জেনে নেন ২০১৯ সালে SEO ফ্রেন্ডলী কনটেণ্ট কিভাবে লিখবেন

টিউন বিভাগ এসইও
প্রকাশিত

ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম এ আপনি আপনার সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে কোন পণ্য বা ওয়েবসাইডকে সহজেই প্রমোট করতে পারেন। আর যদি এই উপস্থাপনাকে SEO ফ্রেন্ডলী করে পণ্য বা ওয়েবসাইড এর বানিজ্যিক প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানো যায় তাহলেই লেখার সার্থকতা বজায় থাকবে।

SEO ফ্রেন্ডলী কনটেণ্ট কেন সময় উপযোগীঃ

বর্তমান সময়ে আপনি কোন কিছু জানতে বা খুঁজতে অব্যশই গুগল সার্চ করবেন। আর আপনি পেয়ে যাবেন অনেকগুলো সাজেশন। প্রথম দিকে অবস্থান করা কনটেণ্ট গুলোতেই আপনি আপনার উত্তর পেতে চাইবেন।

প্রথম দিকে অবস্থান করা কনটেণ্টগুলো গুগল র‍্যাকিং এ এগিয়ে আসে শুধু SEO ফ্রেন্ডলী হওয়ার জন্যই। এই কনটেণ্টগুলোতে আপনি পাবেন প্রয়োজনীয় তথ্য এর পাশাপাশি ভাল ইউজার এক্সপেরিয়েন্স।

সাধারণত কোন ওয়েবসাইড বা পণ্য বা কোম্পানিকে প্রমোট করার জন্য SEO ফ্রেন্ডলী কনটেণ্ট লিখা হয় যা বানিজ্যিক প্রসারের স্মার্ট একটি মাধ্যম। যেহেতু একটি ক্লিকে, আপনি আপনার কাংখিত ইনফরমেশনের পাশাপাশি ভালকিছু বানিজ্যিক প্ল্যাটফর্ম পাচ্ছেন, তাই SEO ফ্রেন্ডলী কনটেণ্ট অব্যশই সময় উপযোগী।

SEO ফ্রেন্ডলী কনটেণ্ট এবং সাধারণ কনটেণ্টের মধ্যে রয়েছে কিছু গঠনগত তফাৎ।

কারন সকল কনটেন্ট গুগল রাঙ্কিং এ এগিয়ে থাকতে পারে নাহ। নির্দিষ্ট SEO ফ্রেন্ডলী কনটেণ্টগুলো হল অপটিমাইজড কনন্টেণ্ট। যা কনটেণ্টের নির্দিষ্ট বিষয় বুঝতে সার্চ ইঞ্জিন টেকনোলোজিকে সাহায্য করে। নির্দিষ্ট কিছু SEO টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে SEO ফ্রেন্ডলী কনটেণ্ট, গুগল র‍্যাংকিয়ে প্রথমসারিতে অবস্থান করে।

আসুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে SEO ফ্রেন্ডলী কনটেণ্ট লিখবেনঃ

কী-ওয়াড রিসার্চঃ

বেশ কিছুবছর ধরে কী-ওয়াড রিসার্চ করে কনটেণ্ট লিখার ধরন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। আর একজন কনটেণ্ট রাইটারের জন্য এই কাজটি করা মোটেও সহজ নাহ।

‘কী- ওয়ার্ড’ হল একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের বেসিক/ সাধারণ কিছু শব্দ যা সবাই ওই নির্দিষ্ট বিষয়টি খোঁজার সময় সবাই ব্যবহার করে থাকে। কী- ওয়ার্ড বেইসড লিখাগুলো সার্চ ফলাফল আগে দেখায় বলেই কী-ওয়াড রিসার্চ করা গুরুত্বপূর্ণ।

কী-ওয়াড রিসার্চ করার কিছু উপায়ঃ

  • কী- ওয়ার্ড সার্চ করার কিছু টুলস আছে যা সুপার কুল এবং ফাস্ট। যেমনঃ Google Keyword Planner, SEMrush সহ আছে আরো অনেক টুল।
  • Quora তে প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে সার্চ করতে পারেন এবং সেখানে আপনি কিছু কী-ওয়ার্ড পেয়ে যাবেন।
  • উইকিপিডিয়াতে সার্চ এর মাধ্যমে পেতে পারেন।
  • গুগল সার্চ একটি বড় প্ল্যাটফর্ম ‘নির্দিষ্ট কোন কিছু খোঁজার’। নির্দিষ্ট বিষয়ে কী- ওয়ার্ড সার্চ করার সময় আপনি প্রাসঙ্গিক অনেক শব্দ পাবেন, যা আপনার কী- ওয়ার্ড হতে পারে।
  • বিভিন্ন অনলাইন প্রশ্ন-উত্তর প্ল্যাটফর্ম থেকে আপনি নির্দিষ্ট বিষয়ের কী- ওয়ার্ড পাবেন।
  • আপনার অন্য প্রতিযোগী কি কি ‘’কী- ওয়ার্ড” ব্যবহার করছে, সেগুলো রিসার্চ করেও আপনি কী- ওয়ার্ড বের করতে পারেন।

SEO ফ্রেন্ডলী টাইটেল ব্যবহারঃ

  • টাইটেলের ব্যবহার আপনার লেখাকে SEO ফ্রেন্ডলী করে। টাইটেল কনটেণ্ট এর অন্যতম মেইন পার্ট কারন, কনটেন্টটি কি বিষয় নিয়ে লিখা হয়েছে তা বুঝতে সার্চ ইঞ্জিন টেকনোলজি সাহায্য করে।
  • টাইটেল জেনারেটিং করার জন্য কিছু টুলস আছে। যেমনঃ SEOPressor, HubSpot, BlogAbout
    আপনি ধারনার জন্য এই টুলস গুলো দেখতে পারেন।
  • মোডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। যেমনঃ Best, Top, How to, 2019, Special and etc.
  • টপিক টাইটেলের পাশাপাশি প্রত্যেক প্যারাগ্রাফের আলাদা আলাদা টাইটেলের ব্যবহার SEO ফ্রেন্ডলী কনটেণ্ট এর প্রধান বৈশিষ্ট্য যা গুগল র‍্যাংক ভাল করতে সাহায্য করে।
  • সাব টাইটেল গুলো তে কী- ওয়ার্ডের ব্যবহার অধিক উপযোগী। কী- ওয়ার্ডের ব্যবহার ঠিক রাখতে, আপনি LSI (কী- ওয়ার্ড এর সমার্থক শব্দ) ব্যবহার করতে পারেন।
  • কী- ওয়ার্ড এর ব্যবহার সীমিত রাখতে হবে যাতে ইউজার এবং সার্চ ইঞ্জিন প্রসেসর যেন ভুল পথে চালিত নাহ হয়, যে আপনি একই শব্দ দু-তিনবার ব্যবহার করেছেন।

SEO ফ্রেন্ডলী URL:

  • লং URLব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
  • URL তৈরিতে কী-ওয়াড ব্যবহার করুন।
  • URL এর সাথে পেইজ টাইটেলের সামঞ্জস্য রাখুন।
  • অটোমেটেট নিউমেরিক লেবেল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

মেটা ড্রেসক্রিপশন কিভাবে লিখবেনঃ

টাইটেলের ঠিক নিচে আমরা দুই-তিন লাইন দেখতে পাই সেটাই মেটা ড্রেসক্রিপশন। যেহেতু মেটা ড্রেসক্রিপশন পড়ার মাধ্যমে কনটেণ্ট সম্পর্কে ধারনা পাওয়ার পাশাপাশি পাঠক কনটেণ্টটি পড়বে কিনা সিদ্ধান্ত নেয় তাই এই অংশটুকু আকর্ষণীয় করে লিখুন। আকর্ষণীয় করে লেখার পাশাপাশি কী- ওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

SEO ফ্রেন্ডলী কনটেন্টঃ

উপরের আলোচিত সকল বিষয়গুলো কনটেণ্ট এর অভিন্ন পার্ট হলেও ৮০% মনোযোগ কনটেণ্ট লেখার ক্ষেএে দিতে হবে। যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবেঃ

  • কনটেণ্ট লেখার প্রয়োজনীয় ব্লগ টিউন বা থেকে ধারনা নিতে পারেন কিন্তু আপনার লেখা যেন ওই লেখাগুলোর মিরর রিফ্ল্যাকশান না হয়।
  • ৩০০ শব্দের কম কনটেণ্ট, SEO ফ্রেন্ডলী কনটেণ্ট হয় না।
  • প্রথম ১০০ শব্দের মধ্যে কী- ওয়ার্ড রাখুন।
  • আপনার ইনফরমেশান গুলোকে টাইটেলসহ বিভিন্ন প্যারাগ্রাফ আকারে লিখুন।
  • আপনার কনটেণ্ট এর শেয়ারিং বাটন অন রাখুন যাতে তা বিভিন্ন সোশ্যাল সাইডে শেয়ার করা যায়।
  • অতিরিক্ত মাত্রায় কী- ওয়ার্ড ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
  • আপনার কনটেণ্টটি যত বড় হবে, ভাল র‍্যাংকিয়ের সম্ভাবনা ততবেশি।

আপনার ওয়েবসাইড/ ব্লগ মোবাইল ফ্রেন্ডলী কি তা খেয়াল রাখুন। কারনঃ

জনপ্রিয় Magazine Forbes তথ্য মতে, প্রত্যেক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারি প্রতিদিন ওয়েবসাইড ভিজিট করে। বর্তমান সময়ে মোবাইলফোন ব্যবহারকারির সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি, মোবাইলের মাধ্যমে সবকিছু খোঁজা ও পাওয়া সহজ হয়ে গেছে।

তাই আপনার ব্লগ টিউন বা ওয়েবসাইডটি যেন মোবাইলফোনে পুরো কাভারেজ দেয় এবং সবাই যেন আপনার লেখা পড়তে পারে তা খেয়াল রাখুন।

ওয়েবসাইড স্পীড ও মোবাইল পেইজের স্পীডঃ

ওয়েবসাইড ও মোবাইল পেইজ ‘’লোডিং’’ প্রবলেমটি সকল ব্রাউজারদের জন্যই হতাশাজনক। আপনার ওয়েবসাইড ও মোবাইল পেইজ লোড করতে সময় নিলে, ব্রাউজার তা না পড়ে অন্য ওয়েডসাইডে চলে যেতে পারে। তাই খেয়াল রাখুন ওয়েবসাইড স্পীড ও মোবাইল পেইজের স্পীড যেন ঠিক থাকে। এর জন্য আপনি HTML এর সুবিধা গ্রহন করতে পারেন।

অনলাইন টিউটোরিয়াল বা এই বিষয়ে এক্সপাটদের সাহায্যে আপনি HTML এর কাজ করাতে পারেন।

গুগল সার্চ কনসোলঃ

SEO ফ্রেন্ডলী কনটেণ্ট এর জন্য এটি খুবই জরুরী কারন এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েডসাইড রিভিউ করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে গুগল সার্চ কনসোলের উপকারিতা অনেক। এর মধ্যে কিছু উপকারিতা নিচে দেয়া হল-

  • কোন এবং কী- ওয়ার্ড আপনাকে বেশি ট্র্যাফিক দিচ্ছে তা জানতে পারবেন
  • আপনি Error নোটিফিকেশান পাবেন, যেমনঃ broken page এর মাধ্যমে আপনি এই বিষয়গুলোর খেয়াল রাখতে পারবেন।
  • আপনার ওয়েবসাইড প্রোফাইল এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলী কতটুকু তা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক লিংক ব্যবহার করুনঃ

  • একই টপিকের উপর বা কাছাকাছি আরও কনটেণ্ট লিখে থাকলে তা কানেক্ট করে দিন এতে আপনার লেখার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
  • এই লিংকগুলো যেন আপনার ব্রাউজারদের আপনার মূল কনটেণ্ট ক্যাটাগোরিতে রি-ডিরেক্ট করে তা খেয়াল করুন।
  • বাহ্যিক লিংক গুলো, গুগলকে সাহায্য করবেএটা বুঝতে যে আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইডটি ভাল এবং তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা আছে। যা ব্রাউজাররা বিশ্বাস পেতে সাহায্য করতে পারবে।

অপটিমাইজ ছবি ব্যবহার করুনঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য SEO ফ্রেন্ডলী কনটেণ্ট এর কোন বিকল্প নাই। তাই অপটিমাইজ ছবি এর ব্যবহার অনেক জরুরি। সামঞ্জস্যপূণ কী- ওয়ার্ড এবং ছবি আপনার লেখাকে খুঁজে পেতে সাহায্য করে। আপনার ছবির URL এ কনটেণ্ট এর ব্যবহার করুন এবং URL কে ছোট রাখুন।

SEO ফ্রেন্ডলী কনটেণ্ট এর জন্য আপনাকে কিছু ধাপ মেনে আগাতে হবে। কোন বিষয়ে কনটেণ্ট লেখাটা সবাই লিখতে পারবে। আপনিও পারবেন। কিন্তু এই ধাপগুলো ছাড়া একটি কনটেণ্ট ভালো গুগল র‍্যাংক করতে পারবে নাহ। ভালো কনটেণ্ট, ভালো লিখনি কৌশল এবং এই ধাপগুলোর সাথে আপনার কনটেণ্ট অব্যশই SEO ফ্রেন্ডলী হবে এবং গুগল র‍্যাংকে প্রথম দিকে চলে আসতেই পারে আপনার কনটেণ্ট।

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, কোম্পানি প্রোফাইল ডিজাইন।

Level 0

আমি মাকসুদ রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস