আজ আমি মেহেরপুর জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে গিয়েছিলাম। হঠাৎ কি মনে হল , দেখতে গেলাম যুব উন্নয়নের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সেখানে অফিসের কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পারলাম মেহেরপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে প্রশিক্ষণের জন্য আছে ১১টি কম্পিউটার এর মধ্যে ৪টি নষ্ট। আর এবার জানুয়ারী-জুন ২০১২ মেয়াদী কোর্সের জন্য ভর্তি নেওয়া হয়েছে ৯০ জন প্রশিক্ষনার্থী। এক দিন পর পর ক্লাশ হবে ৭টি কম্পউটারে। এক পর্যায়ে আমি বললাম আপনার এখানে ভর্তি আছে অথচ আমার কাছে কম্পিউটার শেখার জন্য আমার ইনফরমেশন সেন্টারে আবার ভর্তি হচ্ছে কেন? তিনি উত্তরে জানালেন আসলে আমাদের এখানকার সনদপত্রের অনেক মূল্যায়ন তাই আমাদের কাছে ভর্তি হয় সনদপত্র নেওয়ার জন্য আর আপনাদের সনদপত্রের তো কোন মূল্যায়ন হয় না তাই আপনাদের কাছে ভর্তি হয় শেখার জন্য। তাইতো বলি আমাদের দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষকরা কেন যে কম্পিউটার অন করতে পারেন না। এসব কম্পিউটার শিক্ষকরা আবার ছাত্রদের সফটওয়ারের স্কু টাইট দেওয়া শেখাবে! আসলে এসব কম্পিউটার শিক্ষকরা নিজেরাই জানেন না সফটওয়্যারের স্কু থাকে কিনা। আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করে গড়ে তুলবেন! তিনি তো আর মাঠ পর্যায়ের খবর রাখেন না। তবে হ্যা একটা জিনিস তিনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে এসব কম্পিউটার শিক্ষকদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না তাই তাদের আরও ভালো ভাবে দক্ষ করে গড়ে তুলতে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মাষ্টার ট্রেইনার হিসেবে। কিন্তু আবার সেই একই সমস্যা বেড়ায় ধান খেয়ে ফেললে কি আর হয়? আমাদের বাছাই করার আগে কত রকম পরীক্ষা দিতে হয়েছে। অথচ আজ পর্যন্ত এর কার্যক্রম শুরু হলো না। আইসিটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ ইতিমধ্যে ১ বছর শেষ হয়েছে। অথচ কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। আমার মনে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ এসব এনালগ কর্মকর্তা দিয়ে চলবে না। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বলছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বেন আবার কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগের জন্য সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের ৬ মাসের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ লাগবে। তাই মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আগে সরকারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো থেকে এনালগ লোক সরিয়ে ডিজিটাল লোক দেন আর ভালো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুন তাহলে মাষ্টার ট্রেইনার নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন হবে না। আপনার মাষ্টাররাই বড় বড় ট্রেইনার হয়ে যাবে। আবার আমার পৌর তথ্য কেন্দ্রে ২২টি কম্পিউটারে দিয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাশ নেওয়া হলেও আমার সনদপত্রের কোন দাম নেই। অন্যায় একটাই ভালো করে কম্পিউার শেখানো। ইউনিয়ন তথ্য এবং উপজেলা ই-সেন্টারগুলোতেও ভালো প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কিন্তু এই সনদপত্রের মাধ্যমে শিক্ষক নিবন্ধন করতে পারবে না। কারণ শিক্ষক নিবন্ধন করতে কস্পিউটার জানার দরকার নেই দরকার শুধু এনালগ লোকের স্বাক্ষরিত একটি ডিজিটাল সনদপত্র। পরিশেষে আমরা বলতে পারি সরকারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো সনদপত্র বিক্রয়ের কাজে মাঠে নেমেছে। তাই মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সমীপে আবেদন আমাদের যুব সমাজ সঠিক ভাবে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য মাঠ পর্যায়ে একটু খেয়াল রাখবেন। শুধু রাজধানী কেন্দ্রীক কোন অগ্রগতি দেখে খুশি হওয়ার অবকাশ নেই।
আমি hasandipu। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 30 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।