আমাদের দৈননদিন জীবনের সাথে বিজ্ঞান বন্ধুর মত মিশে আছে। সকালের টুথপেস্ট থেকে শুরু করে সারা দিনের ব্যবহৃত ইন্টারনেট মোবাইল সহ রাতের টেলিভিশন সবই বিজ্ঞানের অবদান। বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে করে তুলেছে অনেক সুন্দর সমৃদ্ধ, সুখ-স্বাচ্ছন্দ, করে দিয়েছে আরাম আয়েশ।
কিন্তু এত সহজে বিজ্ঞানের এত বেশি সমৃদ্ধি হয়নি। একারনে অনেক সময় ও শ্রম ব্যয় করতে হয়েছে।
বিজ্ঞান বলতে অজানা বিষয়ে জানার কৌশলকে বুঝায়। এই কৌশল কখনো এক রকম নয়। ভিন্নভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে বিজ্ঞানিরা নতুন নতুন সূত্র আবিষ্কার করেন। ফলে নতুনদিগের সূচনা উন্মুক্ত হয়। অতিওত মানুষ যেমন সব কিছু নিজে নিজে করত। তাতে অনেক সময়, শ্রম ও শক্তির প্রয়োজন পড়ত। সেরকম কোন পদ্ধতি ছিলনা। ধীরে ধীরে বিজ্ঞানের আবিষ্কার বাড়তে থাকায় বর্তমানে সব কাজ বসে থেকে করা সম্ভব হচ্ছে।
অতীতে মানুষ ফসল চাষাবাদ করত অনেক কষ্টো করে। কোদাল দিয়ে মাটি খনন, নিজে নিজে মই টানা, অন্য জায়গা থেকে পানি এনে জমিতে দেওয়া, নিজেই ফসল মাড়াই করা ইত্যাদি সব কাজ পেশি শক্তি ব্যবহার করে সম্পন্ন করতে হত। এখন মানুষ অতি সহজে সল্প খরচে বসে থেকে অতি সহজে করে ফেলছে।
আর এসব পদ্ধতি আবিষ্কার করতে যে কৌশল প্রয়োগ করা হয় তাই বিজ্ঞান।
নিউটনের আপেল পড়ার কথা হয়তো সবার জানা। যেমন একদিন তিনি গাছের নিচে বসে রাছেন এমন সময় হঠাৎ একটি আপেল তার মথার উপর পড়ে যায়। তিনি হয়তো সেটি কুড়িয়ে খেতে শুরু করতে পরতেন। কিন্তু সে তা না করে ভাবতে লাগলেন যে, আপেলটিতো উপর দিকে যেতে পারত। কেন উপর দিকে না গিয়ে নিচে পড়ল। এভাবে ভাবতে ভাবতে একসময় এবিষ্কার করলেন মাধ্যাকার্ষণ শক্তি। উনবিংশ বিংশ শতাব্দিতে বিজ্ঞান ব্যাপক ভাবে বিস্তার লাভ করেছে। এর আগে থেকেই বিজ্ঞানিরা নিরলস পরিশ্রম করেই আজ এ পর্যায়ে পৌছতে পেরেছে। আদিকাল থেকেই মানুষ তার বদ্ধি বিবেক বিবেচনা ব্যবহার করে জীবনকে সহজ করার প্রয়াসে সাধনা করেছেন। আর একটু একটু করে এগিয়ে আজ মানুষ উচ্চ শিখরে অবস্থান করতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়া প্রাচীন সভ্যতার দিকে খেয়াল করলে দেখা যায় তারাও বিজ্ঞানের অনেক কিছু প্রয়োগ করত। তাই এত উন্নত বিজ্ঞান পদ্ধতি না থাকলেও মানুষ একেবারে বসে থাকেনি।
আমাদের চারাপাশে চোখ মেললেই কৃত্রিম যা কিছু দেখি প্রায় সবই বিজ্ঞানের আবিষ্কার। সকালের টুথপেস্ট থেকে শুরু করে রাতের টেলিভিশন এসবই বিজ্ঞানে আবিষ্কার। ছেলেদের হাতেও এখন বিজ্ঞানের উন্নত খেলনা দেখা যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আজ বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত জিনিস ব্যবহার হচ্ছে। এসি, টিভি, ফ্যান, ফ্রিজ, ঘড়ি, রেডিও, সাইকেল মটর সাইকেল সহ আকাশ মহাকাশ জয়ে যা কিছু ব্যবহার হচ্ছে। সবই বিজ্ঞানের অবদান।
কম্পিউটার যেভাবে মানুষের জীবনকে বদলে দিয়েছে তা অবিশ্বস্য। কম্পিউটারের নির্দিষ্ট কোন কাজ নেয়। একে যত নড়াচাড়া করা যাবে তত নতুন নতুন কিছু উপায় বের হবে। কে না বিদ্যুতের ব্যবতার করে। এক মূহর্ত বিদ্যৎ ছাড়া অচল। কল কারখানা, অফিস আদালত, ঘরে বাইরে, সবখানে বিদ্যুতের ব্যবহার। বিদ্যুৎ ছাড়া জীবন ভাবাই যায়না।
বিজ্ঞানের বিষ্ময়কর অবদানের ফলে আকাশ মহাকাশ জয় করা সম্ভব হয়েছে। মহাকাশের অজানা বিষয় জানা যাচ্ছে অতি সহজে। নতুন নতুন দিগের উন্মোচন হচ্ছে। ইন্টারনেটতো মানুষকে এক জালে বেধে দিয়েছে। পৃথিবীর যেকোন জায়গা থেকে যে কারও সাথে যোগাযোগ করা একেবারে সহজ হয়ে গিয়েছে। এখন পুরো পৃথিবীটা হাতের মুঠই। আর মোবাইল এখন প্রতিটা মানুষের হতে হাতে পৌছার করনে দুনিয়া এখন একযোগ। বহুদূর হলেও আর দূর মনে হয়না। মিনিশেই কয়েক সেকেন্ডে সব তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। এখন আর সেই যুগ নেয়। চাইলেই বসে বসে সব কাজ রোবট দিয়ে করে ফেলছে। যেখানে মানুষ দিয়ে কাজ করা সম্ভব নয় সেখানে রোবট দিয়ে কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। ফলে জীবনের আর ঝুকি থাকছেনা। বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের ফলে সব কাজ দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে। যে কাজ করতে অনেক সময় ও শ্রম দরকার হতো সে কাজ অতি দ্রুত করা যাচ্ছে।
এনালগের দিন শেষ উন্নত বাংলাদেশ। সব কিছু অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালনা সম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। ঘরে বসে অফিসের কাজ করা, গ্লোবালাইজেশন ইত্যাদি সব এখন ডিজিটাল মাধ্যমে। কেথাও না গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে যেকোন আবেদন করা সম্ভব।
বিজ্ঞান মানুষের জীবনকে করে দিয়েছে আনান্দময়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ফলে অনেক কঠিন কঠিন কাজ সহজে পরিনত হয়েছে। সল্পসময়ে বৃহৎ বৃহৎ কাজ মিনিশের ব্যাপার মাত্র। এর সবিধা অনেক। আগে যে কাজ করতে অনেক শ্রম ও সময় ব্যয় হত এখন কম শ্রমে, কম খরচে সেই কাজ হয়ে যাচ্ছে। ফলে সেই শক্তি অন্য কোন জায়গায় ব্যনহার করা সম্ভব হচ্ছে। অনেক কাজ এখন সেখানে না গিয়েই ঘরে বসে থেকে করে ফেলচ্ছে। অনেক অফিস আদালতে এখন ইকার্মাস চালু হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন অফিস যাওয়ার ঝামেল না করেই নিশ্চিন্তে বসে বসে পরিচালনা সম্ভব হয়েছে। <
অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এখন অনলাইন মাধ্যম চালু হয়েছে। যেকোন বিষয়ে জানা যাচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে। এছাড়া ঘরে বসে ছাত্র শিক্ষক শিক্ষা কাজ পরিচালনা করছে। অতিরিক্ত সময় ব্যয় থেকে বেচে যাচ্ছে। বিজ্ঞানের অবদান চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম নয় বরং অনেক। অনলাইনে ইসেব প্রদান করে দ্রুত রোগ নিরাময় সম্ভব হচ্ছে। জটিল কঠিন রোগের কবল থেকে মুক্তির সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। ফলে অনেক প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব বেড়ে চলেছে।
এছাড়া অনেক কিছুতে বিজ্ঞানের অবদান রয়েছে যা হয়তো পরে সময় পেলে আলোচনা করবো ইনশাল্লাহ।
তো দুয়া করি ভলো থাকো বন্ধুরা। আবার নতুন নতুন বিষয় নিয়ে হাজির হব। আর নতুন নতুন বিয়য়ের আলোচনা পেত ফলো বাটনে ক্লিক করুন। বেশি বেশি জোসস দিন। আর কেমন লাগল কমেন্ট করুন।
লেখক: ইসকান্দার আলী।
আমি ইসকান্দার আলী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 8 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।
নির্দেশনা [০১]
প্রিয় টিউনার,
আপনার টিউনটি ‘টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউন’ এর জন্য প্রসেস হতে পারছে না।
কারণ:
লিস্ট বেইসড টিউনে ফরমেটিং সঠিক হয়নি।
লিস্ট বেইসড টিউনে লিস্টের
খেয়াল রাখুন
১. টিউনে H2, H3 বা H4 সহ যে কোন হেডিং কখনও বোল্ড করা যায় না ও লিংক করা যায় না।
২. লিস্ট বেইসড টিউনে প্রতি আইটেমের ক্রমিক নম্বর থাকতে হয়।
লিস্ট বেইসড টিউনে প্রতি আইটেমের ক্রমিক নম্বর বাংলা নিচের ফরমেটে থাকতে হয়।
১. আইটেম ১
২. আইটেম ২
এখানে প্রথমে বাংলা ক্রমিক নম্বর, তারপর একটি ডট, ডটের পর স্পেস তারপর আইটেমের নাম।
লিস্ট বেইসড টিউনে লিস্টের প্রতি আইটেমে হুবহু এই ফরমেটে ক্রমিক নম্বর থাকতে হয়।
উদারহরণ সরূপ টিউন ১,টিউন ২, টিউন ৩ লক্ষ করুন।
এখানে লিস্ট বেইড টিউনে লিস্টের
করণীয়:
গাইডলাইন অনুযায়ী সংশোধন করুন।
খেয়াল করুন: আপনার এই টিউন সংশোধনের জন্য আপনাকে সর্বোচ্চ ৫ বার নির্দেশনা দেওয়া হবে। এই ৫ বার নির্দেশনার মধ্যে আপনি যদি টিউন সঠিক ভাবে ও নির্ভুল ভাবে সংশোধনে ব্যর্থ হোন তবে এই টিউন টি ‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউন’ এর জন্য প্রসেস হবে না এবং ‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউন’ এর জন্য বাতিল হবে। নির্দেশনার ক্রমিক নম্বর নির্দেশনার শুরুতে নির্দেশনা [০১], নির্দেশনা [০২] এভাবে দেওয়া থাকে।
উপরের নির্দেশিত সংশোধন করে এই টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন।
খেয়াল করুন, এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই না করে টিউনে টিউমেন্ট করলে তার নোটিফিশেন ‘টেকটিউনস কন্টেন্ট অপস’ টিম পাবে না। তাই অবশ্যই এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই করুন।