আশাকরি সবাই ভালো আছেন। বরাবরের মতো আজও নিয়ে এসেছি শিক্ষামূলক সুন্দর একটা বিজ্ঞানভিত্তিক টিউন। চলুন শুরু করা যাক। আপনারা অনেকেই সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের মাধ্যমে জেনেছেন যে, জাল টাকা তৈরির কারনে বেশ কয়েকজন গ্রেফতার।
কিংবা জাল পাসপোর্ট তৈরির কারনে ৪ জনকে আটক করেছেন পুলিশ।
এরকম সংবাদ আপনারা রোজ পেয়ে থাকেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন যে এই জাল টাকা এবং পাসপোর্ট কিভাবে শনাক্ত করা হয়। আসল টাকা বা পাসপোর্টএ এমন কি থাকে যে নকল ধরা পরে? এই বিষয় নিয়েই আজকের আলোচনা।
জাল টাকা এবং আসল টাকা দেখতে হুবহু এক। পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রেও ভিন্ন নয়। তবে এদের অভ্যন্তরীণ গঠনের একটা পার্থক্য আছে। একে বলে কারেন্সি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জাল টাকা এবং জাল পাসপোর্ট বর্তমানে UV রশ্নি এর মধ্যমে শনাক্ত করা হয়। সাধারণত বিভিন্ন দেশের অরজিনাল টাকা ও পাসপোর্ট এ নিরাপত্তা সুতা ও UV রশ্নি শনাক্তযোগ্য অদৃশ্য বিশেষ ফসফোর কালী ব্যবহৃত হয়। ফলে কালিটি UV রশ্নির সংস্পর্শে নির্দিষ্ট বর্ণের আলো ফুটিয়ে তোলে। ঠিক নিচের ছবির মতো।
জাল টাকা ও পাসপোর্ট এ নিরাপত্তা সুতা ও ফসফোর কালি না থাকায় তা UV রশ্নির সংস্পর্শে নির্দিষ্ট বর্ণের কোনো আলো ফুটিয়ে তোলে না। ফলে সহজেই জাল টাকা ও পাসপোর্ট শনাক্ত করা যায়।
বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস রয়েছে যার মাধ্যমে জাল টাকা ও পাসপোর্ট শনাক্ত করা হয়। নিচে এরকম কয়েকটি ডিভাইস নিয়ে আলোচনা করা হলো।
বিভিন্ন ধরনের কলম। এই কলমের মাথায় থাকে UV রশ্নি যা আসল টাকা ও পাসপোর্ট এর নিরপত্তা সুতা ও ফসফোর কালি উজ্জল করে। কিন্তু জাল টাকা ও পাসপোর্ট এ নিরাপত্তা সুতা ও ফসফোর কালি না থাকায় তা সহজেই বুঝতে পারা যায়।
আজকাল বাজারে UV রশ্নিযুক্ত অনেক টর্চ রয়েছে যার মাধ্যমে জাল টাকা ও পাসপোর্ট শনাক্ত করা হয়।
এর মাধ্যমেও জাল টাকা শনাক্তকরণ করা যায়।
আমাদের মধ্যে যাদের অর্থাৎ ব্যবসায়ীদের জাল টাকা চিনতে অসুবিধা হয় তারা এ ধরনের UV কলম ব্যবহার করতে পারি। আজকের টিউন এই পর্যন্তই। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। টিউনটি ভালো লাগলে টিউমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আমি মো তানজিন প্রধান। ২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো হারিয়ে যাই চিন্তার আসরে, কখনোবা ভালোবাসি শিখতে, কখনোবা ভালোবাসি শিখাতে, হয়তো চিন্তাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে ব্যাস্ততার ভীরে। তারপর ব্যাস্ততার ঘোর নিয়েই একদিন চলে যাব কবরে।