আমাদের প্রিয় ইঁদুরটির বয়স ৪৪ বছর :: মাউস সম্পর্কে বিস্তারিত!!!

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। আসসালামুআলাইকুম । সবাইকে আমার আন্তরিক প্রীতি, সম্মান, শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জ্ঞাপন করছি। আশাকরি আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন।

প্রশ্নঃ মানুষ কি নিজের চেহারা সরাসরি দেখতে পায়?

উত্তরঃ না। আয়না কিংবা ছবির সাহায্যে দেখতে হয়।

রবীন্দ্রনাথের কবিতাটি মনে পড়ে গেলো-

“দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা,

দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু।

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া,

ঘর হইতে দুই পা ফেলিয়া,

একটি ধানের শীশের উপর একটি শিশির বিন্দু”

ঠিক এমনি কম্পিউটার চালানোর সময় আমাদের ডান হাত দিয়ে আকড়ে ধরা মাউস সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। একবার কল্পনা করুন তো কম্পিউটারে মাউস বিহীন একটি দিনের কথা। মাউসে আমরা অভ্যস্থের চেয়েও বেশী অভ্যস্থ। আসুন জেনে নেয়া যাক মাউসের ইতিহাস।

কেমন করে মাউস এলো

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্টানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ১৯৬৮ইং সালে একটি রিসার্চ টিমের বিশেষজ্ঞরা প্রথম প্রথম মাউস তৈরী করেন। তখন এটা ছিলো মূলত একটি এক্স ওয়াই পজিশন ডিভাইস। স্টানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ১৯৬৮ইং সালে একটি রিসার্চ টিমের বিশেষজ্ঞরা এমন একটি ইনপুট ডিভাইসের সন্ধানে ছিলেন- যা ট্রাকিং বল, লাইট প্যানেল বা জয়স্টিকের কাজ করতে সক্ষম হবে। কিন্তু দেখা গেলো মাউস তো এসব কাজ পারেই এবং ঐ সব ডিভাইসের চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে।

মাউসের নামকরণ

আমরা জানি ইংরেজি মাউস (Mouse) অর্থ বড় ইঁদুর আর Rat অর্থ ছোট ইঁদুর। রিসার্চ টিমের বিশেষজ্ঞরা যখন মাউস নিয়ে কাজ করছিলেন তখন ঐ টিমের সদস্যদের কেই একজন মাউস দেখতে অনেকটা ইঁদুর সাদৃশ্য বলে মাউস নামকরণ করেন এই ভেবে যে পরবর্তিতে কোনো সুন্দর নাম দিয়ে বাজারে ছাড়া হবে। কিন্তু মাউস নামটাই পরিচিত হয়ে ওঠে আর ঐ ৫-৬জনের কে মাউস নামটি দিয়েছিলো তা আর জানানো হয় নি।

প্রথম মাউসটি দেখতে কেমন ছিলো

প্রথম মাউসটি তৈরি করা হয়েছিলো কাঠের ব্লকে চাকা লাগানো এবং এর উপর একটি লাল রঙের বাটন ও পিছনে তার জুড়ে দেয়া হয়েছিলো।

কখন ও কিভাবে মাউস বাজারে এলো ও জনপ্রিয় হলো

১৯৬৮ইং সালে মাউস আবিস্কার হবার পরে ১৯৭০ইং সালে কমার্সিয়াল ব্যবহারের জন্য এর নতুন রূপ দেয়া হয়। ১৯৮১ইং সালে সর্বপ্রথম মাউস বাজারে ছাড়া হয়। কিন্তু মাউস জনপ্রিয়তা অর্জন করতে ব্যার্থ হয় কারণ তখন পারসোনাল কম্পিউটারের প্রচলন ছিলো না বললেই চলে। ১৯৮৪ইং সালে আবারও মাউস বাজারে  বাজারে আসার পরে মাউস নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে যায়। স্টিভ জবসের গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস ভিত্ত্বিক অপারেটিং সিস্টেম ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমে মাউস অপরিহার্য হয়ে ওঠে। আর বিল গেটসের উইন্ডোজ তো মাউস ছাড়া কল্পনাই করা যেতো না।

তাহলে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে মাউস আবিস্কারের বয়স ৪৪ বছর হয়েছে। আর একটি মজার ব্যাপার হলো এখনও ১০০% মানুষ মাউস ব্যাবহার করে না করে আনুমানিক ৯২% ব্যবহারকারী।

কষ্ট করে আমার এই টিউনটি দেখার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি আপনাদের ভালবাসায় সিক্ত ও পরিতৃপ্ত। আপনাদের ব্যাপক সাড়া আমার নিত্যদিনের প্রেরণা।

Level 2

আমি মোঃ আসিফ- উদ-দৌলাহ্। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 115 টি টিউন ও 1147 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

মা ও বাংলা ভাষার কাঙ্গাল


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

বাহ দারুন

Level 0

বাহ দারুন

Level 0

খুবই সুন্দর ও তথ্য বহুল টিউন, বিশেষকরে পিকচারগুলো ৤ টিউনটির জন্য রইল অসংখ্য ধন্যবাদ৤

Level 0

valo laglo……. 😀

mojar kichu tottho jante parlam.kritoggota(Avro diye ekhane akhon likhte parchi na tai English e comment korte holo 🙁 )

খুব সুন্দর ! ভালো লাগল তথ্য গুলি। আগামী তে আরো নতুন নতুন কিছু জানতে পারব আপনার লেখা থেকে এই প্রত্যাশায় –

ছুন্দুর লিকেছুইন! 😀

Level 0

তথ্যটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

“আমরা জানি ইংরেজি মাউস (Mouse) অর্থ বড় ইঁদুর আর Rat অর্থ ছোট ইঁদুর।” কথাটা উল্টো হয়ে গেছে। মাউস (Mouse) = ছোট ইঁদুর আরে Rat = বড় ইঁদুর

ধন্যবাদ মাউস সম্পর্কে বিস্তারিত শেয়ার করার জন্য ।