বর্তমান বিজ্ঞান ভুমিকম্পের যে সুত্র আমাদের দিচ্ছে তা আর উল্ল্যখ করার প্রয়োজন মনে করছি না। কারন আমরা কম-বেশি সবাই জানি। কিন্ত কল্প-কাহিনীর সাথে তুলনা করলে বর্তমান বিজ্ঞানের সাথে অনেক মিল পাওয়া যাবে, আর সেটা আপনারা মিলিয়ে নিবেন।
আদি কাল থেকে ভুমিকম্প সম্পর্কে অনেক কল্প কাহিনী প্রচলিত আছে দেশে দেশে বিভিন্ন সমাজে। তার মধ্য থেকে কয়েকটা উল্ল্যখ করা যেতে পারে মুটামুটি একটা ধারনা পাওয়ার জন্য।
চারটা মস্ত বড় হাতী এই পৃথিবীকে মাথায় নিয়ে আছে। আর এই হাতী চারটা দাড়িয়ে আছে একটা কচ্ছপের উপর। আর কচ্ছপটা আছে একটা গোখরা সাপের মাথায়। বুঝতেই পারছেন যে কেউ একটু নড়াচড়া দিলেই তখন পৃথিবীটা কেপে উঠে, আর এটাই ভুমিকম্প।
বিরাট একটা দৈত্ব্য এই পৃথিবীকে মাথায় নিয়ে আছে। পৃথিবীর সমস্ত গাছপালা হলো দৈত্বে্র চুল, আর মানুষ ও প্রাণীকূল হলো তার উকুন। এটা সাধারনত পুর্বদিকে মুখ করে আছে। কখনো ঘাড় ঘুরিয়ে পশ্চিম দিকে তাকিয়ে আবার পুর্ব দিকে হয়, তখন ঝাকুনি অনুভুত হয়, আর এটাই ভুমিকম্প।
সাত নাগিনী এই পৃথিবীর সুরক্ষার জন্য পালাক্রমে দ্বায়িত্ব পালন করছে। একজন থেকে আর একজন দ্বায়িত্ব বুঝে নেয়ার সময় কিছুটা ঝাঁকুনি অনুভুত হয়, আর এটাই ভুমিকম্প।
পৃথিবী মানুষের মতই একটা জীবন্ত প্রাণী। এরও মানুষের মতো অসুখ-বিসুখ হয়। তাই তো যখন পৃথিবীর জ্বর আসে আর এই জ্বরের কাপুনির ফলে ভুপৃষ্ঠ কেপে উঠে, আর এটাই ভুমিকম্প।
এযাবত যত মানুষ মরে মাটির নীচে চলে গেছে তারা কিছু দিন পরপর একত্রিত হয়ে নিজেদের মধ্যে হিসাব মিলানোর চেষ্টা করে যে এখনও কেউ মাটির উপরে আছে কিনা। তাই পৃথিবীকে নড়াচড়া দেয়। আর কম্পনের সময় যখন মানুষ বাচাও বাচাও বলে চিৎকার করে তখন মাটির নীচের মানুষেরা বুঝতে পারে এখনও সব মানুষ মরা শেষ হয়নাই। তাই তো ভুমিকম্পন বন্ধ হয়ে যায়। আরও জানতে চান প্রথম প্রকাশ
আমি ফজলুর রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 14 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
We share science, technology and idea.
হা হা হা, কয়েকটা বিষয় আগে থেকে জানলেও অধিকাংশই অজানা। সুন্দর এই টিউনের জন্য ধইন্যার সুবাসিত শুভেচ্ছা।
টিউনটি টেকহিউমার বিভাগে করলে ভালো হতো। বিভাগ নির্বাচন ঠিক হয়নি 🙁