সুপার পাওয়ার আসলে কি?
superpower শব্দটাকে ভাঙ্গলে হয় super+power যেখানে power মানে শক্তি; তাহলে superpower শব্দটার পূর্ণরূপ হতে পারে "মহাশক্তি" বা "অতিপ্রাকৃত শক্তি" একইসাথে supernatural শব্দটার অর্থ হলো "অতিপ্রাকৃত"।
আমাদের এই চিরায়ত দুনিয়ার পিছে আছে একটা বন্ধ দরজা আর এই সেই দরজা যখন খুলে যায় তখন আতিপ্রাকৃত শক্তি উল্টো পথে ঢুকে পড়ো আমাদের পৃথিবীতে!
না, আমি টেকটিউনসে আপনাকে মোটেও আজগুবি গল্প কিংবা ভুতুরে কেচ্ছা কাহিনী শোনাবে না বরং সায়েন্স দিয়ে আজ আমরা এই অতিপ্রাকৃত শক্তির ব্যাখ্যা করবো:
বিশ্বাস: আমাদের বিশ্বাসই আমাদের কল্পনা আর বাস্তবের মাঝের সমন্বয় সৃষ্টি করে তাই অতিপ্রাকৃত শক্তিতে বিশ্বাসই এখানে শুরুর কথা এবং শেষ কথা! আপনি যদি "ভূত" এ বিশ্বাস না করেন তবে স্বয়ং ভূতও যদি আপনার সামনে এসে দাড়ায় তবে তাকে মেকি পুতুল বলে উপহাস করতে পারেন। আবার আপনি যদি সত্যিই সত্যিই ভৌতিক আত্মাতে বিশ্বাসী হন তবে মাঝরাতে একটা ঠুকনো ছায়া দেখেও পিলে চমকে উঠতে পারেন।
সুতরাং if you belief then it's real; so that your believe is the reality!
প্যারানরমাল সায়েন্স: বিজ্ঞান কিন্তু কখনোই বলেনি যে "অতিপ্রাকৃত শক্তি" নেই বরং বিজ্ঞানে তার যথার্থ প্রমাণ স্বাপেক্ষ ব্যখ্যা নেই বলেই বিজ্ঞান বারবার তা এড়িয়ে গিয়েছে তবুও চুক্তির বাইরে যুক্তির ঝাঝে বিজ্ঞান তৈরী করেছে একটা বিশেষ শাখা যার নাম "প্যারানরমাল সায়েন্স" এখানে যুক্তি এবং পসিবিলিটি দিয়ে এইসব প্যারানরমাল বিষয়গুলা ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করা হয়।
ইয়েস/নো: আগেই বলেছি অতিপ্রাকৃত শক্তির বিষয়টা পুরোপুরি আপনার বিশ্বাস অবিশ্বাসের ওপর তবে সহজাত স্বাভাবিক বাস্তবতা যদি বলেন তবে অবশ্যই "সুপারন্যাচারাল পাওয়ার" আছে আর তা সবার ভেতরেই কমবেশি আছে। যেমন আপনি হয়তো টিভিতে স্পাইডারম্যান দেখেছেন অথচ একই গুণ তুচ্ছ মাকড়সার ভেতর সৃষ্টিকর্তা দিয়েছেন।
আবার বাদুর/চামচিকাতে যদি প্রানীজগতের সুপারম্যান বলেন তবে ভুল হবেনা!
"ইলেকট্রিক ইল" হলো সেই প্রানী যাকে সত্যিকারের সুপার ক্রিয়েশন বলা যেতে পারে; এক ঝটকাতে ওর হাজার ভোল্টে ওটল তুলতে পারেন আপনি!
এছাড়াও আমি টিভিতে ডিসকাভারি চ্যানেলে দেখেছিলাম (নাম ধাম মনে নেই তাই রেফারেন্স দিতে পারলুম না) একজন মানুষ নিজের হাত পা বাকিয়ে নিজেকে একটা বক্সে পুরোপুরি আটকে দিতে পারে তিনি সুপার ফ্লেক্সিবল মানুষ। আরেকজন ইলেকট্রিক শক নিতে ওস্তাদ; আসলে উনার শরীরে আছে সুপার রেজিস্ট্রেন্সি। আবার একজন নিজের শরীরে ভারী লোহার জিনিশ আটকে রাখতে পারার নাম হয়েছে ম্যাগনেট ম্যান; আসলে ইনার শরীরে আছে ড্রাইনেস সুুপার সেল যেটা অনেকটা সকসসের মতোন।
তাহলে এবার আপনি বলুন সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার আছে নাকি না?
অনেক তো বকবক হলো আসুন এবার মন মাতাতে সুপারন্যাচারাল বিষয়ে একটি ভিডিও দেখি:
তন্ত্র মন্ত্র নাকি কালোজাদু: কল্প বিজ্ঞান কিংবা ধর্ম বিশ্বাস সবখানেই ব্ল্যাক ম্যাজিক কিংবা কালো জাদুর একটা ছোয়া খুঁজে পাওয়া যায়। যদিওবা কালো জাদুতে অনেক কিছু নাকি পসিবল (আমি তর্ক করছি না) তথাপি এটাই সত্য যে এসব তন্ত্র মন্ত্র ১০০ ভাগের ভেতর ৯০ ভাগই ভুয়া!
তথাপি ইলুমিনিতিতে এমন বিশ্বাসী মানুষকে যদি আপনি "আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম সাজে" এটাকে একটা কালো জাদুর মন্ত্র বলেন তবে তিনি সেটাই বিশ্বাস করবেন।
তবে বস্তুত বাস্তবতাতে এটাও অসত্য নয় যে "ডেলিভ বা শয়তান আছে" আর তার সাথে আছে তার উপাস্য/, ইবাদতকারী ইলুমিনিতি!
সুপারহিউম্যান: কথা না বলে আসুন একটা ভিডিও দেখি→
আসলে সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার কিন্তু তন্ত্র মন্ত্র ম্যাজিকে নয় বরং আপনার মাথা, মন, চোখ আর হাতে থাকে তাতেই মানুষকে বশ করা যায় এমনকি চাইলে তাতে সুইসাইডে বাধ্য করে মার্ডার পর্যন্ত করা যায় আবার একটু তাকিয়েই তাক লাগিয়ে প্রেমে ফেলা যায় যেকোনো রমণীকে! আবার কথার জাদুতে পাগল করে আপনিও হয়ে যেতে পারেন সেলব্রেটি "সুলাইমান শুখন"!
আদতে মানুষের মাঝে লুকিয়ে এই সুপ্ত প্রতিভা কিংবা লাইট ব্রেইনটাকে আপনি যতোটা শান দিতে পারবেন ততোই মানুষকে নিজের বশ করতে পারবেন আর হয়ে যেতে পারবেন "সুপার হিউম্যান"।
মূলত এই সুপার পাওয়ার লাভ করার জন্য মেডিটেশন করার প্রয়োজন (তবে এটাকে জোক ব্যায়াম বলা মিথ্যা আবার তাকে উপাসনা বললেও ভুল হবে, এটাকে ধ্যান বললে কম বলা হবে আবার আত্মসংশোধন বললে বাড়িয়ে বলা হবে)।
মেডিটেশন আসলে কি: আমি কোন পুথিগত সংজ্ঞা বলবো না আবার মিথ্যাও বলছি না বরং আমি বাস্তব তুলে ধরলাম।
মূলত "মেডিটেশন হলো নিজেকে নিজের থেকে কনট্রোল ছেড়ে দিয়ে নিজের একটা স্পষ্ট অবস্তুগত থিউরির ওপর নিজেকে পরিচালিত করার পন্থা"
যেমন আপনি ঘুৃমে থাকলে আপনার অবচেতন মন আপনার মাথার ব্রেইনের ওপর নিয়ন্ত্রণ করে ঠিক তেমনি এটাও একটা "সেল্ফ অ্যারেঞ্জড অ্যাওয়ারিং স্লিপিং"
এমন মেডিটেশন করে আপনি আপনি যে কাউকে বশ করতে পারেন, চাইলে কাউকে সুইসাইড করতে প্ররোচিত করতে পারেন কিংবা এক কথাতে প্রেমেও ফেলতে পারেন।
(দুঃখিত আমি এখানে সব ডিটইলস বললাম কেননা তাতে হিতে বিপরীত হবে নিশ্চিত)।
তবে ব্যক্তিগতভাবে টেকটিউনসসতে একটা ঘটনা শেয়ার করি বিষয়টা বোঝাতে
"সম্ভাবত সেটা আমাদের এইচএসসি এর টেস্ট/প্রিটেস্ট পরীক্ষার সময় আমাদেরই একটা ক্যাম্পাস রুমমেট তার শক্তির কথা বললে আমরা তাকে হাস্য উপহাস করাতে সে পরের দিন পরীক্ষার প্রশ্ন দিনে দুপুরে আমাদের সামনে এনে হাজির করে দেয়"।
আদতে এটার রহস্য উন্মোচন করা পসিবল হয়নি তবে স্বীকার্য এটাই যে মেডিটেশন এমনই একটা রিয়েল ম্যাজিক।
তবে আমি সতর্ক করছি যে "এক্সট্রিম মেডিটেশন আপনারই জন্যই ক্ষতিকর"
শেষকথা: ছিলাম সুপার ন্যাচরাল পাওয়ার নিয়ে আর ব্ল্যাক ম্যাজিক ট্যাজিক ঘুরে শেষ করলাম গিয়ে মেডিটেশনে! শেষটাতে এতোটুকুই বলবো "জাদু" বলুন আর "সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার" বলুন সবটাই আছে আপনার ব্রেইনের নিউরনে তাকে মেধার ঝাঝে আপনি যতোই সক্রিয় করতে পারবেন ততোই আপনি হয়ে উঠবেন সুপার হিউম্যান!
ফেসবুকে আমার বন্ধু হউন→অর্ণব আহসান
আমার কমিউনিটিতে নিমন্ত্রণ রইলো→ অর্ণব আহসান
আমি আসিফ ইব্রাহীম। Tech Expert, Bangladesh Cyber Security, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 26 টি টিউন ও 32 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 20 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 10 টিউনারকে ফলো করি।
Technology Expert
আপনার লেখা গুলো ভালো চেইন টিউন ফরমেটে https://www.techtunes.io/techtunes-chain-tune-guideline করেন।