নিজের তৈরি যন্ত্রপাতি দিয়ে মুরগীর কলিজার সাহায্যে অক্সিজেন প্রস্তুতি (আপডেট)

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই ? আমি ভাল আছি। এটা হচ্ছে আমার প্রথম টিউনের আপডেট। অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন বিস্তারিত ব্যাখ্যা সহ লিখলে ভাল হতো। তাই আজ এটার আপডেট দিলাম।আশা করি করো বুঝতে সমস্যা হবেনা।
প্রথমেই আমরা জানবো পরীক্ষাগারে কিভাবে অক্সিজেন প্রস্তুত করা হয় :
সাধানণত পরীক্ষাগারে দুটি পদ্ধতিতে অক্সিজেন প্রস্তুত করা হয় :
১। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ও ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড মিশিয়ে ।
২। পটাশিয়াম ক্লোরেট ও ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইডের মিশ্রণকে উত্তপ্ত করে ।
নিচে দুটি পদ্ধতিতে অক্সিজেন প্রস্তুতির ছবি দেয়া হলো :

</a
আমি আর এ দুই পদ্ধতির বিস্তারিত বিবরণ দিবনা । ছবি দেখলেই বুঝা যায় এই দুই পদ্ধতিতে অক্সিজেন প্রস্তুত করেত কত কষ্ট করতে হয় ।
এবার আসা যাক সহজ পদ্ধতিতে নিজের তৈরি যন্তপাতি দিয়ে আমরা কিভাবে অক্সিজেন গ্যাস প্রস্তত করতে পারি :
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
১। ছিপিসহ এক বা দেড় লিটার আয়তনের একটি প্লাস্টিকের বোতল ।
২। একটি চিকন প্লাস্টিকের পাইপ (স্যালাইন দেয়ার জন্য যে ধরনের পাইপ ব্যবহার করা হয়) ।
৩। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড (ওষুধের দোকানে কিনতে পাওয়া যায় যার দাম মাত্র ১৫/২০ টাকা) ।
৪। কয়েক টুকরা মুরগীর কলিজা ।
৫। একটি পানিভর্তি গামলা ।
৬। একটি বাটি ও একটি মোমবাতি
৭। গ্যাসজার বা কয়েকটি টেস্টটিউব ।
বিবরণ : প্রথমে বোতলের ছিপিটিকে ছিদ্র করে প্লাস্টিকের চিকন পাইপটি ছিদ্রপথে সামান্য প্রবেশ করাই এবং পাইপের অন্য প্রান্ত গামলাভর্তি পানির মধ্যে ডুবিয়ে রাখি । ছিপির ছিদ্র দিয়ে যাতে বাতাস ঢুকতে না পারে সেজন্য পাইপের চারপাশ মোম গলিয়ে বন্ধ করে দিই । তারপর কয়েক টুকরা কলিজা বাটিতে নিয়ে ভালভাবে পিষে প্লাস্টিকের বোতলে ভরি । এরপর বোতলের মধ্যে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ঢেলে ভালভাবে টাইট করে ছিপি আটকে দিই । দেখা যাবে পাইপের অপর প্রান্ত দিয়ে গামলার পানিতে বুদবুদ আকারে গ্যাস বের হচ্ছে । ইহাই অক্সিজেন গ্যাস । এরপর একটি টেস্টটিউব পানিভর্তি করে তা পাইপের মুখে উপুর করে ধরি । দেখা যাবে টেস্টটিউবের পানি নেমে গিয়ে সেভানে গ্যাস ভর্তি হবে । তারপর টেস্টটিউবটির মুখ আঙ্গুল দিয়ে আটকে গ্যাস ধরে রাখি । এভাবে গ্যাস প্রস্তুত করে ও সংগ্রহ করে আমরা পরে অক্সিজেন গ্যাসের ধর্ম পরীক্ষা করতে পারি ।

ব্যাখ্যা : হাইড্রোজেন পার অক্ষাইড হচ্ছে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি পদার্থ যা ভেঙ্গ পানি ও অক্সিজেন উৎপন্ন হয় । আর হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ভাঙ্গার জন্য প্রয়োজন হয় প্রভাবকের । প্রভাবক হচ্ছে এমন একটি পদার্থ যা কোন বিক্রয়ার গতি বৃদ্ধি বা হ্রাস করে এবং বিক্রিয়া শেষে নিজে অপরিবর্তিত থাকে । এ পদ্ধতিতে মুরগীর কলিজা প্রভাবকের ভূমিকা পালন করে । আর এভাবেই আমরা নিজেরা খুব সহজেই অক্সিজেন গ্যাস প্রস্তুত করতে ।
আশা করি সবাই ব্যাপারগুলি বুঝতে পারবেন । আর যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে কমেন্ট করবেন আমি তার উত্তর দেয়ার চেস্টা করব । ধন্যবাদ ।

Level 0

আমি ছাত্র ও শিক্ষক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 54 টি টিউন ও 1010 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

তুমি যদি শিক্ষিত হও,অশিক্ষিতকে আলো দেবে। না পারলে তুমি অহংকার করবেনা,তুমি দূর্ব্যবহার করবেনা,বিনয়ের সঙ্গে কথা বলবে,তুমি শিক্ষিত বলেই এ তোমার অতিরিক্ত দায়।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাই হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের দাম কম জানতাম, কিন্তু মুরগীর কলিজার দাম তো বেশি তাছাড়া আমার খুব প্রিয় খাবার। Thank you for the post. আপনার গবেষনা থামাবেন না । চালিয়ে যান।