নতুন বছরের শুরুতে আপনাদেরকে কি ধরনের টিউন গিফট করা যায় সেইটা নিয়ে খুব কনফিউশন ছিলাম। অনেক চিন্তা ভাবনা করে আজকের টিউন লেখা। আজকের টিউন অনপেজ এস ই ও এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এস ই ও শুরু করতে হলে প্রথমে যে কাজ করতে হয় সেটা হল মেটার কাজ গুলা। আজকে মেটা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তার আগে একটা কথা। গত পর্বে একটা কথা লিখতে ভুলে গেছিলাম। সেটা হল লিঙ্ক হুইল করার পর বুকমারকিং করতে হবে প্রত্যেক টা লিঙ্কের। বুক মারকিং কি এই টা নিয়ে সামনে কোন একটি পর্বে আলোচনা করব। চলে যাব আজকের পর্বে।
প্রথমে আমাদের জানার প্রয়োজন মেটা ট্যাগ কি (What is meta tag):
"The meta tags are a very important part of the HTML code of your web page. They are read by the search engines but are not displayed as a part of your web page design. Usually they include a concise summary of the web page content and you should include your relevant keywords in them. Most meta tags are included within the 'header' code of a website. The most important tags are the title, description, keyword s and robot tags."
অর্থাৎ মেটা ট্যাগ এমন একটি এইচ টি এম এল কোড যা কিনা আপনার ওয়েব সাইট এর জন্য খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেটা ট্যাগ সার্চ ইঞ্জিন এর জন্য মূলত ব্যবহার করা হয়। আপনার সাইটে ভিজিটরগণ একটি ইন্ডিভিজুয়াল কি- ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ এর মাধ্যমে প্রবেশ করবে। আর ওই কি- ওয়ার্ড টাকে মার্কেটিং করার জন্য মেটা ট্যাগ অসাধারন ভুমিকা পালন করে। মেটা ট্যাগ দিতে হয় ওয়েব সাইট এর ভিতর। সার্চ ইঞ্জিন সর্বদা সার্চ এর ক্ষেত্রে মেটা ট্যাগ কে সর্ব প্রথম প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাহলে বুঝতেই পারছেন এর গুরুত্ব কততুকু।
এই মেটা ট্যাগ এর ভিতর রয়েছে:
১) টাইটেল (Title) ২) মেটা কি- ওয়ার্ড (Meta Keyword Tag) ৩) মেটা ডিস্ক্রিপশন(Meta Description Tag) ৪) মেটা রোবট ট্যাগ(Meta Robot Tag)
আমি আজকে এই ৪ বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচনা করব।আমি যখন আর্টিকেল লিখি তখন সর্বদা মাথায় রাখি আমার আর্টিকেল টা যেন ইউনিক হয়। ঠিক আজকের আর্টিকেল টা তেমনি। অনেকে আমার কাছে প্রশ্ন করেছিলেন একটা আর্টিকেল কিভাবে ইউনিক করে লিখব। দেখেন তাদের জন্য বলছি মেটা ট্যাগ কিন্তু একটা নির্দিষ্ট কনটেন্ট। সবাইক কিন্তু এইটা সম্পর্কে আপনাকে একই ভাবে বলবে মেটা ট্যাগ সম্পর্কে। কিন্তু আমি দেখেন একটু ওই কথা গুলো লিখছি আরও বিস্তারিত এবং সহজ করে। কিন্তু কথা সেই একই। শুধু মাত্র আমার উপস্থাপনা করার স্টাইল টা পরিবরতন করে দিছি। আর কিছু না। যাই হোক যারা প্রশ্ন করেছিলেন আমি বলেছিলাম পরবর্তী পর্ব তে বলে দিব। আপনারা আপনাদের উত্তর আশা করি পেয়ে গেছেন। যদি এর পরও না বুঝে থাকেন আমাকে বলেন আমি ক্লিয়ার করে দিব।
এখন আসল কথাই আসি। যে বিষয় নিয়ে বলছিলাম মেটা ট্যাগ। আচ্ছা মেটা ট্যাগ এর ভিতর যে ৪ টি জিনিস রইছে আমরা সেই বিষয় গুলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
১) টাইটেল (Title): একটা জিনিস সর্বদা মাথাই রাখবেন আপনার সাইট এর সবচেয়ে গুরুত্তপূর্ণ কাজ হচ্ছে টাইটেল ঠিক করা। এমন ধরনের টাইটেল নেওয়া উচিত যেই টাইটেল আপনার সাইট এর প্রধান কি- ওয়ার্ড হিসেবে দাঁড়াবে। ধরেন আপনার সাইট টা একটা Entertainment বিষয়ের উপর। আপনি সাইট এর কি- ওয়ার্ড কি নিবেন ? হ্যাঁ এখন আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে এমন একটা কি- ওয়ার্ড যেই শব্দ অর্থাৎ যেই কি- ওয়ার্ড দ্বারা আপনার সাইট পুরা ব্যাখ্যা করে। আপনি যদি সাইট এর টাইটেল হিসেবে Entertainment World নেন, তাহলে দেখেন সমস্ত Entertainment বিষয়ক আলোচনা তার ভিতর চলে যাচ্ছে। যাতে করে আপনি আপনার সাইট এখন Bollywood, Hollywood,Tollywood ইত্যাদির উপর লিখতে পারবেন। আর যদি লিখতেন Bollywood World তাহলে শুধু মাত্র ওই বলিউড সম্পর্কে লিখতে পারতেন। এতে করে আপনার মানটা একটু কমে যেত। তাহলে বুঝতে পারছেন টাইটেল টা কেমন হওয়া উচিত। আর যথা সম্ভব চেষ্টা করবেন টাইটেল কে ছোট রাখার। আর ছোট কি- ওয়ার্ড দ্বারা যেন আপনার সাইট এর সম্পর্কে বিস্তারিত বলার ক্ষমতা রাখে। টাইটেল টা কোথায় থাকে নিচে দেখান হল।
HTML অর্থাৎ পূর্বে বা সাইট এর ভিতর যেভাবে থাকেঃ
পরবর্তীতে আমরা যেটা দেখিঃ
২) মেটা কি- ওয়ার্ড (Meta Keyword Tag): কি- ওয়ার্ড টা কি এই টা নিশ্চয় ক্লিয়ার হয়ে গেছেন। এখন বিষয় হচ্ছে মেটা কি- ওয়ার্ড। হ্যাঁ মেটা কি- ওয়ার্ড আর তেমন কিছু না, আপনার কি- ওয়ার্ড টাকে একটু হাইলাইট করে দিবে। ধরুন আপনি আপনার সাইট এর জন্য কি- ওয়ার্ড কতগুলা সিলেক্ট করলেন। সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে বুঝবে যে আপনার নির্দিষ্ট কিছু কি- ওয়ার্ড আছে। যেই কি- ওয়ার্ড দ্বারা আপনি আপনার সাইট এ ভিজিটর গেইন করতে চাচ্ছেন। এটা বুঝানোর জন্য ও আপনি মেটা কি- ওয়ার্ড টাকে ব্যবহার করতে পারেন। সার্চ ইঞ্জিন যখন সার্চ করে তখন প্রথমে আপনার সাইট এর কি- ওয়ার্ড গুলা সে পড়ে। স্পেশালি গুগল এইটা করে। তাহলে বুঝতে পারছেন মেটা কি- ওয়ার্ড গুরুত্ব কতখানি। একটা কথা সর্বদা মনে রাখবেন মেটা কি- ওয়ার্ড দিবেন ৪ টা থেকে শুরু করে ১০ টা পর্যন্ত । এর বেশি দিলে যে কিছু হবে আমি কিন্তু তেমন কিছু বলছি না। কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মারবেন। এর বেশি কিছু না। নিজের সাইট মান নিজে কমাই আনবেন। তাই ওই নির্দিষ্ট টা দেওয়ার কথা আমি সর্বদা বলব। মেটা কি- ওয়ার্ড কিভাবে দেওয়া থাকে নিচে দেখান হল।
এইটা পেজেই থাকে। এটা শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিন খোজ করে। তাই এইটা হাইড থাকে।
৩) মেটা ডিস্ক্রিপশন(Meta Description Tag): মেটা ডিস্ক্রিপশন হল মজার একটা জিনিস। মাত্র ২০০ ওয়ার্ড এর ভিতর এমন একটা আর্টিকেল আপনাকে লিখতে হব , যেই আর্টিকেলটা আপনার সাইট সম্পর্কে সম্পূর্ণ বুঝায় । তাহলে বুঝতে পারছেন কত টা মারাত্মক আর্টিকেল। সার্চ ইঞ্জিন সর্বদা একটা ধারাবাহিক নিয়মে সার্চ করে। মেটা ডিস্ক্রিপশনও কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন এর একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্ম। সর্বদা মেটা ডিস্ক্রিপশন টা লিখবেন অনেক কিছু মাথাই রেখে। কারন আপনার সাইট অনেক বিষয়ের উপর নিয়ে লেখা আছে। এখন আপনাকে সমস্ত বিষয়ের উপর চিন্তা ভাবনা করে একটা ২০০ ওয়ার্ড এর ভিতর আর্টিকেল দাড় করানো লাগবে। এবং সেই আর্টিকেল টা মাস্ট ইউনিক হতে হবে। আর আর্টিকেল টা এমন ভাবে লিখতে হবে যেন আপনার সাইট কি- ওয়ার্ড গুলা তার ভিতর প্রকাশ করে। তাহলে বুঝতে পারছেন কতটা খাটলে মেটা ডিস্ক্রিপশন এর জন্য একটা আর্টিকেল লেখা সম্ভব হয়। নিচে মেটা ডিস্ক্রিপশন কিভাবে থাকে দেখান হল।
HTML অর্থাৎ পেজের ভিতর যেভাবে থাকেঃ
পরবর্তীতে আমরা যেভাবে দেখতে পাইঃ
৪) মেটা রোবট ট্যাগ(Meta Robot Tag):মেটা রোবট ট্যাগ আসলে সার্চ ইঞ্জিন এর একটি ইঞ্জিন বলা যাই। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন যখন সার্চ করে সেটা হল এই রোবট দ্বারা। বিষয় টা এমন যে আপনার সাইট যদি আপনি ইচ্ছা করেন যে আমি এই পেজটাকে সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে দিব তাহলে সার্চ ইঞ্জিন নিবে। আর যদি মনে হয় না আমি এই পেজটাকে সার্চ ইঞ্জিন দিব না। এইটা যেভাবে করতে হয়। সেইটা হল এই মেটা রোবট ট্যাগের মাধ্যমে। মেটা রোবট ট্যাগ আসলে ৪ ধরনের হয়।
এটাও পেজের ভিতর থাকে কারন সার্চ ইঞ্জিন এর রোবট এর জন্য শুধু দেওয়া হয়।
এটাই হল মেটা রোবট ট্যাগ। এখন আপনি যেটা খুশি সেইটা ব্যবহার করতে পারবেন। আমরা এতক্ষণ অনেক কিছু জানলাম। কিন্তু কিভাবে করতে হবে এগুলা জানি না। হ্যাঁ আমি এখন সেইটা বলব। কিভাবে করবেন। আপনি আপনার সাইট এর হোস্টিং অ্যাকাউন্টের সি-প্যানেল (cPanel) এ যান। এরপর এইচটিএমএল কোড গুলা এডিট করুন। তাহলে হয়ে গেল আপনার মেটা ট্যাগ করা কমপ্লিট। এখন নিশ্চয় পারবেন কাজ করতে। আমরা এখন পুরাপুরি একটা ছোট্ট ট্রায়েল দেখব আমাদের কাজের উপর ভিত্তি করে।
আশা করি আমার কথা আপনাদের বুঝতে কষ্ট হবে না। আর ব্লগাররা চিন্তা করবেন না। আপনারা কিভাবে ব্যবহার করবেন মেটা ট্যাগ। এইটা আল্লাহ বাচাই রাখলে সামনের পর্বে লিখে দিব। আজ আর লিখতে ভাল লাগছে না।
যদি কোন ব্যাক্তি সমস্যা তে পড়েন তাহলে সুজাসুজি আমাদের ফেসবুক গ্রুপে চলে আসবেন। যদি গ্রুপে আমাকে না পান তাহলে আমার ফেসবুক এ মেসেজ করবেন। তবে সাবধান,গ্রুপে কিন্তু খুব কড়াকড়ি ভাবে নিওম-কানুন মেনে চলা হয়। তাই গ্রুপে আসার পূর্বে গ্রুপের নীতিমালাটা একটু দয়া করে পড়ে নেবেন।
আর অনলাইনের সব তরুতাজা খবর জানতে এবং ফ্রীলাঞ্ছিং পরিবারের সাথে যুক্ত হতে চাইলে তাড়াতাড়ি লাইক করুন আমাদের এই পেজটি। আপনি একটা লাইক করলেই আমাদের পরিবারের একজন হয়ে যাবেন। আর পরিবারের ব্যক্তিদেরকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় আমাদের ফ্যান পেজে। তাদের সমস্যার সমাধানগুলো চলে যায় খুব দ্রুত। আমাদের পরিবারে যুক্ত হতে চাইলে সুজাসুজি চলে আসুন এই পেজে।
আউটসোর্সিং নিউজ অ্যান্ড সল্যুশন
আজ কে এই পর্যন্ত ,সবাই ভাল থাকবেন। এই কামনা করে আজকের মত শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।
আমি হ্যারি পটার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 15 টি টিউন ও 171 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
khub sundor tune thanks. amar 1ta question ase seta holo jodi kono site theke kono no follow link pai for my site tahole ke sai back link er kono dam ase means google crowling korbe ke?? amar sit??