সাধারণত যারা প্রফেশানালি এসইও এর কাজ করেন বা নিজের ওয়েবসাইটকে যারা এসইও করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য কম্পেটিটর এনালাইসিজ বা কম্পেটিটর রিসার্চ সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকাটা অনেক জরুরী। ঠিকমত কম্পেটিটর রিসার্চ করতে পারলে আপনার সাইটের প্রতিদ্বন্দী সাইটগুলো সম্পর্কে ভাল ধারণা পাবেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের এসইও করাটা অনেক সহজ হয়ে যায় এবং র্যাংকিংয়ে উপরের দিকে থাকা আপনার সাইটের রিলেটেড অনেক সাইটকে টপকে আপনার সাইটকে খুব সহজে সার্চ ইঞ্জিনের টপে নিতে পারবেন। এবার আসুন দেখি কম্পেটিটর এনালাইসিস কি? কেন করবেন এবং কিভাবে করবেন কম্পেটিটর এনালাইসিস।
কম্পিটিটর অ্যানালাইস কি এবং কেন করা হয় এ কাজ, সেটি বললাম। কিভাবে করত হয়, সেটি এবার জানানো হবে। তবে এটি ক্রিয়েটিভ আইটি আয়োজিত নারী স্কলারশীপপ্রাপ্ত তানজিনের একটি বিশেষ ক্লাশের উপর ভিত্তি করেই লিখা হয়েছে। তানজিনে অল্প কিছু পরিচয় দিয়ে তারপর শুরু করলে ভাল হবে। সে একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। নতুন বাচ্চা হওয়ার পর থেকে চাকুরী ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিংকেই তার নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। এসইওর উপর আউটসোর্সিং কাজ করে। বর্তমানে ক্রিয়েটিভ আইটিতে স্কলারশীপ পেয়ে ওয়েবডিজাইনের উপর কোর্স করছেন।
আগের পর্বের লিংকঃ কম্পেটিটর এনালাইসিস শিখুন একদম হাতে কলম এবং আয় শুরু করুন আজকে থেকেই(১ম পর্ব)
ধাপঃ২: প্রথম দুটি কলামতো পূরন করলাম। কারন প্রথম কলামে সিরিয়াল নাম্বার, দ্বিতীয় কলামের তথ্যের জন্য গুগলে গিয়ে কীওয়ার্ডটি দিয়ে সার্চ দিন। সেই সার্চের লিস্টের প্রথম ৫টি ওয়েবসাইটের url টি নিয়ে ২য় কলামে লিখুন।
ধাপঃ ৩: ৩য় কলামে অর্থাৎ page PR কলামে সেই ওয়েবসাইটের পেজটির PR যোগ করুন। এই তথ্য খুজের বের করার জন্য নিচের লিংক হতে সাহায্য নিতে পারেন। http://www.prchecker.info/
ধাপঃ ৪: ৪র্থ কলামে ডোমেইন পেইজ র্যাংকের তথ্য লিখতে হবে। উপরের একই লিংক থেকেই এই তথ্যটিও যোগাড় করে নিতে হবে।
ধাপঃ ৫: ৫ম কলামে অর্থাৎ অ্যালেক্সা র্যাংকিং কলামে অ্যালেক্সা র্যাংকের তথ্যটি যোগ করুন। সেজন্য নিচের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। http://www.alexa.com/
ধাপঃ৬: ৬ষ্ঠ কলামে অর্থাৎ No of Indexed page কলামে কতটি পেজ ইনডেক্স করা হয়েছে, সেই তথ্যটি বসাতে হবে। সেটি বের করার জন্য আপনার ব্রাউজারে অ্যাডওন ইনস্টল করে নিতে হবে। অ্যাডওনটি ইনস্টলের জন্য নিচের লিংকে প্রবেশ করুনঃ http://www.seoquake.com/
এই অ্যাড-ওনটি ইনস্টল থাকলে আপনি ইনডেক্স পেজের তথ্য পেয়ে যাবেন। আগের তথ্যগুলোসহ সকল তথ্যগুলো এটি ইনস্টল থাকলে সহজে পেযে যাবেন।
ধাপঃ৭: ৭নং কলামে অর্থাৎ ”google places” নামের কলামটিতে গুগল প্লেসে এই ওয়েবসাইটটি লিস্টেড আসে কিনা, সেটি উল্লেখ করেছি। গুগলের সার্চ রেজাল্টের দিকে তাকালেই আশাকরি বুঝতে পারবেন, সেটি গুগল প্রেসে লিস্টেড আছে কিনা।
ধাপঃ৮: এই কলামে গুগল প্লাসে কোন পেজ আসে কিনা সেটি লিখতে হবে। সেটি জানার জন্য seo quake অ্যাডওন টি থেকে সাহায্য পেয়ে যাবেন।
ধাপঃ৯: এই কলামে গুগল রিভিউ স্ট্যাটাসটি লিখা হয়েছে।এই কলামের তথ্যের জন্য গুগলের সার্চ রেজাল্ট পেজ থেকেই তথ্য পেয়ে যাবেন। আপনি যখন Cleaning Service NYC কীওয়ার্ডটি দিয়ে সার্চ করেছেন, তখন যেই ফলাফল গুগল আপনাকে প্রদর্শন করেছে, সেখানে ওয়েবসাইটের নামের নিচে দেখতে পারবেন, গুগল রিভিউয়ের তথ্য।
ধাপঃ১০: এই কলামটিতে লিখতে হবে আপনার টার্গেটেড কীওয়ার্ডটি সেই ওয়েবসাইটের টাইটেলে দেওয়া আছে কিনা।যদি কীওয়ার্ডটি টাইটেলে থাকে তাহলে কলামটিতে yes লিখতে হবে।
ধাপঃ১১: আপনার টার্গেটেড কীওয়ার্ডটি যদি র্যাংক পাওয়া ইউ আর এলে থাকে তাহলে সেটি এই কলামে উল্লেখ করতে হবে। এই তথ্যটি বের করার জন্য ওয়েবসাইটটিকে ব্রাউজারে ওপেন করলেই অ্যাড্রেসটি দেখলেই বুঝতে পারবেন।
ধাপঃ১২: ১২নং কলামে খুজে দেখতে হবে কম্পিটিটেরের ওয়েবসাইটের মেটা ডেসক্রিপশনে আপনার টার্গেটেড কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করা হয়েছে কিনা। সেজন্য ওয়েবসাইটটি ব্রাউজারে ওপেন করে ctrl + u চাপতে হবে। তাহলেই ওয়েবসাইটটির কোড আপনার কাছে উন্মুক্ত হবে। সেখানেই মেটা ডেসক্রিপশনটি খুজে নিয়ে দেখুন কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করা হয়েছে কিনা। যদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাহলে আপনার এক্সসেল ফাইলের কলামে উল্লেখ করুন।
ধাপঃ ১৩: টার্গেটেড কীওয়ার্ড ওয়েবসাইটের প্রমিনেন্ট এরিয়াতে থাকলে সেটি উল্লেখ করা হয়েছে এ কলামটিতে। ওয়েবসাইটের প্রমিনেন্ট অ্যারিয়া হচ্ছেঃ <b> , <strong,>, <body>, <meta tag>, <h1>, <Title>, <p>, <br>, <i> , <em>
ধাপঃ ১৪: ওয়েবসাইটটির ডোমেইন বয়স চেক করে সেই তথ্যটি এক্সসেল ফাইলে ১৪ নং কলামে উল্লেখ করতে হবে। সেটা জানার জন্য লিংকটিতে প্রবেশ করুনঃ http://smallseotools.com/domain-age-checker/
ধাপঃ ১৫: এই কলামটিতে অর্থাৎ content age কলামে ওয়েবসাইটের কনটেন্টের বয়স লিখা হবে। এ তথ্যটি বের করার জন্য নিচের লিংকটিতে যেতে পারেন। লিংকঃ web.archie.org এ লিংকে গিয়ে নির্দিষ্ট জায়গাতে কম্পিটিটর সাইটের ঠিকানা লিখে সার্চ দিন, তথ্যটি পেয়ে যাবেন।
ধাপঃ ১৬: কম্পিটিটর ওয়েবসাইটগুলোর সোশ্যাল সিগনাল জেনে এই কলামটিতে লিখতে হবে। সেই তথ্য বের করার জন্য রয়েছে একটি টুলস। সেই লিংকঃ http://monitoringsocials.com/ এখানে টুইটার, ফেসবুক, ডিগ, স্ট্যাম্বলআপন, ডেলিসিয়াস, লিংকেডিনের রিপোর্ট নিয়ে সেটি এক্সসেল ফাইলে সেভ করতে হবে।
ধাপঃ ১৭: কম্পিটিটরের ব্যাকলিংক সংখ্যা এই কলামে উল্লেখ করতে হবে। ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক চেক করার জন্য লিংক দিচ্ছি, http://smallseotools.com/backlink-checker/
এই লিংকে গিয়ে ওয়েবসাইটের নাম দিয়ে সার্চ দিলেই ব্যাকলিংক সংখ্যা জানা যাবে।
ধাপঃ ১৮: এই ধাপে এসে কাজ শেষ। সকল তথ্য পেয়ে গেছি। ৫টি কম্পিটিটর ওয়েবসাইটের তথ্যগুলোকেই এক্সসেল ফাইলে লিপিবদ্ধ করার কাজ শেষ। কাজ শেষের পর এক্সসেল ফাইলটি কিরকম হয়েছিল সেটি দেখার জন্য এক্সসেল ফাইলটি নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
কম্পিটিটর অ্যানালাইসিস রিপোর্ট ডাউনলোড লিংক।
এখানে বায়ারের চাহিদা অনুযায়ি যা যা দরকার ছিল, সেগুলোই শুধু দেখানো হয়েছে। তবে কম্পিটিটর অ্যানালাইস করার জন্য আরো অনেক তথ্য বের করার প্রয়োজন হতে পারে। সেগুলোর প্রয়োজন অনুযায়ি, বাকিটুকু গুগলের সাহায্য নিয়ে বের করে নিতে পারেন। কিংবা ফেসবুকে আমার সাথে যোগাযোগ করেও জেনে নিতে পারেন। যতটুকু জানা আছে, চেষ্টা করব সহযোগিতা করার। তাছাড়া ক্রিয়েটিভ আইটির ফেসুবক গ্রুপে গিয়েও প্রশ্ন করতে পারেন।
ফেসবুকগ্রুপঃ ক্রিয়েটিভ আইটি ইন্সটিটিউট
আমি মোঃ ইকরাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 102 টি টিউন ও 130 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
নিজেকে অনলাইন ব্রান্ড এক্সপার্ট হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করলেও গ্রাফিকস, ওয়েবডিজাইন এবং অ্যানিমেশন বিষয়েও প্রচুর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ব্লগিংটা নেশার কারনে করি। নিজের ব্লগের লিংকঃ http://genesisblogs.com/
আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ। তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো বিশ্লেষন করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করাটা হলো প্রতিযোগীতা পর্যালোচনা পর্বের মূল কাজ। কোন তথ্য কি ধরনের অর্থ বহন করে তা নিয়ে আরেকটি নিবন্ধন লিখতে পারেন। তাহলে যারা নতুন তারা প্রতিযোগীতা পর্যালোচনা করা করে তা থেকে অর্থবহ তথ্য বের করতে ও স্বীর্ধান্ত নিতে শিখতে পারতো। এই কাজটি শিখতে পারলে তারা এস ই ও এর গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ে দক্ষ হতো। তারা এস ই ও সহকারী থেকে এস ই ও ব্যবস্থাপকে উন্নিত হতে পারবে।