গত একমাসে এই এক শব্দে আমরা ভয়ে, আতংকে আছি তাইনা?
অথচ আমরা কি জানি? যে এই ডেংগুর জন্য আমরাও কোন অংশে কম দায়ী নই। শুধু শুধু সরকার আর সিটিকর্পোরেশনের দোষ দিয়ে বাঁচা যাবেনা। সবাই আপনাকে ছাড়লেও প্রকৃতি আপনাকে ছাড়বেনা।
কিন্তু প্রকৃতি আপনার আর কিইবা করতে পারবে তাইনা?
আপনি সৃষ্টি কর্তার কথা ভাবতে পারেন। তার হাত থেকে যে কেউ পার পাবেনা এটা তার একটা উৎকৃষ্ট প্রমান।
ইহাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় “রিভেঞ্জ অফ ন্যাচার”। অর্থাৎ আপনি পরিবেশের কোন ক্ষতি করলে পরিবেশ ও আপনাকে ছাড়বেনা। সেটা কিভাবে বলছি।
পরিবেশের ন্যাচেরাল একটা চেইন বা প্রক্রিয়া আছে। বিশ্ব ভ্রম্মান্ডের কেউ এই সিষ্টেমের বাইরে নয়। তার মধ্যে যদি কোন কারনে এই চেইনের কোন প্রানী বা উপাদান যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে তাহলে পুরো প্রক্রিয়ার উপর এর প্রভাব পড়বে তথাপি পুরো প্রক্রিয়াই ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
আমি এই লেখা বড় করে সবার জন্য কঠিন করতে চাইছিনা। তাই এবার মুল বিষয়ে আসি। এই ডেংগু তথাপি মশা, মাছি, বিভিন্ন ভয়ংকর রোগ বালাই, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এগুলোও কিন্তু এই পরিবেশের চেইনের একটি অংশ। কিন্তু হঠাৎ এর প্রকোপ এত বাড়ছে কেন?
আপনি লক্ষ করেছেন কি? গত কয়েক বছরে শহর, মফস্বল সব জায়গাতেই কাক ও ব্যাঙ এসবের অনেক সংখ্যা কমে গেছে।
আপনি জানেন কি? ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস তথা মানব জীবনের জন্য ক্ষতিকর এমন প্যারাসাইট, অনুজীবের উপর শুধুমাত্র ব্যাঙ, কাক ও টিকটিকির রয়েছে বিশাল প্রভাব।
কাকঃ- পরিবেশের ময়লা ও দুষিত পদার্থ খেয়ে পরিবেশ পরিষ্কার রাখে। কাক আমাদের ফেলে দেয়া ময়লা খাবার খেয়ে ফেলে এতে করে পঁচন যোগ্য পদার্থ কমে, ইস্ট ও ছত্রাকের প্রজনন কমে যায়। কাক জমে থাকা পানি খেয়ে ফেলে এতে করে মশা ও মাছির বংশবিস্তারে লাগাম পড়ে যায়।
ভেবে দেখুন জমে থাকা পানিতেই কিন্তু এডিস মশা ডিম পাড়ে। অথচ আমরা পলিথিন ফেলে পরিবেশ এতটাই দুষিত করেছি যে এই কাকই এখন হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা পলিথিন ফেলে আসল অত্যাচার আমাদের উপরই করছি।
ব্যাঙঃ- ঘ্যাংর ঘ্যাং ডাক এখন ইউটিউবে সার্চ করে শুনতে হয়। অথচ আপনি জানলে আফসোস করবেন যে একটা ব্যাঙই ঘন্টায় ২০ টারও বেশি মশার লার্ভা খায়। অর্থাৎ ২৪ ঘন্টায় ২৮০ টি। একটা বার ভেবে দেখুন ব্যাং আপনার কত বড় বন্ধু।
কিন্তু আমরা কি করছি? কিটনাশক ছড়িয়ে ফসলি জমির ব্যাঙ গুলো মেরে ফেলছি। আর সাবান সোডার যাচ্ছে তাই ব্যবহার করে নদী নালা, খাল সব ক্ষারীয় করে তুলছি। এতে ব্যাঙ যেমন কমছে তেমনি কমছে মাছও। আর যত্রতত্র গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস করছি। ব্যাঙের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। কমছে ব্যাঙ, বাড়ছে মশা, মাছি, রোগ বালাই।
এতো কিছুই নয়। আরও শকিং নিউজ হলো এগুলো পরিবেশের উপর উপকারি প্রানী ও উপাদান যত কমছে ততো কিন্তু আমরা পরিবেশের উপর আমাদের প্রয়োজনীয়তা হারাচ্ছি।
তার উপর তো এন্টি-বায়োটিকের যাচ্ছে তাই অত্যাচার চলছেই। দিন দিন আমাদের বন্ধু কমছে আর শত্রু বাড়ছে। এরা এমনই শত্রু যে হাজার হাজার টন পারমানবিক বোমা ফেলেও এদের ঘায়েল করা সম্ভব না। প্লিজ শত্রু আর বাড়াবেন না।
By Proyas Masum
#50weeksofchange
#2nd_week
#2nd_article
আমি প্রয়াস মাসুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 16 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।