‘আর কোনো প্রেম আমার চাই না। আমার মৌনতা ভাঙার চেষ্টা তাই কোরো না; আমাকে বোঝাতেও এসো না।
আমি নিজেই তো নিজেকে বুঝি না। যা কিছু বলি, যা কিছু দেখি—জগতে তার সবটা বলার উপায়ও নেই। আর আমি কী চাই—নিজেও কি জানি! কেউ নিঃসঙ্গ হতে চায় না। কিন্তু আমার আর কিছুর দরকার নেই—সেইখানে যাওয়া ছাড়া; সেইখানে। কেবল তার পরই আমি নিজেকে বুঝতে পারব। এই হচ্ছে আমার চাওয়া, আর কিছু না, কিছু না, কিচ্ছু না। ’ করুণ গলায় গানটি বাজছে, সঙ্গের ভিডিও চিত্র বিষণ্নতায় মোড়া। লোকালয় ছেড়ে একটি মেয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে অজানার উদ্দেশে। দূরে শূন্যতায় ঘাই মারছে বিশাল এক নীল তিমি। এগিয়ে যাচ্ছে মেয়েটি। শেষ দিকে দেখা যায়, গাড়ির দরজা খোলা। আরোহীর এবার লক্ষ্য দূরের অতল জল। গানটি যখন শেষ হয়—মেয়েটি কোথাও নেই। আর ছটফটানো তিমিটি এখন নিথর। তখনো গান বাজছে—‘আমার আর কিছুর দরকার নেই—সেইখানে যাওয়া ছাড়া; সেইখানে…। ’
বিশ্বজুড়ে কুখ্যাত এক ‘গেম’ এ ধরনের বিষাদের গান শুনিয়েই এক শ্রেণির শিশু-কিশোরকে চরম জীবনবিমুখ ও মৃত্যুকামী করে তুলছে; পাশাপাশি ভৌতিক চলচ্চিত্র দেখিয়ে, ধারালো ছুরির আঘাতে আঘাতে দেহ-মনকে একটু একটু করে ব্যথা সহনীয় করে শেষ মুহূর্তে তাদের বলছে, ‘যাও এইবার তুমি জীবন থেকে ঝাঁপ দাও, শূন্যে লাফিয়ে পড়ো। ’
সাগরের ‘ব্লু হোয়েল’ বা ‘নীল তিমি’ স্বভাবে উপকূলমুখী থাকে; কিন্তু ডাঙায় উঠে আর নামা সহজ হয় না বলে অনেক তিমি মারা যায়। এই নামেই এক ভয়াল মৃত্যুজাল পেতে সম্ভাবনার সাইবার দুনিয়ার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে জীবনবিচ্ছিন্ন একদল তরুণ। আদতে এটি কোনো গেম নয়, ডাউনলোড করা যায় না। কোনো সাইটে পাওয়া যায় না। বিশেষ কিছু সোশ্যাল নেটওয়ার্ক থেকে হতাশ ছেলে-মেয়েদের বেছে নিয়ে ওই চক্রটি তাদের সামনে আত্মহত্যার বাজি ছুড়ে দেয়। গেমটি রাশিয়া থেকে ছড়িয়ে ইতিমধ্যেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, এমনকি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও অল্প বয়সীদের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে। কিছুদিন ধরে বাংলাদেশেও মৃদুভাবে আলোচনায় ছিল গেমটি। চলতি সপ্তাহে রাজধানীর এক সুপরিচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীর আত্মহত্যার পর তার পরিবারেরই একজন সন্দেহবশত ‘ব্লু হোয়েলের’ কথা উচ্চারণ করলে খবরটি ভাইরাল হয়ে যায়। পরে অবশ্য প্রমাণ মেলে, এ আত্মহত্যা ব্লু হোয়েলের কারণে নয়। তবে বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসন বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে, অভিভাবক মহলে সন্তানদের নিয়ে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। হতাশাগ্রস্ত অল্প বয়সীদের কেউ কেউ ইতিমধ্যে আত্মহত্যার বাজি জেতার এই খেলায় সাড়া দিতেও শুরু করেছে, এমন একজনের সঙ্গে এই প্রতিবেদকেরও কথা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক উদ্বেগের সঙ্গে বলেছেন, তাঁরা জানার আগেই স্কুলগামী সন্তানরা গেমটির কথা জেনে গিয়েছে।
১৩ উপায় জানতে নিচের ভিডিওঃ-
আমি Rafiul Hasan। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
I don’t think that it is true because there are no abidenc on internet like screen shoot or other.