অথরিটি বিল্ডিং : গুগলের সর্বশেষ আপডেটের (হামিংবার্ড আপডেট) পর এসইও করার পদ্ধতি

টিউন বিভাগ এসইও
প্রকাশিত

গুগলের সর্বশেষ আপডেটের পর তথাকথিত লিংকবিল্ডিংয়ের যুগের সমাপ্তি ঘটল। যারা কিছু না বুঝেই শুধুমাত্র ব্যাকলিংক কিংবা লিংকবিল্ডিং করেই এতদিন এসইও করে আসছেন, তাদের এখনই স্ট্রাটেজি পরিবর্তন করতে হবে এবং প্র্যাকটিস শুরু করতে হবে অথরিটি বিল্ডিংয়ের। কারন নতুন আপডেটে এটিকেই সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতের আপডেটগুলো এটির উপর ভিত্তি করেই হবে, সেই ইংগিত পাওয়া গেছে।

নিজেকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রমাণ করার পাশাপাশি ওয়েবসাইটের লিংক বিল্ডিং করাকেই অথোরিটি বিল্ডিং বলে। এই অথোরিটি বিল্ডিং চিরাচরিত লিংকবিল্ডিংয়ের চাইতে কয়েকটি কারনে অনেক বেশি কাযকর। অথোরিটি বিল্ডিংয়ে এক ঢিলে কয়েকটি পাখি মারা সম্ভব হয় অর্থাৎ এভাবে এসইও করলে এসইওর পাশাপাশি অনলাইন মার্কেটিং, ব্রান্ডিং, পাবলিক রিলেশন একই সাথে তৈরি হয় যা আপনার ব্যবসার প্রসার আরো কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয় এবং যার ফলাফল অনেক বেশি দীর্ঘাস্থায়ী হবে। সেই সাথে ওয়েবসাইটে ভিজিটর এবং সার্চ পজিশনও অনেক আপডেট হবে।

আমার আজকের লিখাতে অথোরিটি বিল্ডিংয়ের কাযকরী কিছু পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি।

 ১।  ব্লগিং: সবসময় মানসম্পন্ন আর্টিকেল বা কন্টেন্ট লিখবেন। অনেকেই বলে থাকেন ''মানসম্পন্ন কন্টেন্টই হলো এসইওর প্রধান সম্পদ''। এটি কোন ভুল কথা না। মানসম্পন্ন কনটেন্ট আপনার এসইওর ৮০% কাজ সম্পন্ন করে দেয়। যদি আপনারটি কোন ব্লগ সাইট কিংবা যেসব সাইটে নিয়মিত আপডেট করার প্রয়োজন হয়, এ ধরনের কোন সাইট না হয়ে থাকলে সে ক্ষেত্রে কি করবেন? এ ধরনের ওয়েবসাইটে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করলে খুব ‍ভাল ফলাফল পাবেন। আপনি যদি বড় বড় ওয়েবসাইট যেমনঃ 99designs.com, hostgator.com এ প্রবেশ করেন তাহলে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের সাথে একটি ব্লগ দেখতে পারবেন, যেখানে নিয়মিত পোস্ট করা হয়। আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে, ব্লগিং শুধুমাত্র সাইটের লিংক কিংবা ভিজিটরদের আকর্ষন করার জন্য করা হয়না। আপনার লেখার মানের কারনে কোম্পানীর ব্রান্ডিংয়ের সাথে ফ্রি হিসেবে  নিজেরও ব্রান্ডিং হয়ে যাবে। যেই বিষয়ে উপর লিখসেন, সেই ফিল্ডে এক্সপার্ট হিসেবে মানুষের মাঝে নিজের পরিচয় ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ব্লগিং সবচাইতে কাযকরী একটি মাধ্যম। সেই কারনে মানুষ আপনার কাছ থেকে কিছু পাওয়ার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। নিজের ব্লগে পোস্ট দেয়ার সাথে সাথে সমান ভাবে গুরুত্ব দিয়ে গেস্টব্লগ সাইটগুলোতেও পোস্ট করতে হবে। সেই সব সাইটগুলোর নিজস্ব ভিজিটরকে নিজের ওয়েবসাইটে তাহলে খুব সহজে নিয়ে আসতে পারবেন।

২। সোশ্যাল মিডিয়াঃ

সামাজিক যোগাযোগ এর সাইট গুলোকে ভালভাবে কাজে লাগান, সেখানে আপনার শক্তিশালী ভুমিকা রাখুন অর্থাৎ মানুষ যাতে আপনাকে খুব অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তি ভাবতে পারে, সেইভাবে নিজের উপস্থিতিকে সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। আর ইতিমধ্যে যদি ১নং ধাপ অর্থাৎ ব্লগিং শুরু করে থাকেন, তাহলেতো অবশ্যই টুইটারে প্রতিটি পোস্টকে টুইট শুরু করতেই হবে। নিজের ব্লগের পোস্টকে আরও বেশি মানুষকে পড়ানোর জন্য অর্থাৎ যারা আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগের ভিজিটর না, তাদের মাঝে নিজের পোস্টকে প্রচার করার জন্য টুইটারসহ অন্যান্য বিখ্যাত সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করুন। তাহলে আপনার ব্লগের পাঠক কয়েকগুন বেড়ে যাবে। যেই সোশ্যাল মিডিয়া সাইট অবশ্যই ব্যবহার করবেন, সেগুলো হলোঃ facebook.com, plus.google.com, twitter.com, pinterest.com, linkedin.com । এইসব সোশ্যাল সাইটগুলোতে নিজেকে  বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রমান করার জন্য ভুমিকা রাখুন।

৩। প্রেস রিলিজ প্রকাশঃ মিডিয়াতে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক প্রকাশ করতে পারলে যেইপরিমানে আস্থা এবং পরিচিতি তৈরি করা যায়, আর অন্য মাধ্যমে এত সফলভাবে সেটি করা সম্ভবনা। হতে পারে আপনার লোকাল কোন পত্রিকা কিংবা কোন ব্লগে যেখানে নির্দিষ্ট পাঠক আছে, সেসব জায়গাতে পোস্ট করতে পারলে আপনার ওয়েবসাইটের ভ্যালু অনেক বেড়ে যাবে। অনলাইনের মাধ্যমে এই নিউজ প্রকাশের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন। অনলাইনে http://www.helpareporter.com এ ওয়েবসাইটের মত আরও অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের সার্ভিসকে অনলাইন ভিত্তিক প্রেসে দিতে পারবেন। যদি কিছু সংবাদ পাবলিশ করতে পারেন, তাহলে সেগুলো নিয়ে ওয়েবসাইটে প্রেস নামে একটি লিংক করে সেখানে সকল লিংকগুলোকে যুক্ত করলে বেশি উপকৃত হবেন।
নতুন আপডেট নিয়ে যারা বিশাল সমস্যাতে আছেন, তারা আমার ফেসবুক গ্রুপে এসে নিজেদের সমস্যার কথা বলতে পারেন। যতটুকু সম্ভব, সমাধান দেয়ার চেষ্টা করব।

ফেসবুকগ্রুপঃ  facebook.com/groups/creativeit/

Level 0

আমি মোঃ ইকরাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 102 টি টিউন ও 130 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

নিজেকে অনলাইন ব্রান্ড এক্সপার্ট হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করলেও গ্রাফিকস, ওয়েবডিজাইন এবং অ্যানিমেশন বিষয়েও প্রচুর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ব্লগিংটা নেশার কারনে করি। নিজের ব্লগের লিংকঃ http://genesisblogs.com/


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

দারুণ লিখেছেন ইকরাম ভাই। সময় পেলে হামিংবার্ড আপডেট নিয়ে আরও বিস্তারিত লিখবেন আশাকরি।

    Level 0

    @আল-আমিন দিপ্ত: ঠিক আছে ভাই। আপনার কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ

bhai Social Bookmarking and Directory Submission ki ager moto e site er jonno effective???

    Level 0

    @অর্নব: Social Bookmarking supporting er jonno help korbe but age jeivabe etar upor nirvor korei sob korten, seta ekhon change korte hobe

@ekram.cit
Bhai onek sundhor likhsen

Apni jodi somoy pan tahole (google webmaster URL Parameters) Niye kisu likhben Please

Level 0

দারুন একটা টিউন, যুগের সাথে তাল মেলাতে হবে, পেঙ্গুইন ২.১ সম্পর্কে টিউন করলে খুশি হব ।

Level 0

এসইও স্ট্রাটেজি ও প্লানিং নিয়ে কিছু লিখলে উপকৃত হতাম

ধন্যবাদ ভাই । আরও বিস্তারিত হলে ভাল হত ।

Level 0

আপনার এই ভাল পোস্ট এর জন্য ভাল একটা ধন্যবাদ দিলাম । @ ekram.cit

Level 0

ইকরাম ভাই, Thanks a lot. আমি যদি প্রোফাইল ব্যাক লিঙ্ক করি তাহলে কি কাজে আসবে?

    Level 0

    @raisul: খুব বেশি কাজ করবেনা, তার চাইতে এই তিনটি কাজে মনোযোগ দিলে বেশি উপকৃদ হবেন।

আমার একজন ক্লায়েন্টের সাইটের ৮০% non-www.example.com দিয়ে ব্যাকলিংক করা এবং ২০% http://www.example.com তে ব্যাকলিঙ্ক করা।

এখন ওনি সাইটকে যে কোন একদিকে রিডাইরেক্ট করতে চাচ্ছে। তাহলে কি www ভাল হবে নাকি non-www ?

যদি আমরা non-www রিডাইরেক্টশন চয়েজ করি, তাহলে ২০% www ওয়ালা ব্যাকলিঙ্ক গুলো seo তে কি ব্যাকলিঙ্ক বাদ পড়ে যাচ্ছে না?

Thanks for nice hummingbird explain