ব্ল্যাকহোল যা এই মহাবিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় বস্তু কারন সেখান থেকে কোন কিছু বের হয় না। ব্ল্যাকহোলের ভিতর কি হয় তা জানাটা অসম্ভব মনে হলেও বাস্তবে এটি জানা সম্ভব। এটি জানার একটি মাত্র way আছে। সেই অদেখা কে এবার দেখাব আমি★
ব্ল্যাকহোলে পদার্থের কি পরিনতি হয় তা জানাটা অসম্ভব মনে হলেও প্রকৃতিই সেই অসম্ভব কে সম্ভব করে তুলে। ব্ল্যাকহোলই ব্ল্যাকহোলের পদার্থ বের করে নিয়ে আসে। ঠিক কাটা দিয়ে কাটা তোলার মত। দুটি ব্ল্যাকহোল যখন মিশে এক হয়ে যায় তার আগে ঘটে যায় সেই বিশেষ সময়। তবে সেই special time সব সময় তৈরি হয় না। ব্ল্যাকহোল থেকে পদার্থ বের হয়ে আসে একটি নিয়ম মেনে। সেটা আমাদেরকে জানতে হবে। যেহেতু ব্ল্যাকহোল দিয়েই ব্ল্যাকহোলের matter বের হয়ে আসবে, তার মানে হল কমপক্ষে দুটি ব্ল্যাকহোল থাকবে। একটি হবে অনেক বেশি ভর সম্পন্ন যেমন Supermassive আর তার বিপরীতটি হবে কম ভর সম্পন্ন যেমন সূর্যের চেয়ে ১০-৪০ গুন বেশি ভর সম্পন্ন (কিছুটা ভর যোগ বিয়োগ হলে সমস্যা নই)।
Supermassive ব্ল্যাকহোল যা একটি গ্যালাক্সির সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে। যায় Gravity কাছে গ্যালাক্সির অন্য যেকোন objects ই তুচ্ছ। যখন Supermassive ব্ল্যাকহোলের আকর্ষনে ছোট ব্ল্যাকহোল গুলো খুব বেশি কাছে আসে, তখন ছোট ব্ল্যাকহোলের matter বের হয়ে আসতে বাধ্য হয়। কারন Supermassive ব্ল্যাকহোলের প্রচন্ড Gravity কাছে ছোট ব্ল্যাকহোলের gravity হেরে যায় এবং সেখানের স্থান-কালের জ্যামিতিক গঠনও এক্ষেত্রে সহযোগিতা করে। ফলে ছোট ব্ল্যাকহোলের পৃষ্ঠ থেকে আস্তে আস্তে matter বের হয়ে আসে। কারন ছোট ব্ল্যাকহোলের পৃষ্ঠে Supermassive ব্ল্যাকহোলের আকর্ষন বেশি কাজ করে। সেই matter আস্তে আস্তে গ্যাস ও ধূলোর মেঘের রুপ নেয় কিন্তু সেই গ্যাস ও ধূলোর মেঘ নক্ষত্রের মত ভারি হবে। সেই matter Supermassive ব্ল্যাক হোলের অ্যাক্রিয়েশন ডিস্কে প্রবেশ করার আগে বের হয়। এক পর্যায়ে matter অবিরত বের হওয়ার ফলে ছোট ব্ল্যাকহোলের ভর আস্তে আস্তে কমে আসে। ফলে ছোটটির Event Horizon এমনকি singularity আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যায়। এক পর্যায়ে এসে সবকিছু দৃশ্যমান হয়। এই প্রক্রিয়া হাজার বছর পর্যন্ত চলতে পারে এবং এর কক্ষপথ অনেক পুরনো হয়। ★ সর্বশেষ একটি ব্ল্যাকহোল তার ভর হারিয়ে এমন একটি পর্যায়ে আসে যে, সে আবার নক্ষত্রে পরিনত হয়। হে ঠিকই পড়েছেন, নক্ষত্র থেকে ব্ল্যাকহোল আবার ব্ল্যাকহোল থেকেও নক্ষত্র তৈরি হওয়া সম্ভব(তবে পারমাণবিক বিক্রিয়া শুরু করার মত ভর থাকতে হবে)এই নক্ষত্র গুলো কিছুটা Early universe এর নক্ষত্র মত হবে। এটিও একটি কারন যে প্রত্যেকটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রের আশে পাশের অঞ্চল এজন্যও আলোকিত হয়ে থাকে। তবে যে সব ব্ল্যাকহোল গুলো খুব বেশি দ্রুত বেগে চলে এবং ভর অনেক বেশি সেগুলো ভর না হারিয়ে সরাসরি Supermassive ব্ল্যাকহোলের সাথে মিলিত হবে। ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে পূর্ণ ভাবে জানার এটি এক এবং একমাত্র রাস্তা পাশাপাশি গ্রেট এট্রাক্টর মত object সহযোগিতা করতে পারে। যখন জেমস ওয়েব space টেলিস্কোপ তার কাজ শুরু করে দেবে তখন আমরা ব্ল্যাকহোলের matter দেখতে পাব।
ব্ল্যাকহোলের collide দুই ধরনের হয়। ১) দুটি ব্ল্যাকহোলের মিলনের ফলে Gravitational waves সৃষ্টি হয়। এদের ভরের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য থাকে না। এরা মিলিত হওয়ার সময় কোন matter বের হয় না। ২) এক্ষেত্রে দুটি ব্ল্যাকহোলের মিলনের ফলে কোন Gravitational waves সৃষ্টি হয় না। কারন বড় ব্ল্যাকহোল দ্বারা ছোট ব্ল্যাকহোলের matter চুরি করা হয়। বৃহৎ শক্তির কাছে ক্ষুদ্র শক্তি পরাজিত হয়। এক পর্যায়ে ছোট ব্ল্যাকহোল তার অস্থিত হারায়। তাছাড়া আরো একটি কারন হল, বড়টিকে কেন্দ্র করে ছোটটি ঘোরে।
প্রমান সমূহ
a) প্রমাণ আমাদের গ্যালাক্সিতেই আছে। Sagittarius A* চারপাশে G টাইপের যে সব objects পাওয়া গেছে, সে গুলো দেখতে অনেকটা গ্যাস ও ধূলোর মেঘের মত কিন্তু ঘনত্ব নক্ষত্রের মত। সে গুলো আসলে ধ্বংস প্রাপ্ত ব্ল্যাকহোলের matter। এ জন্যই জি টাইপের বস্তু গুলো Sagittarius A* এর কাছাকাছি থাকলেও প্রচন্ড মহাকর্ষ টানে টেনে সেমাইয়ের মত লম্বা করতে পারছে না। একমাত্র ব্ল্যাকহোলের matter থেকে এক পর্যায়ে এসে এত ঘন objects তৈরি হতে পারে।
b) যে সব কম ভরের ব্ল্যাকহোল গুলো Sagittarius A* কে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে আবর্তন করে, সে গুলো যখন Sagittarius A* সবচেয়ে বেশি কাছে চলে আসে তখন প্রচন্ড আকর্ষনে ব্ল্যাকহোলের স্বাভাবিক আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়। এক পর্যায়ে আকৃতি লম্বাটে হয়ে যায়। তখন matter বের হয়ে আসে। যদি এক সাথে অনেক বেশি matter বের হয়ে আসে এবং প্রদক্ষিণ গতি যদি বেশি হয় তখন সেই matter নতুন কক্ষপথে Super massive black hole কে প্রদক্ষিন করতে থাকবে। আর matter কম বের হলে খাদ্যে পরিনত হবে।
c) নক্ষত্রের matter যখন Accretion disk প্রবেশ করে তখন সেটি যতটুকু উজ্জ্বল হয় তার চেয়ে অনেক অনেক গুন বেশি উজ্জ্বল হয় ব্ল্যাকহোলের matter যখন Accretion ডিস্কে প্রবেশ করে। তাছাড়া একসাথে অনেক গুলো বেশি ভরের ব্ল্যাকহোল যখন Accretion ডিস্কে প্রবেশ করে তখন Relativity Jets তৈরি হওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয় এবং এক সাথে কয়েকটি বেশি ভরের ব্ল্যাকহোল প্রবেশ করলে গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে উদ্ভূত হবে দুটি বুদবুদ সেগুলো কেবলমাত্র শক্তিশালী গামা রশ্মির দ্বারা তৈরি হয়।
বিশ্ব নাথ আচার্য্য (৩২)
গ্রাম: ফান্দাউক, উপজেলা: নাসিরনগর
জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ।
আমি পায়েল দেব। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 4 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।