অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের পর এবার হাইড্রোজেন প্রস্তুতি (সহজ পদ্ধতি)

ভূমিকা : পানি হচ্ছে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌগ । পানিকে যদি কোন উপায়ে ভাঙ্গা যায় তবে আমরা হাইড্রোজেন গ্যাস পেতে পারি ।যে পদ্ধতিতে পানি ভেঙ্গে এর উপাদান পৃথক করা যায় তাকে বলা হয় ইলেকট্রোলাইসিস ।ইলেকট্রোলাইসিস হল তড়িৎ প্রবাহের মাধ্যমে কোন যৌগকে উহার উপাদান মৌলে বিশ্লিষ্ট করা । আজ আমরা এ পদ্ধতিতে হাইড্রোজেন গ্যাস প্রস্তুত করব ।

দরকার :
১। একটি ৯ ভোল্টের ব্যাটারি ।
২। বৈদ্যুতিক তার দুই টুকরা (প্রয়োজনীয় মাপের)
৩। ছুরি বা কাঁচি ।
৪। টেপ ।
৫। পানি ও
৬। লবণ
৭। একটি চওড়া গ্লাস ।

কি করতে হবে :

প্রথম ধাপ : প্রথমে বৈদ্যুতিক তার দুটির প্রান্তদ্বয়কে ছুরি বা কাঁচির সাহায্যে আবরণ ছাড়িয়ে নেই। এরপর একটি তারের এক প্রান্তকে টেপের সাহায্যে ব্যাটারীর এক প্রান্তের সাথে ভাল করনে আটেক দেই। অপর তারের একপ্রান্তকে একই ভাবে ব্যাটারীর আরেক প্রান্তের সাথে যুক্ত করি ।

দ্বিতীয় ধাপ : এবার গ্লেসর মধ্যে প্রয়োজন মত পানি নিই এবং এতে আমন পরিমাণ লবণ যোগ করি যেন পানি হালকা ঘোলাটে হয় । তারপর ব্যাটারীর সাথে যুক্ত তারদ্বয়ের প্রান্তদ্বয়কে পানির মধ্যে ডুবিয়ে দেই । খেয়াল রাখতে হবে যেন তারদ্বয় পানির মধ্যে একসাথে লেগে না থাকে। এখন কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন । দেখা যাবে -

পানিতে ডুবন্ত একটি তারের প্রান্তের চারপাশ ঘিরে বুদবুদ আকারে গ্যাস বের হচ্ছে । ইহাই হচ্ছে হাইড্রোজেন গ্যাস ।

বিশেষ সাবধাণতা : এ পদ্দতিতে হাইড্রোজেন প্রস্তুতির সময় অল্প পরিমাণ বিষাক্ত ক্লোরিণ গ্যাস উৎপন্ন হয় । এটি একটি স্বল্প পরিসরের পরীক্ষা তাই উৎপন্ন ক্লোরিন গ্যাস তেমন কোন ক্ষতিকর নয় । কিন্তু বৃহৎ পরিসরে পরীক্ষা করতে গেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গহণ করতে হবে ।

অক্সিজেন প্রস্তুতি :

নিজের তৈরি যন্ত্রপাতি দিয়ে(মুরগীর কলিজার সাহাযে্য) অক্সিজেন গ্যাস প্রস্তুতি

কার্বন ডাই অক্সাইড প্রস্তুতি :

চলুন খুব সহজে প্রস্তুত করি কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস (পরীক্ষাগারের যন্ত্রপাতি ছাড়া)

Level 0

আমি ছাত্র ও শিক্ষক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 54 টি টিউন ও 1010 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

তুমি যদি শিক্ষিত হও,অশিক্ষিতকে আলো দেবে। না পারলে তুমি অহংকার করবেনা,তুমি দূর্ব্যবহার করবেনা,বিনয়ের সঙ্গে কথা বলবে,তুমি শিক্ষিত বলেই এ তোমার অতিরিক্ত দায়।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Thank u….

নতুন জিনিস শিখলাম…ধন্যবাদ

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ………

[অফটপিক: কেমন আছেন আপনি? আপনার শরীর ভালো? ]

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ………
next আরও ভালো কিছু শেয়ার করবেন

৬ ভোল্ট বা ১২ ভোল্টের ব্যাটারী হলে কি কাজ হবে?

ইসস … শিক্ষার্থীরা যদি নিজেদের মত করে লিখতে পারত ….. নিজে ঐ সময়টাতে থাকার সময় অনেক ইচ্ছা করত … কিন্তু উপায় নাই ….. লিখলেই বাঁশ 🙁

    বর্তমান সৃজনশীল পদ্ধতিতে কিন্তু ইচ্ছে মত লিখতে পারে তবে সঠিক যুক্তি থাকতে হবে এবং প্রাসঙ্গিক হতে হবে ।

    জেনে খুশি হলাম 🙂

স্যার আমি রসায়নে ভয়ংকর রকমের ভালো 🙂

অনেক সুন্দর টিউন স্যার।

    আমি এরকম একটা করছিলাম তবে সাথে সালফিউরিক এসিড দিসিলাম ফলে লবনের অর্ধক্ষেপ পড়ছিল।

    ভেরি গুড ।

    সাধারণত এসিড যোগ করা হয় বিদ্যুৎ পরিবাহিতা বৃদ্ধি করার জন্য কারণ বিশুদ্ধ পানি বেশি বিদ্যুত পরিবহন করেনা ।
    আর লবনের অধ:ক্ষেপ কেন পড়বে ?

নয় ভোল্টের ব্যাটারি নেই। তবে একটা এডাপ্টার আছে ১.৫v-১২v পর্যন্ত সাপ্লাই দেয়। এটার ৯ ভোল্টে হবে? যেহেতু বিদ্যুৎ ঘটিত ব্যাপার তাও জানতে চাচ্ছিলাম।