যদি শীতের শুষ্ক দিন হয়, দেখবেন আপনার মাথার চুল আঁচড়িয়ে বারবার চেষ্টা করেও সমান করতে পারছেন না; সোজা হয়ে দাড়িয়ে যাচ্ছে। অথবা সোয়েটার খোলার পর শরীরের লোমগুলো সোজা হয়ে থাকছে ও চট্মট্ শব্দ করছে। অন্ধকার ঘরে হলে আলোও দেখতে পাবেন। এমন আরও অনেক উদাহরণ পাবেন যেখানে স্ট্যাটিক ইলেক্ট্রিসিটি উৎপন্নের জন্য এমনটি হয়ে থাকে।
ইলেক্ট্রিসিটিকে প্রাথমিক ভাবে স্ট্যাটিক ও ডাইনামিক, দু'ভাগে ভাগ করা হয়। আসলে সব
ইলেক্ট্রিসিটি একই। সাধারণত আমরা চারপাশে ইলেক্ট্রিসিটির যে হাজারও ব্যবহার দেখছি, এ সবই ডাইনামিক ইলেক্ট্রিসিটি। স্ট্যাটিক ইলেক্ট্রিসিটির সাথে আমাদের পরিচিতি বেশ কম; এর ব্যবহার আরও কম। সহজ করে বললে যে ইলেক্ট্রিসিটি উৎপাদনের পর স্থানান্তরিত হতে পারে তাকে ডাইনামিক ইলেক্ট্রিসিটি বলা হয় আর যে ইলেক্ট্রিসিটি উৎপাদনের পর যা কিছু করার জন্মস্থান থেকেই করে বা কোন কিছু না করেই নিঃশেষ হয়ে যায়। অনেকটা কমপ্লিট প্যারালাইস্ড
ইলেক্ট্রিসিটি বলা যেতে পারে।
ধূলা পরিষ্কার করণ: কোন নির্দিষ্ট কক্ষের বাতাস বিশুদ্ধ বা ধূলা মুক্ত করনের জন্য, বিশেষ কোন মেশিন বা যন্ত্রপাতি স্পর্শ না করে পরিষ্কার করনে ইত্যাদি। এক্ষেত্রে স্ট্যাটিক ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবহার করে ডাস্ট বা ধূলাকে বৈদ্যুতিক চার্জ করা হয় এবং বিপরীত চার্জের অন্য একটি প্লেট দ্বারা আকর্ষণ করে সরিয়ে ফেলা হয়। কারণ আমরা জানি বিপরীত চার্জ একে অপরকে আকর্ষণ করে।অনুরূপ পদ্ধতি শিল্প কারখানায় উৎপাদিত অতিরিক্ত স্মোক বা ধূয়া পরিশোধনের জন্যও ব্যবহার করা হয় যা মূলত 'হোম এয়ার পিউরিফাইয়ার' এর মত, শুধু বৃহৎ আকারে ব্যবহার করা হয়।
ফটোকপি ও প্রিন্টিং: ফটোকপি মেশিন বা ডাস্ট ইন্ক ব্যবহৃত প্রিন্টারে স্ট্যাটিক ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে ব্যবহৃত ইন্ক বা কালির বৈশিষ্ট্য হল ইহা চার্জ হতে পারে। অপর দিকে প্রিন্টিং রোলার বা ড্রাম বিপরীত চার্জ-যুক্ত থাকে, ফলে শুধুমাত্র লেখা বা কপির জন্য অংশটুকু ড্রাম কালি ধরে রাখে ও কাগজের উপর ছাপ দেয়।
গাড়ী রং করণ: আপনার গাড়ীর সুন্দর ঝকঝকে তকতকে ও সকল স্থানে সমান অনুপাতের রং করার জন্য স্ট্যাটিক ইলেকপ্রিসিটি ব্যবহার করা হয়। গাড়ী পজিটিভ চার্জ-যুক্ত করা হয়, আর স্প্রে-কৃত রং নেগেটিভ চার্জ-যুক্ত করা হয়। ফলে রং আকর্ষিত হয়ে গাড়ি রঙ্গিন হয়ে উঠে।বর্তমানে বিভিন্ন অমসৃণ পৃষ্ঠ বিশিষ্ট ও মূল্যবান যন্ত্রপাতিও অনুরূপ পদ্ধতিতে রং করা হয়। এক্ষেত্র রং এর অপচয় কম, গুনগত-মান ভাল ও পরিবেশের কম ক্ষতি করে।এসকল ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক সার্কিট ব্যবহার করে স্ট্যাটিক ইলেক্ট্রিসিটি উৎপন্ন ও নিয়ন্ত্রণ করে কাজ করা হয়।
সোর্স ব্লগ
ধন্যবাদ 🙂 http://www.trickdonbd.com