এয়ারটেলের টেলিফিল্ম ‘Impossible’ অনেকেই দেখেছেন । আসলেই কি সুপার হিউম্যান বলতে পৃথিবীতে কেউ আছে । উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ অবশ্যই আছে । সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত যাদের অদ্ভুদ ক্ষমতা আছে যা সাধারন মানুষের থাকার কথা নয় । এরকমই সাতজন মানুষের সম্বন্ধে আজ জানতে পারবেন যাদের অসাধারন ক্ষমতা তাদেরকে তৈরি করেছে সত্যিকারের সুপার হিউম্যান হিসেবে । প্রমান হিসেবেত ভিডিও থাকছেই ।
১ নং – Natalya Demkina
রাশিয়ার Saransk শহরের এক ছোট্ট মেয়ে Natalya DemKina । হঠাৎ একদিন মেয়েটি লক্ষ্য করে মেয়েটি মানুষের ভিতরের শরীর দেখতে পারে । ছোটবেলা থেকেই তার এই আশ্চর্য ক্ষমতার কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে । হাজার হাজার লোক তার কাছে ভিড় জমায় তাদের শরীরের ভিতরের পরীক্ষা করার জন্য কোথায় তাদের অসুস্থতা।
তার নাম হয়ে যায় ‘X-Ray Girl’ । নিউইয়র্ক এর ডাক্তার Dr Ray Hyman সিন্ধান্ত নেন যে মেয়েটিকে তার কাছে নিয়ে এসে পরীক্ষা করে দেখবে। সে ছয় জন রোগী ঠিক করে যাদের ছয় রকমের সমস্যা – একজনের ব্রেন টিউমার, একজনের হাড়ে সমস্যা, কারও এপেন্ডিসাইড সমস্যা ইত্যাদি । এদের মধ্যে একজন সুস্থ লোকও ছিলেন । ডাক্তার তাদের হাতে একটি করে কার্ড ধরিয়ে দেন এবং মেয়েটিকে শুধুমাত্র চোখ দিয়ে তাদের শরীরের ভিতর দেখে তাদের অসুস্থার কথা লিখতে বলেন । আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে সে চারজনের সম্বন্ধেই সঠিক রোগ বলতে পারেন । ডাক্তার এই সামান্য ভুলকে সাধারনভাবেই নেন, কারন অনেক পরীক্ষার পরও মেডিকেল সাইন্স সব ক্ষেত্রে ১০০ ভাগ সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারে না । আর এই মেয়েটি ইতিহাসে নাম লেখেন সুপার হিউম্যান হিসেবে।
২নং - Eskil Ronningsbakken
মৃত্যুই যার খেলা সেরকমই একজন মানুষ হচ্ছেন Eskil Ronningsbakken । তার আশ্চর্য ক্ষমতা হচ্ছে অসম্ভব রকম শরীরের ভারসম্য । আপনি ভাবতে পারেন সার্কাসের অনেকেই এরকম করে । তাহলে এই ছবিগুলো দেখুন আশ্চর্য না হয়ে পারবেন না । প্রতিটি ছবিতেই রয়েছে মৃত্যুর হাতছানি আর অসম্ভব রকমের শরীরের ভারসম্যের কঠিন পরীক্ষা।
সে মনে করে ভয় মানুষেরই একটা অংশ । কিন্তু তার ভয়ের যে অনুভূতি তা একেবারেই হারিয়ে গেছে আর সেজন্যই সে সুপার হিউম্যান।
৩ নং - Chris Robinson
মানুষ কি কখনও ভবিষৎ দেখতে পারে । বিশ্বাস করবেন কি না জানি না , ভবিষৎ দেখতে পারে এরকমই একটি মানুষ হচ্ছে Chris Robinson । একদিন সকালে Chris Robinson এর ঘুম ভেঙ্গে যায় এক প্লেন দুর্ঘটনার সপ্ন দেখে । সাথে সাথে সেটা তার ড্রিম জানার্লে রেকর্ড করে । তখনও সে জানত না আসলে সে ভবিষ্যৎ দেখতে পায় । কিন্তু সেই দিনই তার সপ্ন সত্যি হয় । ঠিক যেভাবে, যে স্থানে সে সপ্ন দেখেছিল সেভাবেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বিশ্বাস করছেন না, ঠিক আপনারই মত অবিশ্বাস করেছিলেন Daniel Browning Smith নামে এক ব্যক্তি সে Robinson পরীক্ষা করার জন্য এক জায়গায় নিয়ে যায় । এবং বলে আগামীকাল তাকে ছয়টি জায়গায় নেয়া হবে। সে যেন সপ্ন দেখে সেই জায়গার নাম লিখে রাখে। Robinson সপ্নে ভবিষ্যৎ দেখে ছয়টি জায়গার নাম লেখে । আশ্চর্য হলেও সত্যি যখন জায়গাগুলোতে যাওয়ার পর কাগজ খুলে দেখে তখন সবাই অবাক হয় । সে ছয়টি জায়গার নামই সঠিক লিখতে পেরেছে ।
৪নং - Tibetan Monks
Southern Asia এর Tibet শহরে Monks নামের এক ব্যক্তি যে মেডিটেশনের মাধম্যে আশ্চর্য রকমভাবে তার গায়ের তাপমাত্র বাড়াতে পারত । এই ধরনের মেডিটেশনের নাম “Tum mo” । এই মেডিটেশনের মূল বিষয হচ্ছে পৃথিবী থেকে অন্য জগতে চলে যাওয়া, যার জন্য শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
যখন বিজ্ঞানীরা তার এই ক্ষমতার কথা জানতে পারল তখন সিন্ধান্ত নিল যে তারা তাকে পরীক্ষা করবে।বিজ্ঞানীরা আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করল যে Monks মেডিটেশনের মাধম্যে তার শরীরের তাপমাত্রা প্রায় 8 degrees Celsius (17 °F).পর্যন্ত বাড়িয়ে ফেলেছিল।
৫নং - Dean Karnazes
মানুষের জীবনের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ক্লান্তি । এমন কোন মানুষ আছে যার ক্লান্তি নেই । হ্যাঁ আছে , আর তিনি হলেন – Dean Karnazes । আপনি একসাথে কতক্ষন দৌড়াতে পারবেন ২ ঘন্টা, ৫ ঘন্টা বা ১ দিন ।কিন্তু Dean Karnazes এমন একজন মানুষ যে বিরামহীনভাবে দৌড়াতে পারে কোন প্রকার বিশ্রাম ছাড়াই । তিনি টানা ৫০ দিন ৫০ টি ম্যারাথনে অংশগ্রহন করেছেন ।ম্যারাথন সম্পর্কে যাদের ধারনা আছে তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।
একজন সাধারন মানুষের শরীর শক্তি পায় গ্লুকোজ থেকে । আর গ্লুকোজ শক্তি তৈরির পাশাপাশি lactate তৈরি করে যা ক্লান্তির জন্য দায়ী । কিন্তু – Dean Karnazes এমন একজন ব্যক্তি যার শরীরে lactate তৈরি হয় না । ডাক্তারি পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত।
৬নং – SM
ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি ভয়কে জয় কর। কিন্তু তা আর হচ্ছে না । জীবনের প্রতি পদে পদে নানা রকম ভয় আমাদেরকে ঘিরে রাখে । কিন্তু আপনি কি চিন্তা করতে পারেন এমন একজন মানুষের কথা যার ভয় বলতে কোন অনূভুতিই নেই । এই যেমন ধরুন – বাগানে হেটে যাচ্ছে হঠাৎ আপনার সামনে একটা বিষধর সাপ , কি ভয় পাবেন না । অবশ্যই । এর চেয়ে ভয়ানক ভয়ানক পরিস্থিতেও যিনি ভয় পান না, তার নাম হচ্ছে – SM
বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা অনুযায়ী ভয় পাওয়ার জন্য মানুষের মস্তিকের একটি বিশেষ অংশ দায়ী । আর SM কোন এক অজানা রোগের কারনে সেই অংশটির অনুভুতি হারিয়েছেন।
৭নং - Orlando Serrell
মানুষের স্মৃতি শক্তি কতটুকু প্রখর হতে পারে । আপনাকে যদি বলা হয় ১৯৮০ সালে কয়টা সোমবার ছিল ? পারবেন । সাথে সাথে উত্তর দিতে পারবেন না । কিন্তু এরকম প্রশ্নে সাথে সাথেই সহজ উত্তর দিতে পারেন Orlando Serrell.
ছোটবেলায় তিনি বাস্কেট বল খেলতে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। ব্যাপরটিকে সহজভাবে নিয়ে খেলা চালিয়ে যান। কিন্তু কিছু দিন পড়েই তার এই আশ্চর্য ক্ষমতার কথা বুঝতে পারেন।সে যেকোন দিনে সে কি কি করছে তার সবই মনে রাখতে পারে ।
আমার ব্লগ ওয়েব সোর্স এ ঘুরে আসার আমন্ত্রণ রইল।
আমি Onno Vinno। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 16 টি টিউন ও 30 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Always think different and do different
ওয়াও ! ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য