প্রায় আমরা দেখি যুদ্ধরত রাষ্ট্র ছোট একটা উড়োজাহাজ উড়িয়ে দূরের প্রতিপক্ষ শত্রুর ঘাটি ধ্বংস করে করে দেয়; বাংলাদেশে বাস্তব তো দূরে থাক সিনেমার গল্পেও কিন্তু এমন উড়োজাহাজ তথা ড্রোন খুঁজে পাবেন না। অথচ বাংলাদেশে ড্রোন থাকলে বাংলাদেশ যে শুধু প্রতিরক্ষাতে এগিয়ে যেত তাইনা বরং অন্যান্য দিক থেকেও লাভবান হতো যেমন স্বল্প সময়ে জমিতে কীটনাশক দেওয়া, একটি নির্দিষ্ট স্থান দূর হতে পর্যবেক্ষণ করা ইত্যাদি।
আজ আমরা এমনি এক প্রকার সত্যিকারের বিধ্বংষী ড্রোন তৈরী শিখবো তবে এটা যেহেতু অনেকেই ইলিগ্যাল পারপাসে ব্যবহার করতে পারে তাই রূপকভাবে এটা তুলে ধরবো এবং কিছু বিষয় উহ্য রাখবো।
উপাদন:
(১) মোটামুটি ভালো মানের এবং ভালো রেঞ্জের খেলনা হেলিকাপ্টার
(২) একটি ইন্টারনেট সংযোগসহ এনড্রোয়েড ফোন
(৩) সিগন্যাল বুস্টার সার্কিট
(৪) কিছু বিষ্ফোরক
(৫) অন্যান্য আনুসাঙ্গিক ইলিমেন্ট।
আশাকরি:
সবার আগে এমন একটা হেলিকাপ্টার চয়েজ করে নিতে হবে যা মোটামুটি ভার বহন করতে পারে এবং মোটামুটি হাই ভিলোসিটির হুইলিং স্পিড সম্পন্ন যাতে ওঠার গতি এবং উচ্চতা ভালো হওয়া আবশ্যক। এমন একটা হেলিকাপ্টার বাজারে অল্প দামের ভেতরই পাওয়া সম্ভব। এবার আপনার হেলিকাপ্টার এর নিচে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল উল্টো করে বেধে দিন এমনভাবে যেন তা নিচের চিত্র ক্যামেরাতে ফোকাস হয়। উল্লেখ্য আপনার ঐ এনড্রোয়েডটিতে ইন্টারনেট কানেকশন (সীম কার্ড সার্ভিস প্রোভাইডার হতে যেমন মেগাবাইট কিনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন আরকি) এক্টিভ করে ওয়েব ক্যামেরা/আইপি ক্যামেরা (গুগল প্লে স্টোর পাবেন) চালু রাখুন যেন আপনার হাতের রিসিভার এনড্রোয়েড হতে তা মনিটরিং করতে পারেন। ওয়েব ক্যামেরার বদলে চাইলে আপনি স্কাইপির মতোন সিস্টেমও ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু।
আমরা সবাই জানি যে এমন খেলনা হেলিকাপ্টার এর রেঞ্জ তথা দিক ঠিক রাখতে দেওয়া সিগ্যান রেঞ্জ খুব বেশী দূর অবধি হয়না তাই আমরা একটি সরল সিগন্যাল বুস্টার(ট্রানজিস্টর হতে যেমন সিগন্যাল এমপ্লিফাই করা হয় তেমনি একটা সার্কিট) তৈরি পারি। এবার ঐ সিন্যাল বুস্টারের সহিত হেলিকাপ্টার এর রিমোট যুক্ত করতে হবে এবং ঐ বুস্টার হতে সিগন্যাল ইমিটিং পয়েন্ট তথা এন্টেনাকে ভিক্টিমের এরিয়া অবধি ছড়িতে দিতে হবে।
ধরুন আপনি আমার বাড়িতে ড্রোন হামলা করবেন তাহলে আমার বাড়ি পর্যন্ত কিভাবে এন্টেনা আনবেন?
আমাদের প্রত্যেকের বাড়ির কাছে প্রায় ইলেক্ট্রিক খাম্বা আছে আর তাতে আছে ইলেকট্রিক, ডিশ লাইন, টেলিফোন কি নেটের লাইন তাই এটাকেই এন্টেনা ওয়্যেভ বানালে মন্দ কি? তাতে কেউ আপনাকে সন্দহও করবে না।
এবার হয়তো ভাবছেন বেম্বিং কিভাবে হবে? আপনি হয়তো জেনে থাকবেন পটাশিয়াম আর সালফারের কিছু কিছু জটিল যৌগ মাত্র কয়েক গ্রাম হলেও তা বিষ্ফোরিত হয়ে তা আপনার আমার মতোন ২/৩ মানুষকে মেরে ফেলতে এনাফ [এই বিষয়টা উহ্য রাখা হলো]
এবার এমনি একটি কনটেইন বক্স হেলিকাপ্টারে যুক্ত করুন এবং তাতে একটি ইলেক্ট্রিক স্পার্কিং ট্রিগার লাগান।
এখন আপনার উক্ত মোবাইলে কল আসলে যেমন স্পিকারে টোন বাজে (জেনারেল মোডে) এর অর্থ স্পিকারে একটি ক্ষুদ্র সিগন্যাল যায় তাতে টোন বাজে। এই ক্ষুদ্র সিগন্যালকে একটি রিলে করে ঐ স্পার্কিং ট্রিগারে যুক্ত করুন এবং উড়িয়ে দিন আপনার উড়াল পঙ্খি ড্রোন।
এবার ওয়েব ক্যামেরা হতে আপনি আপনার ড্রোন মনিটরিং করুন এবং ভিক্টর এর নিকট পৌছালে ঐ মোবাইলে কল দিন তাতে ট্রিগার সচল হয়ে স্পার্কিং করে ঐ কনটেন্ট বক্স বিষ্ফোরিত হবে এবং ধ্বংষ হবে আপনার ভিক্টিম।
উল্লেখ্য:
★ এটা একটা টেক ফিকশান মাত্র তাই এতে কিছু কিছু টেকনিক্যাল ত্রুটি থাকা স্বাভাবিক এবং কাজের সময় তা ফিক্স করে নিতে হবে।
★ এটা শুধু মাত্র এডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের জন্য কিছু শিখে কারো ক্ষতি করার জন্য নহে্
★ এটি যারপরনাই ইলিগ্যাল তাই এমন ড্রোন তৈরী দ্বারা যেন কেঃ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাই ইচ্ছাকৃত কিছু বিষয় উহ্য রেখেছি।
ড্রোন তৈরী মানেই সায়েন্সের অভিশাপ নয় বরং সায়েন্সের টেকনোলজিতে নিজের দেশকে উন্নত করে শত্রুকে ঘায়েল করে দেশের প্রতিরক্ষা সুরক্ষিত করা। এছাড়া এমন ড্রোন প্রযুক্তি দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ফেসবুকে আমাকে পেতে পারেন এইখানে →জুলকার নাইন
আমি জুলকার নাইন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।