সূর্যকে মনে করুন একটা বিরাট বাল্ব আর হিটারের মতো। এটি আমাদের আলো আর তাপ দেয়, যার কারণে গাছপালা, মানুষ, পশুপাখি সবাই বেঁচে থাকে। দশম শ্রেণীর “এনট্রপি’’ অনুযায়ী সূর্য যেদিন তার শক্তি হারিয়ে এবং মরে যাবে, পৃথিবীর সবকিছু অন্ধকার আর ঠান্ডা হয়ে যাবে। সব প্রাণী আর গাছপালা মরে যাবে। এই চিন্তাটা ভয়ানক, কিন্তু বিজ্ঞানীরা এর সমাধান খুঁজছেন। তাদের সমাধান হলো কৃত্রিম সূর্য।
সম্প্রতি চীন এই কৃত্রিম সূর্য বানানোর ক্ষেত্রে বড় সাফল্য পেয়েছে। তাদের মেশিনটার নাম EAST (Experimental Advanced Superconducting Tokamak)। এই মেশিন ১, ০০০ সেকেন্ড (প্রায় ১৬ মিনিট) ধরে প্লাজমা নামে একটা জিনিস ধরে রাখতে পেরেছে। এটা খুব বড় ব্যাপার, কারণ প্লাজমা যত বেশিক্ষণ ধরে রাখা যায়, তত বেশি শক্তি তৈরি করা যায়।
কৃত্রিম সূর্য আসলে আকাশের সূর্যের মতো নয়। এটা একটা বিরাট মেশিন, যা সূর্য যেভাবে শক্তি তৈরি করে, সেটা কপি করার চেষ্টা করে। সূর্য তার ভেতরে নিউক্লিয়ার ফিউশন নামের একটা প্রক্রিয়ায় শক্তি তৈরি করে। এই প্রক্রিয়ায় দুটি ছোট পরমাণু জোড়া লাগে এবং অনেক শক্তি বের হয়। বিজ্ঞানীরা এই একই প্রক্রিয়া মেশিনের মধ্যে তৈরি করার চেষ্টা করছেন।
প্লাজমা হলো পদার্থের চতুর্থ অবস্থা (ঠিক যেমন বরফ, পানি, বাষ্প)। প্লাজমা খুব গরম এবং এতে ইলেকট্রন আর আয়ন নামের কণাগুলো মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ায়। এই অবস্থায় পদার্থ সবচেয়ে বেশি শক্তি তৈরি করতে পারে। চীনের EAST মেশিন এই প্লাজমাকে ধরে রেখে শক্তি তৈরি করে।
২০২১ সালে চীন তাদের EAST মেশিনে মাত্র ৪০৩ সেকেন্ড (প্রায় ৬ মিনিট) প্লাজমা ধরে রাখতে পেরেছিল। কিন্তু এবার তারা ১, ০০০ সেকেন্ড ধরে প্লাজমা ধরে রাখতে পেরেছে, যা একটা বিরাট সাফল্য। এই ঘটনার মানে হলো, ভবিষ্যতে সূর্যের মতো শক্তি তৈরি করার মতো সক্ষমতা মানবজাতির হচ্ছে। এনট্রপি নিয়ে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে।
আমি আশিকুর রহমান প্রিয়। SEO expert, Shottokontho, Gazipur। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 সপ্তাহ যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আসসালামু আলাইকুম। আমি আশিকুর রহমান প্রিয়, একজন টেক লাভার। ইন্টারনেট দুনিয়ার পরিচয়ের পাশাপাশি আমি প্রচুর ঘুরতে ভালোবাসি এবং আড্ডা দিতে।