Black Hole কি?
মহা বিশ্বের সবচেয়ে বড় রহস্য, সবচেয়ে বড় মহাজাগতিক বিস্ময়, ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বর।ব্ল্যাক হোল হলো আমাদের সূর্যের মত এক ধরনের নক্ষত্র। কোন নক্ষত্রের যদি অনেক ভর ও ঘনত্ত্ব থাকে, তাহলে তার মহাকর্ষীয় শক্তি এতই শক্তিশলী হবে যে আলো পর্যন্ত সেখান থেকে নির্গত হতে পারবে নে। মহাকর্ষীয় শক্তি আবার কি তাই না? এ মহাবিশ্বের যেকোন দুটি বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষন তাই হচ্ছে মহাকর্ষীয় শক্তি। এই নক্ষত্রের থেকে আলো কিছু দূর যাওয়ার আগেই নক্ষত্রটির মহাকর্ষীয় আকর্ষন দারা তাকে পিছনে নিয়ে আসে। পৃথিবীর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই কৃষ্ণ গহ্বর সম্পর্কে এ পর্যন্ত জানতে পেরেছেন সামান্যই। তবে যতটা তথ্য উদ্ধারে সক্ষম হয়েছেন তা যথার্থই অভাবনীয়, সাধারণ চিন্তার বাইরে।
Black Hole এর জন্মঃ নক্ষত্র যখন তার জ্বালানি পুড়িয়ে শেষ করে ফেলে তখন নক্ষত্র গুলো সংকুচিত হতে থাকে। সাধারনত গ্যালাক্সি গুলোর মাঝে অবস্থানরত বড় বড় নক্ষত্র তাদের বিবর্তনের সর্বশেষ পরিণতিতে সুপারনোভা বিস্ফোরনের মাধ্যমে ব্ল্যাক হোল সৃষ্টি করে।নক্ষত্র গুলো অনেক বেশি সংকুচিত হয়েই ব্ল্যাক হোলের জন্ম দেয়। কিন্তু সেই সংকুচিত হওয়ার মাত্রা কতটুকু? তা শুনে অবাক হবেন। উদাহরণস্বরূপ, সূর্যের ব্যাসর্ধ প্রায় ৬.৯৬০০০০০কিলোমিটার। এই বিশালাকার আয়তনকে যদি কোনোভাবে মাত্র ১০ কিলোমিটারে(!) নামিয়ে আনা যায়, তাহলে সেটি একটি ব্ল্যাক হোলে পরিণত হবে। আর আমাদের পৃথিবীকেই যদি চেপেচুপে মাত্র দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার(!) বানানো যায়, তাহলে পৃথিবীও একটি ক্ষুদে ব্ল্যাক হোলে পরিণত হতে পারে। ব্ল্যাক হোল হওয়া তাহলে সোজা ব্যপার না তাই না?
আকর্ষন করার ক্ষমতার এলাকা
ব্ল্যাক হোল থেকে আলো কিছু দূর যাওয়ার আগেই ব্ল্যাক হোলটির মহাকর্ষীয় আকর্ষন দ্বারা তাকে পিছনে নিয়ে আসে।
সব কিছু নিজের দিকে টেনে নেয়
যেহেতু আলো পর্যন্ত বের হয়ে আসতে পারে না তাহলে ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ত কিভাবে দেখা যায় বা বুঝা যায়? মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে, অনেক সময়েই মহাকাশে প্রচুর তারকারাশি দেখা যায় যারা একটি বিশেষ বিন্দুকে কেন্দ্র করে ঘুরছে অথবা সর্পিলাকার গ্যাসীয় বস্তু দেখা যায় যা কোন বিন্দুকে কেন্দ্র করে অবস্থান করছে। এই বিশেষ বিন্দুগুলোই হল ব্ল্যাক হোল যেগুলোকে দেখা যাচ্ছে না ঠিকই কিন্তু তারা নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে তারকারাশি বা গ্যাসীয় বস্তুগুলোর অবস্থান আর তাদের গতি-প্রকৃতির মাধ্যমে।
ব্ল্যাক হোল এর থেকে নিঃর্গত চোম্বকিয় তরঙ
অতিমাত্রায় কৃষ্ণকায় হওয়ার দরুণ ব্ল্যাক হোল আমাদের কাছে অদৃশ্য বটে কিন্তু এর থেকে নিঃসরিত বিকিরণ জনিত শক্তি প্রতিনিয়তই নির্ণেয়মান।
ব্ল্যাক হোল সম্পর্কে এখনো বিজ্ঞানিরা অনেক কিছু জানতে পারে নি। তাই এটি এখনো রহস্য।
আমি জাকির হোসাইন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 224 টি টিউন ও 1487 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
পৃথিবীতে অল্পকয়েক দিনের জন্য অনেকেই আসে, হেঁটে খেলে চলে যায়। এর মধ্যে অল্প কয়েক জনই পায়ের চাপ রেখে যায়।ওদের একজন হতে ইচ্ছে করে। প্রযুক্তির আরেকটি সেরা ব্লগ টেকটুইটস। আপনাদের স্বাগতম, যেখানে প্রতিটি বন্ধুর অংশ গ্রহনে গড়ে উঠেছে একটি পরিবার। আপনাদের পছন্দ হবে আশা করি। ফেসবুকে আমি - ?জাকির!
ভালই লিখছেন। কিন্তু সমস্যা হল সূর্যের ব্যাস ১.৫ কি.মি. না। এর ব্যাস ১.৩৯২×১০৬ কি.মি.