সুপ্রিয় টেকটিউনস এর বন্ধুগণ।
‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’
- কেমন আছেন সবাই,আসা করি ভাল…সবাই ভাল থাকুন এই কামনা করে আজকের টিউন।দৈহিক সুস্থতার জন্যে প্রয়োজন সুষম খাবার গ্রহণের পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রম। কিন্তু পরিশ্রম পরিকল্পিত না হলে দৈহিক সৌন্দর্য ও সুস্থতা নিশ্চিত হয় না। দেহের প্রতিটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পরিমিত সঞ্চালন ও সক্রিয়তা না হলে দেহবিন্যাস সুষম ও সুগঠিত হতে পারে না। এজন্যেই দেহের জন্য দরকার হয়ে পড়ে পরিকল্পিত শরীরচর্চা বা ব্যায়ামের।কষ্ঠ হলেও নামাজ পড়ুন শরীরচর্চা বা ব্যায়াম হবে।এই বলে আজকে আপনাদের জন্য টিউন।
''সবাই কে ''ঈদ''মোবারক''
''আমার পক্ষ্য থেকে সবাইকে সালাম''
নিউক্লিয়ার সম্পর্কে সবার তো মোটামটি ধারনা আছে।এখানে নিউক্লিয়ার এর বেসিক কিছু জিনিষ তুলে ধরা হয়েছে । নিউক্লিয়ার ব্যবহার করে তৈরি (পারমানবিক বোমা)-এর নাম সবাই শুনেছি কিন্তু দেখিনি তার গুন।বোমার ইতিহাস জানতে গেলে।প্রথমত-বোমার ব্যবহার করে ছিল বিভিন্ন পাহাড় ভাংঙ্গা, তার পর রাস্তা বানানো ও (পারমানবিক)বিদুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা।কিন্তু,মানব হিংসা যখন তৈরি হল তারপর থেকে একের পর এক হত্যা।
নিউক্লিয়ার শক্তি
ভারী নিউক্লিয়াস ভেঙে বা হালকা নিউক্লিয়াস জুড়ে দিয়ে নিউক্লিয়ার শক্তি পাওয়া যায়। যখন ভারী নিউক্লিয়াস (যেমন ইউরেনিয়াম) ভাঙা হয় তখন দেখা যায় ভাঙা টুকরোগুলোর ভর মূল নিউক্লিয়াসের ভর থেকে কম এবং যেটুকু ভর কমে যায় সেটা আইনস্টাইনের বিখ্যাত সুত্র E=mc2 হিসেবে শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। হিরোশিমাতে যে বোমা ফেলে এক মুহুর্তে প্রায় লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল সেই বোমায় এই প্রক্রিয়ায় শক্তি বের করা হয়েছিল। এই পদ্ধতিটির নাম Fission এবং পৃথিবীর সব নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্রে এই পদ্ধতিতে শক্তি তৈরি করা হয়।
নিউক্লিয়ার শক্তি সুর্যে
দুটি হালকা নিউক্লিয়াস (যেমন হাইড্রোজেনের আইসোটপ) জুড়ে দিয়ে অন্য একটি নিউক্লিয়াস তৈরি করে যখন শক্তি তৈরি করা হয় সেটাকে বলা হয় Fusion, এখানেও দেখা যায় তৈরি করা নিউক্লিয়াসের ভর হালকা দুটি নিউক্লিয়াসের ভর থেকে কম এবং যেটুকু ভর কমে যায় সেটা আইনস্টাইনের E=mc2 অনুযায়ী শক্তি হিসেবে বের হয়ে যায়। সুর্যে এই প্রক্রিয়া দিয়ে শক্তি তৈরি হয়, অল্প একটু ভর ব্যবহার করে অনেক শক্তি পাওয়া যায় বলে সুর্যের জ্বালানি হঠাৎ করে এশ দিন শেষ হয়ে যাবে আমাদের সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয় না। এই পদ্ধতিতে এখনো কোনো নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্র তৈরি করা যায়নি। এটা করার জন্য যে তাপমাত্রার দরকার হয়, সেটা ধারণ করার মতো কোনো পাত্র নেই। তাই চৌম্বক ক্ষেত্রের মাঝে শুন্যে ভাসিয়ে রেখে প্রক্রিয়াটা করার চেষ্টা করা হয়।
ল্যাবরেটরি
পৃথিবীর বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে যেখানে এ রকম চৌম্বক ক্ষেত্রে ফিউসান করার চেষ্টা করা হয় সেটাই হচ্ছে টোকামাক।এই ফিউসান পদ্ধতিতে শক্তি তৈরি করার জন্য পৃথিবীর অনেকগুলো দেশ মিলে ফ্রান্সে ITER নামে একটা বিশাল প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। ধারণা করা হয়, পৃথিবীর মানুষ যদি এই প্রক্রিয়ায় শক্তি তৈরি করার প্রযুক্তিটি জেনে যায় তাহলে আমাদের পৃথিবীর জ্বালানির জন্য হাহাকার পুরোপুরি মিটে যাবে−আমরা তখন একটি নতুন পৃথিবী দেখব, যেখানে শক্তি বা বিদ্যুতের জন্য আর কোনো দুর্ভাবনা থাকবে না।
জ্বালানি শক্তি নিউক্লিয়ার
নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্র খুব আকর্ষণীয় সমাধান, কোনো কার্বন-ডাই অক্সাইড জন্ন না দিয়েই এটা শতশত মেগাওয়াট শক্তি তৈরি করতে পারে। পৃথিবীতে বেশ কিছু দেশ অত্যন্ত সফলভাবে এই শক্তি তৈরি করে যাচ্ছে। ফ্রান্স এর অত্যন্ত চমৎকার একটি উদাহরণ। তাদের শক্তির একটা বড় অংশ আসে নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্র থেকে। তবে আমার সবচেয়ে পছন্দের উদাহরণ হচ্ছে, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত। নিউক্লিয়ার বোমা বানানোর কারণে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতকে সারা পৃথিবী একঘরে করে রেখেছিল, তাতে তারা বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে নিজেদের বিজ্ঞানী আর প্রযুক্তিবিদদের দিয়ে নিজের দেশের উপযোগী একেবারে ভিন্ন রকম নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্র তৈরি করেছে। বাইরে থেকে জ্বালানি না এনেই নিজের দেশের নতুন ধরনের জ্বালানি দিয়ে তারা তাদের নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্রগুলো চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্র
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি (শতাধিক) নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্র রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। পৃথিবীর সব দেশের মতোই তাদের দেশেও শক্তির চাহিদা বাড়ছে, তারপরও গত 40 বছরে তারা তাদের দেশে একটিও নতুন নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্র করেনি। বলা হয়, কারণটি রাজনৈতিক সাদা কথায় বলা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটা দেশ বিশাল একটা ভুখন্ডের মালিক হওয়ার পরও তাদের দেশে নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্র বসাতে স্বস্তি বোধ করে না। জার্মানির মতো দেশ তাদের মাটিতে নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার কারণটি কী? তার কারণ, আজকাল সবাই মনে করে এটা পরিবেশের জন্য একটা হুমকি।
নিউক্লিয়ার পরিবেশের জন্য হুমকি
নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্রকে পরিবেশের জন্য হুমকি মনে করার প্রধান কারণ এর বর্জ্য। এ ধরনের শক্তি কেন্দ্র ব্যবহার করার পর জ্বালানির যে অংশটুকু বর্জ্য হিসেবে পড়ে থাকে সেটা তেজষ্কিত্র্নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তেজষ্কিত্র্নয় পদার্থের তেজষ্কিত্র্নয়তা ধীরে ধীরে কমে আসে, কাজেই নির্দিষ্ট একটা সময় এই তেজষ্কিত্র্নয় পদার্থগুলো আলাদা করে সুরক্ষিত একটা জায়গায় সংরক্ষণ করতে হয়।
আজ আপনেদের (নিউক্লিয়ার ব্যবহার করে পারমানবিক-মিসাইল) একটা ভিডিও শেয়ার করলাম।এখানে দেখতে পাবেন কত বিশাল একটি মিসাইল থেকে ছোট আকারে আঘাত আনে।গবেষনায় বলা হয়েছে যে একবার বাস্তবে বিষফরন ঘটলে ৭০০ কোটি মানুষ মারা যাবে(আল্লাহ ক্ষমাশীল)।
''''বিষফরন হলে ঠিক এমন টি দেখাবে'''
মুসলমানদের ক্ষমতাশালি দেশের মধ্যে একটি দেশ ইরান।এবং ইরান এ মিসাইল পরীক্ষা করার সময় ভিডিও টি ধারন করা হয় ২০০৮ এ। ভিডিও দেখার সময় শেষের দিকে বোমার একটি অংশে নিল রং এর ঘুর্নয়মান অবস্থায় দেখা যাবে যে সূর্যের তাপ নিয়ে(নিউক্লিয়ার)কিভাবে শক্তি তৈরি করে।এবার দেখুন,,,,
FLV ফরমেটে চলবে।
File Size=9 MB
downlod=মিসাইল
আপনাদের সুবিধার্থে ,
এই প্রত্যাশা রেখে ।
“আল্লাহ হাফেজ”।
*আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ ''নিজের জন্য সবকিছু শিখুন,নিজ এবং কারো ক্ষতি করার জন্য নয়, সে যেই হোক'' আল্লাহ মাফ করার মালিক।কোরআন ও হাদিস পডুন।আরেক মুসলমান কে-কষ্ট হলেও এ সুখবর পৌছেদিন মুসলমান ভাই হিসেবে খুশি হব।একটু দেখেন....
*নামাজ নিয়ে কোরআনে কিছু গুরুতপূর্ন কথা।ইসলামে (সালাত)নামাজ এর অবস্থান ।একটু দেখেন,ভালকিছু জানবেন?
অনেক ভালো লাগলো ভাই । ধন্যবাদ এমন তথ্য শেয়ার করার জন্য ।