কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো সোশ্যাল বুকমার্কিং কি? এর ইতিহাস এবং গুরুত্ব।
সোশ্যাল বুকমার্কিং হচ্ছে সাইট প্রমোশনের সবচেয়ে সহজ, টেকসই ও জনপ্রিয় মাধ্যম। সোশ্যাল বুকমারকিং এর মাধ্যমে সরাসরি লিংক মার্কেটিং করা যায় এবং সেটা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। আজ এই টিউনে সোশ্যাল বুকমারকিং এর বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
সোশ্যাল বুকমার্কিং কি?
সোশ্যাল বুকমার্কিং হচ্ছে মূলত ভার্চুয়াল লিংক ডায়েরী। যখন আমরা কোন গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট বা ওয়েবলিংক খুজে পাই তখন সেটা ব্রাওজারে বুকমার্ক করে রাখি। ঠিক একই কাজ আমরা সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইটেও করতে পারি যার সুবিধা হচ্ছে লিংকটি আমরা যে কোন যায়গা থেকেই প্রবেশ করতে পারি এবং খুব সহজেই সবার সাথে শেয়ারও করতে পারি।
লিংক সংরক্ষণ ও শেয়ারের ধরণ অনুযায়ী সোশ্যাল বুকমার্কিং তিন প্রকারের হয়ে থাকে।
১। Private Social Bookmarking Site: এই ধরণের সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইটে সংরক্ষিত লিংকগুলো যিনি সংরক্ষণ করেছেনে শুধুমাত্র তিনি দেখতে পারেন। সাধারনত Google Bookmarks এই সেবা দিয়ে থাকে।
২। Circle or Group Social Bookmarking Site: এই ধরণের সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইটে লিংক সংরক্ষণের সুবিধা হচ্ছে শেয়ারকৃত লিংকগুলো একটি গ্রপের বা ফ্রেন্ডলিষ্টের সবাই দেখতে পারেন এবং তাদের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে পারেন। সাধারণত Facebook, Twitter, Google plus থেকে আমরা এই ধরনের সেবা পেয়ে থাকি।
৩। Open Social Bookmarking Site: এই ধরণের সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইটে শেয়ার করা লিংকগুলো সবার জন্যই উন্মুক্ত থাকে। ফলে যে কেউই অন্যদের শেয়ার করা লিংক থেকে উপকৃত হতে পারেন। Digg হচ্ছে এই ধরণের সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইটের সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
সোশ্যাল বুকমার্কিং এর ইতিহাসঃ
সোশ্যাল বুকমার্কিং এর ধারণাটি সর্বপ্রথম ১৯৯৬ সালের এপ্রিল মাসে সবার সামনে নিয়ে আসে itList.com নামের একটি ওয়েবসইট। কয়েক বছরের মধ্যেই এই ধরনের বেশকিছু সাইট গড়ে ওঠে তার মধ্যে Backflip, Blink, Clip2, Hotlinks এবং Quiver বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে ঐ সময়ে সোশ্যাল বুকমার্কিং এর ধারণাটি জনপ্রিয়তা অর্জনে ব্যর্থ হয়।
পরবর্তীতে ২০০৩ সালে Delicious (del.icio.us) নতুন আঙ্গিকে সোশ্যাল বুকমার্কিং এর সেবা নিয়ে সবার সামনে উপস্থিত হয় এবং খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে থাকে। ২০০৪ সালে Digg সোশ্যাল বুকমার্কিং ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে। তারা এই ব্যবস্থার সাথে Related System, Comments System, Open Platform System, Ranking এবং Voting System এর মত সেবাসমূহ যুক্ত করে। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট ব্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যেটার কথা চিন্তা করা হয় সেটা হল সোশ্যাল বুকমার্কিং।
সোশ্যাল বুকমার্কিং এর সুবিধা সমূহঃ
বর্তমানে সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইটগুলো শুধুমাত্র বুকমার্কিং এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই বরং এতে যুক্ত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের নানা সেবা। এছাড়া সার্চ ইঞ্জিনগুলো তাদের ফলাফল প্রদর্শনের ক্ষেত্রে সোশ্যাল বুকমার্কিং এর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। নিন্মে সোশ্যাল বুকমার্কিং এর প্রধান প্রধান সুবিধাগুলো তুলে ধরা হল -
১। খুব সহজেই যেকোন ধরনের লিংক শেয়ার ও সংরক্ষণ করা যায়।
২। প্রযোজনীয় লিংকগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা যায়।
৩। "DoFollow Backling" পাওয়া যায়।
৪। মানসম্পন্ন ভিজিটর পাওয়া যায়।
৫। অন্য সদস্যদের সাথে বার্তা আদান প্রদান করা যায়।
৬। গ্রুপ গঠন যায় এবং যেকোন গ্রুপে যোগদান করা যায়।
৭। সোশ্যাল শেয়ারিং বাটন এর মাধ্যমে যে কোন সাইট থেকেই খুব সহজেই লিংক বুকমার্কিং করা যায়।
৮। অন্যদের শেয়ার করা লিংক থেকে খুব সহজেই নিজের প্রয়োজনীয় তথ্য খুজে পাওয়া যায়।
৯। যেকোন লিংকের মানদন্ড বিচার করা যায় এবং অতিরিক্ত তথ্য ও টিউমেন্ট যোগ করা যায়।
সম্পূর্ণ নতুন ৩০ টি সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইট পেতে পারেন এখান থেকেঃ
http://www.websonjob.com/30-new-social-bookmarking-sites-list-for-strong-backlink/
আমি Krisnendu Maharathi। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 31 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।