী টিনটিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 200 টি টিউন ও 1531 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 34 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মানুষ হিসেবে তেমন আহামরি কেউ নই আমি। সাটামাটা জীবনটাই বেশী ভালো লাগে। আবার মাঝে মাঝে একটু আউলা হতে মন চায়। ভালো লাগে নিজেকে টিনটিন ভাবতে .... তার মত দুঃসাহসী হতে মন চায় ..... কিন্তু ব্যক্তি জীবনে অনেকটা ভীতুই বটে ..... অনেক কিছুই হাতছাড়া হয়ে গেছে জীবনে এই কারনে ..... আবার...
ভাই প্রথমত চরম হাসি পেল … :))
দারুননন হয়েছে টপিকটা!!!
নির্বাচিত হিসেবে দেখতে চাই!
আর তথ্যগুলোও দারুনন জ্ঞানমূলক!