জেল খানায় নিরবে বসে যখন আমি জামিনের অপেক্ষায় ছিলাম ঠিক তখন ই ওর সাথে আমার পরিচয়। ওর নামে রেঞ্জার।জেলখানার অন্য সব রোবটের তুলনায় ও আলাদা
কিছ দিন আগেও জেলখানাতে কোন রোবট ছিল না তবে এখন আছে । জেলখানার কয়েদিরা ড্রে,ন মলের টাঙ্ক পরিস্কার এগুলো করতে অসিস্কৃতি জানায় ।কতৃপক্ষ অবশ্য প্রথমে মেনে নিতে রাজি হয়নি ,ফলে কয়েদিরা স্ট্রাইক করে বসে গুলি ও চালানো হয় ।কয়েক জনের মৃতু্র পর দেশের অন্যতম বিজ্ঞানি ডঃ এডওয়াড এর সমাধানের জন্য কতৃপক্ষ এর নিকট আকটি প্রস্তাব দেন । তিনি বলেন কতৃপক্ষ চাইলে তিনি কিছু রোবট তৈরী করে দিতে পারেন ,এই রোবট বানানোর কাজে আমিও ডঃ এড ওয়াডের সাথে কাজ করেছিলাম ।
তবে রেঞ্জার এই শ্রমিক রোবটের মধ্যে পরেনা।তাকে ডঃ রেঞ্জার তৈরী করেছিলেন ।এর বৈশিষ্ট্য হল ও মানুষের মস্তৃকে হাত দিলে মানুষ যা কল্পনা করত ওর বুকের লাইভ মনিটরে দেখা যেত।
আমাকে যে অপরাধে জেল খানায় পাঠানো হয়েছে তা আমি করিনি ।আমার স্টুডেণ্ট রিট্রন আমাকে জেলে পাঠানোর জন্য দায়ি । সে এখন দেশের সি আই ডি এর প্রধান।
আমার স্ত্রী রজনী আর ও দু জন ছিল আমার স্টুডেন্ট ।কিন্তু রজনীর সুন্দর ঠোট,চোখ কোমল ব্যবহার আমাকে প্রবল ভাবে আকৃষ্ট করেছিল বলেই আমি ওকে আমার মনের কথা জানায় ও রাজি হয়ে যায় ।তখন থেকেই রিট্রনের সাথে আমার দন্দ।ও রজনীকে খুব পছন্দ করত ।তবে সে কথা রজনী জানত না তাই, ওর কাছ থেকে আমাকে দুরে নিয়ে জাবার জন্যই আমার বিরধ্যে ওর রিপোট।
আমি আদালতে বারবার বলেছে স্যার আমি সরকারী তথ্য সম্বলিত যে website ওটা হ্যাক করিনি রিপোটে যে Ip ও Mac address দেওয়া আছে ওটা আমার নয় ।
তবে রেঞ্জারের জেলে আসার কারন আলদা আমি তাকে জিজ্ঞাস করেছিলাম ,ও বলেছিল অনুমতি না নিয়েই একজনের মস্তিস্ক স্ক্যান করে তার প্রিয়জনের কিছু ছবি জনপ্রিয় social website এ publish করেছিলাম।
রেঞ্জারকে তৈরীর সময় ওর মধ্যে আবেগ তইরীর জন্য পোগ্রাম করা হয়েছে ।জেল কতৃপক্ষ কাছে রিকুয়েষ্ট করায় ওকে আমার কাছে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। আমি সময় কাটানোর জন্য ওর সাথে দাবা খেলতাম ।ওর মেমোরীতে গ্রান্ডমাস্তারের প্রোগ্রাম দেওয়া আছে ।ওর সাথে আমি হঠাত দু এক ম্যাচ জেতা ছাড়া বেশীর ভাগ ম্যাচেই হারতাম ,ওর সাথে থাকায় আমার জেলের জীবন টা কিছুটা হলেও ভাল কাটত ।আমি রজণীর সাথে মাঝে মাঝে লাইভ চ্যাত করতাম ওর সাথে দেখা হত সপ্তাহে দু এক বার ।আমাকে দেখতে এসে ও খুব কান্নাকাটি করত ।আমার খুব খারাপ লাগত ।আমার যখন খুব খারাপ লাগত আমি ওকে নিয়ে ভাবতাম তখন রেঙ্গার আমার মাথায় হাত রাখত আর আমি লাইভ মনিটরে ওকে দেখতাম।
রেঞ্জার আমার কষ্ট বুঝেছিল
বারিষ্টার রফিক্রন মারা যাবার পর ওনার ব্রেনের নিউরন থেকে প্রয়োজনীয় লজিক নিয়ে রফিক্রন নামে একটি বারিষ্টার রোবট তৈরী করা হয়েছিল।রেঞ্জারের সাথে ওর ভালো বন্ধুত্ত ছিল।
রেঙ্গার আমার কথা ওকে বলেছিল।রফিক্রন আমার হয়ে হাইকোটে আপিল করে ।রিট্রনের মুখোশ উন্মোচন হয়।
রিট্রনের ১০ বছর সাজা হয়েছে কারন কাজটা ওই করেছিল ।এক আমার সাথে প্রতারনা ,দুই ওয়েব সাইট হ্যাক।
আমি ও আমার ইস্ত্রী এখন ভালই আছি।আমাদের সন্তান মিথুন এখন বড় হচ্ছে ।ওর ফুটবল খেলার জন্য আমি ওকে ওর বয়সী একটি রোবট তৈরী করে দিয়েছি
রেঞ্জারকে আমি ভুলিনি ।সময় পেলেয় আমি ওর সাথে লাইভ চ্যাটিং করি এবং ওকে দেখতে যাই।
আর দুই মাস পর ওর মক্তি হবে ।ও আমার এখন খুব ভালো বন্ধু।
আমি zahidcse। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টেকটিউনসে আপনাকে স্বাগতম। অনেক দিন পর টেকটিউনসে টেকফিকশান পড়ে খুব ভাল লাগল। আশা করি নিয়মিত হবেন। ধন্যবাদ।