রোবটিক্স এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স নিয়ে প্রবল আগ্রহ থাকার কারনে তিন দিন ধরে চেষ্টা করে একটা লেখা দাড় করালাম রোবট নিয়ে, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
মুভিগুলোতে প্রায়ই দেখা যায় Robot গুলো পৃথিবীর কর্তৃত্ত্ব নিয়ে নিচ্ছে। তারা মানুষকে তাদের চাকরের মত খাটাচ্ছে। এ সকল রোবট গুলোকে দেখতে পুরোটাই মানুষের মত। সাইন্স ফিকশন গুলো যারা পড়েন তারা Robot সম্পর্কে প্রচুর জানার কথা। হ্যাঁ যে সকল রোবট দেখতে মানুষের মত তাদেরকেই Humanoid Robot বলা হয়ে থাকে।
Humanoid Robot সম্পর্কে বিস্তারিত বলার আগে রোবট সম্পর্কে একটু বলি। সহজ ভাষায় বলতে গেলে রোবট একটা যন্ত্র। যাকে কোন কাজ বা উদ্দেশ্যে প্রোগাম করলে সে কাজ সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করে। রোবট দুই ধরনের হতে পারে, একটা হচ্ছে মেকানিক্যাল আরেকটা হচ্ছে ভার্চুয়াল। এ দুই ধরনের রোবোটের প্রধান উপাদান হচ্ছে একটা মেশিন ও একে কাজে লাগানোর নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম। রোবট বলতে আমাদের সবার মনেই মানুষের মত দেখতে একটা যন্ত্র বেসে উঠে, বাস্তবে কিন্তু তা না। রোবট বিভিন্ন রকমের হতে পারে, মনে রাখতে হবে রোবট একটা যন্ত, প্রয়োজন অনুযায়ী যার যে কোন রূপ হতে পারে । যা সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় শিল্প কারখানায়, গবেশনায়, বিরক্তি কর আর ঝুকি পূর্ন কাজে।
রোবট শিল্পে বাংলাদেশের অগ্রগিতি অনেক এগিয়ে গিয়েছে। রোবট নিয়ে কয়েকদিন ধরেই ব্লগ ও পত্রিকা গুলোতে প্রকাশ হওয়া একটি উত্তেজনা কর খবর হচ্ছে নাসার লুনাবোটিকস মাইনিং প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অংশ গ্রহন। আর এ দল যাচ্ছে শিবলী ইমতিয়াজ হাসান নেতৃত্ত্বে বাংলাদেশের ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের ব্র্যাকইউ চন্দ্রবোট নিয়ে । 15 মে 2011 তে বিবিসি প্রকাশ করে একটি প্রতিবেদন। এখানে ক্লিক করে পড়ে আসতে পারেন এ নিয়ে লেখাটি। ২০ মে ২০১১ তে বাংলাদেশে রোবট তৈরি, চাঁদে পাঠাবে নাসা নামক শিরনামে dhakanews24 এ প্রকাশিত হয় এ সম্পর্কিত আরেকটি প্রতিবেদন আপনারা গিয়ে পড়ে আসতে পারেন।প্রথম আলোর খবরে বিস্তারিত আরো অনেক কিছু লেখা হয় এ নিয়ে। পড়তে পারবেন এখানে ক্লিক করে।
উচ্চ কর্মক্ষমতার কারনে রোবট অনেক কাজে ব্যবহৃত হয়, তার কিছু উদাহরন দেওয়ার চেষ্টা করছি এখানে।
শিল্প কারখানায় মানুষ যে সব কাজ করতে পারে না সে গুলোই রোবটের সাহায্যে করানো হয়। তাছাড়া রোবট অতিদ্রুততার সাথে কাজ করতে পারে আর তাই শিল্প ক্ষেত্রে রোবট ব্যবহারের ফলে উৎপাদন অনেক গুন বেড়ে যায়।
উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছে কঠিন ধাতু গুলো গলানোর কাজে ব্যবহৃত একটি রোবট । অতি উচ্ছ তাপে রোবটটি নির্ভুলতা এবং দ্রুততার সাথে কাজ করে যাচ্ছে যেখানে মানুষ কাজ করা তো দূরে থাক যাওয়ার কথাও চিন্তা করতে পারবে না।
ওয়েলডি এর কাজে ব্যবহৃত একটি রোবট। যেটি এক সাথে অনেক গুলো ওয়েলডিং করতে পারে।
শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহৃত রোবটের মাত্র দুটি উদাহরন দিলাম, এরকম অনেক কঠিন কাজ রোবটদের দিয়ে করানো হয়।
মেডিকেল ক্ষেত্রে রোবটদের ব্যবহার লক্ষ্যনীয়। গত বছর পত্রিকায় পড়লাম যে এমন একটি রোবট তৈরির কাজ চলছে যা এত ছোট যে তাকে সিরিঞ্জের মাধ্যেমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করানো হবে এবং বাহির থেকে নিয়ন্ত্রন করে তা দিয়ে কোন ভাইরাস বা ব্যাক্টরিয়ে ধংশ করা হবে। আর ঐ রোবটটি তৈরির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্যান্সার কোষ ধংশ করার কাজে ব্যবহার। আপনারা হয়তো সবাই জানেন যে ক্যান্সারের ভালো কোন প্রতিশেধক নেই। আর পৃথিবীতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যায় শুধু মাত্র ক্যান্সারের আক্রমনের এবং এর সঠিক চিকিৎসার অভাবে, সে ক্ষেত্রে এ রোবট তৈরি হলে মেডিকেল সাইন্সে এক বিপ্লব ঘটবে। তাই বলে এখন যে মেডিকেল সাইন্সে রোবটের ব্যবহার হচ্ছে না তা না।
ছবিঃ ল্যাপরোস্কপিক সার্জিকেল রোবট।
উপরের ছবিটিতে দেখুন একটা ল্যাপরোস্কপিক সার্জিকেল রোবট। যা সহজেই মানুষের ল্যাপরোস্কপিক অপারেশন করতে পারে।কোন একদিন হয়তো মানুষের জটিল অপারেশন ও চিকিৎসায় রোবট নিজেকে ভালো করেই জায়গা করে নিবে।
গবেশনার মত কাজে রোবট সেই আগে থেকেই ব্যবহার করে আসছে। প্রথম প্রথম রোবট তৈরি করা হয় গবেশনাকে সাহায্য করার জন্যই। অনেক কাজ রয়েছে যে সব কাজ একটি সাধারন বিজ্ঞানী নিজে নিজে করতে কয়েক বছর কেটে যাবে , কিন্তু রোবটকে কাজে লাগিয়ে সে কাজ কয়েক দিনেই করা সম্ভব। তা ছাড়া নাসা সহ বিভিন্ন গবেশনা সংস্থা নিয়মিত রোবটকে কাজে লাগিয়ে আসছে, আর তার অনেক কিছুই মহাকাশ গবেশনায়। রোবট আর আধুনিক টেলিস্কোপের কল্যানে মহাকাশ সম্পর্কে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি। এখন আবার কৃষি গবেশনায় ও রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে, কোন স্থানের মাটি রোবটের সাহায্যে পরীক্ষা করা হয়। ঐ মাটিতে কি ধরনের ফসল উৎপন্ন করা যাবে, কি কি সার, কিটনাশক ব্যবহার করতে হবে এসব কিছু ঐ রোবটিই বলে দিচ্ছে।
আমাদের শিক্ষকদের আমরা যে কোন কারনেই পছন্দ করতে চাই না কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া, এখন যদি এ শিক্ষকের স্থানে একটি রোবট আমাদের শিক্ষকের স্থানে আসে তাহলে কেমন হয়? জানি না কেমন হবে, তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় রোবট শিক্ষকতা শুরু করেছে। অনেক আগের একটা খবর শুনে অবাকই হতে হবে আপনাদের। খবরটি আমারদেশ প্রত্রিকায় বৃহস্পতিবার ৩০ ডিসেম্বর ২০১০ এ প্রকাশিত হয়েছে। এখানে ক্লিক করে খবরটি পড়ে আসতে পারেন।
ছবিঃ Engkey নামক এ রোবটটি শিক্ষকতা করছে।
উপরের কোন রোবট ই মানুষের মত নয়। তাই বলে কি মানুষের মত কোন রোবট নেই? সাইন্স ফিকশন আর মুভি গুলোতে কি তাহলে ভুল দেখছি? না, মানুষের মত রোবট ও রয়েছে। আর মানুষের মত দেখতে রোবট গুলোকে বলা হয় Humanoid Robot। টারমিনেটর মুভি গুলো যারা দেখছেন তারা Humanoid Robot এর রূপ সম্পর্কে ভালো ধারনা নিতে পারছেন।
এখনকার সকল Humanoid Robot কে দেখলে মনে হয়ে একদিন সাইন্স ফিকশন আর মুভি গুলোর কথা বাস্তব হয়ে যাবে। Android হচ্ছে এ সকল রোবটের বাস্তব প্রমান। এ গুলো হচ্ছে Synthetic Organism যা পুরোটাই মানুষের মত দেখতে। Synthetic Organism গুলো Synthetic Biology এর সাহায্যে তৈরি করা হয়। Synthetic এর বাংলা করলে দাঁড়ায় সাংশ্লেষিক যা আসছে Synthesis বা সংশ্লেষণ থেকে। দুই বা ততোদিক পদার্থের সংযোগে নতুন আরেকটি পদার্থ তৈরির পক্রিয়া হচ্ছে Synthesis বা সংশ্লেষণ। আর Synthetic Biology বা সাংশ্লেষিক জীব বিজ্ঞান একত্রে বিজ্ঞান ও প্রকৈশল কে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানের একটি বিশেষ শাখা। আমরা মূল আলোচনা থেকে অনেক দূর চলে গেছি। আবারও মূল আলোচনায় ফিরে যাই।
সাইন্স ফিকশন গুলোতে Android শব্দটি বেশি ব্যবহৃত হয়। যে সকল রোবট গুলো দেখতে মানুষের মত এবং মানুষের মত six sense বা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় রয়েছে সেগুলোই মূলত Android ।
একটি কথা শুনে সবার একটু ভালো লাগবে এবং মজা ও লাগবে আর তা হচ্ছে এ Humanoid Robot গুলোকে মানুষের মত লিঙ্গ অনুযায়ী বা স্ত্রী-পুরুষ ভেদে ভাগ করা হয়েছে। Android বলা হয় পূরুষ Humanoid রোবট গুলোকে, আর Gynoid বলা হয় মহিলা বা মেয়ে Humanoid রোবট গুলোকে।
Gynoid বা Female robot রোবট গুলো দেখতে ঠিক মেয়ে বা মহিলাদের মত। এ গুলোর মধ্যে রয়েছে মেয়েদের সব বৈশিষ্ট। যে কিনা আপনার সাথে গল্প করতে পারবে। আপনার দুঃখে দুঃখি হতে পারবে, আবার আপনার সুখ ও ভাগ করে নিবে। কিন্তু আমি হলে আমার দুঃখ দিলে ও সুখ ভাগ করতে দিতাম না একটা রোবটকে। 😛 যাদের গার্ল ফেন্ডনেই তারা একটা জোগাড় করে নিতে পারেন। নিছের ছবিটি দেখুনঃ
ছবিঃ একটি Gynoid
কি পছন্দ হয়? লাগবে নাকি একটা Gynoid?
আপনারা আবার Android কে আবার Android সফটের সাথে গুলিয়ে পেলবেন না। কারন Android নামে গুগলের একটি সফটওয়ার কম্পানি রয়েছে যারা মোবাইল ডিভাইস গুলোর জন্য সফটওয়ার সরবরাহ করে। তা ছাড়া Android নামে ঐ কোম্পানির একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে যা সারা বিশ্বে খুব জনপ্রিয়। এখন বর্তমানে Android 3.1 রয়েছে। Android এর ওয়েব সাইটে গিয়ে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন। তার জন্য ভিজিট করুন http://www.android.com/ আপনাদের কারো Android সাপোর্টের সেট থাকলে Android 3.1 ডাউনলোড করে ব্যবহার ও করতে পারেন। আবারও অনেক দূরে চলে গেছি 🙁
যাই হোক আবার আসি Humanoid Robot এ, Humanoid Robot রোবট গুলো হচ্ছে স্বাধীন। এ গুলো নিজেকে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে পারে। যদি কোন লক্ষ্যে এদের পাঠানো হয় তাহলে পথে কোন বাঁধা থাকলে নিজের মত করে চিন্তা করে এবং প্রয়জনীয় পদক্ষেপ নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে। আর এ ক্ষমতাই হচ্ছে অন্যান্য রোবট গুলোর সাথে Humanoid Robot বা মানবিক রোবট গুলোর প্রধান পার্থক্য।
মানবিক রোবট গুলোর কিছু বৈশিষ্ট বা ক্ষমতাঃ
মানুষকে নিয়মিত করতে হয় এমন কাজ যেন রোবট গুলো করতে পারে, এমন ভাবে অনুকরন করে বর্তমান Humanoid Robot গুলো তৈরি করা হয়। Humanoid Robot গুলো অনেক ধরনের বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞ যেমন, ডাক্তার, প্রকোশলী, ভাষাতত্ত্বে পারদর্শী সবাই মিলে এক সাথে তৈরি করে। যেহেতু এগুলো মানুষকে নকল করে তৈরি করা হয় তাই এদের সিস্টেমটা একটি স্বাধীন এবং অন্যান্য রোবট গুলো থেকে অনেক জটিল হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে এক সাথে ইন্দ্রিয় বা সেন্স, পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা, বিরূপ পরিবেশে স্বাধীন ভাবে চিন্তা করে কাজ করার ক্ষমতা, পাওয়ার শেষ হয়ে আসলে নিজে নিজেই ব্যবস্থ্যা নেওয়ার সহ অনেক গুলো সিস্টেম থাকে।
ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল রোবট গুলোর সাথে হিউম্যানয়েড রোবটের অনেক গুলো পার্থ্যক্য রয়েছে, তার মধ্যে একটি বড় পার্থক্য হচ্ছে চলন। ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল রোবট গুলো চলতে পারে না, বা পারলে ও নির্দির্ষ্ট সীমার ভিতর। কিন্তু হিউম্যানয়েড রোবট গুলো মানুষের মত পা ব্যবহার করে চলতে পারে,এবং স্বাধীন ভাবেই চলতে পারে। তবে আক্ষেপের বিষয় হচ্ছে এ সব রোবট গুলো মানুষের মত লাফ ঝাফ দিতে পারে না। এটা অনেক বড় একটা সমস্যা।
ছবিঃ Enon
এ রোবটটির নাম হচ্ছে Enon, এটি মানুষের সহকারী হিসেবে কাজ করতে পারে।
২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক রোবট প্রদর্শনীতে TOPIO 1.0 প্রদর্শন করা হয় যা একটা হিউম্যানয়েড রোবটঃ
চিত্রঃ TOPIO 1.0
এটির মধ্যে পা ছিল ৬টি। এর পর ২০০৯ সালে এর দ্বিতীয় ভার্সন করা হয় ।
চিত্রঃ TOPIO 2.0
একই বছর টোকিওতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রোবট প্রদর্শনীতে TOPIO 3.0 প্রদর্শন করা হয়।
ছবিঃ TOPIO 3.0
TOPIO এর পূর্ন রূপ হচ্ছে TOSY Ping Pong Playing Robot, যা রোবট প্রস্তুত কারক প্রতিষ্ঠান TOSY ডেবলপ করে। TOPIO রোবটটি মানুষের সাথে টেবিল টেনিস খেলতে পারে। TOPIO সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেন এখানে।
হুন্ডা কোম্পানি ডেবলফ করে আরেকটি হিউম্যানয়েড রোবট যার নাম ASIMO ।
ছবিঃ ASIMO
রোবট শিল্পে যেটার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হচ্চজে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স সংক্ষেপে AI । দিন দিন যে ভাবে রোবট শিল্পের উন্নতি ঘটছে আশা করি এক দিন আমরা ঠিক আমদের মতই রোবট পাবো। আপনারা যেনে খুশি হবেন যে বাংলাদেশেই হিম্যানয়েড রোবট তৈরি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ইসলামী ইউনিভার্সিটির ঢাকা ক্যাম্পাসের গবেশনাগারে বসে বসে সেখানেরই ছাত্র ফিরোজ আহমেদ সিদ্দিকী আইরোবো নামক একটি রোবটের ডেবলফিং করছেন।
আইরোবোর সাথে উদ্ভাবক ফিরোজ আহমেদ সিদ্দিকী ।
আইরোবো সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিত।
এখানে ক্লিক করে ভিডিও টি দেখুন।
একটি রোবট কি সুন্দর ভাবে নেচে যাচ্ছে।
এখানে দেখুন হিউম্যানয়েড রোবট Nao সম্পর্কে।
YouTube সার্চ করলে এরকম আরো অনেক গুলো ভিডিও পাবেন। যা থেকে আপনি রোবট সম্পরকে অনেক তথ্য জানতে পারবেন।
উপরের একটি কথার মধ্যে ও আমার দেওয়া শিরনামের সাথে কোন মিল নেই, কেন আমি এ শিরনাম দিয়েছি? মানুষের সাথে কি করে রোবটের যুধহবে বা সত্যিই কি যুদ্ধ হবে? হ্যাঁ আজ হয়তো রোবট মানুষ নিজের কাজে ব্যবহার করছে। কিন্তু ভবিশ্যতে কি হবে? ভবিশ্যতে নিশ্চয়ই রোবটের সাথে মানুষ যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এর দিন দিন যে উন্নতি হচ্ছে তাই প্রমান করে দিচ্ছে এ কথার।
রোবট নিয়ে সবার একটু আগ্রহ থাকার কারনে রয়েছে অনেক সায়েন্স ফিকশন । বেশির ভাগ সায়েন্স ফিকশনেই একটি বহুল ব্যবহৃত চিত্র হচ্ছে রোবটের সাথে মানুষের যুদ্ধ। ধীরে ধিরে সারা বিশ্বব্যাপী রোবট চর্চা যে হারে বাড়ছে এক দিন ঠিক ই বাস্তব হয়ে উঠবে। রোবট নিয়ে আইজাক অসিমভের অনেক গুলো সাইন্স ফিকশন রয়েছে, যারা উনার সাইন্স ফিকশন পড়েন তারা দেখতে পাবেন যে সেখানে তিনি অনেক কথা লিখছেন রোবট নিয়ে, কারন তার সাইন্স ফিকশন গুলোর বেশির ভাগই হচ্ছে রোবটিক। রোবট নিয়ে যে বিজ্ঞান বা শাখার উৎপত্তি তার নাম হচ্ছে রোবটিক্স। আইজাক অসিমভের লেখা ‘রান এন্ড রাউন্ড’ গল্পে সবর্প্রথম রোবটিক্স শব্দটি ব্যবহার করেন এবং এই গল্পেই দেয়া হয় রোবটিক্সের তিনটি সূত্র-
এই তিনটি সূত্রের পর আজিমভ আরোও একটি সূত্র প্রদান করেন যা রোবটিক্সের শুন্যতম সূত্র হিসেবে পরিচিত। এই সূত্রটি হচ্ছে, রোবট মানব জাতির কোন ক্ষতি করবে না এবং মানব জাতিকেও তার কোন প্রকার ক্ষতি করতে দেবে না। আর তার অনেক গুলো গল্পেই এসূত্র গুলো ব্যবহার করছেন তিনি।
সূত্র গুলো সাইন্স ফিকশনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু আধুনিক রোবট গুলোকে প্রোগ্রাম করার সময় যদি এ সূত্র গুলো মানা হয় তাহলে হয়তো রোবটের সাথে মানুষের যুদ্ধ করার সম্ভাবনা একটু কমবে।
বাংলায় রোবট সম্পর্কে আরো কিছু জানার জন্য কিছু লিঙ্কঃ
রোবটিক্স বর্তমান সময়ের একটি সেরা বিষয়। আর এখন যে দেশ এ সম্পর্কে যত বেশি এগিয়ে যাবে সেই দেশের উন্নতি অন্যান্য দেশ থেকে বহু গুনে বাড়বে। আর একটি দেশের প্রধান সম্পদ হচ্ছি আমরা ছাত্র-ছাত্রীরা। আমাদেরই উচিত কিছু করা। আপনাদের যাদের একটু আগ্রহ আছে এ রোবটিক্স নিয়ে নেমে পড়ুন। এখনই সেরা সময়। আমাদের সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। হয়তো বলবেন প্রয়জনীয় যন্ত্র-পাতির অভাব রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশকে একটা গালি দিবেন যে বাংলাদেশে কচুর কিছুই পাওয়া যায় না। আর এ রকম কিছু একটা বলেই অনেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। শিবলী ইমতিয়াজ হাসান এর দল অথবা ফিরোজ আহমেদ যদি নিজেদের এরকম যদি গুটিয়ে নিত নিজেদের তাহলে আজ বাংলাদেশ এত সুন্দর দুটি সাফল্য পেতো না। তারা যেমন ভাঙ্গার দোকান থেকে পুরাতন যন্ত্র নিয়ে শুরু করছে আপনারা ও যদি চেষ্টা করেন তাহলে একদিন আরো বড় সাফল্য আসবে বাংলাদেশের।
বিদ্রঃ এখানে দেওয়া অনেক তথ্য আর ছবিগুলো আমার প্রিয় সাইট উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া।
ভালো লাগলে ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না কিন্তু। প্রযুক্তির ব্লগ টেকটুইটসে সবার আমন্ত্রন। বাংলাদেশের সাফল্য কামনা করে শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি জাকির হোসাইন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 224 টি টিউন ও 1487 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
পৃথিবীতে অল্পকয়েক দিনের জন্য অনেকেই আসে, হেঁটে খেলে চলে যায়। এর মধ্যে অল্প কয়েক জনই পায়ের চাপ রেখে যায়।ওদের একজন হতে ইচ্ছে করে। প্রযুক্তির আরেকটি সেরা ব্লগ টেকটুইটস। আপনাদের স্বাগতম, যেখানে প্রতিটি বন্ধুর অংশ গ্রহনে গড়ে উঠেছে একটি পরিবার। আপনাদের পছন্দ হবে আশা করি। ফেসবুকে আমি - ?জাকির!
যেভাবে প্রযুক্তি দিন দিন উন্নত হচ্ছে তাতে রোবটের উপর নির্ভরতা যে অনেক বেড়ে যাব তা বলার অপেক্ষা রাখে না।লেখাটা পড়ে অনেক ভালো লাগল।