টেকটিউনসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, মেহেদী হাসান আরিফ (অনুমতি ছাড়া নাম ব্যবহার করলাম। আপত্তি থাকলে এডিট করে দেব) একদিন তার বোনের বাসায় বেড়াতে গেল । তার ছোট্ট একটা ভাগ্নি ছিল । বাসায় গিয়ে দেখে ভাগ্নি তার আম্মুর উপর রাগ করেছে । কারণ ছিল আম্মু তাকে রৌদ্রের মধ্যে খেলতে যেতে দেয়নি । তখন মেহেদী দেখল যে কারণ যৌক্তিক কিন্তু ভাগ্নির রাগ ভাঙ্গানো কিভাবে ? তখন সে ভাগ্নিকে বলল ম্যাজিক দেখবে ? ম্যাজিকের কথা শুনে ভাগ্নি নড়েচড়ে উঠল । ভাগ্নি বলল কি ম্যাজিক দেখাবে ? মামা বলল তুমি কি একট টুকরা বরফকে একটি সূতার সাহায্যে সূতা দিয়ে না বেঁধে এবং বরফকে না স্পর্শ করে উপরে তুলতে পারবে ? ভাগ্নি একথা শুনেতো অবাক! এটা কি করে সম্ভব! মামা বলল আমি পারি । ভাগ্নি বলল আচ্ছা দেখাওতো । তারপর মামা তার ভাগ্নিকে ম্যাজিকটি দেখাল এবং ভাগ্নির রাগ ভাঙ্গাল । টেকটিউনস বন্ধুরা চলুন দেখি মামা আরিফ কিভাবে ম্যাজিকটি দেখিয়েছিল -
আমরা জানি শূন্য ডিগ্রী সেলসিয়াস বা বত্রিশ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রায় সাধারণত পানি বরফে পরিনত হয় । এই শূন্য ডিগ্রী সেলসিয়াস বা বত্রিশ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রাকে পানির ফ্রিজিং পয়েন্ট বা হিমাংক বলা হয় । পানির এই ফ্রিজিং পয়েন্টকে কমিয়ে শূন্য ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার নীচে নিয়ে আসা যায় । একে বলা হয় হিমাংকের অবনমন । উপরের ম্যাজিকটিতে ঠিক এধরণের ঘটনা ঘটে । বরফের উপর সূতা রাখার পর এর চারপাশে বরফের উপর লবণ ছিটিয়ে দেয়ার ফলে পানির হিমাংক শূন্য ডিগ্রী সেলসিয়াস বা বত্রিশ ডিগ্রী ফারেনহাইট থেকে কিছুটা কমে আসে ফলে বরফ শূন্য ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় থাকলেও তা গলতে শুরু করে । ফলে সূতা করাতের মত করে বরফের ভিতর ঢুকতে থাকে । যখন লবণের ক্রিয়া শেষ হয়ে যায় তখন আবার হিমাংক শূন্য ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চলে আসে এবং বরফ সূতার চারপাশে জমতে শুরু করে । ফলে যখন জমাট বরফ জমে যায় তখন সূতা উপরে তুললে বরফও সূতার সাথে উপরে উঠে আসে ।
আমি ছাত্র ও শিক্ষক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 54 টি টিউন ও 1010 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
তুমি যদি শিক্ষিত হও,অশিক্ষিতকে আলো দেবে। না পারলে তুমি অহংকার করবেনা,তুমি দূর্ব্যবহার করবেনা,বিনয়ের সঙ্গে কথা বলবে,তুমি শিক্ষিত বলেই এ তোমার অতিরিক্ত দায়।
ভালো লাগলো……………………