জেনে নিন চ্যাটজিপিটির সংক্ষিপ্ত আদ্যোপান্ত

প্রকাশিত
জোসস করেছেন

২০২৩ সালে এসেও চ্যটজিপিটির নাম শুনেনি এমন লোকের সংখ্যা হাতে গুণা হলেও আমরা যারা ইন্টারনেটের সাথে কোনো না কোনো ভাবে যুক্ত আছি তারা প্রায় সবাই জানি চ্যাটজিপিটি সম্পর্কে। বহুবিধ কার্যক্ষমতা দেখে আমরা অনেকে চ্যাটজিপিটিকে অনেক বুদ্ধিমান ভাবলেও এটি সত্যিই কতটা বুদ্ধিমান বা আদৌ বুদ্ধিমান কিনা তা জানব আজকের টিউনে। তাহলে চলুন, মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

আজকের বিষয়বস্তুঃ-

# AI বাআর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কী?
# চ্যাটজিপিটি আসলে কী?
# কে বা কারা ঘটালো এই মহা বিপ্লব?

 

AI বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কী?

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হলো এমন একটা প্রযুক্তি যার মাধ্যমে কোনো কম্পিউটিং ডিভাইস অর্থাৎ যেখানে কম্পিউটিং (বুঝানো হচ্ছে কম্পিউটার প্রোগ্রাম লিখে যন্ত্রটিকে নির্দেশনা দেওয়া যায়) করা যায়, তা দিয়ে কোনো বিশ্লেষণী কাজ করানো সম্ভব। এর মানে এই নয় যে, সে যন্ত্রটি নিজে কিছু করতে পারে বা নিজে নিজে চিন্তা করতে পারে। মূল ব্যাপারটি হলো যন্ত্রটিতে পূর্ব থেকেই বিপুল পরিমাণ ডেটা বা তথ্য দেওয়া থাকে এবং তাকে আগে থেকেই নির্দেশনা (প্রোগ্রাম করা থাকে) দেওয়া থাকে কিভাবে তথ্যগুলো পর্যালোচনা করে কোন আউটপুট দেখাতে হবে। AI বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের বাড়তি সুবিধা হচ্ছে, এ যন্ত্রগুলো তাদের ভুল থেকে শিখতে পারে, মানে কোনো নির্দেশনা পালনে অপারগ হলে তারা তা মনে রাখে এবং পরবর্তীতে তারা এই ভুল না করে অন্যভাবে আউটপুট দেখানোর চেষ্টা করে. এর ফলে ধীরে ধীরে যন্ত্রটি নিখুতভাবে ফলাফল প্রদর্শনে বা নির্দেশনা পালনে দক্ষ হয়ে ওঠে। এবং পর্যায়ক্রমে তা আরো উন্নত করার চেষ্টা করে। আধুনিক বিশ্বের অগ্রগতিতে এই AI বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে অনে্ক বিশেষজ্ঞের দৃঢ় বিশ্বাস

চ্যাটজিপিটি আসলে কী?

চ্যাটজিপিটি কী এ প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে প্রথমেই জানতে হবে AI বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কী (আশাকরি পাঠক গণ কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন AI বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কী)। মূলত অন্যান্য AI টুলের মতো চ্যাটজিপিটিও একটি AI টুল কিন্তু এর কিছু বিশেষত্ব আছে। অন্যান্য AI টুল মুটামুটি অনেক কাজ করে দিতে পারলেও তাদের সাথে মানুষ চাইলে কথা বলতে পারবেনা স্বাবাভিকভাবে। অর্থাত, ধরুন আপনি একটি কবিতা লিখালেন একটি AI বট দিয়ে, এখন আপনি এটি বলতে পারবেন না যে "কবিতাটিকে আরো দীর্ঘ করো”। তাহলে AI টুলটি তা ধরতে পারবেনা। কিন্তু এখানেই চ্যাটগিপিটি যুগান্তকারী বিপ্লব এনেছে। এটি মানুষের ইন্সট্রাকশন বা নির্দেশনাকে মনে রাখতে পারে। আপনি চাইলে চ্যাটজিপিটির সাথে দীর্ঘক্ষণ আলাপচারিতা করতে পারবেন। যেহেতু আপনার কমান্ডগুলো চ্যাটজিপিটি মনে রাখে ফলে আপনি তার সাথে স্বাভাবিকভাবেই চ্যাট করতে পারবেন যেমনটা করতে পারেন আপনার কোনো বন্ধুর সাথে…

 

কে বা কারা ঘটালো এই মহা বিপ্লব?

চ্যাটজিপিটি নামক চ্যটবটটি ৩০ নভেম্বর ২০২২ এ ওপেনএআই (www.openai.com) কর্তিক রিলিজ বা প্রকাশিত করা হয়। এটি একটি গবেষণামূলক প্রজেক্ট। গবেষণা মূলক প্রজেক্ট হওয়া সত্যেও চ্যাটজিপিটি প্রথম ৫ দিনেই ১ মিলিয়নের (১০০০০০০+) বেশি ব্যবহারকারী অর্জন করে পুর্বের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেছে। যেখানে ফেসবুকের ১ মিলিয়ন ইউজার অর্জন করতে সময় লেগেছিল ৫ বছর, পিন্টারেস্টের লেগেছিল ৬ মাস, সেখানে চ্যাটজিপিটি মাত্র ৫ দিনেই ১ মিলিয়ন ইউজার অর্জন করে ফেলেছিল। পুরো বিশ্বে মুটামুটি আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল চ্যাটজিপিটি।

চ্যাটজিপিটিকে প্রোগ্রাম করা হয়েছে জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ পাইথন দিয়ে। ২০২০ সাল পর্যন্ত ঘটা প্রায় সকল তথ্য ইনপুট দেয়া আছে চ্যাটজিপিটিতে। ফলে সে সকল তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সকল প্রশ্নের (প্রায়) মুটামুটি গ্রহণযোগ্য উত্তর দিতে পারে এই চ্যাটবটটি।

বর্তমানে চ্যাটজিপিটির ২টি ভার্সন রয়েছে। একটি হলো আদি চ্যাটজিপিটি অর্থাৎ প্রথম ভার্সন ৩.৫ আরেকটি হলো চ্যাটজিপিটি ৪। তবে চ্যাটজিপিটি ৩.৫ সবার জন্য উন্মুক্ত ও ফ্রি (বিনামূল্যের) হলেও চ্যাটজিপিটি ৪ কিন্তু আবার প্রিমিয়াম (চ্যাটজিপিটি ৪ ব্যভারের জন্য ব্যবহারকারীকে প্রতি মাসে ২০ ডলার পরিশোধ করতে হবে, ২৬ জুন, ২০২৩ এর ডেটা অনুযায়ী)। চ্যাটজিপিটি ৩.৫ এর চেয়ে চ্যাটজিপিটি ৪ এর ক্ষমতা আরো অনেক বেশি। উন্নত বিশ্লেষণী ক্ষমতাও। ফলে ব্যবহারকারী আরো দ্রুত, নির্ভুল, তথ্যবহুল উত্তর পাবেন নিমেষেই।

Level 1

আমি মোঃ আহসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস