অনেক সময় দেখা যায় অন পেজ এস ই ও এবং অফ পেজ এস ই ও ঠিকমতো করার পরে বিভিন্ন এস ই ও টুল যেমনঃ MOz, Majestic, Ahref ইত্যাদিতে যেসব রেটিং সিস্টেম আছে সেগুলোতে বেশ ভালো রেটিং পাচ্ছে। PA, DA, DR এগুলো বেড়ে গেছে কিন্তু যে আর্টিকেল যে কিওয়ার্ডের জন্য র্যাংক করাতে চেয়েছিলেন সেটার জন্য র্যাংক করছে। এই টিউনে এর সমাধান পাবেন।
এটার অর্থ হচ্ছে বড় মাছ যেমন ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে তেমন আপনার সাইটের এক পেজ আরেক পেজের শতত্রু হিসেবে তার র্যাংকিং খেয়ে ফেলছে। গুগলে একই কিওয়ার্ডের জন্য সাধারণত একটি ওয়েবসাইটের একটি আর্টিকেলই র্যাংক করে। আপনার এমন একাধিক আর্টিকেল আছে যা একই কিওয়ার্ডের জন্য আসছে, হয়তো বাজে লেখাটাই আগে আসছে যা আপনার ব্লগের জন্য ক্ষতিকর।
এর সমাধানের জন্য আপনাকে একই রকম আর্টিকেলগুলোকে একটি আর্টিকেলের মাঝে নিয়ে আসতে হবে। কয়েকটি ভাগে ২০০০-৩০০০ শব্দের একটি আর্টিকেল হোক, সেটিও ভালো র্যাংক পাবে। অর্থাৎ, প্রায় একইরকম বিষয় নিয়ে লেখা একাধিক আর্টিকেলের প্রয়োজন নাই, একটি আর্টিকেলের মাঝে সবগুলো লেখাকে নিয়ে আসুন। আর, আগের লেখাগুলো ডিলিট করে সেই লিংকগুলো রিডিরেক্ট করে নতুন আর্টিকেলে নিয়ে আসুন। এতে একটি লেখাই অনেক কিওয়ার্ডের জন্য সহজে র্যাংক করবে।
টেকটিউনসে দেখুন, নতুন ট্যাগ যোগ করা যায় না- এর কারণ আছে। ওরা বুঝেছে, নতুন ট্যাগ যোগ করলে র্যাংকিং হারাবে। অহেতুক ট্যাগের কোন প্রয়োজন নাই। ৫/১০ টি আর্টিকেলের বেশী হলে তার জন্য একটি ক্যাটাগরি এবং অনেক আর্টিকেলের জন্য একটি ট্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। অহেতুক ট্যাগ, ক্যাটাগরি ডিলিট করে সেগুলো সেরা আর্টিকেলে রিডিরেক্ট করে দিন যেটা প্রাসঙ্গিক।
আমার আগের দুটি টিউন যা আপনার কাজে লাগতে পারে-
দুই রকম আর্কিটেকচার থাকতে পারে-
সাইটের লিংকগুলো যেভাবে সাজানো আছে সেটিকে বলে সাইট লিংক আর্কিটেকচার। গুগল সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটা গুরুত্ব বহন করে। সাইটের সবগুলো পেজ যাতে করে প্রথম পেজ থেকেই খুঁজে পাওয়া যায় এবং ভিজিট করা যায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
যেসব সাইটে ২/৩ ক্লিকেই শেষ পেজ পাওয়া যায় সেই ধরনের আর্কিটেকচার হচ্ছে ফ্ল্যাট। আর কিছু সাইট আছে যেগুলোতে ওয়েব পেজগুলো সাজানো থাকে ছোটবেলার রাক্ষসের গল্পে রাক্ষসের জীবনের মতো। পানির নিচে বাক্স, তার ভেতরে ছোট বাক্স, তার ভেতরে কৌটা, তার ভেতরে ছোট পাত্রে তালাবদ্ধ আছে এক মৌমাছি, তার ভেতরে আছে রাক্ষসের জান। এগুলো হচ্ছে ডিপ আর্কিটেকচার।
সাইটের আর্টিকেলগুলো হোমপেজ থেকে যত গভীরে গিয়ে খুঁজে আনতে হবে, তত বেশী সময় লাগবে সেই আর্টিকেল গুগলে র্যাংক করতে। তাই, ছোট সাইটে কয়েকটি ক্যাটাগরি বা, মেনুবারের টপিকে লিংক করলেই যাতে মূল্যবাণ লেখাগুলো খুঁজে পাওয়া যায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। বড় সাইটের ক্ষেত্রে ডিপ লিংক কাজের। ১০০ টি আর্টিকেল এক পেজে সাজালে কেউ ১০০ নম্বর আর্টিকেল পর্যন্ত যাবে না, তাই আপনাকে ১০ টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ক্যাটাগরিগুলো প্রথম পেজে রাখতে হবে। এর কারণে র্যাংকিং এর হেরফের হয়।
তথ্যসূত্রঃ Flat and Deep Link Architecture in SEO- Beseoexpert
আমি লেখক ডট মি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।