স্বপ্ন এবার সত্য হল (টেলিপোর্টিংয়ে সক্ষম হলেন বিজ্ঞানীরা)

আমরা যা গত দশকেও ভাবতে পারি নাই তা আজ আমরা করছি।আমাদের বিজ্ঞান এখন অনেক উন্নত আর সেই বিজ্ঞানই প্রতিনিয়ত সীমার গণ্ডী পেরিয়ে যাচ্ছে আর আমরা সাধারন মানুষ তা দেখে বিস্ময়ে অভিভূত হচ্ছি।বাস্তব হচ্ছে হলিউডের মুভি সহ জুল ভারনের সব ফিকশন। আর আমি আজ আপনাদের তেমনই এক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করাবো .........

অনেকেই স্টার ট্রেক মুভিটি দেখে থাকবেন। মুভিতে দেখা যায়, কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মাধ্যমে আস্ত মানুষকেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় টেলিপোর্টেশন, এক বহুল আকাঙ্ক্ষিত বিষয়।

প্রথমবারের মতো টেলিপোর্টিংয়ে সক্ষম হয়েছেন সুইস বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তিতে মানুষের বদলে পাঠানো হচ্ছে তথ্য। ছয় মিলিমিটার ব্যবধানের দুটি সার্কিটের মধ্যে কোয়ান্টাম যোগাযোগের এ অত্যাশ্চর্য পদ্ধতি বাস্তবায়নে সক্ষম হন তারা। বিজ্ঞানীদের দাবি, এ পদ্ধতির উন্নয়ন ঘটানো গেলে প্রচলিত যোগাযোগ, পরিবহন পদ্ধতি ও তথ্যপ্রযুক্তিতে মৌলিক পরিবর্তন ঘটবে।

সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (ইটিএইচ) গবেষকরা সেকেন্ডে ১০ হাজার বিট করে তথ্য টেলিপোর্টিং করতে পেরেছেন। আর এ পদ্ধতি কোনো সমস্যা ছাড়াই দীর্ঘ সময় ধরে সচল রয়েছে। এর আগে অন্য গবেষকদের পরীক্ষায় কোয়ান্টাম বিট টেলিপোর্ট করা সম্ভব হয়েছে। আর সেগুলো করা গেছে অনেক দীর্ঘ দূরত্বে। তবে কোনো ক্ষেত্রে টেলিপোর্টিং সেকেন্ডে ভগ্নাংশ সময়ের বেশি স্থায়ী হয়নি।

বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় তিনটি মাইক্রোন দৈর্ঘ্যের ইলেকট্রনিক সার্কিট ব্যবহার করেন। যেগুলো বসানো ছিল দৈর্ঘ্য-প্রস্থে সাত মিলিমিটার লম্বা একটি কম্পিউটার চিপ। এর মধ্যে দুটি সার্কিট প্রেরণ যন্ত্র হিসেবে কাজ করে। বাকিটির কাজ প্রেরিত তথ্য গ্রহণ করা। বিজ্ঞানীরা চিপটির তাপমাত্রা প্রকৃত শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনেন। তার পর সার্কিটগুলোর ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করান। জমে যাওয়ার মতো তাপমাত্রা ও আকৃতিতে অতি ক্ষুদ্র হওয়ায় সার্কিটগুলোয় থাকা ইলেকট্রনগুলো কোয়ান্টাম তথ্য বিট হিসেবে কাজ করতে শুরু করে। বিজ্ঞানীরা এ তথ্যের নাম দেন কিউবিট। তিনটি সার্কিটের ইলেকট্রনেই একই বিষয় ঘটতে থাকে। ফোটন বিনিময় করার কারণে প্রেরক সার্কিটের সঙ্গে গ্রাহক প্রান্তের ইলেকট্রনগুলোও একই ধরনের আচরণ করতে থাকে। এ সময় ইটিএইচের গবেষকরা প্রেরক প্রান্তে কিছু এনকোডেড তথ্য যোগ করেন। তারপর গ্রাহক প্রান্তের ইলেকট্রনগুলোর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন। দেখা যায়, প্রেরক প্রান্তে যেকোনো তথ্য প্রবেশ করানোর সঙ্গে সঙ্গে গ্রহণ প্রান্তে সেটির প্রতিফলন ঘটছে। গবেষকরা তখন নিশ্চিত হন যে, তারা তথ্য টেলিপোর্টিংয়ে সফল হয়েছেন।

বিজ্ঞানীরা জানান, কাঙ্ক্ষিত তাপমাত্রা পেয়ে কিউবিটগুলো কোয়ান্টাম তত্ত্ব অনুসারেই আচরণ করতে থাকে। ইলেকট্রনগুলো একে অন্যের থেকে আলাদা হলেও সেগুলো জোটবদ্ধ আচরণ করতে থাকে। অর্থাৎ, এগুলোর সব কয়টির কোয়ান্টাম পরিচিতি হয়ে ওঠে একই ধরনের।

প্রচলিত কম্পিউটারগুলো তার, বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে তথ্য আনা নেয়া করে থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে, কোনো বস্তুগত মাধ্যম ছাড়াই তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। এতে এক প্রান্ত থেকে তথ্য উধাও হয়ে গিয়ে অন্য প্রান্তে গিয়ে হাজির হচ্ছে।ইটিএইচের পদার্থবিজ্ঞান শাখার অধ্যাপক ও গবেষণা দলের প্রধান আন্দ্রে ওয়ালরাফ বলেন, ‘পদ্ধতিটি খুবই গতিসম্পন্ন ও নিখুঁত। তাই এর ওপর নির্ভর করে সহজেই কার্যকর কম্পিউটার তৈরি করা যাবে।

মূল লেখাঃ সায়েন্সটেক২৪

Level 0

আমি Quazi Zjaman। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 26 টি টিউন ও 86 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

একজন সাধারন মানুষ। তাই মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি।বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিকে ভালবাসি তাই টেকটিউনসে বারবার আসি কিছু শেখার জন্য। আর যা জানি টা শেয়ার করার চেষ্টা করি। ফেসবুকে আমিঃhttps://www.facebook.com/emon4401 আর আমার ব্লগঃhttp://sci-cotech.blogspot.com/


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

(¯`·.·´¯).(¯`·.·´¯)
..`·.¸(¯`·.·´¯)¸..·
..°×.`.·.¸.·´.×°
VЭЯУ IИFФЯMДTIVЭ PФST

    @কাজী কামরুজ্জামান: খুব সুন্দর হয়েছে দেখা যাক কি হয়

খুব সুন্দর!! দেখা যাক হয় ……………………………।

খুব সুন্দর!! দেখা যাক হয় ……………………………।thanks