এটি একটি Sponsored টিউন। এই Sponsored টিউনটির নিবেদন করছে 'রকমারি ডট কম'
'Sponsored টিউন by Techtunes tAds | টেকটিউনস এ বিজ্ঞাপন দিতে ক্লিক করুন এখানে
কাসেম বিন আবুবাকার,
সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত নাম, আলোচিত ইস্যু। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে হট টপিক।
সামাজিক যোগাযোগ পার হয়ে এখন দেশের মূলধারার গনমাধ্যমে আসতে শুরু করেছে তাকে নিয়ে প্রতিবেদন। মূলত আলোচনার সূত্রপাত হয় লন্ডনভিত্তিক ট্যাবলয়েড দৈনিক 'ডেইলি মেইল' এ গত ২৬ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে। ডেইলি মেইল তাদের সংবাদসূত্র হিসেবে উল্লেখ করেছে খ্যাতনামা সংবাদ সূত্র এএফপি কে। বাংলাদেশি কোন লেখককে নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন আমাদের দেশীয় গণমাধ্যম ও পাঠকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে।
আগ্রহের পাশাপাশি বিতর্ক জমে উঠে কাসেম বিন আবুবাকার এর লেখার মান ও বিষয় নিয়ে। কেউ কেউ উনার লেখাকে মানহীন বলে খারিজ করে দিচ্ছেন। কেউ কেউ উনার পক্ষে বলছেন। আবার কেউ বলছেন পড়া বা না পড়ার ব্যাপারটি ব্যক্তির বিবেচনা নির্ভর এবং পড়ে ভাল নাও লাগতে পারে, তবে খারিজ করার কিছু নেই। তাকে ইসলামপন্থী লেখক বলে প্রচার করা হচ্ছে। আবার ইসলামপন্থীরা তাঁর লেখাকে ইসলামিক রুচি বিরোধী বলে চিহ্নিত করছেন।
তাঁর উপন্যাসের নামকরণ নিয়েও অনেকে খ্যাপা। ফুটন্ত গোলাপ, বিদায় বেলায়, কামিনী কাঞ্চন , মনের মতো মন , কালো মেয়ে , কেউ ভোলে কেউ ভোলে না, তোমারই জন্য, হৃদয়ে আঁকা ছবি, কি পেলাম; এই ধরনের নামকরণ কুরুচিপূর্ণ বলে টিউমেন্ট অনেকের।
এর মধ্যে মধ্যরাতের টকশোর আলোচনার টেবিলে চলে এসেছেন কাসেম বিন আবুবাকার। বেশকিছু নামজাদা বাংলাদেশি দৈনিক পত্রিকা এবং অনলাইন গণমাধ্যমে তাঁর সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে। মজার ব্যাপার হল টক শোর আলোচকরা স্বীকার করএ নিচ্ছেন যে তারা নিজেরাও কাসেম বিন আবুবাকার এর বই পড়েননি।
গত কয়েক দশকে আমাদের বই পড়ার অভ্যাস কমে যাওয়া এবং প্রথাগত বই বিক্রির সাপ্লাই চেইন ভেঙ্গে পড়া সত্বেও উনার বইয়ের সংখ্যা ও কাটতি অবাক করার মত। ১৯৮৬ থেকে ২০০৬ এই বিশ বছরে শতাধিক বই লিখেছেন কাসেম বিন আবুবাকার । জেলা শহর ও প্রান্তীয় পর্যায়ে কাসেম বিন আবুবাকার খুব পরিচিত এবং জনপ্রিয় নাম। এতগুলি বইয়ের লেখক এবং একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর কাছে বেশ জনপ্রিয় এই লেখক সম্পর্কে যাকে আমরা মেইন্সট্রিম মিডিয়া মোটেই অবগত ছিল না তা অবাক করে বৈকি। অনলাইন বুক শপ রকমারির ওয়েব সাইটে কাসেম বিন আবুবাকার এর ১১৪ টি বইয়ের এন্ট্রি আছে। এই সাম্প্রতিক আলোচনায় আসার পড়ে অনেকেই তাঁর বই নতুন করে পড়ছেন বা পড়তে চাইছেন।
সব মিলিয়ে আমাদের উঠতি শিক্ষিত মর্যাদাসচেতন মধবিত্ত সমাজে কাসেম বিন আবুবাকার ভাল একটি ধাক্কা দিয়েছেন। সম্ভবত 'অনন্ত জলিল', 'হিরো আলম' ধারায় আলোচনায় খুব দ্রুত উঠে আসা এবং দ্রুতই আলোচনা থেকে হারিয়ে যাওয়ার ধারায় কাসেম বিন আবুবাকার আরেকটি সংযোজন হতে চলছে।
এটি একটি Sponsored টিউন। এই Sponsored টিউনটির নিবেদন করছে 'রকমারি ডট কম'
'Sponsored টিউন by Techtunes tAds | টেকটিউনস এ বিজ্ঞাপন দিতে ক্লিক করুন এখানে
আমি রকমারি ডটকম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 122 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
কৌতূহল আছে বলেই মানুষ বেঁচে থাকার মাঝে অর্থ খুঁজে পায়। কৌতূহল সৃষ্টি করতে হলে মানুষকে তাঁর জগত ও কালপরিক্রমা সম্পর্কে সংবেদনশীল হতে হবে। সংবেদনশীলতা আসে পাঠাভ্যাসের মধ্য দিয়ে। অথচ আশঙ্কাজনক হারে, আমাদের দেশের মানুষের পাঠ্যাভ্যাস হ্রাস পাচ্ছে। কারণ বহুবিধ। যারা ঢাকায় থাকেন, যানজট এর দীর্ঘ ভোগান্তি সয়ে তাদের বই কিনতে...
sundor