সম্প্রতি মানুষের পরম বন্ধু ও নিরীহ প্রকৃতির ব্যাকটেরিয়া ই. কোলাই (Escherichia. coli; commonly abbreviated E. coli) বিশ্ব মিডিয়াতে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। হঠাৎ করে জার্মানীতে এই নিরীহ ব্যাকটেরিয়া বাহিত রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত ই. কোলাই প্রাদূর্ভাবে জার্মানীতে ৩২০০’র অধিক লোক আক্রান্ত হয়। এতে ৩৫ জন মারা যায়। অন্যান্য দেশেও যেমন নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, ক্যানাডা ও আমেরিকারতে ই. কোলাই বাহিত রোগটির কিছু কিছু ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। এই ক্ষুদ্র অদৃশ্য ই. কোলাইকে ঘিরে স্পেন ও জার্মানীর মধ্যে তৈরী হয় কূটনৈতিক টানাপোড়ন! স্পেন ক্ষতিপূরণ হিসেবে জার্মানীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
যে কোন জীবাণু ঘটিত রোগ মহামারি আকার ধারণ করলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বেশ অস্থিরতায় ভোগেন। এর মূলে রয়েছে প্রচণ্ড বেদনাদায়ক ইতিহাস। যেমন ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু'র কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ অসহায় ও করুণ ভাবে মারা গিয়েছিল। বিউবোনিক প্লেগের (যা ‘ব্ল্যাক ডেথ’ নামে খ্যাত) কারণে চতুর্দশ শতাব্দীতে ইউরোপের প্রায় ৭৫ মিলিয়ন লোকের মৃত্যু হয়, যা মোট জনসংখ্যার ৩০-৬০%। সেই সময় এন্টিবায়োটিক আবিষ্কৃত হয়নি, যা ব্যাকটেরিয়াকে সহজেই প্রতিরোধ করতে পারত। আসুন আমাদের পরম বন্ধু ই. কোলাই এর সাথে পরিচিত হই। জন্মের মাত্র চল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই এরা আমাদের অন্ত্রে স্থায়ীভাবে বাসা বাঁধে। সাধারণত মানুষের অন্ত্রে বিভিন্ন প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া বাস করে, যাদেরকে বলা হয় ‘নরমাল ফ্লোরা’। এরা ওজনে প্রায় এক কেজি। এই নরমাল ফ্লোরার 0.১% (এক গ্রাম) হচ্ছে ই. কোলাই! এরা অন্ত্রে অবস্থান করে দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ভিটামিন কে ও ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স তৈরী করে এবং অন্যান্য ক্ষতিকর জীবাণূ হতে আমাদেরকে রক্ষা করে। মানুষের মলের মাধ্যমে ই. কোলাই পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে। বাহিরের পরিবেশেও এরা সহজেই মানিয়ে নিতে পারে। পানীয় বা খাদ্যের মাধ্যমে তারা আমাদের দেহে প্রবেশ করে।
এগার (Agar) মিডিয়াতে ই. কোলাই এর কলোনী!
এদের গায়ের আবরণ (O antigen, part of cell wall) ও চাবুকের (ফ্লাজেলা, H: flagellin) উপর ভিত্তি করে এ পর্যন্ত প্রায় সাতশত বর্ণের (Strain) ই. কোলাই (সেরোভার) আবিষ্কৃত হয়েছে। এদের মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি বর্ণের ই. কোলাই আমাদের দেহে রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এগুলোর মধ্যে হচ্ছে প্রধানত-
১। এন্টেরোপ্যাথজেনিক ই. কোলাই (EPEC) - শিশুদের ডায়রিয়ার জন্য দায়ী।
২। এন্টেরোটক্সিজেনিক ই. কোলাই (ETEC) - ট্রাভেলার্স ডায়েরিয়া ও ফুড পয়জনিং ঘটায়।
৩। এন্টেরোইনভেসিভ ই. কোলাই (EIEC) - ডায়রিয়া করে থাকে যার সাথে Shigella (আমাশয়ের জীবাণূ) আক্রমণের সাথে সামঞ্জস্য আছে।
৪। এন্টেরোহেমোরেজিক ই. কোলাই (EHEC) - যা হিমোলাইটিক ইউরেমিয়া সিনড্রোম নামক রোগ তৈরী করে যার ফলে কিডনী বিকল হয়ে যায়।
৫। শিগা টক্সিন প্রোডিউসিং ই. কোলাই (STEC) - এটা বর্তমানে জার্মানীতে প্রাদূর্ভাবের জন্য দায়ী।
জার্মানীতে প্রাদূর্ভাব সৃষ্টিকারী ই. কোলাই-এর ইতিবৃত্ত
Robert Koch Institute এর তথ্যানুসারে এই প্রাণঘাতী ই. কোলাই-এর বর্ণ (স্ট্রেইন) হচ্ছে (STEC O104:H4)। E. coli O104:H4 স্ট্রেইনটি সচরাচর দেখা যায় না। ২০০৯ সালে জর্জিয়ার কিছু কিছু স্থানে এই স্ট্রেইনটি ডায়রিয়ার মতো রোগের সৃষ্টি করেছিল, তবে কোন প্রাদূর্ভাব দেখা যায়নি। কিন্তু জীনগত বিশ্লেষণে জার্মানীর স্ট্রেইনটির সাথে জর্জিয়া স্ট্রেইনের কিছুটা অমিল পরিলক্ষিত হয়। এদের মধ্যে আরেকটি বড় পার্থক্য হচ্ছে যে জার্মানীর স্ট্রেইনটি এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে বেশী সহনশীল। কিন্তু এরা উভয়েই আমাশয়ের জীবাণুর মতো শিগা টক্সিন (Shiga toxin) বা বিষ তৈরী করে মারাত্নক বোগ ‘হিমোলাইটিক ইউরেমিক সিনড্রোম’ তৈরী করতে পারে।
STEC ই. কোলাই আক্রমণ করলে তার বহিঃপ্রকাশ হয় প্রচণ্ড পেট কামড়ের মাধ্যমে। তারপর সাধারণত শুরু হয় রক্তযুক্ত ডায়রিয়া ও বমি। অনেক সময় হালকা জ্বরও হতে পারে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে রোগী ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে সেরে উঠে। তবে এই সময়ের মধ্যে সুস্থ না হয়ে উঠলে কিছু রোগী (মূলত বৃদ্ধ ও শিশু) ‘হিমোলাইটিক ইউরেমিক সিনড্রোম’ নামক মারাত্নক রোগে পতিত হতে পারে। এতে মূত্রের পরিমাণ কমে যায়। যার ফলে রোগী প্রচণ্ড অবসাদগ্রস্থ অনুভব করতে থাকে। লোহিত কণিকার ঘাটতির কারণে চামড়া বিবর্ণ হতে থাকে। অবশেষে কিডনী বিকল হয়ে STEC আক্রান্ত রোগী মৃত্যুবরণ করতে পারে।
রোগটি কেন এত ভয়ংকর রূপ ধারণ করে? বেশীরভাগ ক্ষেত্রে (৯০%) STEC ই. কোলাই অন্ত্রে বাসা বেঁধে STEC টক্সিন তৈরী করে যা পরবর্তীতে রক্তে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে রক্তনালিকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। টক্সিন রক্তের মাধ্যমে কিডনীতে প্রবেশ করে এর গ্লোমেরিউলার এন্ডোথেলিয়ামের সাথে সংযুক্ত হয়। এর ফলশ্রুতিতে কিডনীতে ক্ষত সৃষ্টি হয়, যার ফলে এটা অকেজো (acute renal failure) হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া টক্সিনের কারণে রক্তনালীকার এন্ডোথেলিয়াম ক্ষতি হওয়ার ফলে রক্তের অনুচক্রিকা সক্রিয় হয়। এর ফলে রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গিয়ে থ্রোম্বোসাইটোপিনিয়া (thrombocytopenia) হতে পারে।
বর্তমানে জার্মানীর প্রাদূর্ভাবটি হচ্ছে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর ই. কোলাই ঘটিত প্রাদূর্ভাব। এর আগেও এ ধরণের ই. কোলাই ঘটিত কিছু প্রাদূর্ভাব হয়েছিল। যেমন-
১৯৯৩- বিখ্যাত ফাস্টফুড ব্র্যান্ড Jack in the Box Restaurants এর ই. কোলাই (O157:H7) ব্যাকটেরিয়া সংক্রামিত অর্ধসিদ্ধ হ্যামবার্গার খেয়ে ৪৫০ জনের বেশী লোক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। হ্যামবার্গারের প্রোডাকশন চেইনে সংক্রামিত হওয়ায় তা পরবর্তীতে আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটের Jack in the Box Restaurant-এ ছড়িয়ে পড়ে। এতে চারজন শিশুর মৃত্যু হয়। অকল্পনীয় আর্থিক ক্ষতির কারণে কোম্পানী দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়।
১৯৯৬- স্কটল্যান্ডের ল্যাংকাশায়ারে ই. কোলাই-এর প্রাদূর্ভাবে ৫০০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এবং ২১ জনের মৃত্যু হয়।
১৯৯৮- আমেরিকায় Odwalla Inc নামক জুস কোম্পানীর বোতলজাত জুসে ই. কোলাই সংক্রামিত হওয়ায় ৬৬ জন অসুস্থ হয়। এতে একজনের মৃত্যুর কারণে কোম্পানীকে ১.৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।
১৯৯৯- নিউইয়র্কের এক মেলায় ই. কোলাই পয়জনিং- এর কারণে ৬০০ জন অসুস্থ হয়।
২০০৬- ক্যালিফোর্নিয়াতে বিন ও আলফা আলফা স্প্রাউটে ই. কোলাই সংক্রমণের জন্য ২০০ জনের বেশী লোক অসুস্থ হয় এবং ৩ জনের মৃত্যু হয়।
মহামারী নিয়ে পলিটিক্স
যে কোন প্রাদূর্ভাব বা মহামারীর শুরুতে হেলথ অফিসিয়ালদের অস্থিরতা মিডিয়াকে সংক্রামিত করে। বানিজ্যিক কারণে মিডিয়াতে এগুলো অতিরঞ্জিত হয়। এর সাথে পরোক্ষভাবে যোগ দেয় ড্রাগ কোম্পানীগুলো। যার ফলে সাধারণ মানুষ হয়ে পড়ে আতংকগ্রস্থ। এর প্রভাবে দেশীয় বা বিশ্ব অর্থনীতিও সংক্রামিত হয়। যার ফলে অনেক লোক চাকুরী হারায়। অন্যদিকে ড্রাগ কোম্পানীগুলো শুধু মুনাফা গুনতে থাকে। প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী সোয়াইন ফ্লু মহামারী নিয়ে হয়েছে অনেক পলিটিক্স ও ব্যবসা। শুরুর দিকে বাংলাদেশকেও সোয়াইন ফ্লু’র উৎস হিসেবে উল্লেখ করে মিডিয়াতে ভিলেইন বানানোর চেষ্টা করা হয়, কেননা মেক্সিকোতে একজন বাংলাদেশী আক্রান্ত হয়েছিল। সোয়াইন ফ্লু’র সময় ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয় (বিস্তারিত-The Swine Flu Panic of 2009: Reconstruction of a Mass Hysteria)। WHO’এর কর্মকর্তা Keiji Fukuda এবং CDC কর্মকর্তা Nancy Cox হংকং-এ বার্ড ফ্লু প্রাদূর্ভাবের সময় একসাথে কাজ করেছিলেন। বার্ড ফ্লু’র আতংকে তখনও তারা ভুগছিলেন। এর প্রভাব পড়ে সোয়াইন ফ্লু বিপদ সংকেত জারীতে। কম্পিউটারে হিসাব কষে তারা ঘোষণা করেন যে মাঝারি মাত্রার মহামারি হলে সারা পৃথিবী জুড়ে ২ থেকে ৭ মিলিয়নের বেশী লোক মারা যাবে। আর যদি ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু’র আকার ধারণ করে তবে তা হিসেব করে বলা মুশকিল। এতে কোটি কোটি লোক পৃথিবী থেকে হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তীতে ফ্লু’র সর্বোচ্চ বিপদসংকেত ছয়-তে উন্নিত করা হয়। বিশ্বায়ন ও তথ্য প্রযুক্তির কল্যানে সোয়াইন ফ্লু’র বিপদসংকেত তড়িৎ গতিতে বিশ্বের আনাচে-কানাচে পৌঁছে যায়। এতে গোটা বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ হয়ে যায় প্রচণ্ড আতংকগ্রস্থ। মেক্সিকোর সর্বোচ্চ ফুটবল লীগের খেলা গ্যালারী শুন্য মাঠে (Surreal football scene - no fans in Aztec Stadium due to swine flu) অনুষ্ঠিত হয়! সোয়াইন ফ্লু আতংকে মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কায়রোতে শুকর নিধণের হুকুম দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনলাইনের বিভিন্ন ফোরামে মুসলিম-বিরোধী প্রচারণাও হয়েছিল! বাংলাদেশের মানুষও ভয়ে সাধারণ জ্বরে আক্রান্ত মৃতদেহ সৎকারে সাহায্য করা থেকে বিরত থেকেছে (Swine flu scare in Bangladesh)। পরবর্তীতে উন্মোচিত হলো যে সোয়াইন ফ্লু ভীতি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। এর সাথে ড্রাগ কোম্পানীর ২০ বিলিয়ন ডলার ব্যবসা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ করা হয়। এর ফল হিসেবে ফ্রান্স ও জার্মানীসহ আরো অনেক দেশ সোয়াইন ফ্লু ভেক্সিনের জন্য অগ্রীম পরিশোধকৃত অর্থ ফেরত চায় (Swine flu: France wants its money back)। এই দায়িত্বহীনতার জন্য কিন্তু পৃথিবীর অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। এখন যদি সত্যি সত্যি ফ্লু মহামারি আসেও, সাধারণ মানুষ তা হয়ত আর আগের মত গুরুত্ব দিবে না, যা কিনা সেই মিথ্যাবাদী রাখালের গল্প মনে করিয়ে দেয়।
ই. কোলাই প্রাদূর্ভাবের শুরুতেই কোন রকম বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই জার্মানীর হেলথ অফিসিয়ালরা স্প্যানিশ শসাকে দায়ী করে। মিডিয়াতে এটা ফলাও করে প্রচারিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয়ান অনেক দেশ স্প্যানিশ শাক-সবজির উপর বিভিন্ন ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আর রাশিয়া পুরোপুরি স্প্যানিশ সবজি আমদানী বন্ধ করে দেয়। ফলশ্রুতিতে এর প্রভাব পড়ে স্পেনের অর্থনীতে। প্রতি সপ্তাহে ক্ষতি হয় প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার। পরবর্তীতে দেখা যায় ই. কোলাই-এর উৎস স্পেন নয়, কেননা এতে স্প্যানিশ কেউ আক্রান্ত হয়নি। এ ঘটনায় স্পেন ও জার্মানীর মাঝে সম্পর্কের তিক্ততা শুরু হয়। ই. কোলাই ইস্যু ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের ঐক্যেতেও ফাটল সৃষ্টি করেছে। ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন গঠনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল পরস্পরের মাঝে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ও সামরিক সহযোগিতা। এ ঘটনা প্রমাণ করে বিপদের দিনে যে যার সুবিধা অনুযায়ী অবস্থান গ্রহণ করে।
জার্মান বিজ্ঞানীরা পরবর্তীতে ই. কোলাই-এর উৎস জার্মানীতে বলে ঘোষণা করে ও শসাকে সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দেয়। এর কয়েকদিন পরে উৎস হিসেবে নিশ্চিত করা হয়েছে স্পীনাক বা পালংশাক। এ ঘোষণার একদিন পরে তা আবার প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এবার বলা হচ্ছে বীন স্প্রাউট। এতে প্রমাণ করে জার্মান বিজ্ঞানীরা যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেননি। এদের ভুলের মাশুল গুনতে হয়েছে স্পেনকে। তাছাড়া জীবাণূর উৎস বের করা বাস্তবিকই খুব কঠিন কাজ। রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে সাধারণত ৫-৭ দিন সময় লাগে। এ সময়ের মধ্যে এ জাতীয় প্রাদূর্ভাবের ঘটনাতে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আলামত নষ্ট হয়ে যায়। কাজ করতে হয় মূলত রোগীর দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এজন্য বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই মহামারীর আসল উৎস অজানা রয়ে যায়। এক্ষেত্রে ই. কোলাই-এর আসল উৎস হয়ত রহস্যই থেকে যাবে। বর্তমানে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বিশ্বে যে কোন ছোট ইস্যু মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই মিডিয়াসহ সকল দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিপর্যায়ে সকলেরই আরো দায়িত্বশীল হওয়া সময়ের দাবী।
আমি এম সরোয়ার হোসেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
এখানে এটাই আমার প্রথম পোষ্ট। ব্যক্তিগতভাবে আমি অনুজীববিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশুনা করে বর্তমানে পোস্ট-ডক্টোরাল ফেলো হিসেবে লিভার ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা করছি। ধন্যবাদ।