প্রথমেই পয়েন্ট এ আসি । আসলে ভিজিটর নিয়ে ত বেশির ভাগ ব্লগার দের চিরন্তন সমস্যা। তবে অনেক ভালো মানের ব্লগার আছে বাংলাদেশে যারা অনেক সহজেই রাঙ্ক করতে পারে। কিন্তু এসব ব্লগার রা কখনও নিজের Secret টা ফাঁস করবে না এটাই স্বাভাবিক।
দিন দিন পাণ্ডা পেঙ্গুইনদের বেশী ক্ষমতা চলে আসতেছে। তাই টিকে থাকা আসলে খুব বেশী কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্লগার দের। আজ ফাঁস করে দিব কিছু সফল ব্লগার দের ট্রিক।
যেসব ব্লগার রা অল্প সময়ে সফল তাদের মুল মন্ত্র Blackhatworld।অনেকে হয়ত চমকে গিয়েছেন। কিন্তু সত্য কথা বলতে যেসব ব্লগার রা অল্প সময়ে খুব বেশী পরিমান সফল তাদের মুল তন্ত্র এটাই। আর এই সাইট এ প্রিমিয়াম মেম্বার হলে ত কোথায় নেই। অনেক কিছু জানতে পারবেন শিখতে পারবেন।
আপনার যদি বৈধ অবৈধ দুইটা পথ ই জানা থাকে তাহলে বৈধ পথের দীর্ঘ পথ টা অবৈধ ভাবে করে কিভাবে বৈধ রাখা যায় সেটা বুঝবেন, যেটাকে বলে Gray hat SEO। এটাকেও আপনি একেবারে white hat SEO করে দিতে পারবেন যদি আপনি সঠিক ভাবে মাথা টা খাটাইতে পারেন।
মুল কথা আপনার অনেক বেশী জানতে হবে আর শর্ট টেকনিক শিখতে হবে। এই টেকনিক গুলো কেও আপনাকে হাত ধরে ধরে শিখিয়ে দিবে না, নিজেকেই জানতে হবে। যাই হোক, জ্ঞানীদের জন্য ইসারায় যথেষ্ট। কথা গুলোর গভিরতা গুলো Research করে বুঝে নিয়েন।
আজ দু টা মেথড নিয়ে আলোচনা করবো। যাদের ধৈর্য বেশী তারা Manual মেথড টা অনুসরন করতে পারেন, আর যারা অল্প অল্প করে কাজ করে বেশী রেজাল্ট পেতে চান, তাদের জন্য পেইড মেথড। আর যারা Manual আর পেইড দুইটাই করতে চান তারা দুইটাই করতে পারেন।
Google advertising করতে পারেন। এটা আপনার সাইট এর জন্য ভালো। ১০ ডোলার খরচ করে বড় জর ১০০০ ভিজিটর আনতে পারেন। অথবা ফেছবুক advertising করতে পারেন। এক্ষেত্রে হয়ত ১০ ডোলার খরচ করে ২০০০ ভিজিটর বা তারও বেশী আনতে পারবেন যদি সঠিকভাবে advertising করতে পারেন। তবে এসব ক্ষেত্রে আপনার Mastercard থাকতে হবে এবং তাতে ব্যলেঞ্চ ও থাকতে হবে।
আর বাংলাদেশের মধ্যে অনেক টিম আছে তাদের অনেক বড় কমিউনিটি আছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করে অনায়াসে আপনার সাইট এর অ্যাড দিয়ে হাজার হাজার ভিজিটর আনতে পারেন। নিচে কিছু কমিউনিটি এর বর্ণনা দিলাম।
১ Radiomunna এই পেজ টা সম্পর্কে কম বেশী সবায় জানেন। এদের অনেক বড় একটা কমিউনিটি আপনি এদের সাথে যোগাযোগ করে আপনার সাইট এর জন্য অ্যাড দিতে পারেন। তারা আপনাকে আপ্রুভ করলে আপনার সাইট এর একটা টিউন এর লিঙ্ক শেয়ার করবে। সেখান থেকে হাজার খানেক ভিজিটর পাবেন। প্রতি হাজার ভিজিটর এর জন্য ২০০/৩০০ টাকা নিতে পারে।
সুবিধা ও অসুবিধা, এখান থেকে আপনি অনেক লোকাল ভিজিটর বেশি পাবেন তবে ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটর কম পাবেন।
২ বাংলাদেশ ছাইবার আর্মি সম্পর্কে সবায় জানেন, তার অন্য একটা ছোট্ট কমিউনিটি একটা দল। এই কমিউনিটি এর সংগ্রহে হাজার হাজার হ্যাককৃত আইডি আর সাইট আছে। এরা FB viral script ব্যবহার করে ওদের সংগ্রহে হাজার হাজার আইডি পেজ আর গ্রুপ এ অটোমেটিক শেয়ার করে। আর অনেক প্রিমিয়াম সফটওয়্যার আছে যেগুলো ব্যবহার করে। যেমন Senuke x cr, fb lead and fb freak etc
সুবিধা অসুবিধা, ইন্টারন্যাশনাল মানের ভিজিটর পাবেন, লোকাল ভিজিটর কম পাবেন। আর এরা আপনার লিঙ্ক টা শেয়ার করে আপনার সাইট এর স্পাম মুলক কিছুই করবে না, এরা ওদের কোন ব্লগস্পট এ আপনার সাইট টা রিডাইরেক্ট করে দিবে, যাতে করে আপনার সাইট সেফ থাকে।
এরা প্রতি হাজার ভিজিটর এর জন্য ২০০ টাকা নিয়ে থাকে।
এদের কন্টাক্ট আইডি বুঝ বালক
Advice (উপদেশ) or অনুপ্রেরণা এই পেজ গুলোর এডমিন দের একটা গ্রুপ আছে আর তাদের এমন বড় বড় পেজ আর গ্রুপ আছে। এরাও বিভিন্ন সাইট এর ভিজিটর দেয়। এরা আপনার পেজ এর কোন ভালো টিউন এর লিঙ্ক শেয়ার করবে তাদের সংগ্রহে গ্রুপ আর পেজ গুলোতে।
এরা প্রতি হাজার ভিজিটর এর জন্য ২00 ya ৩০০ টাকা নিয়ে থাকে।
সুবিধা অসুবিধা লোকাল ভিজিটর আর ইন্ডিয়ান ভিজিটর বেশী পাবেন। ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটর কম পাবেন।
এদের কন্টাক্ট আইডি Ami Nirob
আপনি সবার সাথে কন্টাক্ট করে নাম্বার বা স্কাইপ আইডি নিতে পারেন, আমি এখানে নাম্বার শেয়ার করলাম না বিশেষ কোন কারনে।
উপরের যে কইটি কমিউনিটি শেয়ার করলাম এরা আপনাকে সবায় রিয়াল ভিজিটর দিবে। আমি বেক্তিগতভাবে তিনটাই ব্যবহার করেছি। যারা খুব অল্প দামে বেশী ভিজিটর দিতে চাই সেগুলো বিশ্বাস করতে যাবেন না, কারন এরা সবায় আপনাকে Traffic Exchange সাইট গুলো থেকে ভিজিটর দিবে অথবা linkbucs adfocus etc এসব সাইট এ ১ডোলার দিয়ে ১০,০০০ ভিজিটর কেনা যায় যেগুলো খুব সস্তা ভিজিটর। মাত্র ৫ সেকেন্ড আপনার সাইট এ থাকবে। যারা ফ্যাক ভিজিটর বিক্রি করে তারা এসব সাইট থেকে কিনে আপনাকে কম দামে বিক্রি করবে। এগুলো কখনোই নিতে যাবেন না।
Manual Method
এবার আসি ম্যানুয়াল মেথড এ। যেভাবে আপনি এগবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে কঠর পরিশ্রমী হতে হবে। আমার একটানা ২০ ঘণ্টা কাজ করার রেকর্ড আছে। আপনি শুধু নিজের সাইট এর জন্য তিন মাস কষ্ট করেন তারপর শুধু ঘুমান। গুগল এ রাঙ্ক করলে আপনার সাইট এর ভিজিটর নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
কোন কোন স্কিল প্রয়োজন তা দেখে নেই
অবশ্যই কঠোর পরিশ্রমী।
এসইও সম্পর্কে সব ধারনা থাকতে হবে।
আমাদের যা যা প্রয়োজন পরবেঃ
১। অবশ্যই প্রচুর সময় কারন আপনাকে প্রথম অবস্থায় অনেক কাজ করতে হবে। তাই হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকলেই শুরু করবেন।
২। ১টা ব্লগস্পট সাইট (পেইড হলেও সমস্যা নাই)
৩। ৩ ৪ টা ইউ টিউব একাউন্ট (ফোন ভেরিফাই করা থাকতে হবে।) অবশ্যই মাল্টিপল ইমেইল আইডি দিয়ে তৈরি থাকা লাগবে। (এইটা পরে হলেও চলবে, প্লান B এর জন্য প্রযোজ্য।
চলুন শুরু করা যাক
প্রথম দিন
কমপক্ষে ১০টা কি ওয়ার্ড সিলেক্ট করব যার লোকাল মাস্থলি সার্চ ভ্যালু মিনিমাম ১০০০+ আর কম্পেটিশন লো। কম্পিটেশন চেক করার জন্য ট্রাফিক ট্রাভিস ১টা ভালো টুল।
ভালো কি ওয়ার্ড পেয়ে গেলে ডোমেইনে কি ওয়ার্ড ব্যবহার করে ব্লগ রেজিস্টার করা হবে
মিনিমাম ৩০০ শব্দের ৩টা ইউনিক আর্টিকেল কি ওয়ার্ড ডেনসিটি ২% ya ৩% সহ রিলেভন্ট ইমেজ যুক্ত করা হবে। ডাউনলোড ফাইল পিপিডি সাইটে আপলোড করে লিঙ্ক শেয়ার করা হবে।
টিউন গুলো পিং করা হবে।
দ্বিতীয় দিন
আশা করা যায় আমার টিউনগুলো ইনডেক্স হয়ে গেছে। এবার সাইটের অনপেইজ অপটিমাইজেশন শুরু করা হবে। অনপেজের যত ফ্যাক্টর গুলো আছে সব ঠিকঠাক করে ফেলব এই দিনে। ডিফল্ট থিম চেঞ্জ করা হবে। সাথে টুকটাক যা কাজ থাকে ওইগুলো শেষ করে ফেলতে হবে।
তৃতীয় দিন
নতুন কি ওয়ার্ড নিয়ে আর ১টা আর্টিকেল পাবলিশ করা হবে।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সাইটম্যাপ সহ গুগলে সাইট সাবমিট করবো।
অন্য সকল সার্চ ইঞ্জিনে সাইট সাবমিট করা হবে।
চতুর্থ দিন
আজ থেকে অফ পেজ শুরু করা হবে। প্রথমেই বিভিন্ন সাইটে প্রথম ২ টা টিউনের ২০ টা বুকমার্ক করা হবে। বিভিন্ন ফিড RSS সাইটে সাইট সাবমিট করা হবে। সাইটের জন্য ১টা ফেসবুক পেজ খোলা হবে আর লাইকের জন্য লাইক এক্সচেঞ্জ সাইট গুলো লাইক বাড়ান হবে। টুইটার আর গুগল প্লাসে সব টিউনের লিঙ্ক শেয়ার করা হবে। সোশ্যাল সিগন্যাল ভালভাবে পেলে কাজ অনেক সহজ হবে। শেয়ার, লাইক, প্লাস আর টুইট সেই ক্ষেত্রে অনেক কাজের।
পঞ্চম দিন
প্রথমেই নতুন আর ১টা কি ওয়ার্ড টার্গেট করে নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হবে। এর পর বুকমার্ক করা হয় নাই এই টিউনগুলোর সোশ্যাল বুকমার্ক শেষ করতে হবে।
এখন থেকে আমরা কি ওয়ার্ড টার্গেট করে আগাবো। নিজের কি ওয়ার্ড সহ অরগানিক র্যাঙ্কিং ইম্প্রুভ করার চেষ্টা করব। এই মুহূর্তে আমি হাই পি আর (২ থেকে ৭ অরজিনাল র্যাঙ্ক, রুট ডোমেইন র্যাঙ্ক না) ডু ফলো ব্যাকলিঙ্ক ক্রিয়েট করব। আউট বাউণ্ড লিঙ্ক ১০০ এর উপরে যাবেনা। এই ক্ষেত্রে আমি ব্লগ টিউমেন্ট করে ডু ফলো ব্যাকলিঙ্ক নিবো যেহেতু আমার কাছে ফ্রেশ লিস্ট আছে। খুব অল্প পরিশ্রমে পাওয়ারফুল ব্যাকলিঙ্ক। এঙ্কর টেক্সটে মেইন কি ওয়ার্ড সহ রিলেটেড কি ওয়ার্ড থাকবে। আজকে ২টা কি ওয়ার্ডের জন্য ২০টা করে ব্লগ টিউমেন্ট করা হবে। (এইটাতে কারো সমস্যা হলে নিচের পদ্ধতি ফলো করেন অথবা অন্য কোন ধরনের ব্যাকলিঙ্ক করেন যেমন আর্টিকেল ডিরেক্টরি সাবমিশন, ফোরাম টিউনিং, ডিরেক্টরি সাবমিশন ইত্যাদি। তবে হাই পি আর আর ডু ফলো সাইট সিলেক্ট করা জরুরী।
ষষ্ঠ দিন
আজকে মেইন কি ওয়ার্ডের জন্য আর ১টা টিউনের জন্য ৩টা web2.0 ব্লগ তৈরি করা হবে। আর্টিকেল এ মেইন কি ওয়ার্ড এর পাশাপাশি সাব কি ওয়ার্ড থাকতে পারবে।
এই জায়গাতে এত হাই কোয়ালিটি আর্টিকেল আমার লাগবেনা বিভিন্ন সাইট থেকে আর্টিকেল স্ক্র্যাপ করা হবে আর তারপর একে হেভিলি স্পিন করা হবে। এইটা লক্ষ্য রাখব জাতে আর্টিকেল HUMAN READABILITY সম্পন্ন হয়।
সপ্তম দিন
টারগেটেড কি ওয়ার্ড এর রিলেটেড কি ওয়ার্ড নিয়ে ব্লগে টিউন করা হবে।
যতটুকু ডিপ ইন্টারনাল লিঙ্কিং করতে হবে আর সেই ক্ষেত্রে লং টেইল রিলেটেড কিওয়ার্ড ভালো কাজে আসবে। আজকে আবার কিছু ব্লগ টিউমেন্ট করা হবে তবে ভিন্ন ডোমেইনে। আমি সব ক্ষেত্রে যথা সম্ভব ইউনিক আর হাই পেজ র্যাঙ্ক সাইটে লিঙ্ক বিল্ডিং করতে পেরেছি।
আজ এই পর্যন্তই। পরবর্তী টিউন গুলোতে অনেক টেকনিক শেয়ার করা হবে। পরবর্তী টিউনে পরের ধাপ গুলো দেখানো হবে।
Post ta pore oneek valo lagse. Thanks