একবিংশ শতাব্দীতে আমাদের সমাজ ইকোলোজি এবং এনভায়রনমেন্টের জন্য অনেক সমস্যার মধ্যেই পড়েছে কিন্তু বড় বড় সায়েন্টিস্ট এবং ইন্টেলিজেন্ট ইঞ্জিনিয়াররা সব সময় প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে আমাদের একচুয়াল প্রবলেম গুলোকে সলভ করার জন্য। আর তাই নতুন নতুন টেকনোলজিকে তৈরি করে সেগুলোকে বিভিন্ন জায়গায় ইমপ্লিমেন্ট করা হচ্ছে এবং তারপর সেগুলোকে ম্যানেজ করা এই সাইন্টিস্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে প্রধান কাজ যা প্রত্যেকটা মানুষের জীবনকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করছে। আজকে লেখাতে আমরা এরকম ধরনেরই কিছু ইনোভেটিভ টেকনোলজির সম্পর্কে জানবো। যা একেবারে ভবিষ্যতের পৃথিবীকে চেঞ্জ করে দিতে পারে। এরকম তো বলবো না। তবে টেকনোলজি সম্পর্কে আমাদের আরো একটু ভাবতে বাধ্য করবে।
আধুনিক হাইড্রোজেন চালিত গাড়ি
হুন্ডাই এইচ টু সাইন হেভি ডিউটি ড্রাগস। ইন্টারনাল ইঞ্জিন অর্থাৎ পেট্রোল বা ডিজেলের ইঞ্জিনিয়ার থেকে সরে এসে battery গাড়ির দিকে এগোনো এখন একটা trend হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই টপিকটা সারা পৃথিবী জুড়ে একটা গরম টপিক। কিন্তু হুন্ডাই এর সাইন্টিস্টরা মনে করে যে হাইড্রোজেন ফিউজেলের গাড়িগুলো ট্রান্সপোর্ট ইন্ডাস্ট্রিকে আরো ভালোভাবে পাল্টে দিতে পারে তারা আবিষ্কার করেছে এইচ টু সাইন টু ট্রাক একশো নব্বই কিলো ওয়াটের ক্ষমতা সম্পন্ন এই গাড়িগুলো একবারে প্রায় চারশো কিলোমিটার যাত্রা করতে পারে তারা ইলেকট্রনিসিস পদ্ধতিতে তৈরী হওয়া গ্রিন হাইড্রোজেনকে ব্যবহার করে হুন্ডার ইঞ্জিনিয়াররা মনে করে যে হাইড্রোজেন ফিউজে সাধারণ ব্যাটারি চালিত গাড়ির থেকে অনেক বেশি বেনিফিট প্রোভাইড করতে পারে। কারণ ব্যাটারি চালিত গাড়িতে যখন বড় বড় কার্গো ট্রান্সপোর্ট করা হয় তখন তার ক্ষমতা অনেক কমে যায়। তারা এটাও বলেছে যে দুহাজার তিরিশ সালে আস্তে আস্তে গ্রিন হাইড্রোজেনের প্রোডাকশন খরচ অনেক কমে যাবে ফলে হাইড্রোজেনও অনেক কম দামে পাওয়া যাবে। আর তখন সেই সিচুয়েশনের অ্যাডভান্টেজটা এই গাড়িগুলো নিতে পারবে।
নেটওয়ার্কিং সমস্যার সমাধান
আমরা সবাই জানি যে আমাদের পৃথিবীতে মোবাইল নেটওয়ার্কের পরিমান আগের থেকে অনেক বেশি বেড়ে গেছে। এবং ক্রমাগত তা বাড়তেই থাকছে। কিন্তু সারা পৃথিবী জুড়ে এরকম অনেক রুরাল এরিয়া আছে। যেখানকার মানুষরা হাই স্পিড ইন্টারনেট অ্যাক্সেস পায় না এক্ষেত্রে আলফাফেড নামক একটা কোম্পানির লোন প্রজেক্ট বলে একটা প্রজেক্টে কাজ করছে। যা রুরাল এরিয়ায় হাই স্পিড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির প্রবলেমকে সলভ করতে পারে। আর এই কাজের জন্য তারা ব্যবহার করছে বড় বড় হট এয়ার বেলুনকে। যা যা আকাশে প্রায় কুড়ি কিলোমিটার উপরে ভেসে থাকবে। এবং এই বেলুড় গুলোর মধ্যে একটা ট্রান্সমিটিং ডিভাইস থাকবে। যা 4G ইন্টারনেট কে ট্রান্সমিটেড করবে। এরকম ধরনের একটা প্রোজেক্ট কে নিয়ে ইমপ্লিমেন্ট করা হয়েছে। এই হট ইয়ার বেলুন প্রায় পঞ্চাশ হাজার স্কয়ার কিলোমিটার এরিয়াকে কভার করতে পারে। মানে ওই এরিয়া র মধ্যে যারা থাকবে তারা internet connection পেয়ে যাবে। এটা দেখা গেছে যে তাদের ইন্টারনেটের ডাউনলোড speed ১৮.৯ MBPS। এবং আপলোড স্পিড ৪.৭ MBPS। তার সাথে এর আরো একটা বেনিফিট হলো যে এই বেলুনগুলো ও সম্পর্কিত data ও collect করতে পারে। বেলুনগুলোকে একবার উপরে তুলে দিলে প্রায় একশো দিন পর্যন্ত এটা উপর থেকে অপারেট করতে পারে। তারপর নিচে নামিয়ে এর একটা maintenance করতে হয়।
পওয়ারফুল ড্রোন
Delivery ড্রোনস, বোলেন্স আই আগের টেকনোলজির মতো এই টেকনোলজির ক্ষেত্রেও রুরাল এরিয়াকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বহু ক্ষেত্রেই আমরা দেখেছি যে রিমোট এরিয়াতে হসপিটাল স্বাস্থ্য কেন্দ্র এমনকি ডাক্তারের সুবিধাও ঠিকঠাক পাওয়া যায় না। তাই কারোর শরীর অসুস্থ হলে মেডিসিনের সমস্যা হয়ে যায় কোম্পানির ইঞ্জিনিয়াররা এই ড্রোনটাকে এই সমস্যার সমাধান করার জন্য তৈরি করেছে। তার সাথে তারা এটাও মাথায় রেখেছে যে একে যেন খুব ইজিলি অপারেট করা যায় এবং কম খরচায় অপারেট করা যায়। এই কারণে এই ড্রোনটা ভার্টিক্যালি ল্যান্ড করতে পারে এবং ভার্টিক্যালি টেকস করতে পারে তাই স্পেশ্যাল করে কোনো রকম রানুওয়ের দরকার পড়বে না একে অপারেট করতে গেলে। ড্রোনটা তার রাস্তায় একটা অ্যাডভান্স সিস্টেমের মাধ্যমে খুঁজে নেয়। তার সাথে এটা instantly তার রুট এবং location operate এর কাছে send করতে থাকে। প্রায় তিনশো কুড়ি কিলোমিটার বেগে উঠতে পারা এই ড্রোনটা একটা ফুল চার্জে প্রায় আটশো কিলোমিটার যাত্রা করতে পারে। তবে এর ওজন নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা এত বেশি নয় মাত্র ন কেজি। তবে আপনি এটাও বলতে পারেন যে মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট এবং ওষুধ নিয়ে যাওয়ার জন্য নয় কেজি যথেষ্ট। অনেকটাই যদি প্রয়োজন হয় তবে এই ড্রোনটা সমুদ্রের মাঝখানে কোন জাহাজেও ল্যান্ড করতে পারে।
AI সোলার সিস্টেম
Row lemon, solar battery। এর আগে আমরা ভাবতাম সোলার ব্যাটারি সমতল হয়। এবং এদের implementation ও অনেক লিমিটেড। তবে roll lemon বলে একটা স্টার্ট আপ এই চিন্তা ভাবনাকে একেবারে পাল্টে দিতে চলেছে তারা একটা নতুন ধরনের এনার্জি এলিমেন্ট তৈরি করেছে। যা এই সোলার ক্যাটাগরিতেই পড়ে। এটা করার জন্য তাঁরা একটা গোলাকার লেন্স তৈরি করেছে। আর এই লেন্সের জন্য এর ওপরে পড়া সূর্যের আলো। কেন্দ্রীভূত হয়ে একটা স্পেসিফিক এরিয়াতে পরে যেখানে ফটোফোল্টিক সেল লাগানো আছে। আর তার সাথে সূর্যমুখী ফুলের মতো এটাও সূর্যকে সারাদিন follow করে। অর্থাৎ সূর্য যেদিকে থাকবে এটাও সেদিকে মুখ করে থাকবে। তারা এই ডিভাইসটার অনেকগুলো মডেলও তৈরি করেছে তবে সবথেকে অ্যাডভান্স মডেলটার নাম হল বেটারে ওয়ান পয়েন্ট এইট। এই বৃত্তাকার লেন্সটার মধ্যে জল ভরে দেওয়া হয়। এই লেন্সটা থ্রি পয়েন্ট এইট কিলো ওয়ার্ড পার আওয়ার পার ডে জেনারেট করতে পারে। রোল ইম্যানের ইঞ্জিনিয়াররা বলেছে যে এর ডিজাইনের জন্য এনার্জি জেনারেশনের ক্যাবিলিটি অনেক বেশি। তার সাথে আপনি এটাকে আপনার ইচ্ছা মতো বড়ও করতে পারবেন। তবে কনসেপ্টটা সেই একই থাকবে।
ডিজিটাল ইংক
বায়ো ইংক। রেডকোর ইউনিভার্সিটির সায়েন্টিসরা। হিউম্যান বডির অর্গান ট্রান্সপ্লান্টকে একেবারে পাল্টে দিতে চলেছে তারা এমন একটা টেকনোলজিকে আবিষ্কার করেছে যার সাজে মানুষের শরীরের মধ্যে কোন অঙ্গকে প্রিন্ট করে দেওয়া যেতে পারে। তারা এই কাজের জন্য তৈরি করছে বায়ো এন্ট যার বিভিন্ন ধরনের প্রপার্টি আছে। মডার্ন থ্রিডি প্রিন্টের আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে দিন আগে থেকেই হাড় খেয়ে বাইরে threedy print করে তৈরি করতে পারছি। কিন্তু ওই হার গুলোকে transplant করার জন্য সার্জারি করার দরকার হয়। এই কারণে scientist ক্লাব decide করেছে যে মানুষের শরীরের মধ্যেই 3D print করে কোনো অঙ্গকে তৈরী করা। যা তারা করবে bio ank এর সাহায্যে। এই এই অঙ্কের মধ্যে কিছু ইউনিভার্সাল প্রপার্টি থাকবে। যার সাহায্যে এটা বিভিন্ন ধরনের টিস্যুকে তৈরি করতে পারবে। মানে বিভিন্ন ধরনের কোষ ও কলাকে তৈরি করতে পারবে এই ইংকটা। তাই এই বায়ো ইংকের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের অর্গানকে তৈরি করা সম্ভব হবে সাইটিসরা অলরেডি এর বড় একটা প্রবলেম কেও সলভ করে ফেলেছে। তারা এমন একটা কম্পোজিশন খুঁজে পেয়েছে যেটা ছত্রিশ পয়েন্ট ছয় ডিগ্রী সেন্ট্রিগ্রেটেই জমে যায়। তবে এর পরের পদক্ষেপটা হলো বায়োলজিকালি মডিফায়েড কম্পোনেন্ট তৈরি করা যা হুবহু ওই মানুষটারই কোষ কলা তৈরি করতে পারবে যা শরীরে অপারেশন হবে।
এমন আরো নানান টেকনোলজি পৃথিবীর স্বাদ ভিন্ন করে দিবে। এই সম্পর্কৃত আরও তথ্য জানতে ভিজিট করুন http://www.irbluster.com
আমি রায়হান বাদশাহ। Asst. Manager, Palmal Group, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।