আস সালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ,আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভাল আছি। প্রতিটি টিউনের মত আজকেও আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নতুন কিছু নিয়ে। নতুন কিছু জানতে সব সময় টেকটিউনসের সাথেই থাকুন। জানি, না বললেও আপনারা সবসময় পাশেই আছেন। নাহলে এই টিউন টা তো আর আপনি পড়তেন না। তাই না?
আচ্ছা আজ আর কথা বাড়াবো না। চলুন চলে যাই মূল টপিক্সে। কারণ আজকে আমার হাতে সময় অনেক কম। অনেক কষ্ট করে আপনাদের জন্য সময় বের করতে হয়। তাই আজকের টপিক্স এ সরাসরি চলে যাচ্ছি। অনেকেই আমার টাইটেল এ দেখেছেন ভি আর বা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি লেখা। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন যে আসলে ভার্চুয়াল রিয়েলেটি জিনিসটা কি? এটা খায় নাকি মাথায় দেয়। আমি জানি অনেকেই হয়ত ভার্চুয়াল রিয়েলিটি জিনিসটা কি এটা পড়ার জন্য হয়ত টিউন টি পড়তে এসেছেন। তাই আপনাদেরও নিরাশ করবো না। চলুন আগে জেনে নিই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি?
আমরা হয়ত অনেকেই বিষয় টা জানি। অনেকেই নিজের মত অনুমান করে হয়ত ভুলও করি। প্রকৃত অর্থে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি চলুন আজ জেনে নেয়া যাক। প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনার উদ্যোগকারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হচ্ছে কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এমন এক সিস্টেম, যাতে মানুষ অবাস্তব ঘটনাকেও বাস্তব ভাবতে বাধ্য হয়।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হতে পারে পৃথিবীর কোনো কিছুর সাথে মিলতেও পারে আবার বা আপনার কল্পনার সাথেও মিলতে পারে। তবে এর মাধ্যমে খুব সুন্দরভাবে বাস্তব অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। অনেক সময়ই অনেক ভার্চুয়াল রিয়েলিটি পরিবেশের সাথে মিলে না। যেমন: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গেমস। এতে থ্রী ডায়মেনশনাল ছবির মাধ্যমে এমভাবে উপস্থাপন করা হয় যেন আপনি সেখানে উপস্থিত।নিজেকেই একটা কম্পিউটার মনে হবে। এর বিভিন্ন যন্ত্র আপনার সাথে সংযুক্ত করে বাস্তবকে উপলগ্ধি করা যায়।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি খায়ও না আর মাথায়ও দেয় না। এটা ব্যবহার করে। আগেই তো বলেছি এটা এমনিতেই অবাস্তব একটা জিনিস এর মাধ্যমে বিভিন্ন বাস্তব পরিকল্পনাকে ফুটিয়ে তোলা যায়। বাস্তবের প্রতিবিম্ব বলা যেতে পারে। ভবিষ্যতে শুধু বিনোদন নয় প্রায় সকল ক্ষেত্রেই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার হবে। আসুন এর কিছু ব্যবহার জেনে নিই।
চিকিত্সাক্ষেত্রে: উন্নত চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তা মূলত এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমেই দেয়া হয়। অনেক বড় ধরণের অপারেশন প্র্যাক্টিস যেগুলো বাস্তবে করতে গেলে রোগীর ক্ষতি হতে পারে তার প্রশিক্ষণ ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে দেয়া হয়।
ড্রাইভিং প্রশিক্ষণে : ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে আজকাল ড্রাইভিং শেখানো হচ্ছে।
সামরিক বাহিনীতে: সামরিক বাহিনীর ক্ষেত্রেও বিশেষ করে ফ্লাইট পরিচালনায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করা হচ্ছে। সামরিক বাহিনীর অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও অনেক ক্ষেত্রে এর মাধ্যমে দেয়া হয়ে থাকে।
বিনোদনঃ বিনোদনের ক্ষেত্রে ভি আর গেমস এর তুলনাই হয় না। আপনি মনে হবে সরাসরি গেইমস খেলছেন।অথচ সেটা যদিও সম্পূর্ণই অবাস্তব।
ব্যবসা-বাণিজ্যে: ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে আপনি জায়গায় বসে আপনার ড্রয়ার খুলে প্রয়োজনীয় ফাইল খুঁজে বের করে আনতে পারবেন। এছাড়া ইচ্ছামত সাজিয়েও রাখতে পারবেন। আজকের টপিক্স এর কথা কি ভুলে গেছেন? ভুলে গেলেও সমস্যা নেই। এখন আর অন্যদিকে যাবো না ?হুম চলুন আজকের বিষয়ে চলে যাই...
এর নাম জেট ভি আর। জেট ভি আর ব্যাকপ্যাক অনেকটা ওমান এক্স কমপ্যাক্ট ডেস্কটপের সাথে মিল রেখে তৈরি করা হচ্ছে। যেটা দুই মাস আগে ঘোষনা দেয়া হয় কিন্তু বাইরের সোন্দর্য বাড়িয়ে গেমার look আকর্ষণীয় করার জন্য এবং পারফম্যান্স বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন জিনিস অদল বদল করা হচ্ছে বলে একটু সময় লাগছে আর কি।
ব্যাকপ্যাকে 16 গিগাবাইট ভিডিও মেমরি, ইন্টেল কোর i7 vPro প্রসেসর এবং 32 গিগাবাইট ডুয়াল-কোর ডিডিআর 4 র্যামের সাথে এনভিডিয়া কিউড্রো পি 5200 ও সাথে থাকছে। গ্রাহকরা চাইলে HTC Vive VR, এইচপি উইন্ডোজ মিক্সড রিয়্যালিটি হেডসেট, বা ওকলিউস রিফটের এগুলোও বেছে নিতে পারবে।
জেড ভি আর প্রফেশনালদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করার জন্য, এইচপি স্ট্যান্ডার্ড ভিআর ইঞ্জিনের জন্য সফ্টওয়্যারটি অপ্টিমাইজ করেছে এবং এতে উইন্ডোজ 10 প্রো ইনস্টল করা হয়েছে। ব্যাকপ্যাক ড্রপ, ধুলো, এবং পানি প্রতিরোধের জন্য হালকা এবং পড়তে যেন সহজ হয় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অর্থাৎ সেটা যেনো মিলিটারি স্ট্যান্ডার্ড এর সাথে সম্পূর্ণ মিল থাকে সেই আদর্শ পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানেন ই তো। জিনিস যেটা ভাল তার মূল্য একটু বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই জেট ভি আর এরও মূল্য কম না। হেডসেট ছাড়াই এর দাম ৩হাজার ২শত নিরানব্বই ইউ এস ডলার।
HP, অটোডেস্ক, এপিক গেমস, ফিউশন, এইচটিসি, লঞ্চ ফিথ এবং টেকনিকালর সহ, জেড ভি আর পারফরম্যান্স দেখানোর জন্য মঙ্গল গ্রহে একটি হোমার প্ল্যানেট প্রকল্পে কাজ করছে। প্রকল্প একটি মিলিয়ন মানুষ উপনিবেশ সিমুলেশন তৈরি করা হবে, টিম উপনিবেশ বজায় রাখা এবং কিভাবে কলোনি বৃদ্ধি করা যায় এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো কি কি প্রয়োজন তা এটায় থাকবে।
দ্য মার্স হোম প্ল্যানেট প্রজেক্ট টি বিজ্ঞান সম্প্রদায় ও অন্যান্য ইন্টারেস্টেডদেরকে সিমুলেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন আইডিয়া দিবে যা অটোডেস্ক টুলসে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া গবেষকরাও তাদের পরিকল্পণা করতে পারবে এই সিমুলেশনের মাধ্যমে আর সম্ভাব্য ইফেক্টগুলো বুঝতে বা অনুধাবন করতে পারবে। মানে পূর্ব পরিকল্পনা থেকে শুরু করে প্র্যাক্টিস সব কিছুই এর মাধ্যমে করা সম্ভব হবে।
তো আজকের মত এ পর্যন্তই। আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে। ভাল লাগলে অবশ্যই লাইক দিবেন। আর টিউমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু। যদি আপনার ফ্রেন্ডদেরকেও জানাতে চান, তাহলে অবশ্যই শেয়ার করুন। ইনশাআল্লাহ, আগামীকাল দেখা হবে নতুন কোনো টিউনে। ততক্ষণের জন্য বিদায়। পরিশেষে, ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, প্রযুক্তিকে ভালবাসুন আর প্রযুক্তির সাথেই থাকুন।
আল্লাহ হাফিজ।
আমি মোঃ আশিকুর রহমান সরল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 83 টি টিউন ও 102 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 12 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একজন প্রযুক্তি প্রেমী।কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি।পৃথিবীকে নতুন কিছু করে দেখাতে চাই। My Website