আজ আরও কিছু অপটিক্যাল ইলিউশনস নিয়ে এলাম। ফটোগুলো ছাড়া অপটিক্যাল ইলিউশনসগুলোর প্রায় সবগুলোই কিন্তু বিখ্যাত ব্যক্তিদের আঁকা বা তৈরি করা। এগুলো অনেক সময় মানুষের দৃষ্টিক্ষমতা, মস্তিস্কের প্রসেস করার ক্ষমতা বা পারস্পেকটিভ বিচারে সাহায্য করে। খেয়াল করে থাকবেন, চোখের ডাক্তাররা বর্ণান্ধতা যাচাই করতে এধরনের অনেক ছবি ব্যবহার করে থাকেন। তাই, বলছি কি, এগুলো শুধুই খেয়ালে আঁকা ছবি নয় - এদের গুরুত্বও আছে অনেক।
(ওহ! ভাল কথা। এদের প্রতি বেশী মনোযোগের কারণে আপনার মস্তিস্ক, চোখের দৃষ্টি ইত্যাদিতে সমস্যা হলে লেখক দায়ী থাকবে না :))
নীচের ছবিগুলোর দিকে ঠায় তাকিয়ে থাকলে এদের মধ্যে নাচানাচি, উঠানামা, লাফালাফি ইত্যাদি নানান ধরনের নড়াচড়া দেখতে পাবেন। বেশিক্ষন তাকিয়ে থাকলে কিঞ্চিত মাথাব্যথা হতে পারেঃ
এই 'ফেরিস হুইল' টি কি ডানে - ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরছে না?
পেছনের হার্ট এ কোন আলোড়ন চোখে পড়ে?
ভাল করে খেয়াল করুন তো - নীল রঙের গোলকগুলো কি তীরচিহ্নিত দিকে এগিয়ে যাচ্ছে?
সমুদ্রবক্ষের এই লতাগুল্মে কি আলোড়ন দেখা যায়?
এই ছবিটির দিকে অনেকক্ষণ তাকালে একধরনের নড়াচড়া ও ছবির মানুষটিকে পড়ে যেতে দেখা যাবে
ময়ূরের পেখমে নাচ
সামনে পেছনে আসা-যাওয়া
ঘূর্ণন ও আলোড়ন
উপরের একটা ও নীচের দুটো ছবির দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলে একটা কাঁপুনি লক্ষ্য করবেন
এই ছবিতে একটা চাকা থেকে আরেকটা চাকায় দৃষ্টি দিলে আগের চাকাটাকে মনে হবে ঘুরছে
উপরের তীর চিহ্ন আর নিচে মাছের দিকে তাকালে মনে হবে এরা যেদিকে মুখ করে আছে সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে
এই ছবিতে একটি বর্গ থেকে দৃষ্টি অন্যটিতে নিলে মনে হবে এরা ছোট হয়ে যাচ্ছে
কলের পানির ধারায় কি কোন প্যাঁচ লক্ষ্য করছেন?
নীচের লেখাটি পড়ুন, দেখবেন এতে ঢেউ খেলে যাচ্ছে (এটাকে ছবি হিসাবে দেখুন, লেখাটিকে কোন উপদেশ বা সেলফ সাজেশন হিসাবে নেবেন না - পরিণামের জন্য আমি দায়ী থাকব না)
নীচের ছবিগুলোর প্রতিটিই কিন্তু অবাস্তব, সম্ভব নয় এমন কিছু বস্তুর গঠন, বা স্থান। অবাস্তবতা বুঝতে হলে ছবিগুলোর যে কোণ এক পাশ থেকে গঠন খেয়াল করুন, অন্যপাশে পৌঁছে বুঝবেন এটা সম্ভব নয়।
কিন্তু শেষেরটি খেয়াল করুন (একটি হাতঘড়ি সহ যে ছবিটা) - এটা তো একটা তোলা ছবি, তাহলে এই ফ্রেমটা কিভাবে সম্ভব হল?
নীচের প্রত্যেকটি হল মানুষের তোলা ছবি। এই ছবিগুলো প্রমান করে যে - কিভাবে বা কোন এঙ্গেল বা পারস্পেক্টিভে আপনি দেখছেন, তার উপর নির্ভর করে অনেককিছু।
না হরর মুভি না - এটা একজন জিমন্যস্ট যখন একই সাথে দুটো পা শুন্যে সমান্তরাল করে ছুঁড়ে মাথাটাকে সম্পূর্ণ পেছনে হেলে রেখেছে
উপরের ও নীচের এত সুন্দর করে আঁকা ফ্লোরের বাথরুমে বা এলিভেটরে আপনি কি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন?
অথবা এই গাড়িটির সিটে বসবেন কি?
নীচের তিনটি নুড়িপাথরের ও শেড এর তারতম্যে আঁকা ছবিগুলোতে কাদের দেখতে পাচ্ছেন?
নীচের তিনটি শিশুর এই ছবিটিতে একটি মারাত্নক ত্রুটি আছে। বের করুন।
বের করতে পারলেন না? ছবি বা আপনার মাথা ঘুরিয়ে মেয়ে শিশুটিকে সোজা দেখতে চেষ্টা করুন তো।
এই ছবিদুটোতে একটি ব্রিজ অপরটি থেকে বেশী হেলে আছে মনে হলেও অবিশ্বাস্য যে এরা মূলত একই ছবির কপি - পাশাপাশি রাখা
ভার্চুয়াল সিঁড়ি - ফ্লোর ও ওয়ালে আঁকা
তিনটি গাড়ি তিন সাইজের? - না একই সাইজের। স্কেল দিয়ে মাপুন তো
পার্কের এই ছবিটির সবচেয়ে বামের থ্রি-সিটারটি দেখুন। খুব খেয়াল করলে দেখবেন - একে উত্তর-পশ্চিম বা দক্ষিন-পশ্চিম দুদিকেই মুখ করে কল্পনা করা যায় (উত্তর দিক যদি ছবির উপর দিকটা ধরা হয়)
নীচের ছবিটা সবচেয়ে উপরের তাক থেকে খেয়াল করে নিচে নামতে থাকুন - কাকে পেলেন?
নিচে দেখুন। প্রথমত মনে হবে এটি একজনের ছবি - আসলে কিন্তু একটি পুরুষ ও একটি নারীর মুখমণ্ডল আছে এখানে
আজ এখানেই শেষ করি - আমার নিজেরই মাথা ঘুরাচ্ছে। একটা প্যারাসিটামল খাওয়া লাগতে পারে। সবাই ভাল থাকুন, জীবনের নানা ইলিউশনের মাঝেও সুখে থাকুন।
আমি মোহাম্মদ ইউসুফ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 96 টি টিউন ও 1053 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
excelent boss!