কেউ যদি আপনাকে ধাক্কা দেয় তবে আমাদের মনে এটাই সবার আগে জাগবে যে "সে আমাকে ফেলে দেওয়ার জন্য এমনটা করেছে" তবে বিষয়টা যদি এভাবে অন্তত বলা হয় যে "তোমাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই ধাক্কাটা দিয়েছি" তবে তার সাইকোলজিতে আপনার ওপর রাগ বা অভিমান'টা কিন্তু রইবে না।
এটা বাস্তব জগতের ক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয় "একটু মিষ্টি হাসিতে মন জয়" তবে ভার্চুয়ালি কেন নয়? ভার্চুয়ালি যদি Facebook এর Messenger হয় ইমোশন শেয়ার করার ক্ষেত্র তবে সেই একই ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (A.I.) এবং নিউরাল সায়েন্স মিলে কম্পিউটারের কিবোর্ড ধরে কোডিং মারফত কেন আমাদের ক্যারিয়ার কিংবা নিছক জীবনটাই পাল্টে দিতে পারবে না?
এমনই উদ্ভট কিন্তু লজিকাল চিন্তা হতেই যাত্রা শুরু করেছে Bioscoope সার্চ ইঞ্জিন (www.bioscoope.com) যেখানে আইনস্টাইনের E=mc^2 সূত্র ধরে Time Travel লজিকালি খাতা কলমে সম্ভব হলেও বাস্তবের এনালগ ঘড়ি আমাদের দেখিয়ে দেয় সামনে এক সেকেন্ড এগিয়ে যেতে হলেও পেছনের কিছু নগণ্যতম ন্যানো সেকেন্ডের পরিমাণ সময় পিছু ফিরে সেই ধাক্কাটা সামলে নিতে হয়; যেহেতু স্বপ্ন (ড্রিম) এর ক্ষেত্রে আমাদের শরীর এবং মনের একটি বিয়োজন থার্ড ডাইমেশন ছাড়িয়ে সময়ের চতুর্থ মাত্রাতে আনাদের দূর দূরন্ত ভ্রমণ করায়- উপরন্তু লুসিড ড্রিম মাধ্যমে সেটা কদাচিৎ কনট্রোল করাও পসিবল- তাহলে একটি সাইকোলজিক্যাল সুপার সার্চ ইঞ্জিন কেন আমাদের মনের সব চিন্তা চেতনা যা আমারা ইন্টারনেটে খুঁজে পাইনা সেটাকে খুঁজে এনে দিতে পারবে না?
আই বিলিভ দ্যাট.দিস ইজ কোয়াইট পসিবল!
আসুন বায়োস্কোপ সার্চ ইঞ্জিনের কিছু বৈশিষ্ট্য জেনে নিই.
(১) প্রথম দেখায় ইন্টারফেইসটা বোকাসোকা মাল্টি সার্চ ইঞ্জিন মনে হলেও Search Engine এর প্রধান কাজ "আপনার কাঙ্খিত বিষয়" সঠিকভাবে সার্চ কোয়ারিতে "একজাক্ট রেজাল্ট" আপনার সামনে উপস্থাপন করবে যেখানে "আপনি যা খুঁজেন তাই-ই পাবেন" বাড়তি বিষয়ে বিড়ম্বনা নয়!
Google আজকের দিনে ইন্টারনেটের গোটা জগতটা দখল করতে পারলেও আদতে সেটা শুধুমাত্র বোকা ওয়েবসাইট মাত্র কেননা তার নিজের ডাটাবেইজ ভরা অন্যের নিকট ধার করা Knowledge বা জ্ঞান (ওয়েব পেইজ লিংক) যা শুধু কিওয়ার্ডের ভিত্তিতে ফিল্টারেশনে Page Rank অনুযায়ী উপস্থাপন করার আয়না বা মিরর মাত্র।
ঠিক একইরূপ Bioscoope সার্চ ইঞ্জিন আপনাকে সেই সব আয়না একসাথে একজায়গায় আপনার সামনে এনে দিবে, যেটাতে আপনার প্রয়োজন সেটাতেই নিজেকে খুঁজে নিবেন আপনি- একটি মিনি ইন্টারনেট জগত আপনার হাতের মুঠোয়।
এই কাজটা বোকামী মনে হলেও আজকের দিনে এই টেকনিক্যাল বিষয়টাই ইমপ্লিমেন্ট করে FoodPanda যারা নিজেরা কিন্তু Food বানায় না; আজকের টপে থাকা Uber বা Pathao কোম্পানি কিন্তু নিজেরা গাড়ি বানায় না; Facebook কিন্তু নিজেরা ফটো বা স্ট্যাটাস দিয়ে অটোলাইক জমায় না.আপনি যা চান সেটাই যদি আমি দিতে পারি তবে অটোম্যাটিকালি আপনার মন দখল করার Right (অধিকার) এবং Right (সঠিক) দুইটাই আমার প্রাপ্য!
(২) Bioscoope সার্চ ইঞ্জিনে একইসাথে থাকবে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সারফেস ওয়েব এবং ডিপ ও ডার্ক ওয়েবে সার্চ ফিচার।
(৩) Bioscoope এর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফিচার বলে আমি মনে করি "বাংলা ভাষাতে কুরআন সার্চ" কেননা অদ্যবধি আমরা এটা মনে মনে মেনে নিয়েছি যে "কুরআন আরবিতে পড়লে সওয়ার আছে সত্য" তথাপি পবিত্র কুরআনে আল্লাহ আমাদের কি বার্তা দিয়েছেন সেটা না বুঝে পড়লে কখনোই আমরা ইহকাল কি পরকালে সফলকাম হতে পারবো না; এভাবেই হয়তো কুরআনের ভেতরের মর্ম বুঝলে একটা সময় বাংলাদেশে ধর্মের নামে ভন্ডামী বন্ধ হয়ে যাবে।
(৪) Biscoope সার্চ ইঞ্জিনে থাকবে ধর্ষক ডাটাবেইজ তাতে সকল প্রমানিত রেপিস্ট এবং পটেনশিয়াল রেপিস্ট - চক্ষু দ্বারা ধর্ষন করা কাপুরুষদেরও তালিকা থাকবে; একজন ধর্ষকের মুখোশ যখন সবার সামনে খুলবে তখন নিশ্চিতভাবে আপনার মা- বোন ও পরিবারটি সেইফ থাকবে।
(৫) ভার্চুয়াল গুরু - "যদি মোটিভেশন কাউকে সুইসাইড অ্যাটেম্পট হতে ফিরিয়ে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখাতে পারে" তবে এটাও সত্য সেই মোটিভেশনই আপনার লাইফে সাকসেস এনে দিতে পারে; এখানে ইন্টারনেট মিডিয়ার সাহায্যে শুধুমাত্র সাইকোলজিক্যালি বাইনারাল ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে নিউরাল উদ্দীপনায় আপনাকে উজ্জীবিত করে নতুন একটা লাইফ এনে দিবে আপনাকে।
(৬) Bioscoope সার্চ ইঞ্জিনে থাকবে MindHacker যা আপনার মনটাকে সাইকোলজিক্যালি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে ভার্চুয়ালি হ্যাপিনেস (স্যাটিসফেকশন) এনে দিতে সক্ষম হবে, যেই সুখের পেছনে আমরা সবাই ছুটি সেটাই হয়তো ধরা যাবে না- ছোয়া যাবে না তবে উপভোগ তো করায় যেতে পারে।
(৭) এনোনিমিটির জন্য থাকবে Bisocoope Proxy যা আপনাকে সার্ফিং এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সেইফটি এবং সিকিউরিটি দিবে।
(৮) Bioscoope এর নিজস্ব একটি ইউনিক সার্চ ইঞ্জিন থাকবে যা শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য নয় বরং বাংলাদেশটাকেই বিশ্বের সামনে রিপ্রেজেনটেটিভ করবে ইনশাআল্লাহ।
বায়োস্কোপের আপাত যতোদূর এগিয়েছে সেই ডেমোনেস্ট্রেশন লুকআপ: http://www.bioscoope.com
হয়তো বাংলাদেশে শুরু হওয়া এই সুপার সায়েন্টিফিক সাইকোলজিক্যাল সার্চ ইঞ্জিন (যদিওবা সায়েন্স ফিকশান মনে হতে পারে) দ্রুতই আলোর মুখ দেখবে না সত্য তবে এটাই দিনশেষে অন্তত একটা দিন শেষে সত্য এটাই যে "এই Bioscoope এ চোখ রেখেই একটা দিন গোটা ইন্টারনেট জগতে নিউরাল সায়েন্স আর কোডিং এর সমন্বয়ে গড়া সুপার প্রজেক্ট নতুন একটা দুয়ার খুলবে- সেই আলোতে আলোকিত হবে শুধু বাংলাদেশ নয় বরং গোটা জগত"।
সায়েন্স যদি সাইকোলজি মেনে নেয়- কুরআন যদি কোডিং এর কনভার্ট হয়- ইন্টারনেট তখন সুপারনেট হতে বাধ্য; শুরুর গল্পটা হয়তো Google আর Facebook এর মতো সফলতাতে ঠাসা নয় তবে সত্যিই একটা দিন সাকসেস আসবেই আসবে।
Bioscoope ডিটেইল অদ্যপন্ত পড়ে আসার আমন্ত্রণ রইলো ফেসবুকের নীল পাতায়: https://www.facebook.com/111567773717105/posts/244011727139375/?app=fbl
ধন্যবাদ
আমি মোঃ আবুল কালাম আজাদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।