মূল্যবান কন্টেন্ট তৈরি করে নিজেকে দক্ষ প্রমাণ করুন সঙ্গে সরাসরি কাজের অফার লুফে নেওয়ার বিস্তারিত টিপস

টিউন বিভাগ এসইও
প্রকাশিত

আপনি একজন ফ্রীলাঞ্চার , ভাল কাজ ও আয় দুটোই করছেন তবু কেন আপনাকে কন্টেন্টের উপর বিশেষভাবে নজর দিতে হবে । তা নিয়ে ই আজ আপনাদের নিয়ে গবেষণা করব । কন্টেন্ট নিয়ে গত পর্বে একটি আর্টিকেল লিখেছিলাম । অনেক সারা পেলাম । শুধু মাত্র সেই একটি কন্টেন্ট আমাকে অনেকগুলো নুতুন কাজের অফার এনে দিল ।
এখন ও ভাবছেন কেন এতও কষ্ট করে মূল্যবান কন্টেন্ট লিখবেন । কেনই বা হাত বাথা করবেন । আপনার দ্বারা এতো লিখা সম্ভব না ।আপনি ভাল লিখতে পারেন না । কিন্তু আপনি কি একটি বার চেষ্টা করেছেন? একবার করে ই দেখেন সফল আপনি হবেনই । অন্তত ১০ টা আর্টিকেল লিখুন তাতেই আশা করি ভাল কন্টেন্ট রাইটার হয়ে যাবেন । অনেকই আমাকে একই প্রশ্ন করেন? আপু কি করে লিখব পারছি না ত । মাথায় যা আছে তাই লিখুন । যা নিয়ে কাজ করছেন তা নিয়েই লিখা শুরু করে দিন । তবু না পারলে কীভাবে লিখবেন তার জন্য আমার আগের আর্টিকেলটি দেখতে পারেন ।এতোক্ষণ বা আগে যদি আমার পূর্বের আর্টিকেলটি একবারও পড়েন তাহলে হয়তো আপনি মোটামোটি কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন । কনটেন্টটি সুন্দর করে সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে উপস্তাপন করতে পারলেই কিন্তু আপনি পেতে পারেন আপনার টার্গেট ভিজিটর এবং সর্বচ্চ ভাল পেজ রেঙ্কিং সঙ্গে মার্কেট প্লেস গুলো তে কাজ পাওয়ার অপার সম্বাভনা ।

পোস্টটি  আপনার জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ  :

•     মূল্যবান কন্টেন্ট কেন লিখা হয়ে থাকে ?
•     কন্টেন্টটি কীভাবে পাঠকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করবেন ?
•     গুগল উপযোগী এবং ভালমানের লেখা যে বিষয়ে উপর নির্ভর করে ?
•     কন্টেন্ট লিখেই আপনি কীভাবে বায়ারের কাছে  সরাসরি কাজের অফার পাবেন ?
•       প্র্যাকটিস  করার অভিনব কৌশল ?

মূল্যবান কন্টেন্ট কেন লিখা হয়ে থাকে ?

জানি আপনি ফেসবুক ভাল ব্যবহার করেন । কত না কিছুই পোস্ট করেন ।কত লাইক পড়ল কে কে কমেন্ট করল । ইস আমার পোস্ট এ এতও কম লাইক । আমাকে অনেক লাইক পেতেই হবে । এরকম অনেকেই চিন্তা করেন। তেমনি একজন আর্টিকেল রাইটারও চায় তার পোস্টটি সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে । অনেক ভিউ পেতে চায় সবাই । আপনি একটি কন্টেন্ট লিখলেন কেউ ই পড়ল না তাতে কি আপনি খুশি হবেন । অবশ্যই না। ভাবলাম আপনি সর্বত পোস্টটি শেয়ার করলেন। কিন্তু আপনার কন্টেন্ট টি তেমন ভাল না। নুতুন কিছুই নেই । আপনি হাজার চেষ্টা করুন খুব বেশি হয়তো ভিও হবে না । তাই আপনাকে এমন কিছু মূল্যবান কন্টেন্ট লিখতে হবে তা যেন সবার থেকে আলাদা এবং উনিক হয় । জনপ্রিয় হতে জান সবচেয়ে আগে প্রয়োজন মূল্যবান কন্টেন্ট তৈরি করা ।যতই সুন্দর মুগ্ধকর কন্টেন্ট লিখবেন ততই দর্শক আপনাকে এবং আপনার ওয়েবসাইট কে চিনবে। এছাড়া  গুগলের পেঙ্গুইন আপডেটের পর এসইও করার জন্য কনটেন্ট রাইটিং খুব বেশি গুরুত্বপূর্ন । সেজন্য ভেলুএবেল কন্টেন্ট  রাইটিংয়ের ব্যপারে কিছু টিপস ও থাকছে আমার আজকের এ লেখাটিতে । পুরোটুকু পড়ে নিজেরাও লেখার চেষ্টা করুন, হয়ে উঠুন কনটেন্ট রাইটার ।

কন্টেন্টটি কীভাবে পাঠকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করবেন ?

অবশ্যই এমন কিছু কারণ খুঁজে বের করতে হবে যেন পাঠক নিজেই আপনার কন্টেন্ট পড়তে আগ্রহী হয়ে উঠে । অনেক কিছুই লিখতে পারেন । প্রথমে মেইন পয়েন্ট গুলো সনাক্ত করুন কেন আপনি আর্টিকেল টি লিখবেন , কার জন্য লিখবেন ? ধরলাম আপনি নিজের জন্যই কন্টেন্ট লিখবেন ।এখন হয়তো ভাবছেন নিজে কে নিয়ে কি লিখবো । আমার মধ্যে ফিজিক্স , কেমিস্ট্রি কিছুই নেই । শুনেন জাস্ট আপনাকে একটি কন্টেন্ট ই তো লিখতে হবে কি নিয়ে লিখবেন তার পয়েন্ট গুলো শুধু আমি বলে দিচ্ছি বাকি কাজ আপনাদের ।

  • •    যে কাজ টি বর্তমানে লিখছেন তা নিয়ে লিখতে পারেন
  • •    আপনার সফল হওয়ার সঠিক দিক গুলো তুলে ধরতে পারেন
  • •    আপনি কারো ইন্টারভিউ নিয়ে লিখতে পারেন
  • •    বাস্তব কিছু নিয়ে লি লিখতে পারেন
  • •     এক্সপার্ট কিছু টিপস নিয়ে লিখতে পারেন
  • •    যা নিয়ে কাজ পারেন তা নিয়ে যত কিছু লিখা যায় তাই লিখুন


এখন আসুন জানি পাঠক কেন আপনার কন্টেন্ট টি পড়বে । আপনি নিজেই চিন্তা করুন আমার কন্টেন্ট টি আপনি কে পড়ছেন । কারণ হতে পারে নুতুন কিছু জানার আগ্রহ , শিক্ষার আগ্রহ । কিন্তু প্রথম কয়েক লাইন পড়ে ই পাঠক ভাবছে এ আবার নুতুন কি আগে ই জানতাম । দূর কি আজে বাজে যত তত কথা লিখছে । না আর পরব না । কিন্তু আপনি যদি গুছিয়ে সুন্দর করে লিখেন তবে নুতুন নুতুন টপিক নিয়ে চমৎকার সব বাক্য দিয়ে কন্টেন্ট টি লিখে থাকেন তবে কি না পড়ে পালিয়ে যেতে পারবে । পাঠক কে কখনও বোরিং করবেন না। সবসময় পাঠক যেন মজা পায় । একটানা লিখেই যাবেন আর পাঠক পড়েই যাবে তা কিন্তু কখনই হবে না । কি ভাবে মন জয় করবেন তা আপনারা অনেক ভাল জানেন তবু আমি উদাহরন দিতে পারি । ধরেন আপনি আপনার একজন কে প্রাইভেট পড়ান । তা আপনি কি তাঁকে শুধুই পড়াবেন ।পড়ায় গেলেন পড়ায় গেলেন কিন্তু সে কিছুই বুঝবে না । তাঁকে বোরিং না করে গল্প করুন সুন্দর সুন্দর উদাহরণ দিন  আর পড়ান দেখবেন সে আপনাকে আর ছাড়বেই না । কারণ পড়াগুলো ছন্দে ছন্দে হয়ে গেছে । সবাই কিন্তু তা পারে না। অন্তত আমি মজা করে কথা বলতে পারি না ।আপনারা পারবেন ।  বিষয় তা হয়তো পরিষ্কার হয়েছে । তবু না বুঝলে আমাকে জানাতে পারেন । আমি কিছু দিন হল ক্রিয়েটিভ আইটির প্রোজেক্ট ম্যানেজার এমডি ইকরাম ভাইয়ার একটি পেজ এ কিছু কন্টেন্ট লিখছি আমি তা দেখতে পারেন । তারপরও আমি আছি আপনাদের সেবায় । ও ভুলে গেছিলাম হাস্যরসে লিখতে বলেছি বলে একদম হাস্যরসে ভরায় দিয়েননা । তাইলে বিপদ বারে যাবে আরও । তাই হাসি মজা সব কিছুই মেইনতেন্ত করিয়েন ।
যখন কন্টেন্ট লিখবেন তখন লেখাটিকে  সবসময় চেষ্টা করুন সবার থেকে ভিন্ন কিছু এবং অনেক তথ্যসমৃদ্ধ কিছু উপস্থাপন করার। সেজন্য সেই টপিকসের উপর অনলাইনে থাকা অন্য লেখাগুলো আগে পড়ুন। সেজন্য গুগল, ইয়াহু, ওইকিপিডিয়া সার্চ করুন, তারপর প্রাপ্ত লেখাগুলো প্রথমে পড়ে নিন। এতে যে ব্যপারটি নিয়ে লিখছেন সেটির ব্যপারে আপনারও অনেক জ্ঞান বাড়বে। লেখাতে কাউকে আঘাত করে কিছু লিখবেননা, বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু না লেখা ভাল, না হলে আপনার নিয়মিত কিছু পাঠক হারাবেন ।
যেকোন লেখাতে ঢুকার পর প্রথমেই চোখের প্রশান্তি জরুরী । চোখ যদি দেখেই বোরিং হয়ে যায় তাহলে ব্রেন না পড়ার সিদ্ধান্ত নিবে। আর চোখ সবসময় সুন্দর জিনিস খুজে। সেজন্য লেখার সময় কয়েকটি বিষয় আপনাকে মনে রাখতে হবে সবসময়। পয়েন্ট পয়েন্ট করে সব লিখা যেন পড়তে সুবিধা বোধ করে মানুষ । চোখ সুন্দর জিনিস খুঁজে তাই লেখার মধ্যে আকর্ষণীয় ছবি ব্যবহার করলে পাঠকের ব্রেন পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করে ।

গুগল উপযোগী এবং ভালমানের লেখা যে বিষয়ের  উপর নির্ভর করে ?
প্রফেশনার রাইটাররা লেখার আগে যা লিখতে চান, সেটার মূল পয়েন্টগুলো গুছিয়ে নেয় । ভাল কোন লেখার খুবই কাযকরী একটি টিপস এটি। তারপর লেখার সময় শুধু এই পয়েন্টগুলোর বিস্তারিত লিখলেই একটি ভালমানের লেখা তৈরি হয়ে যায় । ওয়েবমার্কেটিং, সার্চ র‌্যাংকিং এবং কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের জন্য মৌলিক এবং ভাল মানের লেখা লিখার চেষ্টা করতে হবে । লিখা তো লিখলেন এখন গুগল উপযোগী হতে হবে তার জন্য আপনার করনীয় কাজ কন্টেন্ট কে সাজিয়ে তুলা । আপনার  কনটেন্ট গুলোকে এমন ভাবে সাজান যেন দেখতেই মায়া লাগে । ঠিক যেমন করে আপনার প্রেমিকা/প্রেমিককে সাজালে ভাল লাগত ।  ভাল মানের লিখার জন্য আপনি কতটা দক্ষ ? আপনি কতটুকু জানেন? বানানগুলো কি ঠিক করেছেন? আপনি কি  সঠিক ও সুন্দর শব্দের ব্যবহার করতে জানেন ? লেখাটি সম্পর্কে আপনার জ্ঞান কতটুকু ? টপিকস সম্পর্কে গবেষণা ও প্রচুর জ্ঞান আছে কি আপনার ? আপনার লিখাটির ভাষা কি প্রানবঞ্জল । পাঠক কতটুকু সন্তুষ্ট আপনার লিখা পড়ে তা যদি আপনি নির্ধারণ করতে পারেন এবং সব বিষয় গুলো আপনি ঠিক ভাবে পারেন আপনি ভাল কন্টেন্ট রাইটার হতে পারবেন ই । অবশ্যই একটি কথা মাথায় রাখবেন কখনও কারো লিখা সম্পুন্ন কপি করবেন না । কারো লিখা থেকে ভাল কিছু পয়েন্ট থাকলে তা নোট করুন নিজের ভাষায় গুছিয়ে লিখুন । গুগল সবার মামা তাই গুগল মামা সহজেই বুঝতে পারে । সর্বদা নিজে উনিক লিখা লিখতে চেষ্টা করুন ।

কন্টেন্ট লিখেই আপনি কীভাবে বায়ারের কাছে সরাসরি কাজের অফার পাবেন ?

অনেকে চিন্তা করছেন কন্টেন্ট লিখে আয়ই করতে পারি না ঠিক মত আবার বায়ার আমাকে কাজ দিবে তাও সরাসরি ?মাথা নষ্ট নাকি । কয় কি এসব ।  আমি একটু বুজিয়ে বলি । মন দিয়ে শুনেন ।
ধরেন আপনার এক বান্ধবি অনেক ভাল আর্ট করতে পারে । নিজে নিজে ই ফটোশপে অনেক সুন্দর সুন্দর নকশা তৈরি করতে পারে । আপনি জানেন সে ভাল পারে । হঠাৎ আপনার একটি লোগো লাগবে । আপনি অবশ্যই আপনার বন্ধুর কাছেই যাবেন । তেমনি আপনি কন্টেন্ট লিখেন কোন বিসয়ের উপর । তা অনেকেই পড়ে ভিউ অনেক বেশি হয় সবাই আপনাকে সুন্দর কন্টেন্টের জন্য ধন্যবাদ জানায় ।আপনার কাজের দক্ষতা সকলের কাছে পরিস্কার হয়ে যায় আপনি কতটুকু দক্ষ । আপনি হয়ে উঠেন সকলের পরিচিত একজন । ফলে আপনাকে কাজ দিতে কারো কোন রকম শঙ্খজ থাকবেনা । তারা আপনার প্রকৃত ট্যালেন্ট আপনার  কন্টেন্টের মাধ্যমেই জেনে যাবে । এখানেই শেষ নয় ।আপনার লিখা কন্টেন্টটি যারা ভিও করে তারা ভাববে আপনি অনেক এক্সপার্ট ফ্রীলেঞ্চার । কেউ কেউ হয়তো আপনার লিখা পড়ে অনেক কিছু জানবে সঙ্গে আপনি নিজেরও মার্কেটিং করে ফেললেন । আপনি হয়তো আগে ই জানতেন ফ্রীলাঞ্চিং এ সফল হবার মূলমন্ত্রই হল নিজেকেই সবচেয়ে বেশি মার্কেটিং করা । তার সাথে আপনার কাজের দক্ষতা ফুটে উঠে আপনার লিখা কন্টেন্ট দিয়ে । এখনও কি ভাবছেন জনপ্রিয় হতে পারব বুঝলাম কিন্তু বায়ার কই আমাকে অফার করল কাজের । আগে ই বলেছি মার্কেটিং হল কাজ পাওয়ার মূল মন্ত্র। আপনি যদি আপনার দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেন আশাকরি খুব বেশিদিন লাগবে না কাজ পেতে । আরও বেশি ভাল হয় নিজের ই একটি ব্লগ তৈরি করে নিন । ব্লগে আপনার বিস্তারিত তথ্য দিন । কাজের নমুনা হিসেবে পোটফলিও তৈরি করুন । সঙ্গে আপনার লিখা কন্টেন্ট গুলো বিশ্ব সেরা ওয়েবসাইট গুলোতে প্রকাশ করার পাশাপাশি আপনার নিজের ব্লগেও রাখুন । বায়ার আপনার লিখা গুলো পড়লেই বুঝবে আপনি টপ লেভেলের একজন ফ্রীলেঞ্চার । ফলে কাজ আপনি পাবেন ই । আমি শুধু একটি কন্টেন্ট লিখেই অনেক গুলো কাজের অফার পেয়েছি । আপনারাও পারবেন । তাই যা নিয়ে কাজ করছেন সেটাই কন্টেন্ট হিসেবে ব্যাবহার করুন । আবার বুঝলেন বায়ার কেন আপনাকে নিজে এসে কাজ দিবে ।কন্টেন্ট রাইটিং অনেক সহজ !!! হুম, যেনতেন একটা কন্টেন্ট লিখা অনেক সহজ। কিন্তু একটু ভালো করে গুছিয়ে কন্টেন্ট লিখতে পারা একটা আর্ট বটে । তাই সর্বদা গুছিয়ে লিখুন আপনার কন্টেন্ট ।

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার যোগ্যতা অনুসারে  নিজের পরিচিতি তৈরি করতে চেষ্টা করুন। ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, লিংকডিনে আপনার দক্ষতার পরিচিতি পাওয়া যায়, এমন কিছু কন্টেন্ট যেটি আপনি লিখছেন তার লিংক সহ আর কিছু লিখে প্রতিদিন পোস্ট করুন এবং অন্যদের কাজ শিখতে সাহায্য করেন। বিভিন্ন ব্লগে গিয়ে সেখানকার পোস্টে কমেন্ট করুন।লিখার অভ্যাস গড়ে তুলুন । কমপক্ষে ১৫ দিন পর পর আপনার দক্ষতার পরিচিতি পাওয়া যায় , এমন কোন লেখা পোস্ট করতে পারেন।
মনে রাখবেন, সফলতার কোন সংক্ষিপ্ত রাস্তা নাই। সেজন্য দরকার আপনার পরিশ্রম করার মানসিকতা, ধৈয্য এবং সাধনা। এই তিনটি কাজ ঠিক মত করলে ভাল ক্যারিয়ার গড়তে কখনও ব্যর্থ হতে পারবেননা্। যাদেরকে সফল হতে দেখেছি নিজের চোখে, তাদের মধ্যে এ বিষয়গুলোর চর্চা খুব বেশি ছিল। দক্ষ বাক্তি হলে আপনাকে কাজ খুজতে হবে না । শুধু নিজেকে ব্র্যান্ডিং করুন ।
আপনি অনেক ভাল এসইও এক্সপার্ট, গ্রাফিকস ডিজাইনার কিংবা ওয়েবডিজাইনের কাজ জানেন, কিন্তু সেটি যদি কেউ না জানে, তাহলে আপনাকে কিভাবে কাজ দিবে। যে কোন বিষয় এ এক্সপার্ট হিসেবে নিজের পরিচিতি তৈরির জন্য পরিকল্পনা করে এগিয়ে যাওয়া উচিত। বিভিন্নভাবে ধীরে ধীরে নিজেকে এক্সপার্ট হিসেবে পরিচিতি তৈরি করার চেষ্টা করুন। আপনার কাজের যোগ্যতা পোঁচারে সাহসী হন ।

ওয়ার্ড অফ মাউথ অ্যাডভার্টাইজ ফলো করুন । বুঝলেন না কি বললাম। ওয়ার্ড অফ মাউথ অ্যাডভার্টাইজ অর্থাৎ মুখে মুখে প্রচার টেকনিক যেকোন কিছু মার্কেটিংয়ে সবচাইতে কাযকরী অস্ত্র। আপনি কাজ ভাল জানেন, কিন্তু কেউই সেটা জানেনা। তাহলে কাজ পাবেন কিভাবে সেটা একবার ভেবে দেখেন। মার্কেটপ্লেসে কাজ করলেও প্রচারের এই টেকনিক অবশ্যই ফলো করতে হবে। তাহলে নিজেকে জনপ্রিয় পরিচিত একজন করে তুলুন সফল আপনি হবেন ই ।

প্র্যাকটিস  করার অভিনব কৌশল  :

যখন হাতে কোন কাজ না থাকবে, তখনই রিয়েল কাজের প্র্র্যাকটিস করুন।কাজ গুলোর বর্ণনা নিয়ে কন্টেন্ট লিখুন । নিজের জন্য অন্তত লিখুন আর প্র্যাকটিস করুন কাজ গুলো , বিভিন্ন প্রতিযোগীতাতে অংশগ্রহন করুন, বিভিন্ন কমিউনিটিতে কিংবা ফোরামে কিংবা ব্লগে  লিখাগুলো জমা দিন। অন্যদের থেকে সেই কাজের ব্যাপারে মতামত নিন। সেই অনুযায়ি কাজের আরও আপডেট করুন। প্রতিদিন এই জন্য কিছু সময় নির্ধারণ করুন। এই প্র্যাকটিস আপনার কাজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আরও বেশি সহযোগিতা করবে। সেই সাথে আপনার কনফিডেন্টও বৃদ্ধি করবে অনেক। মনে রাখতে হবে, যেকোন কোর্স  আপনাকে  সেই কাজের জন্য মাত্র ২০% উপযুক্ত হিসেবে তৈরি করবে কিন্তু পুরোপুরি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ শুরু করার জন্য প্রচুর কাজের প্র্যাকটিস করতে হবে।

নিজেই নিজের উপর কনফিডেন্ট রাখতে না পারলে বায়ার আপনার উপর কিভাবে কনফিডেন্ট রাখবে। আগে ভাবতে শিখুন, সকল কিছুই আপনার দ্বারা করা সম্ভব। শুধু মাত্র নতুন কাজ হিসেবে একটু পরিশ্রম হবে, সেটি হলেও করা সম্ভব। এ বিশ্বাস আগে তৈরি করুন। সঙ্গে লিখতে থাকুন নানা প্রযুক্তি মাতানো নুতুন সব কন্টেন্ট । লিখবেন তো । আমাকে আপনার লিখা গুলোর লিংক কিন্তু অবশ্যই দিবেন । হয়তো আপনাদের দ্বারাই আমি অনেক আপডেট কিছু সিক্তে পারব । তাই দেরি না করে যা যেটাই করছেন তা নিয়ে ই কন্টেন্ট তৈরি করতে এখন এ বসে পড়ুন ।
সর্বশেষে বলব  এ ধাপগুলো অনুসরণ করে লেখালেখি শুরু করুন। কমপক্ষে ৫টি আর্টিকেল বা কন্টেন্ট লেখুন। দেখবেন একদিন নিজেও প্রফেশনাল রাইটার হয়ে যেতে পারবেন। আর একজন প্রফেশনাল রাইটার হিসেবেও  প্রেস রিলিজ,  ব্লগ রাইটিং,  সেলসকপি রাইটিং এবং অন্য যেকোন জায়গাতে লেখালেখি করেও ভাল মানের আয় করতে পারবেন । সেই সাথে বোনাস হিসেবে পাবেন প্রচুর সুনাম ।

লিখাটি আমি আগে পোস্ট করেছিলাম জেনিসিসব্লগস এ

এ লেখাটি শুধুমাত্র নিজে একা না পড়ে, সবাইকে পড়ার সুযোগ করে দিন। সেজন্য এ পোস্টটির লিংক আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন। ভাল লাগলে কমেন্ট করলে পরবর্তী আকর্ষণটি পোস্ট করতে উৎসাহ পাব।
এসইও কিংবা অন্য যেকোন ব্যপারে যেকোন প্রশ্নের জন্য আমার ফেসবুক জানাতে পারেন ।

Level 0

আমি নাসরিন আক্তার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 13 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

bookmark করে রাখলাম। ধন্যবাদ।

উপকারী পোস্ট, ধন্যবাদ।

মাথাটা আউলায় গেল, অতিসুন্দর টিউন করার জন্য অতি ধন্যবাদ ।

ধন্যবাদ

আপু চালাইয়া চান। ভাল হয়েছে।

Level 0

Valo LAglo ..Pore upokrito holam

valo laglo apni chaliea jan ami ami achi

কন্টেন্ট লেখার উপর গুরুত্বারোপ করে লেখা আপনার কথাগুলো সত্যিই অনেক মূল্যবান। পড়া পাশাপাশি লেখার অভ্যাস যাদের রয়েছে তাদের জ্ঞান ও জানায় পূর্ণ আসে। সেই চীনা প্রবাদটির মতো,
Tell me, I’ll forget
Show me, I’ll remember
Involve me, I’ll understand.
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।