আপনি ঘরে বা অফিসে বসেই আপনার সব কাজ করে যাওয়ার চিন্তা করছেন? আপনার বাহিরে কাজের ব্যস্থতার কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার ইম্পরট্যান্স কমে যাচ্ছে? ছোট প্রতিষ্ঠান হওয়ায় বাংলাদেশী সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি হায়ার করতে পারছেন না?
পিছিয়ে পড়ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার প্রতিযোগীদের সাথে? আপনি চাইছেন প্রতিযোগিতায় থাকতে কিন্তু সময়ের অভাবে পারছেন না, তাইনা? পারবেন আপনিও! এই পোস্টিতে আপনাদের এমন ১০টি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশানের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো যা আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে অন্যদের সাথে লড়াইয়ে টিকে থাকতে সহায়তা করতে।
ঢাকার ট্রাফিক জ্যামে বসেও চাইলে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচার প্রচারণা চালিয়ে নিতে পারেন।
অভো টেকনোলজি-র সোশ্যাল প্রোফাইলগুলো ব্যবস্থাপনা করার জন্য এর মধ্যে আমি বেশ কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে থাকি। 🙂
১. টুইটারঃ
অ্যাপেল আইটিউন এ্যাপ ষ্টোর থেকে এই অ্যাপ্লিকেশানটি ক্রয় করতে আপনাকে ব্যয় করতে হবে ৩.৯৯ ডলার। অ্যাপ্লিকেশান এমন অনেক ফিচার পাবেন যা আপনি আগে কখনও চিন্তাও করেননি। কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে এই এ্যাপটি দিয়ে আপনি খুব বেশি কাজ চালিয়ে যাতে পারবেন না। যেমনঃ একই সময়ে মাল্টিপল অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করা।
এই এ্যাপটি শুধু মাত্র টুইটারের জন্য। অ্যাপেল আইটিউন এ্যাপ ষ্টোর থেকে এই অ্যাপ্লিকেশানটি ক্রয় করতে আপনাকে ব্যয় করতে হবে ২.৯৯ ডলার। এ্যাপটিতে আপনি কয়েক হাজারের বেশি ফিচার পাবেন যা আপনার টুইটারে মার্কেটিংকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলবে। যেমনঃ ইউআরএল ছোট করা, মাল্টিপল অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করা, ইমেজ, ভিডিও আপলোড করা, অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট শেয়ার করা, এমনকি শিডিউল পোস্ট সহ আরও অনেক কিছু।
যদিও এখন পর্যন্ত গুগল প্লাস নিয়ে তেমন কোন থার্ড পার্টি এ্যাপ তৈরি হয়নি আপনি বরং গুগল প্লাসের নিজেস্ব মোবাইল ভার্শন চালিয়ে আপনার কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। গুগল প্লাসের মোবাইল লেআউট অনেক পরিচ্ছন্ন এবং সাদামাটা যা আপনাকে অনেক সাচ্ছন্দের সহিত ইন্টের্যাক্ট করতে। গুগল প্লাসের মোবাইল ভার্শন দিয়েও আপনি ইমেজ, ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।
গুগল এ্যাপ ব্রাউজার হতে পারে আপনার ফ্রীলান্স ব্যবসায়ের অনেক কাছে বন্ধু। কারণ মাত্র এই একটি এ্যাপ দিয়ে আপনি গুগলের অন্যান্য ১৮টি এ্যাপ অ্যাক্সেস করতে পারবেন। যেমনঃ Gmail, Docs, Maps, Finance, Reader, YouTube, Picassa, Images, Twitter, Facebook এতে করে আপনার বাড়তি এ্যাপ ব্যবহার করার ঝামেলা থাকবে না। আপনি যদি গুগলের এ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারে অভ্যস্থ না হয় থাকেন তবে আপনার কাছে এটি ঝামেলাদায়ক মনে হতে পারে!!
৫. পোস্টলিং
ছোট এই অ্যাপ্লিকেশানটি অ্যাপেল আইফোন ষ্টোর থেকে বিনা মুল্যে নামানো যাবে। অ্যাপ্লিকেশানটি দিয়ে ডেস্কটপ এবং আইফোন থেকেও আপনি অনেকগুলো শীর্ষ সোশ্যাল মিডিয়া সাইট যেমনঃ ফেসবুক, টুইটার, ওয়ার্ডপ্রেস, ইউটিউব, ফ্লিকার, লিঙ্কডইন ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি চাইলে যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার, সিংক্রোনাইজ এবং শিডিউল পোস্ট করতে পারবেন। এমকি একই সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের একাদিক অ্যাকাউন্টে একইসাথে অ্যাক্সেস করতে পারবেন।
৬. হটস্যুটঃ
যদি আপনার হটস্যুট অ্যাকাউন্ট দিয়ে আগে থেকে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্লগ ম্যানেজ ক্রএ থাকেন তবে আপনি অবশ্যই এটার একটি মোবাইল ভার্শন পেতে চাইবেন। হতস্যুট চালাতে আপনার কোন আইফোন অথবা অ্যান্ড্রয়েড সমর্থিত মোবাইল লাগবে না। হটস্যুট এ্যাপের সব চেয়ে চমক হল এটি গুগল প্লাস পেজে ম্যানেজ করার সুবিধা দেয় যা এখন কোন সোশ্যাল মিডিয়া এ্যাপ সমর্থন করে না।
ভার্টিক্যাল রেসপন্স আপনাকে ডেস্কটপ এবং মোবাইল থেকে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করার সুবিধা দেয়। আপনার পিসি থেকে ভার্টিক্যাল রেসপন্স ফ্রীতে অ্যাকাউন্ট ওপেন করে নিবার পর আইটিউন এ্যাপ ষ্টোর থেকে ফ্রীতে এ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এ্যাপটির প্রিমিয়াম ভার্শন পেতে হলে প্রতি আপনাকে মাসে ২৫ ডলার গুনতে হবে যার থেকে আপনি অনেক অনেক এক্সট্রাঅর্ডিনারি ফিচার ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। কিন্তু একজন ফ্রীলান্সার হিসেবে আপনার এতো কিছুর কি দরকার?
৮. ফ্লিপবোর্ডঃ
একজন ফ্রীলান্স রাইটার হিসেবে আপনাকে সব সময় সোশ্যাল মিডিয়ার খবরের সাথে আপডেট থাকতে হবে। সেটা হতে পারে সাম্প্রতিক টেকনোলজিক্যাল খবর অথবা কোন আলোচিত সংবাদ। ফ্লিটবোর্ড আপনার সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সুবিধা দেয়। আপনি চাইলে আপনার ফ্লিপবোর্ড প্রোফাইল ইচ্ছা মত কাস্টমাইজ করতে পারবেন। আপনার পছন্দ বা অপছন্দ শেয়ার করতে পারবেন। আপনি যদি মনে করে কোন মেয়ে অথবা কোন ছেলে ভিসিটর আপনার প্রোফাইল দেখতে পারবেন না, ফ্লিপবোর্ড আপনাকে সেই সুবিধাও দিবে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে লগইন করে সেখানে আপনার ফ্লিপবোর্ড প্রোফাইলের তথ্য শেয়ার, লিঙ্ক, প্লাস ১, ইমেইল সহ আরও অনেক কিছু করতে পারবেন। এবং কেউ আপনার সেই ইন্টারেকশনে মন্তব্য করলে আপনি প্রতিউত্তর করতে পারবেন।
৯. ক্যারেন্টসঃ
কারেন্টস অনেকটা ফ্লিপবোর্ডের মত কাজ করে। আপনি কি ধরণের খবর আপনার এ্যাপ্লিকেশান থেকে ব্রাউজ করতে চান সেটিও কন্ট্রোল করতে পারবেন। অনেক আর.এস.এস ফিডের মত আপনি কোন কোন সাইট থেকে কনটেন্ট দেখতে চান তাও নির্ধারণ করে নিতে পারবেন। এরপরেও আপনি আপনার ইছামত ওয়েবে সার্চ করতে এবং তা আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে শেয়ার করতে পারবেন।
১০. ভাইনঃ
আপনি কি সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যদের থেকে অনেক বেশি ভিডিও শেয়ার করেন? তাহলে ভাইন আপনার জন্য হবে বেষ্ট চয়েজ। আপনি আইটিউন ষ্টোর সরাসরি ভাইন ডাউনলোড করতে পারবেন সম্পূর্ণ ফ্রী-তে। ভাইন স্বাভাবিকভাবে ভিডিও শেয়ারিং এ্যাপ। এটি দিয়ে আপনি খুব সহজেই যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন। ভাইন ভিডিও-কে কম্প্রেস করতে পারে অনেক দ্রুত তাই যেকোনো বড় আকারের ভিডিও আপনি অল্প সময়েই মধ্যে আপলোড করতে পারবেন। কিন্তু ভাইনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এটি একসাথে মাল্টিপল আচউন্ত লগইন করা অপশন দেয় না যে কারণে এ্যাপটি আপনার পছন্দ নাও হতে পারে।
এবার আপনি বলুন, একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার হিসেবে আপনি কোন সোশ্যাল মিডিয়া এ্যাপ করছেন আপনার ব্যবসায়ের মার্কেটিংয়ের জন্য?
আমি ট্যালি মাস্টার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 56 টি টিউন ও 10 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
কাজে লাগবে|