এই টিউনটি পূর্বেই আমার পার্সোনাল ব্লগে প্রকাশিত।
আমি মহা কোন গুরু নই। কিন্তু, প্রত্যেকদিন ভালবাসার জিনিসের সাথে সময় কাটাতে ভালবাসি। সেই খান থেকেই এসইও শেখার চেষ্টা করা।
এসইও = প্রতিপক্ষের থেকে (ভাল লেখা + ভাল ব্যাক লিংক + ভাল সোশ্যাল মিডিয়া)
আমি নীল পাতিল এবং ব্রায়ান ডিনের একজন অন্ধ ভক্ত।
ব্রায়ান ডীনের লিংক বিল্ডিং এর skyscraper-technique (গগনচুম্বী) নীতিটা আমার খুব পছন্দ। আসেন এই গগনচুম্বী নীতিটা কি এবং কেন কাজ করে সে বিষয়ে একটু জানার চেষ্টা করা যাক।
বেশির ভাগ অনলাইন মার্কেটর মনে করেন, আপনার কাছে যদি ভাল লেখা থাকে তাইলে আপনার কাছে সব আছে। এই কথার পেছনের যুক্তি হল আমার কাছে যদি ভাল আর্টিকেল থাকে মানুষ আমাকে এমনিতেই লিংক করবে।
ব্যাপারটা অনেকটা অ্যাপেল এর পণ্যের মত। মানুষ সব সময় চেষ্টা করে তার কাছে যদি একাটা অ্যাপেল এর পণ্য থাকত। অ্যাপেল এর পণ্যের প্রতি মানুষের এত আকৃষ্ট হওয়ার পেছনের কারণ কিন্তু তাদের পণ্যের গুণ তার প্রতিপক্ষের পণ্য থেকে অনেক বেশি ভাল।
কিন্তু, আপনার কি মনে হয় অ্যাপেল কোন বিজ্ঞাপন দেয় না? অ্যাপেল অবশ্যই বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে তাদের বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য যখন তারা নতুন পণ্য বাজারে নিয়ে আসে। এই খানে আপনার নতুন লেখা কোন ব্লগ কে অ্যাপেল এর আনা নতুন পণ্যের সাথে তুলনা করতে পারেন।
আপনি যদি ভাল মানের লিংক সৃষ্টি করতে চান, তাইলে অবশ্যই আপনাকে একটা ভাল মানের প্লান বানাতে হবে আপনার আর্টিকেল লেখা এবং তার প্রমোশনের জন্য। আপনি যদি কোন ভাল মানের প্লান মাফিক না চলেন, তাহলে আপনার সময় + টাকা এক সাথে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি, আর কাছে আসবে হতাশা। আর এই হতাশায় যেন না পড়া লাগে, তার জন্য আপনি ব্রায়ান ডিনের গগনচুম্বী নীতি ব্যবহার করতে পারেন। এই প্লান আপনাকে প্রায় গ্রান্টি দিবে যে আপনার প্রত্যেকটা পাবলিশ আর্টিকেল ভাল করবে।
গগনচুম্বী প্ল্যানের মূলনীতি হল তিনটাঃ
এখন আপনার মনে হতে পারে, এই গগনচুম্বী নীতি যে কাজ করবে তার নিশ্চয়তা কি? আপনার প্রশ্নটা যুক্তি সঙ্গত।
এই নীতির মুল মারণাস্ত্র হল আপনার লেখা আপনার প্রতিপক্ষের থেকে অনেক ভাল।
আপনি গুগল সার্চ যখন করেন তখন আপনার মুল উদ্যেশ্য যেমন থাকে সব থেকে ভাল সমাধানটা খুজে পাওয়া, গুগল এরো মুল উদ্যেশ্য আপনাকে সব থেকে ভাল আর্টিকেলটা দেখান।
আপনার প্রতিপক্ষের থেকে আপনার কাছে যদি ভাল আর্টিকেল থাকে তাহলে গুগল আপনার আর্টিকেল ভাল রাঙ্ক করতে একটুও কার্পণ্য করবে না।
আসেন এখন দেখা যাক গগনচুম্বী নীতির ধাপ গুলাঃ
এসইও এর উপর আমি অনেক গুলা বাংলা টিউটোর্যাল দেখছি। এর মধ্যে আমার সব থেকে ভাল লাগছে কাদের ভাইয়ের করা আইটিবাড়ির ভিডিও গুল। এখন যদি আমার কাছে কেউ জিজ্ঞেস করে যে এসইও শিখতে চাই, কার ভিডিও গুল দেখলে ভাল হবে আমি আইটি বাড়ির টিউটোরিয়াল এর কথা বলে।
এই খানে আমি হলাম লিংক, আর কাদের ভাইয়ের ভিডিও গুল হল লিংক করার মত আর্টিকেল। যাকে ইংলিশে বলে “Proven Linkable Assets”.
এখন মনে করেন আপনি এসইও এর উপর ভিডিও টিটোরিয়াল বানানোর চেষ্টা করছেন। তাহলে আপনার প্রথম কাজ হবে মার্কেটে যেসব ভিডিও গুল ভাল সেল হচ্ছে সেই ভিডিও গুল আগে দেখা এবং তার থেকে আরাও ভাল ভিডিও বানান। আর তা যদি না করতে পারেন, তাহলে মানুষ টাকা খরচ করে আপনার ভিডিও কেন কিনবে?
এখন কথা হল, আপনি যে কিও্যারড ঠিক করছেন, তার জন্য সব থেকে ভাল কন্টেন্ট কোনটা? এই ভাল আর্টিকেল খুজে বের করার জন্য জন্য আপনি এএইচ্রেফ ব্যবহার করতে পারেন।
ঐ খানে প্রত্যেকটা আর্টিকেল এর ব্যাক্লিঙ্ক এবং রেফারিং ডোমেইন দেয়া থাকে, আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন কোন আর্টিকেল অনেক দিন ধরে ভাল অবস্থেনে থাকার কারণ কি?
এ ছাড়াও আপনার নিস মার্কেটের উপর যে সব ওয়েবসাইট গুল ভাল করছে তার প্রত্যেকটা সাইটের টপ পেজ গুল খুজে বের করতে পারেন।
কোন আর্টিকেল সোশ্যাল মিডিয়াতে কত বেশি আলোচিত এইটা বের করার জন্য আপনি বাজসুমোব্যবহার করতে পারেন। এইটা অসধারন একটা টুলস।
আমার বাজসুমো সম্পর্কে কোন অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু, এএইচ্রেফটা অসধারন। এএইচ্রেফ কিন্তু টাকা দিয়ে ব্যবহার করা লাগে। আমার গুরু দেব (রবার্ট নিউম্যান), ঐ খানে একটা অ্যাকাউন্ট করে দিছিলেন শেখার জন্য।
তবে আপনার জন্য সমধান হল, আপনি ডিরেক্ট আপনার কিওয়ারড দিয়ে গুগল সার্চ করেন, গুগল বলে দিবে কোন আর্টিকেল গুলা বেস্ট লিস্টে আছে।
এখন আপনার কাছে সব থেকে ভাল কন্টেন্ট গুলার একটা লিস্ট আছে। এইবার আপনার কাজ হল ঐ আর্টিকেল গুলর থেকেও আরো ভাল একটা আর্টিকেল লেখা।
মনেকরেন, আপনি বাংলায় এসইও টিপসের উপর একটা আর্টিকেল লিখছেন। খুজে দেখলেন সব থেকে ভাল আর্টিকেলটা ২০ টা টিপস নিয়ে আলোচনা করছেন। এখন আপনার কাজ আর্টিকেল টা কোন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে সেই বিষয় গুলর সাথে আরো কিছু নতুন যোগ করে আরো ভাল একটা আর্টিকেল করা।
প্রথম যখন এসইও শেখা শুরু করি, তখন চিন্তা করতাম গুগল Algorithm যে সব ভেরিয়াবেল গুল যাচাই করে একটা আর্টিকেলর ক্রম নিধারন করে তার যদি একটা লিস্ট পেতাম তাইলে খুব ভাল হত। তারপর ব্রায়ান ডিনের করা একটা লিস্ট পাই। পরে আমি তার একটা ক্লাসিফাইড ভার্সন নিজের মত করে লিখে ফেলি। সম্পূর্ণ আমার নিজের ধারণার উপর নির্ভর করে। আর্টিকেল আপনার প্রতিপক্ষের থেকেও ভাল করার প্লানটা ঠিক এইরকম।
আপনার আর্টিকেল যেন আপনার প্রতিপক্ষের আর্টিকেল থেকে বেশি লম্বা, ভাল ডিজাইন এবং তথ্য গুল আপডেট হয়।
এখন আপনার কাজ হল ঠিক মানুষ ধরা যারা আসলেই আপনার আর্টিকেল খুঁজছে। এখন আপনার কাজ হল অন্যলোকে আপনার আর্টিকেল কে লিংক করতে বলা। সবাই বলে, কিন্তু আপনি বলবেন সবার থেকে একটু ভিন্ন ভাবে।
প্রথেম আপনার নিসের উপর সব থেকে ভাল সাইট গুল খুজে বের করেন। তারা আপনার লেখার বিষয়ের ব্যাপারে আগ্রহী। আপনার প্রতিপক্ষের লেখা আর্টিকেলটা তিনি এর মধ্যে লিংক করছেন। এখন শুধু তাকে বলা যে আপনার আর্টিকেলটা অসাধারণ।
এখন এই সাইট গুল আপনি কই পাবেন? সোজা এএইচ্রেফের কাছে চলে যান, আপনার প্রতিপক্ষরা যেখানে লিংক করছে, ঐ প্রত্যেকটা সাইটের মালিক কে মেইল করেন।
মনেকরেন, আপনি ১০০ ওয়েবসাইট পাইলেন। এখন, আপনার কাজ হল সবাইকে মেইল করা। এখন যদি ১০ জন আপনার আর্টিকেল লিংক করতে রাজি হয় তা হলেই কেল্লাফতে।
মনেকরেন, আপনার ওয়েবসাইট ১০টা আর্টিকেল আছে আর প্রত্যেকটার জন্য ১০ টা ব্যাকলিংক আছে। সব মিলিয়ে ১০০ রেফেরিং ডোমেইন। এইখানে লিঙ্কের সংখ্যা কম হতে পারে কিন্তু সব গুলা গুণগত মানে ১০০% BSTI পরিক্ষিত।
গুগল খুব ভাল ভাবে জানে, ভাল লিঙ্কের মুল্য কি ভাবে দিতে হয়।
শেষকথা, এখন আপনার পালা আপনি কি ভাবে এইডা ব্যবহার করবেন।
প্রস্তুত?
আশা করি, ভাল ফলাফল পাবেন।
অবশ্যই, টিউমেন্ট করতে ভুলবেন না। কোন উপদেশ, প্রশ্ন থাকলে টিউমেন্ট করুন।
আপনার অনলাইন জীবন সুখের হউক।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
আমার পূর্বের লেখা গুলঃ
চৌধুরী সাহেবের ব্যাকলিংক কৌশল (আপডেট ২০১৬) – ১
অন-পেজ এসইওঃ মিলিয়ে নিন সব ঠিক আছে কি না (আপডেট ২০১৬ সালে) – ২
আমি Biddrup Mallick। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 25 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
awesome brother 🙂