ম্যাজিকে ম্যাজিকে বিজ্ঞান শিখি (৪র্থ পর্ব)

বিষয় : রক্তের অক্ষরে নয়, কলমের কালি দিয়েও নয়, লেখা হবে আগুনের কালিতে !!!

আমরা সাধারণত লেখার জন্য কলম ব্যবহার করি আবার অনেক সময় পেন্সিল দিয়েও লিখি । আজ আমরা লিখব আগুনের সাহায্য। কি করে লিখব ? চলুন দেখি -

দরকার :

  • ১। একটি বিকার ।
  • ২। ১০ গ্রাম সোডিয়াম নাইট্রেট ।
  • ৩। ফিল্টার পেপার/ব্লটিং পেপার/পোর্চমেন্ট পেপার ।
  • ৪। শুষ্ককারী যন্ত্র (হেয়ার ড্রাইয়ার হলে চলবে)
  • ৫। নাড়ন কাঠি/গ্লাস রড ।
  • ৬। লাইটার
  • ৭। ছোট রং তুলি ।
  • ৮। পানি ।
  • ৯। একটি পেন্সিল ।
  • ১০। শুকনা কাঠি ।

সতর্কতা :

  • ১। চোখে গগলস পড়ে নিতে হবে ।
  • ২। যে কক্ষে পরীক্ষা করা হবে সে কক্ষের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা ভাল

হতে হবে কারণ পরীক্ষার সময় প্রচুর ধোঁয়া উৎপন্ন হতে পারে ।

কি করতে হবে :

প্রথম ধাপ : বিকারের মধে সামান্য পানি (কমপক্ষে ১০ মি.লি.) নিয়ে তার মধ্যে ১০ গ্রাম সোডিয়াম নাইট্রেট যোগ করে নাড়ন কাঠির সাহায্যে নাড়িয়ে তা ভালভাবে দ্রবীভূত করি । তারপর উহাতে আর একটু সোডিয়াম নাইট্রেট যোগ করে নাড়াই। যদি তা দ্রবীভূত না হয় তবে আর যোগ করতে হবে না । কিন্তু যদি দ্রবীভূত হয় তখন আর একটু যোগ করতে হবে । এভাবে দ্রবণ প্রস্তুত করতে হবে ।

দ্বিতীয় ধাপ : এখন রং তুলি ঐ দ্রবণের মধ্যে ডুবিয়ে ডুবিয়ে পেপারেরর মধ্যে যা লিখতে চাই তা লিখি । দরকার হলে লেখাগুলোর উপর দিয়ে আবার লিখতে হবে যেন সব জায়গায় ভালভাবে দ্রবণ পড়ে । খেয়াল রাখতে হবে যেন লেখার মধ্যে একটি বর্ণের সাথে অপর বর্ণের যোগসূত্র থাকে অর্থাৎ কোন ফাঁকা যেন না থাকে এবং পেপারের একেবারে প্রান্ত থেকে লেখা শুরু করতে হবে । যেখান থেকে লেখা শুরু করব সেখানে পেন্সিল দিয়ে একটি চিহ্ন দিতয়ে রাখতে হবে । এরপর পেপারটিকে শুকিয়ে নেই । এতে লেখাগুলো অদৃশ্য হয়ে যাবে ।

তৃতীয় ধাপ : এখন শুকনো কাঠিটি লাইটার দিয়ে একপ্রান্তে আগুন জ্বালাই এবং ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে দেই । তখন কাঠিটি শিখাহীন লালাভ জ্বলতে থাকবে স্ফুলিঙ্গের মত । এই লালাভ স্ফুলিঙ্গকে পেপারের যেখান থেকে লেখা শুরু করেছি সেখানে ভালভাবে স্পর্শ করে ধরি। তখন পেপারে লালাভ স্ফুলিঙ্গের আকারে আগুন লেখা বরাবর চলতে থাকবে এবং ধোঁয়া তৈরি হবে । ফলে কাগজে কাল পোড়া দাগ পড়বে যেরকম লেখা হয়েছিল ঠিক সেরকম এবং লেখাগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

কেন এমন হয় :

আমরা জানি অক্সিজেন দহনে সাহয্য করে । সোডিয়াম নাইট্রেট দ্রবণ দিয়ে লেখার উপর যখন আগুনের স্ফুলিঙ্গ ধরা হয় তখন সোডিয়াম নাইট্রেট বিক্রিয়া করে সোডিয়াম নাইট্রাইট ও অক্সিজেন উৎপন্ন করে। এই অক্সিজেনই লেখা বরাবর আগুনকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এতে করে আগুন অন্যদিকে নাগিয়ে লেখা বরাবর চলতে থাকে এবং কাগজ পুড়ে কাল লেখা স্পষ্ট হয়ে উঠে ।

Level 0

আমি ছাত্র ও শিক্ষক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 54 টি টিউন ও 1010 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

তুমি যদি শিক্ষিত হও,অশিক্ষিতকে আলো দেবে। না পারলে তুমি অহংকার করবেনা,তুমি দূর্ব্যবহার করবেনা,বিনয়ের সঙ্গে কথা বলবে,তুমি শিক্ষিত বলেই এ তোমার অতিরিক্ত দায়।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

দারুণ লিখেছেন তো স্যার! খুবই মজার একটা পর্ব হয়েছে।

ore baba eot puro chamesrty.khub valo tune hoieche sir.aro tube chai

Thank u..

চমৎকার

সত্যি বলতে বাংলা ভাল ভাবে লেখতে পারিনা।
তাই সমালোচনা করতে পারিনা স্যার ।সামনে ইনশাআল্লাহ করবো।
খুব ভালো হয়েছে ।
আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

ভাই সালাম
দারুণ লিখেছেন ভাই! খুবই মজার একটা পর্ব হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই । ।

    আপনাকে ধন্যবাদ ।
    আমি দু:খিত আপনার মন্তব্য এডিট করতে হয়েছে ।

    আপনাকে ধন্যবাদ । http://www.incomeusd.com রাখলে অনেক খুশি হবো।
    ভাল থাকবেন।

সোডিয়াম নাইট্রেট কোথায় কিনতে পাওয়া যায়?

    ল্যাবরেটরির জিনিসপত্র যেখানে পাওয়া যাবে সেখানে পাবেন ।

ভাল লাগল ।

স্কুল বা কলেজ এর ল্যাব থেকে কিছুটা মেরে দিতে পারেন।
আর এই দুঃসাহস টুকু দেখাতে না পারলে সোজা হাটখোলা রোড এ চলে যান। @কলকাতা

ভালো লাগলো।ফিজিওথেরাপী সম্পর্কে জানতে
https://momena-nazrul.blogspot.com/