কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই): এআই হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তি যা কম্পিউটারকে মানুষের মত চিন্তা করতে এবং সমস্যা সমাধান করতে শিক্ষা দেয়। এটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটেছে, যার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবহন এবং নিরাপত্তা।
ক্লাউড কম্পিউটিং: ক্লাউড কম্পিউটিং হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তি যা ব্যবহারকারদেরকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটারের রিসোর্স (যেমন স্টোরেজ, প্রসেসিং পাওয়ার এবং সফ্টওয়্যার) অ্যাক্সেস করতে দেয়। এটি ব্যবসায় এবং ব্যক্তি উভয় ক্ষেত্রেই কাজের পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে।
3D প্রিন্টিং: 3D প্রিন্টিং হল এমন একটি প্রযুক্তি যা ডিজিটাল ডিজাইন থেকে ত্রিমাত্রিক বস্তু তৈরি করতে পারে। এটি ইতিমধ্যে উৎপাদন, চিকিৎসা, এবং নির্মাণ শিল্পে বিপ্লব ঘটেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জিন সম্পাদনা: জিন সম্পাদনা হল এমন একটি প্রযুক্তি যা জীবন্ত কোষের জিনোমে পরিবর্তন করতে পারে। এটি ইতিমধ্যে চিকিৎসা গবেষণায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে বংশগত রোগের চিকিৎসা এবং নতুন চিকিৎসা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা হল এমন একটি প্রযুক্তি যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সাইবার আক্রমণগুলি শনাক্ত করা, প্রতিরোধ করা এবং নিরসন করতে সাহায্য করে। এটি ইতিমধ্যে সাইবার নিরাপত্তা শিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বড় ডেটা: বড় ডেটা হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তি যা বিপুল পরিমাণ ডেটা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। এটি ব্যবসায় এবং সরকারকে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আরও ভালভাবে সাহায্য করেছে।
ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি): আইওটি হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তি যা ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত বিভিন্ন ডিভাইসকে একত্রিত করে তাদের তথ্য আদান-প্রদান করতে দেয়। এটি আমাদের চারপাশের বিশ্বের সাথে আরও স্মার্ট এবং সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
৫জি নেটওয়ার্ক: 5G নেটওয়ার্ক হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তি যা 4G নেটওয়ার্কের চেয়ে অনেক বেশি দ্রুত এবং কম বিলম্বিত ডেটা সংযোগ সরবরাহ করে। এটি নতুন প্রযুক্তিগুলির বিকাশ এবং বাস্তবায়নে সাহায্য করবে, যেমন স্ব-চালিত গাড়ি, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
ব্লকচেইন: ব্লকচেইন হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তি যা ডেটা সুরক্ষিত এবং নিরাপদভাবে সংরক্ষণ এবং স্থানান্তরের অনুমতি দেয়। এটি ইতিমধ্যে আর্থিক খাতে বিপ্লব ঘটেছে এবং অন্যান্য শিল্পেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইমার্সিভ টেকনোলজি: ইমার্সিভ টেকনোলজি হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তি যা ব্যবহারকারদেরকে ডিজিটাল বিশ্বের সাথে আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে এবং স্বাভাবিকভাবে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে দেয়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR), অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR), এবং মিক্সড রিয়েলিটি (MR) এর মতো প্রযুক্তিগুলি ইতিমধ্যে গেমিং, শিক্ষা, এবং স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে।
রোবোটিক্স: রোবোটিক্স হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তি যা কম্পিউটার-নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রগুলিকে বিভিন্ন কাজ করতে শিক্ষা দেয়। রোবোটগুলিকে ইতিমধ্যে বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে উৎপাদন, কৃষি, এবং স্বাস্থ্যসেবা।
এইগুলি হল কেবলমাত্র কয়েকটি প্রযুক্তি যা ২০২৩ সালে বিশ্বকে বদলে দিচ্ছে। আগামী বছরগুলিতে এই প্রযুক্তিগুলি আরও বিকশিত হবে এবং আমাদের জীবন আরও বেশি সহজ, দ্রুত এবং স্মার্ট করে তুলবে।
আমি শহিদুল ইসলাম। , Gov Shahid Suhrawardy, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 17 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আপনি যদি পৃথিবী পরিবর্তন করতে চান, তবে আপনাকে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে।