যে ৬ টি স্মার্টফোনের রিভিউ দেয়া হল সেগুলোর অধিকাংশই বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে। তবে, বিভিন্ন অনলাইনে সেগুলোর দামের তারতম্য রয়েছে। তাই, আমি দাম উল্লেখ করলাম না। এখান থেকে কোন ফোন কেনার জন্যে মনস্থির করলে, দামটা আপনি দোকান থেকে কিংবা অনলাইনে জেনে নেবেন।
ভালো ক্যামেরার স্মার্টফোনের তালিকায় এই ফোনটিও সবার নজরে আছে এখন। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে লঞ্চ হওয়া এই ফোনটির রিয়াল ক্যামেরা ১২ মেগাপিক্সেল এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেল। রিয়াল ক্যামেরার এপারচার এফ/১.৭ এবং এফ/২.৪। গ্যালাক্সি কোম্পানির এই ফোনটির অটোফোকাস টাইপ হলো ফেইজ ডিটেকশন। মাত্র ১৯৫ গ্রাম ওজনের এই ফোনটিতে রয়েছে ৩, ৩০০ এমএএইচ এর ব্যাটারি এবং ৬৪ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ।
বিশেষ কিছু কারণের জন্য Samsung Galaxy Note 8 এর ক্যামেরা আমাদের দেখা সবচেয়ে ভালো ক্যামেরা স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি অনেক দ্রুত ছবি তুলতে সক্ষম, কারণ এর রয়েছে দুইটি শক্তিশালী ও ভালো মানের সেন্সর। আমরা একটি ভালো ক্যামেরার স্মার্টফোনে যা যা খুঁজে থাকি যেমন- ব্লার ব্যাকগ্রাউন্ড, টেলিফটো লেন্স, তাৎক্ষনিক ছবি তুলার ক্ষমতা এসব কিছুই রয়েছে এই স্মার্টফোনে।
ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকার ফলে আপনি অধিক সময় ধরে ছবি তুলতে পারবেন Samsung Galaxy Note 8 দিয়ে। এছাড়াও এই স্মার্টফোনের ক্যামেরাতে রয়েছে অনেক মুড যা অটোম্যাটিক সেটিং করে দেয়া আছে। ফলে আপনার ব্যবহার করতে সুবিধা হবে।
ফোনটি বাজারে লঞ্চ করা হয় ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে। ফোনটির ব্যাক ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেলের একটি অটোফোকাস ক্যামেরা এবং ফ্রন্ট সাইডে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ব্যাক ক্যামেরার এপারচার এফ/১.৭। ১৫৫ গ্রাম / ১৭৩ গ্রামের এই ফোনটিতে রয়েছে ৩, ০০০ এমএএইচ / ৩, ৫০০ এমএএইচ এর ব্যাটারি এবং ৬৪ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ।
বাজারে ফোনটি তার ক্যামেরার জন্য বিখ্যাত। ফোনটিতে রয়েছে একটি মাত্র সেন্সর, অর্থাৎ ফোনটি দিয়ে আপনি খুব ভালো পোর্ট্রেট তুলতে পারবেন না। এই কারণে ফোনটি আমাদের টপ লিস্টে নেই। কিন্তু আপনি যদি এই বিষয়টি নিয়ে তেমন না ভাবেন তাহলে আমরা আপনাকে ফোনটি কেনার জন্য রিকমেন্ড করবো। কারণ এই বিষয়টি ছাড়া ফোনটিতে অন্য কোনো সমস্যা নেই, সবকিছুই অসাধারণ।
আইফোন এক্স ফোনটি লঞ্চ হয় ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে। বহুল আলোচিত এই ফোনটির ব্যাক সাইডে থাকছে দুইটি ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা এবং ফ্রন্ট ক্যামেরাটি ৭ মেগাপিক্সেলের। ব্যাক ক্যামেরার এপারচার এফ/১.৮ এবং এফ/২.৪ এবং ফোনটির অটোফোকাস টাইপ হলো ফেইজ ডিটেকশন। ২, ৭১৬ এমএএইচ ব্যাটারির এই ফোনটির ওজন মাত্র ১৭৪ গ্রাম এবং এতে রয়েছে ৬৪ জিবি থেকে ২৫৬ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ।
অ্যাপলের সবচেয়ে ভালো ক্যামেরার স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে বর্তমানে আইফোন এক্স সবচেয়ে এগিয়ে। শুধু ব্যাক ক্যামেরাই নয় একই সাথে ফ্রন্ট ক্যামেরাটিও বেশ ভালো।
ফোনটিতে রয়েছে রেয়ার ডাবল সেন্সর, যার ফলে কম আলোতেও ভালো ছবি তুলার ক্ষমতা রাখে। এছাড়াও ছবির বিষয়বস্তু ভালো ভাবে ফুটিয়ে তুলার জন্যও ফোনটির ক্যামেরা খুব ভালো কাজ করে। ক্যামেরাটিতে দুইটি ১২ মেগাপিক্সেল সেন্সরের কম্বিনেশন থাকায় একটি টেলিছবি ধারণ করে এবং দুইটি মিলে অপটিক্যাল স্টেবিলাইজেশন ইমেজ ধারণে সাহায্য করে।
ফোনটির ফ্রন্ট ক্যামেরা ব্যবহারে আপনি বেশ ভালো সেলফি তুলতে পারবেন যা আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করবে সেকেন্ড সেন্সর ছাড়াই। এটি বাজারে খুব ভালো ক্যামেরার স্মার্টফোন হিসেবে স্বীকৃতি না পেলেও আইফোনের সবচেয়ে ভালো ক্যামেরার স্মার্টফোন হিসেবে এটি টপে আছে।
এই ফোনটি ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে বাজারে লঞ্চ হয়। ফোনটির ব্যাক সাইডে রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেল এবং ২০ মেগাপিক্সেলের দুইটি ক্যামেরা ও ফ্রন্ট সাইডে রয়েছে একটি ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ব্যাক ক্যামেরা দুইটির এপারচার এফ/১.৬ এবং এফ/১.৬। Huawei Mate 10 Pro এর অটোফোকাস টাইপ হলো ফেইজ ডিটেকশন এবং লেজার। ১৭৮ গ্রামের এই ফোনে রয়েছে ৪, ০০০ এমএএইচ এর ব্যাটারি যা আপনাকে দীর্ঘ সময় ছবি তুলতে সাহায্য করবে। এছাড়াও রয়েছে ১২৮ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ রয়েছে ছবি সংরক্ষণের জন্য।
এই ফোনটির ব্র্যান্ড মূলত ফোনের ফটোগ্রাফি পারফর্মেন্স এর দিকে বেশি ফোকাস করেছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এখানে উল্লেখিত সব ফোনগুলোর মধ্যে এই ফোনটিই কেবল আলোতে ভালো ছবি তুলতে পারে না। তবে কম আলোতে বা খুব কাছ থেকে ছবি তুলার ক্ষেত্রে ফোনটির পারফর্মেন্স খুব ভালো। প্রফেশনাল ইউজারদের জন্য এই ফোনটি সাজেস্ট করা হলো।
আইফোন এক্স এর পরেই অ্যাপলের এই ফোনটির স্থান। ফোনটি রিলিজ হয়েছে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ১২ মেগাপিক্সেল ব্যাক ক্যামেরা ও ৭ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরাসহ এতে রয়েছে অটোফোকাস টাইপ। ২, ৬৯১ এমএএইচ ব্যাটারির এই ফোনের ওজন মাত্র ২০২ গ্রাম। ফোনটিতে রয়েছে ৬৪ জিবি থেকে ২৫৬ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ।
ফোনটির ব্যাক ক্যামেরা দিয়ে পোর্ট্রেট ছবি তুললে প্রথমে খুব ভালো না আসলেও পর পর কয়েকটি ছবি তুললে বেশ ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়। এছাড়া এর সেলফি ক্যামেরা খুব বেশি ভালো না। অর্থাৎ এটি দিয়ে সেলফি তুললে ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার হবে না আপনি যদি অ্যাপলের ফোন পছন্দ করে থাকেন তাহলে আইফোন এক্স কিনতে না চাইলে এই ফোনটি নিতে পারেন।
এই ফোনটি রিলিজ করা হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ফোনটির ব্যাক সাইডে রয়েছে দুইটি ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা এবং ফ্রন্ট সাইডে একটি ৭ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ২, ৯০০ এমএএইচ ব্যাটারির ফোনটির ওজন মাত্র ১৮৮ গ্রাম।
অ্যাপলের ফোনগুলোর তালিকায় এই ফোনটির ক্যামেরাও বেশ ভালো। দুইটি সেন্সর থাকায় বেশ ভালো পোর্ট্রেট তুলা যায়। এছাড়া স্ক্রিন ফ্ল্যাশ থাকায় কম আলোতে ভালো সেলফি উঠে।
আমি জোবায়ের উপল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 36 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 29 টিউনারকে ফলো করি।