সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই খুব ভাল আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়াই খুব ভাল আছি। অনেক দিন পর টিউন দিচ্ছি। সবাই হয়তো ভাবছিলেন আমি হয়তো টিউন আর দিব না। ফেসবুক এ অনেকে আমারে মেসেজ করছেন। আসলে আমি টিউন কিছুদিন আগে লিখছিলাম। পুরা টিউন লেখা শেষ হয়ে গেলে হটাত করে আমার ব্রাউজার হ্যাং হয়ে যায়। এরপর আর কি ল্যাপটপ রিস্টার্ট দিলাম। পড়ে আবার ঢুকে দেখলাম আমী লেখাটাকে সেভ করি নি। এমনিতে আমার বাংলা লিখতে খুব কষ্ট হয়। তারপর অনেক বড় আর্টিকেল লিখছিলাম। তাই মেজাজ টা ও খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এই জন্য আর লিখি নি। তাই আপনারাও টিউন পান নি।
যাই হোক আমার আজকের টিউন টা সমস্ত টিউনে গুলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। কারন এস ই ও এর ভিতর আমি এই কাজটা করে মজা পাই। আর এই কাজটা খুব একটা বেশি কঠিন না । আবার এই টা সহজে কেউ করেও না। কিন্তু এই কাজটা এস ই ও এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি এই কাজটার গুরুত্ত একটু আলাদা ভাবে বলি। আলাদা বলতে এমন যে, আমি আমার নতুন সাইট এর উপর এই কাজটা করে আমার সাইট এর পেজ রাঙ্ক আসেছে ১, আর এই ১ আসছে মাত্র ১ মাস ১৩ দিন। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে আমি পেজ রাঙ্ক পাইছি। তাহলে বুঝতে পারছেন এই কাজটার পাওয়ার কত । আপনার সাইট এর জন্য এইটা করুন। গ্যারান্টি দিলাম আপনার সাইট হিউজ ভিজিটর এবং সাইট এর পেজ রাঙ্ক পেটে প্রচণ্ড পরিমান সাহায্য করবে।
এখন কাজ সম্পর্কে আলোচনা করব। লিংক হুইল সম্পর্কে আমি কোন একটা পর্বে কিছু বলেছিলাম। সেইটা আমি আবার লিখছি , তবে এইটা সহজ অর্থাৎ সাধারন সংজ্ঞা। মুল যেটা পরবর্তীতে আলোচনা করব।
“লিংক হুইল হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফ্রী ব্লগে আর্টিকেল লিখে টার ভিতর নিজের সাইট এর একটা কি- ওয়ার্ড কে লিংক করে দেওয়া হচ্ছে লিংক হুইল। আর্টিকেল লিখতে হবে নিজের সাইট রিলেটেড। সাইট এর সাথে আর্টিকেল অবশ্যই সম্পৃক্ত থাকতে হবে। আমি আগেই বলে দিছি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ ওয়ার্ড অবশ্যই ৩ টি কি - ওয়ার্ড থাকতে হবে। তবে এই ক্ষেত্রে নিজের সাইট এর যে মেইন কি- ওয়ার্ড আছে সেই কি- ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। ধরুন ৫০০ ওয়ার্ড এর একটি আর্টিকেল আপনি লিখলেন। টার ভিতর ১৫ টা কি -ওয়ার্ড ব্যবহার করলেন। আপনি যে কোন একটি কে আপনার সাইট এর লিংক হিসেবে ব্যবহার করলেন বাকি ১৪ টাকে হাইলাইট করে দিবেন। এটাই হচ্ছে লিংক হুইল।”
আমি জিনিসটা আমার ভেঙ্গে বলছি। বিষয় হচ্ছে যে সব ফ্রী ব্লগিং সাইট আছে যেমনঃ ব্লগস্পট, ওয়ার্ডপ্রেস, জনারলিস্ট ইত্যাদি। এরকম প্রায় অনেক সাইট আছে। যারা ফ্রী ডোমেইন দেয়। সেই সব সাইট যেতে হবে এবং নতুন করে একটা ব্লগ খুলতে হবে।
ধরুন আপনি এই রকম ৫ টি ফ্রী ব্লগ সাইট এ অ্যাকাউন্ট খুললেন। এখন যে কাজ গুলা আপনার করণীয় আমি নিচে ধাপ অনুসারে লিখছি। যাতে করে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হয়।
ধাপঃ-০১
আপনি যে পাঁচটি ব্লগ অ্যাকাউন্ট করেছেন এই পাঁচটির জন্য ৫ টি কনটেন্ট লিখুন। অর্থাৎ ৫ টি আর্টিকেল লিখুন। আর্টিকেল গুলা অবশ্যই আপনার সাইট এর রিলেটেড হতে হবে। ধরুন আপনার সাইট টি Online Income সম্পর্কে। আপনি আপনার সাইট এ অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে সব আর্টিকেল পোস্ট করেন। এখন আপনি ৫ টি আমন আর্টিকেল লিখুন যে গুলা সব অনলাইন ইনকাম এর উপর। কিভাবে অনলাইন থেকে আয় করা যায়, অনলাইন কি কি কাজের জন্য ভাল বেনিফিট পাওয়া যায় ইত্যাদি। আর আর্টিকেল লিখার মধ্যে যে নিয়ম গুলা আছে সে গুলা ফল করুন। পূর্বে আমি একটা টিউনে আর্টিকেল কিভাবে লেখা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছিলাম। তারপর ও আমি এখানে লিখছি,
" প্রতি ১০০ ওয়ার্ড এ মিনিমাম+মাক্সিমাম ৩ বার কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। এতে করে আপনার পোস্ট+সাইট এর জন্য উপকার হই। আমি যে টিউনটা টা লিখলাম আজ,(সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সমগ্র [পর্ব-০৭] :: কি- ওয়ার্ড রিসার্চ-০১ ) এই পোস্ট টা তে দেখেন আমি কতবার কি-ওয়ার্ড শব্দটা ব্যবহার করেছি। ১-২ দিন পর বাংলাই গুগলে কি-ওয়ার্ড লিখে সার্চ দিবেন দেখবেন আমার পোস্ট টা গুগল এর প্রথম পাতাই ১-৩ এর মধ্যে আছে। একটাই কারন দেখেন আমি এই আর্টিকেল আমি অনেকবার কি-ওয়ার্ড শব্দটা ব্যবহার করেছি।আমি হাইলাইট করে দিছি কি-ওয়ার্ড গুলা। এই জন্য আর্টিকেল লেখার সময় পোস্ট টা যে বিষয় নিয়ে লেখা সে বিষয়ের উপর এবং সাইট এর মূল যে কি-ওয়ার্ড আছে সেইটার উপর কিছু কি-ওয়ার্ড দিতে হবে। তবে অবশ্যই ১০০ ওয়ার্ড এ ৩ টা কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।"
ধাপঃ-০২
প্রতি আর্টিকেল আপনার সাইট এর জন্য যে কি- ওয়ার্ড গুলা ব্যবহার করেছেন। সেই গুলা একটু হাইলাইট করে দিন। ধরা যাক আপনি ১০০ ওয়ার্ড ৩ টি তাহলে ৫০০ ওয়ার্ড এ ১৫ টি কি- ওয়ার্ড ব্যবহার করেছেন। এখন ১৪ টি কি- ওয়ার্ড হাইলাইট করে দিন আর একটি কি- ওয়ার্ড কে লিংক করে দিন আপনার সাইট। যে কোন একটি কি- ওয়ার্ড কে লিংক করে দিলে হবে।
ধাপঃ-০৩
এখন একটি ব্লগে যেয়ে আপনার একটি আর্টিকেল টি পোস্ট করুন। আর্টিকেল অবশ্যই ৫০০ ওয়ার্ড এর বেশি লিখার চেষ্টা করবেন। শুধু চেষ্টা না অবশ্যই লিখবেন। আতে করে সুবিধা আপনি বেশি পাবেন।
ধাপঃ-০৪
এখন আপনার যে আর্টিকেল টা পোস্ট করেছেন। সেইতার ইইউআরএল (URL) টা একটু সেভ করে রাখুন।
এভাবে প্রতি টি আর্টিকেল আপনি পোস্ট করুন। আর প্রতিটির ক্ষেত্রে আপনি একি কাজ করুন। সাধারণত লিংক হুইল এভাবে করা হয়। তবে লিংক হুইল চাকা সিস্টেমে করা যায়। যেইটা আপনি পরে নিজে নিজে করতে পারবেন। বুদ্ধির জোরে। এস ইও করতে গেলে প্রচুর পরিমানে বুদ্ধি কাজে লাগাতে হবে।
ধাপঃ-০৫
এখন আপনার একটি মাত্র ধাপ বাকি আছে। সেইটা হল আপনি যে ইইউআরএল (URL) গুলা সেভ করিছেন। এগুলো বুকমারকিং করতে হবে। যদি পারেন বুকমারকিং করতে তাহলে করে ফেলেন। আর না পারলে সমস্যা নেই। সামনের পরবে বুকমারকিং সম্পর্কে আলচনা করব এবং কিভাবে করতে হয় জানিয়ে দিব।
হয়ে গেল আপনার লিংক হুইল পর্ব। এই লিংক হুইল কিন্তু সাধারন লিংক হুইল। লিংক হুইল মুলত চাকা পদ্ধতিতে অর্থাৎ সার্কেল অনুসারে করতে হয়। যেইটা আমি পরে দেখাব। যেহেতু আমার এই লেখাটা সম্পূর্ণ নতুনদের জন্য। তাই আমি আমার মত করে বুঝানোর চেষ্টা করব। যতটুকু বলা যায়। ততটুকু বলব। পরবর্তীতে একটা লিংক হুইল কিভাবে করা যায় সেই সম্পর্কে আলোচনা করব। কারন সার্কেল পদ্ধতিটা একটু জটিল ধরনের। এখন যদি বুঝায় তাহলে কোন ভাবে বুঝতে পারবেন না। তাই আপাতত এইভাবে করে যান। তবে একটা জিনিস মনে রাখবেন এই যে লিংক হুল গুলা করবেন সব গুলা ওয়েব সাইট বা URL গুলা সেভ করে রাখবেন। যখন আমি পরে লিংক হুইল সম্পর্কে বিস্তারিত বলব তখন এই গুলা কাজে লাগবে।
এখন হয়ত সাধারন লিংক হুইল নিয়ে আর কারোর সমস্যা থাকার কথা না। তারপর ও যদি মনে করেন সমস্যা আছে। তাহলে সুজাসুজি আমাদের ফেসবুক গ্রুপে চলে আসবেন।তবে সাবধান,গ্রুপে কিন্তু খুব কড়াকড়ি ভাবে নিওম-কানুন মেনে চলা হয়। তাই গ্রুপে আসার পূর্বে গ্রুপের নীতিমালাটা একটু দয়া করে পড়ে নেবেন।
গ্রুপের ঠিকানাঃ আউটসোর্সিং অফ বাংলদেশ
আমাদের ফ্যান পেজে চলছে ফটো কন্টেস্ট-২০১২, তাই আমাদের সাথে যোগ দিন আর জিতে ফটো কন্টেস্ট-২০১২ এর সন্মাননা পুরুস্কার। তাই এইরকম ফ্রীলাঞ্ছিং এর সব মজার মজার অনুষ্ঠানে থাকতে এবং ফ্রীলাঞ্ছিং এর সব আপডেট খবর জানতে আমাদের পেজে চলে আসুন। আশা করি আমাদের পেজ হবে বাংলাদেশের ফ্রীলাঞ্ছিং এর সবচেয়ে বড় ফ্যান পেজ।আর এর জন্য আমাদের পেজটি লাইক করে আমাদের কে সাহায্য করুন।
আউটসোর্সিং নিউজ অ্যান্ড সল্যুশন
কেমন লাগছে আজকের আলোচনা জানাবেন । তাহলে আজ কে এই পর্যন্ত ,সবাই ভাল থাকবেন। এই কামনা করে আজকের মত শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।
আমি হ্যারি পটার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 15 টি টিউন ও 171 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
বহু দিন পরে আবার পেলাম টিউন এবং বরাবরের মতই সুন্দর হয়েছে 🙂 পড়ে ফেললাম এক নিমেষেই। পরের পর্ব আশাকরি দ্রুতই পাবো।