ম্যাজিকে ম্যাজিকে বিজ্ঞান শিখি (৫ম পর্ব)

আসসালামু আলাইকুম, টিউনার ভাইয়েরা কেমন আছেন সবাই ? আমি ভাল আছি । ট্রেনিংয়ের ব্যস্ততার কারণে ম্যাজিকে ম্যাজিকে বিজ্ঞান শিখি ধারাবাহিক টিউনগুলোর পর্ব পোস্ট করতে দেরি হচ্ছে । এখন আমার ট্রেনিং এর সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছি । তারপর ও টেকটিউনসে লেখার লোভ সামলাতে পারিনা । আজ যে পর্ব আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি তা আমার কাছে সবচেয়ে সেরা পর্ব । আপনাদের কাছে কেমন লাগে তা জানবেন ।

বিষয় : হাতের তালুর ছিদ্র দিয়ে দেখা

দরকার

১। একটি পেপার ।
২। হাতের তালু ।
৩। আপনার দুই চোখ।
৪। একটি ক্যালেন্ডার ।

কি করবেন

প্রথমে ক্যালেন্ডারটিকে দেয়ালে ঝুলিয়ে দিন । তারপর কাগজটিকে ফোল্ডিং করে টিউবের মত করুন । এখন বাম চোখ বন্ধ রেখে ডান চোখ দিয়ে ঐ টিউবের একপ্রান্ত দিয়ে ক্যালান্ডারের দিকে তাকান । এরপর ডান চোখ বন্ধ করে বাম চোখ দিয়ে দেখুন । এখন টিউবের প্রান্তের কাছাকাছি আপনার এক হাতের তালু মেলে ধরুন । এবার বাম চোখ বন্ধ করে ডান চোখ খুলে দেখুন । তারপর উভয় চোখ মেলে দেখুন ।

কি দেখতে পাচ্ছেন ? দেখতে পাচ্ছেন হাতের তালুর মধ্যে একটি গোলাকার ছিদ্র এবং ঐ ছিদ্রর ভিতর দিয়ে ক্যালান্ডারটি দেখা যাচ্ছে ।

কেন এমন হয়

যখন আমাদের চোখে কোন বস্তু থেকে আলো এসে পড়ে তখন চক্ষু লেন্সের মাধ্যমে চোখের রেটিনাতে গিয়ে পড়ে এবং রেটিনাতে বস্তুর্‌ একটি ইমেজ তৈরি হয় ।

এই রেটিনা অনেকগুলো সেনসিটিভ নার্ভের একপ্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে এবং নার্ভগুলোর অন্য প্রান্ত শেষ হয় মস্তিষ্কের গভীরে । যখন কোন আলো রেটিনার সেনসিটিভ নার্ভের প্রান্তে এসে আঘাত করে তখন এক প্রকার ইলেকট্রিক স্রোত ব্রেনের নির্দিষ্ট স্পটে পৌছায় ।

মস্তিষ্ক নার্ভের মাধ্যমে হাজার হাজার ইলেকট্রিক মেসেজ গ্রহণ করে । রেটিনায় তৈরি হওয়া প্রত্যেকটি ইমেজ এক একটি ভিন্ন ভিন্ন প্যাটার্নের ইলেকট্রিক মেসেজ তৈরি করে । মস্তিষ্ক সব মেসেজ গুলো একত্রে রিকগনাইজ করে ফলে বস্তুটি দেখতে পাওয়া যায় ।

আপনি এক হাত দূরত্বে হাতের তালু ধরে আঙ্গুলে উপর দিয়ে এক চোখ বন্ধ করে দেখুন আবার অপর চোখ বন্ধকরে দেখুন । মনে হবে যেন ব্যাকগ্রাইন্ড একটু সরে যাচ্ছে । ঠিক এধরনের ঘটনাই ঘটে যখন টিউবের ভিতর দিয়ে দেখি । যখন টিউবের ভিতর দিয়ে তাকাই তখন গোলাকার ছিদ্রে রিং এর মত করে ছবি দেখি যা অন্য চোখ দেখতে পায়না । আবার অন্য চোখ দিয়ে হাতের তালু দেখি কিন্তু টিউবের ভিতরের মত দেখিনা । ফলে দুই চোখে যে ভিন্ন ভিন্ন ভিউ হয় তা রেটিনাতে দুই ধরনের ইমেজ তৈরি হয় যা নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌছায় এবং একই সাথে দুই ধরনের বস্তু দেখা যায় । তখন মনে হয় যেন হাতের ছিদ্রের ভিতর দিয়ে দেখছি।

Level 0

আমি ছাত্র ও শিক্ষক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 54 টি টিউন ও 1010 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

তুমি যদি শিক্ষিত হও,অশিক্ষিতকে আলো দেবে। না পারলে তুমি অহংকার করবেনা,তুমি দূর্ব্যবহার করবেনা,বিনয়ের সঙ্গে কথা বলবে,তুমি শিক্ষিত বলেই এ তোমার অতিরিক্ত দায়।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

স্যার জটিল লেগেছে।ধন্যবাদ

ভালো Tune স্যার…

ধন্যবাদ

আসলেই স্যার পুরাই ম্যাজিক!

খুব সুন্দর হয়েছে। বেপারটা অনেক ক্ষেত্রে ঘটে। ভালো একটি উদাহরন দিলেন। আর টিউন আশা করি।

    এখানে ম্যাজিকের চেয়ে ব্যাখ্যাটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ।
    ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

দারুন ম্যাজিক

ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
মজা পায়লাম।

Level 0

আপনার একজন ছাত্র হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।