সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের এই পর্বে আমরা কিছু Basic Term/Word নিয়ে কথা বলব যেগুলো এসইও করতে গিয়ে সচরাচর বহুল ব্যবহার হয়ে থাকে এবং সেগুলো আমাদের জেনে রাখা অত্যান্ত প্রয়োজন এবং নতুনদের মধ্যে প্রায়ই এই শব্দ গুলো নিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি হয়। সেজন্য আপনাদের এই শব্দগুলোর সাথে ভালোভাবে পরিচয় রাখা উচিতআগের পর্ব না পড়লে পড়ে আসুনঃ
কারন আপনি যখন প্রাকটিক্যলি এসইও শিখতে যাবেন এই শব্দ গুলো বহুল ব্যবহার লক্ষ্য করবেন, তাই আপনার যদি এসকল শব্দগুলোর সাথে পরিচিত না থাকে তবে পরে এসইও বুঝতে আপনার অনেক বেশি কষ্ট হয়ে যাবে।
তো চলুন যেনে নেওয়া যাক এসইও এর এমন কিছু কমন Word যেগুলো যানা থাকলে আপনি সহজেই এসইও এর Terms গুলো বুজতে পারবেনঃ-
ইন্টারনেটের যেকোনো পেজই এক একটি ওয়েব পেইজ। যেমন আমাদের এই ব্লগের যে পেজে আপনি এই লেখা গুলো পড়ছেন এটিও একটি ওয়েবপেজ।
তো ওয়েবপেজের মধ্যে আরো রয়েছেঃ-
Url Link Backlink কি এগুলো জানা খুবই প্রয়োজন। বিষেশ করে নতুনরা এগুলো নিয়ে প্যচ লাগায় ফেলে।
URL: আমরা যখন কোন ওয়েবপেজে থাকি তখন সেই এড্রেস বার যে লিঙ্কটি দেখায় সেটিই হলো Url.
অর্থাৎ আপনি যদি কাউকে এই Url টি দেন সে যখন এটি এড্রেস বারে লিখে ঢুকবে তাকে এই পেজে নিয়ে চলে আসবে। এটা হলো Url এর কাজ।
Link: Link হলো একটি ওয়েবপেজের মধ্যে যখন অন্য একটি পেজের Url বসানো থাকে এবং সেখানে ক্লিক করলে সেই পেজে নিয়ে চলে যায়।
যেমন এই যে টপিকটি পড়ছেন এই পেজে যদি আমি অন্য একটি পেজের এড্রেস বা Url দিয়ে দেয় সেটাকে লিঙ্ক বলা হয়।
অর্থাৎ লিঙ্ক হচ্ছে দুটি পেজের মধ্যে লিঙ্কিং করানো।
Backlink: Backlink হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের পেজের সাথে অন্য একটি ওয়েবসাইটের পেজের লিঙ্কিং করানো।
যেমন মনে করুন আমাদের এই পেজে আমরা Yahoo.Com এর একটি লিঙ্ক যোগ করলাম। তাহলে এখানে মূলত কি ঘটছে? আমি আমার ব্লগ থেকে ইয়াহু কে একটি লিঙ্ক দিয়েছি। তারমানে ইয়াহু.কম আমার ব্লগের কাছ থেকে একটি Backlink পেয়েছে।
Outbound Link: তো আমি যে ইয়াহু কে একটি Backlink দিলাম সেখানে কি ঘটেছে মানুষ এই লিঙ্কে ক্লিক করে আমার ব্লগ থেকে বেরিয়ে তাদের ওয়েবপেজে প্রবেশ করেছে। সেক্ষেত্রে এই লিঙ্কটি আমার ওয়েবসাইটের জন্য একটি Outbound Link.
Inbound Link: আবার এই লিঙ্কটিতে ক্লিক করে ইয়াহু.কম এর পেজে যাওয়ার মানে হলো বাইরে থেকে কেউ কোন লিঙ্কের মধ্যে দিয়ে তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করছে অর্থাৎ এটি ইয়াহু এর জন্য একটি Outbound Link.
অর্থাৎ আমরা কি বুঝলাম আমি যে লিঙ্কটি দিলাম ইয়াহু কে এই একটি লিঙ্কই আমার ব্লগের জন্য Outbound Link এবং ইয়াহুর জন্য Inbound Link.
আমরা সকলেই জানি যে এসইওতে সবথেকে গুরুপ্তপূর্ণ হলো কন্টেন্টের কোয়ালিটি। তবে আমরা বেশীর ভাগ মানুষই কন্টেন্ট বলতে সাধারণত লেখাকে (Text) কে বুঝি।
কিন্তু শুধুমাত্র টেক্সট বা লেখাই কন্টেন্ট নাহ। একটি ওয়েবপেজে যা কিছু রয়েছে, সে সব কিছুই ওই পেজের কন্টেন্ট। কন্টেন্ট বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন Audio, Video, Image, Pdf File, Document ইত্যাদি যা কিছু রয়েছে সব কিছুই এক একটি কন্টেন্ট।
তাই আপনার ওয়েবসাইট যে কন্টেন্টের উপর হবে সেটিকেই ডেভেলপমেন্ট করতে থাকতে হবে।
Visitor/Traffic নিয়ে এই পর্বের আগেও অনেক বার বলেছি এবং আপনারা অনেকেই জানেন এটি কি। যদি কেউ আপনার কিংবা আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেই একজন ভিসিটর। যেমন আপনি আমার ব্লগে এসে আমার লেখাগুলো পড়ছেন সেহেতু আপনি আমার ব্লগের একজন ভিসিটর বা ট্রাফিক।
Conversion Rate নিয়েও আগের পর্বে বিস্তারিত বলা হয়েছে যে কত জন লোক আপনার ওয়েবসাইটে আসল এবং তার মধ্যে কতোজন লোক আপনার প্রোডাক্টগুলো কিনল সেটির অনুপাতকেই বলা হয় Conversion Rate.
এখানে প্রোডাক্ট কেনা বলতে শুধুমাত্র প্রোডাক্ট কেনা না, এটার মানে হলো আপনি যে উদ্দেশ্য নিয়ে ওয়েবসাইটটি খুলেছেন কতজন সেই উদ্দেশ্যটি সফল করল তার একটি অনুপাতই হলো কনভারশন রেট।
এখন ওয়েবসাইট খোলার পিছনে অনেক কারন হতে পারে যেমনঃ-
এই শব্দটির সাথেও আপনারা কম বেশি পরিচিত আছেন যে আমরা যখন গুগল কিংবা কোনো সার্চ ইঞ্জিনে যে টপিক নিয়ে সার্চ করি সেটাই হলো কিওয়ার্ড।
যেমন মনে করুন গুগলে গিয়ে আমরা সার্চ করলাম Seo Tutorial in Bangla তাহলে আমাদের কিওয়ার্ড হবে 'Seo Tutorial in Bangla'।
অর্থাৎ আপনি গুগলে যেটা লিখে সার্চ করবেন সেটাই এক একটি কিওয়ার্ড।
মেটা ইনফরমেশন অনেক ইন্টারেস্টিং একটি বিষয়।
আমরা মোবাইলে যে ছবি উঠি সেটার details গেলে দেখতে পারবেন আপনার যাবতীয় ইনফরমেশন সেখানে স্টোরেজ করে রাখা হয়েছে। যেমনঃ
এরকম সকল তর্থ্য সে জমা করে রাখে। এখন ভেবে দেখুন তো এই ইনফরমেশন গুলো কি আমাদের কোনো প্রয়োজন পড়ে। নাহ এগুলো আমাদের কোন দরকারে আসে আমরা ছবি দেখলেই বুঝে যায় এটি ওমকের ছবি।
তবে এই ইনফরমেশন গুলো সফটওয়্যার টির প্রয়োজন পড়ে। যেমন ছবিটি যখন এক ফোন থেকে অন্য ফোনে নেওয়া হয় তখন সফটওয়্যারটি এসকল ইনফরমেশন পড়েই এই ছবিটিকে দেখায়।
তো একই ভাবে আপনার ওয়েবসাইটে যখন একটি ইমেজ আপলোড করলেন, এখন সার্চ ইঞ্জিন তো আর ইমেজ পড়তে পারে না। সেজন্য ছবির ব্যকেন্ডে ছবিটি সম্পর্কে কিছু তর্থ্য জুড়ে দেওয়া হয় যাতে গুগল কিংবা অন্য সার্চ ইঞ্জিন বুজতে পারে ছবিটি আসলে কি রিলেটেড। আর এই জুড়ে দেওয়া ইনফরমেশন গুলোকেই মেটা ইনফরমেশন বলে।
মেটা ইনফরমেশন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ
এরকম গুগলকে বোঝানোর জন্য একটি ওয়েবসাইটের সকল ইনফরমেশন গুলোকে মেটা ইনফরমেশন হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তবে সব থেকে বেশি ব্যবহার হয় Meta Title & Meta Description.
আমরা সাধারণত তিন ধরনের এসইও দেখতে পায়
এই তিন ধরনের এসইও সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকতে হবে।
White Hat Seo মানে হলো ঐ ধরনের অপটিমাইজেশন, যেধরনের অপটিমাইজেশন গুলো বৈধ এবং সেই অপটিমাইজেশন গুলো একটি মানুষের স্বাভাবিক চিন্তা ধারা থেকে করা হয়ে থাকে।
যেখানে কোনভাবে গুগলকে ম্যনিপুলেট করার চেষ্টা না করা। যেমন আমরা সকলেই ভাবি যদি গুগলের চোখে ফাকি দিয়ে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পসিশনে যাওয়া যায় যেত তাহলে আমাদেরক ওয়েবসাইটের জন্য অনেক ভিসিটর পেতাম, আর আমাদের সেলস বৃদ্ধি পেয়ে যেত। White Hat Seo তে এই চিন্তা ভাবনা করা যাবে না।
এটিতে শুধুমাত্র যেসকল অপটিমাইজেশন গুলো বৈধ এবং আমাদের সাইটের কোনো ক্ষতি হবে না শুধুমাত্র সেই অপটিমাইজেশন গুলোই করা হয়।
এবং আমরা যখন এসইও শিখব এবং বাস্তবিক ভাবে সেটি প্রয়োগ করতে যাবো অবশ্যই White Hat Seo এর উপরেই নজর রাখব।
কারন এটি আমাদের জন্য একদম নিরাপদ এবং এতে আমাদের ওয়েবসাইটের পেনাল্টি খাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আর আমরা জানি যদি আমাদের সাইট একবার গুগল র্যঙ্কিং থেকে পেনাল্টি খায় সেটা রিকভার করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
এটি এমন একটি Method যেটির মাধ্যমে আমরা গুগলের চোখে ফাকি দিয়ে র্যঙ্কিংয়ের প্রথমে চলে আসতে পারি তবে সেটা সাময়িক সময়ের জন্য।
এর মধ্যে অনেক গুলো পদ্ধতি রয়েছে যেমন লিঙ্ক বন্ডিং। আমরা জানি ব্যকলিঙ্ক এসইও এর জন্য খুবই গুরুপ্তপূর্ণ ফ্যক্টর।
এখন আমার ওয়েবসাইটের জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে প্রচুর ব্যকলিঙ্ক জেনারেট করলাম। সেজন্য গুগল হইতো কনফিউজড হয়ে কিছু সময়ের জন্য আমাকে ১নং র্যঙ্কিংয়ে নিয়ে আসতে পারে।
তবে এর মাধ্যমে হয়তো সাময়িক সময়ের জন্য র্যঙ্কিংয়ে আসতে পারবেন কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারবেন না। গুগল যখনই টের পাবে তখন আপনাকে পেনাল্টি দিবে অর্থাৎ র্যঙ্কিংয়ে অনেক পিছনে ফেলে দিবে।
তাই এসইও এর জন্য এই মেথড আমরা কখনোই ফলো করব না। এই মেথডটি কারা ফলো করে? অনেকেই আছে সিজনাল ব্লগার যেমন বিশ্বকাপ খেলা আসছে, এক দুইমাস খুব এইটার জনপ্রিয়তা থাকবে তো সে কিছু টাকা খরচ করে Black Hat Seo করে কিছু দিনের জন্য র্যঙ্কিংয়ে আসলো। এই এক দুমাস অনেক ট্রাফিক পেল তারপর গুগল পেনাল্টি দিলে দিক।
একসময় এই পদ্ধতি অনেক জনপ্রিয় ছিল এবং অনেকেই এভাবে র্যঙ্কিংয়ে আসতো কিন্তু গুগল আস্তে আস্তে যে পরিমান ইন্টেলিজেন্ট হয়ে উঠছে সেক্ষেত্রে তাদের বোকা বানানো অনেক কষ্টসাধ্য।
তবুও অনেকেই Black Hat seo করে র্যঙ্কিংয়ে আসে কিছু সময়ের জন্য কিন্তু আগের থেকে সেটা অতি নগন্য।
তবে আমরা এসইও জন্য Black Hat ম্যাথড কখনোই চেষ্টা করব না। কারন এতে ৯০ ভাগ সময়েই আমাদের ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা সব সময় সেফ ম্যাথড White Hat Seo করে আমাদের ওয়েবসাইট র্যঙ্ক করানোর চেষ্টা করব।
Grey Hat Mathod হলো White Hat ও নাহ আবার Black Hat ও নাহ এই দুটোর মাঝামাঝি একটি পদ্ধতি।
যেমন ধরুন লিঙ্ক কেনা। আপনারা অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না যে ব্যকলিঙ্ক কিন্তু কিনতে পাওয়া যায়।
কিন্তু গুগল কিন্তু কখনোই এটা চাই না আপনি লিঙ্ক কিনেন। এখন মনে করুন ৫০টি ব্যকলিঙ্ক আপনি নিজ থেকে জেনারেট করলেন এবং ২৫টি ব্যকলিঙ্ক আপনি কিনে নিলেন। তো তাহলে সেখানে দুটো কাজই হলো। Black Hat এর কাজও হইলো আবার White Hat এর কাজও হলো।
এভাবে এটি একটি Grey Hat Seo হয়ে গেল। এধরণের এসইও যারা করে তারা সবসময় একট আতঙ্কের মধ্যে থাকে এই বুঝি গুগলের কাছে ধরা খেল, এই বুঝি গুগল তাদের পেনাল্টি দিলো।
তো সেজন্য আমি সবসময় এটায় বলব যে এসইও ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই সেফ মেথড টিকেই গ্রহণ করবেন। কারন আপনি এসইও এর পিছনে যে অর্থ ব্যয় করবেন সেগুলো যেন সুরক্ষিত থাকে কিংবা আপনি যদি এসইওতে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে আশা করি অবশ্যই White Hat Seo কেই বেছে নিবেন।
কারন এতে আপনার টাকা, আপনার ক্যারিয়ার এবং আপনার রাতের ঘুম সবগুলোই ভালো থাকবে।
তো সব শেষে একটি কথায় বলবি এসইও কখনোই একটি গ্যারান্টিড উপায় নাহ। আপনি কখনোই শিয়র হতে পারবেন না যে এই কাজ গুলো করলে আপনি অবশ্যই র্যঙ্কিংয়ে আসতে পারবেন। কারন গুগল কারো নিজস্ব সম্পতি নয়। তারা আলাদা একটা প্রতিষ্ঠান।
তারা চাই স্বাভাবিক নিয়মে সকলে এসইও করে র্যঙ্কিংয়ে আসুক। সেজন্য এমন কোনো এসইও এক্সপার্ট নেই যারা ১০০% নিশ্বয়তা দিয়ে কাজ করে দিতে পারবে।
এবং এসইও একবার করলেই হয়ে যাবে না। কারন গুগল সব সময় নতুনত্ব বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে, আর সে কারনেই আপনার ওয়েবসাইটও আপডেটেট রাখতে হবে সব সময়।
আমি আল আমিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।